আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১১

ছহি ইছলামী বর্ণবাদ


কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য রীতিমতো অবমাননাকর ও অপমানজনক কিছু ইসলামী বাণীর সংকলন।


শালা জঙ্গি নাস্তিক!



কথা ও সুর অনুবাদ ও ফটোমাস্তানি: ধর্মের ষাঁড়কৌস্তুভ 

ইসলামের নাৎসি কানেকশন?


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের ইহুদি হত্যাকাণ্ডে ইসলামীদের সংশ্লেষ ও সমর্থন ছিলো কি? সাড়ে আট মিনিটের ভিডিও দেখে সিদ্ধান্ত টানুন। 


বুদ্ধু বিধাতা – ০৭



বিশ্বাস মানেই অন্ধ বিশ্বাস


শিরোনামটি একটু বিশ্লেষণ করে বলি: বিশ্বাস (ধর্ম- ও ঈশ্বরবিশ্বাস অর্থে) মানেই অন্ধ বিশ্বাস।

আমেরিকান নাস্তিকদের সম্মেলনের সময় প্রতিবাদ করতে এসেছিল কয়েকজন বিশ্বাসী। তা আসতেই পারে। সেটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু প্রতিবাদের ভাষা এবং ধরন দেখে এই ধারণাই প্রবলতর হয়ে ওঠে যে, ধর্ম মানুষের সুস্থ চিন্তাশক্তি একেবারেই অকেজো করে দেয়। 

সাড়ে আট মিনিটের ভিডিওর আধাআধি দেখলেই যথেষ্ট। বা চাইলে এখানে বিশদ পড়ে নেয়া যেতে পারে। 


প্রকৃত পারলৌকিক পরিণতি


ধর্মকারীর জন্য দুর্ধর্ষ এই পোস্টার বানিয়েছেন চিন্তিত তাপস পাল


নবীদের কথা অমান্য করে অনুসারীরা


প্রিয় ক্ষ্যাপা বক্তা এবং প্রখর যুক্তিবাদী CultOfDusty-র আরেকটি মাস্টারপিস: Jesus's Words Don't Mean Shit To Christians.



প্রচারে বিঘ্ন – ১৫



শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১১

সর্বশক্তিমানেরা নাস্তিকদের সামনে অসহায় কেন?


পৃথিবীতে ধর্মবিশ্বাসীরা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগুরু। সর্বক্ষমতাবান হাজার-হাজার ভগবানেশ্বরাল্লাহও তাদের দলে। বিশ্বাসীদের দোয়া-মোনাজাত-প্রার্থনাও তারা হরদম মঞ্জুর করে থাকেন শোনা যায়। 

কিন্তু এর পরেও পৃথিবীর সার্বিক দুরবস্থার জন্য আমাদেরকে অর্থাৎ নির্ধার্মিকদেরকে দায়ী করা হয় কোন যুক্তিতে (অবশ্য ধর্মবিশ্বাসীদের কাছে যুক্তি আশা করাটাও বাড়াবাড়ি, সেটাও মানি)? একে আমরা সংখ্যালঘু, তার ওপরে ঈশ্বরসহায়হীন, দোয়া-প্রার্থনায় বিন্দুমাত্র আস্থা নেই...। তবু আমাদের প্রভাব এতো সর্বব্যাপী? নাকি তাদের কথিত সর্বশক্তিমানেরা নির্বীর্য? 

ফ্লোরিডার লাইভ ঔক শহরের মেয়র ঈস্টারের প্রাক্কালে দাবি করলেন, নাস্তিকেরা না থাকলে পৃথিবী স্বর্গে পরিণত হতো

তবে এটা, মনে হয়, হতো, খ্রিষ্টীয় স্বর্গ। মুসলিমদের পুলকিত হবার কিছু নেই 

মুসলিম জাহানে কার্টুনাতঙ্ক - ০৪



"আঁধার আমার ভালো লাগে"


স-ভূমিকা লিংক পাঠিয়েছেন কৌস্তুভ 

এছাড়া আর কী বলা যায়? ভারতের শক্তিশালী মুসলিম লবি  All India Muslim Personal Law Board সরকারের নতুন শিক্ষা অধিকার নীতির (Right to Education Act) বিরোধিতা করেছে। এই আইনে ভারতের ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী সব বাচ্চাদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষাপ্রাপ্তি বাধ্যতামূলক করা হত। তাদের বক্তব্য, এসব তাদের শরিয়া আইনের বিরোধী। মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থাতেও নাকি এসব অসুবিধার সৃষ্টি করবে। জামিয়ত-উলেমা-ই-হিন্দ ও দাবি করেছে, এসব সরকারি আইনের আওতা থেকে ধর্মভিত্তিক স্কুলগুলিকে বাইরে রাখতে হবে। 'সংখ্যালঘুদের অধিকার বিপন্ন' এই কথা বলে এরা সবাই চেঁচামেচি শুরু করে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।

ভারতের কংগ্রেস সরকারও বরাবরের মতনই সংখ্যালঘুদের তোষণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। (সেই শাহ বানু মামলা একটি মাত্র উদাহরণ এই নিঃসংকোচ পশ্চাদপদসরণের, অবশ্যই যা ভোট হারানোর ভয়ে।) মন্ত্রী তড়িঘড়ি বলেছেন, ‘সংখ্যালঘুদের ধর্ম ও শিক্ষার অধিকারে আমাদের সরকার কখনই হস্তক্ষেপ করবে না।’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এধরনের সব উদ্বেগের অবসান ঘটাতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

কুফরী কিতাব


খ্রিষ্টধর্মে প্রচলিত দশটি মিথের সাহায্যে প্রমাণ করা হয়েছে, যিশু বলে কস্মিনকালেও ছিলো না কেউ।


সুযোগ থাকলে অ্যামাজোন থেকে কিনে নিন

বাকিদের জন্য ১.৪২ মেগাবাইটের বইয়ের ডাউনলোড লিংক:
http://hotfile.com/dl/115978375/ce2c76d/David.Fitzgerald-Nailed.rar.html
http://www.megaupload.com/?d=3G3PXA2S

নুহের মহাপ্লাবন মহাপচানি


আজ অব্দি কতো পোস্ট যে দেয়া হলো এই একই টপিকে, তবু পুরনো হয় না তা 


প্রিয় পুরনো পোস্টগুলো – ৪০


ধর্মকারীতে পোস্টের সংখ্যা বাইশশো ছাড়িয়ে গেছে। এই সাইটের খোঁজ যেসব পাঠক সম্প্রতি পেয়েছেন বা ভবিষ্যতে পাবেন, তাঁদের পক্ষে আগে প্রকাশিত মজাদার পোস্টগুলো খুঁজে নেয়া ব্যাপক শ্রম- ও সময়সাধ্য ব্যাপার হবে ভেবেই হারানো-দিনের-পোস্ট ধরনের এই সিরিজের অবতারণা। পুরনো পাপীরাও এই সুযোগে স্মৃতিচারণ করে নিতে পারেন 

প্রতি পর্বে আমার বিশেষ প্রিয় পাঁচটি পোস্টের লিংক দেবো সংক্ষিপ্ত বর্ণনাসহ। শুরু করেছি ধর্মকারীর আদিকাল থেকে।

আগের পর্বগুলো দেখতে নিচের "কাসুন্দি" ট্যাগে ক্লিক করুন।

ব্রাহ্মণ্যবাদ ও তার কুপ্রথা


লিখেছেন ধর্মের কল বাতাসে নড়ে 

হিন্দু ধর্মের চারটি বর্ণের মধ্যে তথাকথিত শ্রেষ্ঠ হল ব্রাহ্মন। তারা নিজেদেরকে বর্ণশ্রেষ্ঠ বলে দাবি করে। গীতায় শ্রীকৃষ্ণ নাকি এমনটাই বলে গিয়েছেন। যাক, আমরা বরং একটু আলোচনা করি যে, তারা কেন এই শ্রেষ্ঠ পদের দাবীদার।

ব্রাহ্মণরা মাটির দেবদেবীর মূর্তি গঠন করে মন্ত্র পড়ে চক্ষু দান করে তার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করে থাকে। তারা কত ক্ষমতার অধিকারী। এদেরকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পথিকৃৎ বলা চলে। কিন্তু মাটির দেবদেবীর চক্ষু দান করতে পারলেও তারা কেন অন্ধ লোকের দৃষ্টিদান করতে পারে না, তা বুঝি না। 

চক্ষুদান করার পরে এই দেবদেবীরা চোখে কিছু দেখতে পান কি না, তা শুধু ব্রাহ্মণরাই জানেন। প্রাণপ্রতিষ্ঠা করার পর কোনো মূর্তিকে বোধহয় কেউ নড়াচড়া করতে বা কথা বলতে দেখেনি। 

এদের আরও অনেক বিস্ময়কর ক্ষমতা রয়েছে। 

ব্রাহ্মণরা গঙ্গাজল দিয়ে সবকিছু পবিত্র করতে পারে। তাদের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক দিক হল, গঙ্গাজল আনতে তাদের গঙ্গা নদীতে যেতে হয় না বা পাসপোর্ট করে ভারতেও যেতে হয় না। কেননা গঙ্গাদেবি তো ব্রাহ্মণদের মুখেই। যে কোন নদী, খাল, বিল, পুকুর, ডোবার জল একটি পাত্রে রেখে মন্ত্র পড়লেই হল। এরা, মনে হয়, মন্ত্র দ্বারা ড্রেনের জলও গঙ্গাজলে পরিণত করতে পারে। 

হিন্দু ধর্মমতে পাপ করলে তার প্রায়শ্চিত্ত করতে হয়। এই প্রায়শ্চিত্ত করার ব্যাপারেও তাদের একতরফা সুবিধা। 

মনুসংহিতা অনুযায়ী, ব্রাহ্মণ যদি গোমাংশও ভোজন করে, তাহলে এক দিবারাত্র উপবাস করলে তার প্রায়শ্চিত্ত হয়। কিন্তু অব্রাহ্মণদের জন্য তা এত সহজ নয়। তাদের জন্য তপ্ত ঘৃত পান করে অথবা তুষানল করে প্রাণত্যাগ করা একমাত্র প্রায়শ্চিত্ত।

মনুসংহিতা অনুযায়ী, তুষানল মানে হলো গোবর ও তুষ মিশিয়ে ১ ইঞ্চি পুরু করে শরীরে লেপন করে শুকিয়ে নিয়ে ঘি ঢেলে অগ্নিসংযোগের পর তার মৃত্যু হবে। 

একই অপরাধের অপরাধী শূদ্র বা স্ত্রীলোক হলে যেখানে মৃত্যুদন্ড হয়, সেখানে ব্রাহ্মণ হলে একটি মাত্র লোম কর্তন বা এক দিবারাত্রি উপবাস করলে সে মৃত্যুর হাত হতে রক্ষা পেতে পারে। 

প্রশ্ন হল: ধর্ম তার এক এক অনুসারীকে এক এক বিধান বা নিয়ম কেন দেবে। আইন সবার জন্য সমান হলে ধর্ম কেন সবার জন্য সমান হবে না? 

এক ধর্ম হাসাহাসি করে অন্য ধর্ম নিয়ে...


আর আমরা পচাই সব ধর্মকে।


বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১১

কোরানে চন্দ্রজয়ের কাহিনী


স-ভূমিকা লিংক পাঠিয়েছেন থাবা বাবা 

মানুষ চান্দে গেছিল জানি কবে? এই হেইদিন... মাত্তর ১৯৬৯ সালে। কিন্তু মহান আল্যাতাল্যা সেই তিব্বত ৫৭০ সালেই নাকি কুরানে কইয়া থুইছে মানুষ কবে চান্দে যাইব, কতোক্ষন হেনে থাকবো, হেনথে পাত্থর আনবো... কেমথে কইলো, আর কই কইল?

কুরানে নিহি ১৩৮৯ বার চান্দের নাম আছে। আর মানুষ চান্দে গেছে ১৩৮৯ হিজরা সনে (১৯৬৯খৃ=১৩৮৯হি)। আর কুরানের ৫৪ লম্বর শূরার ১লম্বর লাইনে কইয়া থুইছে চান ভাইঙ্গা যাইবো। হাছা কতা... নাশার হালারা ঐহানে গরি দইরা ৫৪ মিনিট ১ সেকেন্ড গুরাঘারি হইরা চান্দের থে ২১ সের থুক্কু কেজি পাত্থর ভাইঙ্গা লইয়া আইছে (নাউজুবিল্লাহি আজিম)। এইবার কইঞ্চেন দেহি, কুরানের কতা হাছা না মিছা... এই কাফের মুশরিক গুলাইনরে লইয়া আর পারা যায় না। অনে হিসাব কইরা দেহন লাগে কুরানে পাকে কয়বার সুরুযের নাম আছে, কতো লম্বর শুরার কতো লম্বর আয়াতের মইধ্যে কি লেইখ্যা রাখছে। ইহূদী নাছারারাতো এইগুলা বুঝবো না, আমাগো কুরানে হাপেজ আর মোল্লা-মুন্সীরা কইতারবো আমরা কবে সুরুযে গিয়া নাইম্যা কয় সের পাত্থর ভাইঙ্গা আনা পারুম! 


কু-রূপকথা স্বভাবতই ওজনহীন



গুমর ফাঁক ভাইয়ের নতুন নিক দাঁড়িপাল্লা-র সম্মানে 

ঈশ্বর প্রসঙ্গে কার্ল সেগান


মুগ্ধ হয়ে শোনার মতো, দেখার মতো।


ধর্মকারীর ধর্ম


বানিয়েছেন কৌস্তুভ

পোস্টারটির মর্ম বুঝতে হলে এই পোস্টে একটা ঢুঁ দিয়ে আসতে হয় যে!


সিলা কি জওয়ানি


জার্মানিবাসী তুরষ্কীয় বংশোদ্ভুত মুসলমান অভিনেত্রী সিলা সাহিন প্লেবয়ের জার্মান সংস্করণের জন্য দুঃসাহসী ফটো-সেশনে অংশ নিয়ে এমনি এমনি পার পেয়ে যাবেন, তা নিশ্চয়ই ভাবেননি কেউ। ইসলামীরা যে মৃত্যুহুমকি দেবেই, তা তো পূর্বানুমেয় ছিলো। 

এবং সেটাই ঘটেছে। তাঁকে যথারীতি whore, western slut আখ্যাও দেয়া হয়েছে। 


তবে সিলা শাহিনের বক্তব্যে আমি মুগ্ধ হয়েছি। তিনি মেয়েদের (খুব সম্ভব, মুসলিম মেয়েদের) উদ্দেশে বলেছেন, "আমাদের ওপরে চাপিয়ে দেয়া কানুন মেনে বেঁচে থাকার প্রয়োজন আমাদের নেই।... প্লেবয়ের ফটোসেশনটি এনে দিয়েছিল পরিপূর্ণ মুক্তির স্বাদ।"

আমাদের আত্মীয়েরা – ২২


হাতিয়ার তৈরির মতো উদ্ভাবনী ক্ষমতা শুধু মানবজাতিরই আছে বলে যে-ধারণা করা হতো, তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে অনেক আগেই। ডেভিড অ্যাটেনবরোর বর্ণনায় চার মিনিটের ভিডিওতে দেখুন আরও নিদর্শন। 


জায়েজ কার্টুন নাজায়েজ কার্টুন



কথা ও সুর অনুবাদ ও ফটোমাস্তানি: ধর্মের ষাঁড়কৌস্তুভ

বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১১

আরও এক ধর্মকামী


"ধর্ষকাম" আছে, আছে "মর্ষকাম"-ও, তবে "ধর্মকাম" শব্দটি নেই কেন? ধর্মের নামে কৃত কামকে ধর্মকাম বলা যেতে পারে অনায়াসেই। চিন্তাটা মাথায় এলো যে-কারণে:

অনেক কুকীর্তি করার লাইসেন্স জুটে যায় ধর্ম বা ভগবানেশ্বরাল্লাহর নাম সেসবে জড়িত থাকলে। যেমন, জ্বীন-ভূততাড়ানির নামে তরুণী বা যুবতীদের যৌনভাবে নিগৃহীত করা যায় একেবারে জনসমক্ষে। কেউ টুঁ শব্দটি করে না তবু। কারণ চিকিৎসা পদ্ধতিটি ধর্মসম্মত। ঘটনা দক্ষিণ অফ্রিকায়। 

দুই রিপোর্টার দু'মাসব্যাপী তদন্ত করে আবিষ্কার করেছেন, নবী নামের দাবিদার ব্যক্তিটি স্পষ্টই জালিয়াত (নবী নামধারী প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই তা অবশ্য সমানভাবে প্রযোজ্য। তাই false prophet শব্দবন্ধটি নিশ্চিতভাবেই পুনরুক্তি দোষে দুষ্ট। prophet মানেই false।) এবং স্বচক্ষে অবলোকন করেছেন সেই নবীর যৌননিপীড়ন। 

"চিকিৎসাপদ্ধতি"-র বিস্তারিত বর্ণনার রিপোর্ট থেকে কয়েকটি উদ্ধৃতি দেয়া যাক: 
... He then plunged his fingers into her private parts and started moving his fingers inside her vagina.

... Mboro took off his shoes and placed his foot on her vagina.

... Motsoeneng sprinkled water on his right hand and rubbed the woman’s genitals.

... He asked his helpers to undress her and check if her vagina was wet. 

লিংক পাঠিয়েছেন Suirauqa.

কোরান পোড়ানোর কী দরকার! রি-সাইকল করুন...



ব্যক্তিগত বিলবোর্ড নির্মাণ


Freedom From Religion Foundation-এর সাইটে নিজের নাম-পরিচয়-ছবিসহ একেবারেই ব্যক্তিগত নাস্তিক্যবাদী বিলবোর্ড জেনারেটর বসানো হয়েছে। 
ভেবেছিলাম, বাংলায় একখানা বানিয়ে ফেলবো। কিন্তু বাংলা গৃহীত হলো না বলে দুক্কু পেলাম 

ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণে জোয়ার-ভাটার ভূমিকা


অনেকের মনে থাকতে পারে, আমেরিকার খ্রিষ্টানপন্থী টিভি চ্যানেল ফক্স নিউজের সবচেয়ে "রাফ অ্যান্ড টাফ" উপস্থাপক হিসেবে পরিচিত বিল ও'রেইলি ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে গিয়ে পেড়েছিলেন জোয়ার-ভাটার কথা। তাঁর মতে জোয়ার-ভাটা যেহেতু নিখুঁত সময় অনুসারে সংঘটিত হয় এবং তার কোনও ব্যতিক্রম নেই (Tide goes in, tide goes out. Never a miscommunication. You can't explain that.), সেটাই ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ। 

এমন একটি মোক্ষম বাক্যকে পচানোর মওকা পাবলিক মিস করবে তা কি হয়! বাছাই করা কিছু নমুনা দেখুন। 




American Atheists নামের সংগঠনও অংশ নিয়েছে এই কুকর্মে। তারা আরও এক কাঠি সরেস। তারা তিন মিনিটের একটা ভিডিও বের করেছে। খোদ রিচার্ড ডকিন্সও অংশ নিয়েছেন তাতে।


সৃষ্টিতত্ত্ববাদীর অন্তিম ইচ্ছে



বই পুজো খেলা


লিখেছেন শুভজিৎ ভৌমিক 

এক দেশে ছিলেন এক রাজা। তার প্রতিদিন নতুন নতুন পোশাক পরার বড় শখ।

একদিন সেই দেশে দু'জন কারিগর আসিল। তাহারা রাজার নিকটে গিয়া বলিল, "আমরা আপনার জন্যে চমৎকার একটি নতুন পোশাক বানাইয়া দিব। তবে সমস্যা হইতেছে, কোনো মূর্খ লোক এই পোশাক দেখিতে পাইবে না।"

রাজা যার-পর-নাই চমৎকৃত হইলেন। "বাহ! তাই নাকি? তবে তো দেখিতে হইতেছে পোশাকটা কেমন! বানাও তোমরা, টাকা যাহা লাগে লাগুক।"

কারিগররা পোশাক বানানো শুরু করিল। দিনের পর দিন ধরিয়া তাহারা পোশাক বানাইয়া যাইতেছে আর রাজ-কোষাগার হইতে টাকা লইয়া আসিতেছে।

রাজা মন্ত্রীকে নির্দেশ দিলেন, "যাও গিয়া দেখিয়া আসো, পোশাক কতদূর বানানো হইল। কিন্তু একটা কথা, কোনো মুর্খ লোক কিন্তু এই পোশাক দেখিতে পাইবে না। হেঃ হেঃ হেঃ। এই সুযোগে জানা যাইবে, তুমি বোকা না বুদ্ধিমান।"

মন্ত্রী গেলেন পোশাক দেখিতে। কারিগরেরা মহা উৎসাহে বাতেনি তাঁত যন্ত্রে তাহাকে পোশাক দেখাইতে লাগিলেন।

কিন্তু হায় ! মন্ত্রী যে কিছুই দেখিতে পাইতেছেন না!

কিন্তু না দেখিতে পাইলে তো প্রমাণিত হয় যে, তিনি বোকা! তবে তো লজ্জার অন্ত থাকিবে না!

অতএব হাওয়ায় অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া তিনি বলিলেন, “আহা! বড়ই সুন্দর পোশাক! অতি চমৎকার! রাজা মশাইকে যা মানাইবে না!” বলিয়া কোনোমতে মান-সম্মান লইয়া তিনি পালাইয়া বাঁচিলেন।

বিকালে মন্ত্রী গিয়ে রাজাকে বলিলেন, "অসাধারণ পোশাক বানানো হইতেছে। হাজারের মধ্যে একটি।"

"বটে!" রাজা যার পর নাই খুশি হইলেন। "তবে যেদিন আমি এই পোশাক প্রথম পরিধান করিব, সেই দিন একটি শোভাযাত্রার আয়োজন করা হউক।"

যেমন কথা তেমন কাজ। আয়োজন করা হইল এক বিরাট শোভাযাত্রার। পোশাক তৈরি শেষ হইলেই শোভাযাত্রা হইবে।

অতঃপর কোনো এক শুভদিনে সেই পোশাক তৈয়ার শেষ হইল। কারিগরেরা আসিয়া রাজাকে পোশাক পরাইয়া দিতে লাগিলেন। কিন্তু এ কী! রাজাও যে কোনও পোশাক দেখিতে পাইতেছেন না!

আহারে, দেখিবেন কীভাবে? আদৌ কোনো পোশাক থাকিলে তো!

কারিগরেরা যে প্রতারক, তাহা তো কেহই জানে না ! আসলে কোনো পোশাকই কারিগরেরা বানায় নাই। সবই গায়েবি, সবই ভুয়া।

কিন্তু পোশাক দেখিতে না পাইলে তো প্রমাণিত হয় যে, তিনি বোকা! এখন উপায়?

কারিগরেরা প্রশ্ন করিল, “কেমন হইয়াছে, রাজা মশাই, পোশাক? দেখিতে পাইতেছেন তো?”

“হেঃ হেঃ হেঃ। কী যে বল! দেখিতে পাইব না কেন? আমি কি বোকা নাকি? অসাধারণ, অপূর্ব এ পোশাক।"

গায়েবানা পোশাক পরাইয়া দেয়া হইল রাজাকে। তাহা পরিয়া বিশাল হস্তীর পিঠে চড়িলেন রাজা, রাজকর্মচারীরাও পোশাকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

পথের ধারে উৎসুক জনতা রাজার পোশাক শোভাযাত্রা দেখিতেছে। সকলেই বলিতেছে, “আহারে! বাহারে! কতই না সুন্দর পোশাক!” যদিও কেউই কিছু দেখিতে পাইতেছে না, তাই বলিয়া যে তাহারা বোকা, এই কথা তো প্রকাশিত হইতে দেওয়া যাইবে না। অতএব লাগাও তালি।

ভীড়ের মধ্য থেকে এক বালক রাজাকে পর্যবেক্ষণ করিতেছিল। সেও রাজার শরীরে কোনো কাপড়ের অস্তিত্ব খুঁজিয়া পাইল না। মজা পাইয়া সে চেঁচাইয়া উঠিল, “এ হে, রাজা ন্যাংটা, রাজা ন্যাংটা !”

হুশ হইল রাজার। আসলেই তো তিনি উলঙ্গ !

কোনোমতে লজ্জাস্থান আবৃত করিয়া পলায়ন করিলেন তিনি ।

গল্পের এই অংশটুকু সবারই জানা। কিন্তু পরবর্তীতে কী হইয়াছিল, কেহ কি জানে?

রাজার পাইক-পেয়াদারা সেই বালককে শ্বাসরোধে হত্যা করিয়াছিল। এত বড় সাহস! রাজাকে অপমান করিয়াছিস তুই?

কিন্তু হায়! সর্বনাশ যাহা হইবার তাহা তো হইয়াই গিয়াছে!

যাহাই হউক, দিন বদলাইয়াছে। সেই রাজা আজ নাই। নাই সেই বালক।

আজ তবে এই গল্পের প্রয়োজনীয়তা কী?

হুমম, আসুন, দেখা যাক। 

একটি গ্রন্থ অনেক কাল যাবৎ তোলপাড় তুলিয়াছে।

বহু প্রাচীন সেই গ্রন্থ, অন্তত ১৫০০ বছরের পুরানো তো হইবেই। গ্রন্থ যিনি লিখিয়াছেন, তাহাকে কেউ দেখে নাই, কিন্তু গ্রন্থ নিজেই দাবি করিতেছে, ইহা একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা।

গ্রন্থের লেখক গ্রন্থের অভ্যন্তরে নিজের এবং নিজের রচনার গুণাগুণ বর্ণনা করিয়া যেসব তথ্য দিয়াছেন, তাহা থেকে মানুষ জানিল:

১। এটি একটি অতি মহৎ আসমানী গ্রন্থ।
২। ইহার বক্তব্যের অর্থ বাহির করিবার যাবতীয় দায়-দায়িত্ব আপনার।
৩। কিছু কিছু লোক এই গ্রন্থ বিশ্বাস করিবে না।
৪। তাহারা নরকে নিক্ষেপিত হইবে।

এইসব তথ্য বাদে, মানুষ সেই গ্রন্থের বক্তব্য সম্পর্কে পরিষ্কার হইতে পারিল না।

তবে সকলেই এক বাক্যে স্বীকার করিয়া নিলো যে, এই গ্রন্থ অতি মহৎ। করিবেই না বা কেন? কেউ কি চায় নরকে নিক্ষেপিত হইতে ?

সহসা পৃথিবীতে কিছু মধ্যসত্ত্বভোগী নায়কের আবির্ভাব ঘটিলো।

তাহারা টিভি চ্যানেলে এই বইটির স্বরচিত তর্জমা করিয়া দিতে লাগিলো। মানুষ দেখিল, “আহা ! কতই না বিজ্ঞ এইসব কোট পরিহিত শীর্ণকায় ভদ্রলোক!”

এক নায়ক ভদ্রলোকের বক্তব্য থেকে জানা গেলো: 
এই গ্রন্থ অতিশয় বিজ্ঞানসম্মত। বিজ্ঞান আজ যাহা আবিষ্কার করিতেছে, তাহার সকল বর্ণনা এই গ্রন্থে বহু পূর্বেই দেখানো হইয়াছে, ইত্যাদি।

যাহাই হউক, "মানবতা" নামে এক বালক এতক্ষণ ধরিয়া নায়কের বক্তব্য শুনিতেছিল।

সহসা তাহার মনে প্রশ্ন জাগিলো, “তাহা হইলে বিজ্ঞানের এতসব কিছু আবিষ্কারের পুর্বেই কেন এই গ্রন্থ সেসব কথা বলিয়া দিল না? বিজ্ঞান এইসব আবিষ্কার করা পর্যন্ত অপেক্ষা করিবার কী প্রয়োজন ছিল? তাহাতে করিয়া কি মানব সভ্যতার অগ্রগতি আরও পূর্বেই হইত না?”

নায়ক হাসিয়া কহিলেন, “ইহার উত্তরও এই গ্রন্থে রহিয়াছে। বলা হইয়াছে, তোমরা জ্ঞানের অন্বেষণ কর।"

আর মিথ্যাচার সহ্য করিতে পারিল না মানবতা।

চিৎকার দিয়া উঠিল, “বাহির কর দেখি, এইডস রোগের প্রতিষেধক এই গ্রন্থ কী নির্ধারণ করিয়াছে? এত নীতিবাক্য শুনিবার সময় নাই। এদিকে মানুষের প্রাণ যাইতেছে, আর তোমার গ্রন্থ অনির্দিষ্ট ভবিষ্যতের আশায় মানুষের হাতে আবিষ্কারের দায়ভার দিয়া রাখিয়াছে। কী লাভ তোমার এই মানুষ মারা জ্ঞানের বই দিয়া ?”

নাহ, চরম বিরক্তিকর ! আর তো পারা যায় না। এইবার তবে এই অর্বাচীনকে উচিত শিক্ষা দেওয়া হউক।

মুখোশ ছাড়িয়া বাহির হইয়া আসিলেন নায়কেরা। সবাই মিলিয়া চাপিয়া ধরিলেন মানবতাকে।

হত্যার বিভৎস আনন্দে গগনবিদারী চিৎকার দিয়া উঠিলেন নায়কেরা।

কেহ কহিলেন, “আল্লাহু আকবর।”
কেহ কহিলেন, “জয় ভগবান।"

চালাইয়া দিলেন ধারাল ছুরি অসহায় বালক মানবতার কন্ঠনালী বরাবর। টপটপ করিয়া রক্ত ঝরিতেছে তাহার গলা বাহিয়া। মারা যাইতেছে মানবতা।

দূরে দাঁড়াইয়া মানবতার মৃত্যুদৃশ্য উপভোগ করিতেছে নায়কেরা। এক হাতে তাদের ধারাল ছুরি। অপর হাতে সেই অতি প্রাচীন আসমানী গ্রন্থ।

"বাইবেলে বিশ্বাস করেন? তাহলে আমাকে হত্যা করুন..."


অধিকাংশ ধর্মবিশ্বাসী তাদের ঐশী কিতাবের সুবিধাজনক অংশগুলো অনুসরণ করে। বাকি অংশগুলো কেন অনুসরণ করে না, সেই প্রশ্ন করে কখনওই যুক্তিযুক্ত উত্তর পাওয়া যায় না। 

ক্যালিফোর্নিয়ার এক স্কুলের দুই লেসবিয়ান মেয়েকে "অসঙ্গতিপূর্ন" আচরণের কারণে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে ZJemptv নামের লেসবিয়ান ইউটিউবার বলছেন, বাইবেল অনুযায়ী - সমকামীদের হত্যা করার কথা। তা কেন করছে না বাইবেল-অনুসারীরা? 

অত্যন্ত বলিষ্ঠ বক্তব্য সম্বলিত পাঁচ মিনিটের ভিডিও। 


ঐতিহ্যবাহী নির্লজ্জতা


অন্ধকারেই ধর্মের ব্যবসা জমজমাট হয়। জ্ঞানের আলো থেকে অনুসারীদের যতো দূরে রাখা যায়, ব্যবসা হয় ততো বেশি নিরাপদ, ঝুঁকিমুক্ত। 


সম্প্রতি আরও এক দলা বিষ্ঠা নিঃসৃত হয়েছে ক্যাথলিক চার্চপ্রধানের মুখগহ্বর থেকে। মানুষ বিবর্তনের ফসল নয় বলে আবারও ফতোয়া দিয়েছে ব্যাটায়। তবে আরও কয়েক বছর কাটবে, তারপর নতুন আরেক পোপ এসে কাঁচুমাচু গলায় স্বীকার করে নেবে বিবর্তনবাদ, আগে যেমন বাইবেলের কথা বেমালুম গিলে ফেলে স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিল সূর্যের চারপাশে পৃথিবী ঘোরার কথা, পৃথিবীর গোলাকৃতির কথা। তবু লজ্জা হয় না এদের! 

অকপট স্বীকারোক্তি



মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১১

আবালআকীর্ণ এ ধরাধাম


একেবারেই গড়পড়তা মানের জাদুকর সাই বাবাকে ঈশ্বর বানিয়ে ফেলেছিল আবাল জনতা। অবশ্য শুধু জনতা বলা ঠিক হলো না। কারণ দেশ-বিদেশের অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তিও তার ভক্তের খাতায় নাম লেখাতে ব্যগ্র ছিলো। তার ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে যেতে ব্যাকুল ছিলো তারা। 

সাই বাবা এক্সপোজড নামের ব্লগে এক পাঠকের মন্তব্য মনে ধরলো খুব: "যতোদিন আমাদের মতো গর্দভেরা থাকবে এই দুনিয়ায়, ততোদিন থাকবে এই জাতীয় জোকারেরাও।" 

ধর্মকারীর পাঠিকা অদিতি অন্তরা সাই বাবার ভণ্ডামির গুমর ফাঁক (গুমর ফাঁক ভাই, আপনেরে কিছু কই নাই) করা একটি ভিডিও পাঠিয়েছেন। 


রেখেছো বানর করে



হিন্দুধর্মের তেত্রিশ কোটি দেবতা ও দেবীদের কাহিনী


হিন্দুধর্মের তেত্রিশ কোটি দেবতা ও দেবীদের কাহিনী নিয়ে শুরু করলেন বক্তৃতা এবং পরে জানালেন নিজের জীবনে নাস্তিকতার সূচনার গল্প। সূক্ষ রসবোধ আর সরল, অনাড়ম্বর বর্ণনার কারণে তা টেনে ধরে রাখে সারাক্ষণ।   

ভারতীয় বংশোদ্ভুত লেখক, বক্তা, সফটওয়্যার এঞ্জিনিয়ার Anu Garg-এর দেয়া এই চিত্তাকর্ষক বক্তৃতা তাই পুরোটাই শুনলাম। টানা পঁয়তাল্লিশ মিনিট! প্রথম আড়াই মিনিট ভূমিকা। বাদ দিয়ে গেলেও কোনও অসুবিধে নেই। শেষের আট মিনিট প্রশ্নোত্তর পর্ব।


সত্য সাঁইয়ের সত্য কথা


লিখেছেন Vagabond

ভারতের আধ্যাত্মিক মহাপুরুষ সত্য সাঁই আর নেই। জীবিত অবস্থায় তিনি অতীত বর্তমান ভবিষ্যতের অনেক কিছু বলতে পারতেন, অনেকের রোগ ভালো করেছেন, অনেকের অবস্থার উন্নতি করেছেন বলে জনশ্রুতি আছে। এই আধ্যাত্মিক মহাপুরুষ কি না মৃত্যুকালে ভর্তি হয়েছিলেন আধুনিক হাসপাতালে! তিনি ফুসফুসের সমস্যা ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। তিনি কি পারতেন না নিজের আসন্ন অসুস্থতার কথা আগে থেকে জেনে গিয়ে নিজের রোগ সারিয়ে তোলার জন্য কোন অগ্রিম আধ্যাত্মিক চিকিৎসা ব্যবস্থা নিতে? 

যা হোক, মৃত্যুকালে নিজের ক্ষমতার একটি চরম নিদর্শন স্থাপন করে তিনি আমাদের যুক্তিবাদী মননকে স্পর্শ করে গেলেন। 

মুসলিমরা অপরাধপ্রবণ কেন?


যেসব দেশে মুসলিমদের সংখ্যা নগণ্য অর্থাৎ অমুসলিমপ্রধান দেশগুলোয় জেলখানাগুলোতে মুসলিমদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অস্বাভাবিক হারে বেশি কেন? এই যেমন, ফ্রান্সে মুসলমানদের সংখ্যা ১০ শতাংশ। কিন্তু সেই দেশের কারাগারে মুসলিম জনসংখ্যা ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ। 


এই লিংকে ইয়োরোপের কয়েকটি দেশের খতিয়ান দেয়া আছে সূত্রসহ। 

ইসলামে স্বাগতম



সোমবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১১

কনভার্ট অর ডাই


১৯৯৮ সালের কথা সেটা। স্প্যানিশ ইনকুইজিশন-এর যুগে ক্যাথলিক চার্চের কীর্তিকে ব্যঙ্গ করে বানানো একটি কার্টুন ছবি তখন একবারই মাত্র প্রচারিত হয়েছিল। নিশ্চয়ই চার্চের হাউকাউয়ের কারণে সেটির পরবর্তী প্রচার ও ভিডিও আকারে প্রকাশ রোধ করা হয়। কিন্তু কেউ না কেউ সেটি রেকর্ড করে রেখেছিল এবং তাদেরই একজনের কল্যাণে এখন তা লভ্য ইউটিউবে। 

হাস্যরসের মাধ্যমে ক্যাথলিক চার্চের মর্মান্তিক বর্বরতার কথা তুলে ধরা হয়েছে প্রচলিত টিভি-শোর আদলে নির্মিত সাত মিনিটের কার্টুন ছবিতে। । 


সিদ্ধান্তহীনতা



প্রিয় পুরনো পোস্টগুলো – ৩৯


ধর্মকারীতে পোস্টের সংখ্যা বাইশশো ছাড়িয়ে গেছে। এই সাইটের খোঁজ যেসব পাঠক সম্প্রতি পেয়েছেন বা ভবিষ্যতে পাবেন, তাঁদের পক্ষে আগে প্রকাশিত মজাদার পোস্টগুলো খুঁজে নেয়া ব্যাপক শ্রম- ও সময়সাধ্য ব্যাপার হবে ভেবেই হারানো-দিনের-পোস্ট ধরনের এই সিরিজের অবতারণা। পুরনো পাপীরাও এই সুযোগে স্মৃতিচারণ করে নিতে পারেন 

প্রতি পর্বে আমার বিশেষ প্রিয় পাঁচটি পোস্টের লিংক দেবো সংক্ষিপ্ত বর্ণনাসহ। শুরু করেছি ধর্মকারীর আদিকাল থেকে।


আগের পর্বগুলো দেখতে নিচের "কাসুন্দি" ট্যাগে ক্লিক করুন।

লাস্ট সাপারের অসঙ্গতি


স-ভূমিকা লিংক পাঠিয়েছেন ধর্মের ষাঁড় 

ধর্মীয় উন্মাদনাকে তুলোধনা করে তো কত কিছুই বলা যায়। কিন্তু ধর্মীয় উৎসব পালনের আড়ম্বরের মধ্যেও যে কত অসঙ্গতি, তাও যদি সবাই জানতো! 

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাইট উপাধিপ্রাপ্ত পদার্থবিজ্ঞানী কলিন হামফ্রিজ তাঁর সদ্যপ্রকাশিত "দ্য মিস্ট্রি অফ দ্য লাস্ট সাপার" বইটিতে জ্যোতির্বিদ্যার সাহায্যে প্রমাণ করেছেন যে খ্রীষ্টানরা প্রতি বছর যে দিনটিতে যীশুর 'শেষ সায়মাশ' (Last Supper) উদযাপন করেন, প্রকৃত ঘটনাটি ঘটেছিল তার একদিন আগেই। একই সাথে বাইবেলে বর্ণিত একাধিক গসপেলের আপাত অসঙ্গতিও ধরিয়ে দিয়েছেন তিনি। 


কিন্তু ধর্মপ্রাণ খ্রীষ্টানরা কি আর এতদিনের প্রচলিত সংস্কারকে ভুল বলে মেনে নিতে পারবে?

কমেডি, বিজ্ঞান ও সঙ্গীতের উৎসব - ০৪


কমেডি, বিজ্ঞান ও সঙ্গীতের উৎসব নামের একটি পোস্টে অসাধারণ একটি কনসার্টের ভিডিও পোস্ট করেছিলাম। কনসার্টটিকে বলা হয়েছিল "অবিশ্বাসীদের ক্রিসমাস" সোয়া এক ঘণ্টার সেই ভিডিও দেখা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয়নি নিশ্চয়ই। তো সেই ভিডিও থেকে আমার প্রিয় ছ'টি অংশ কেটে আলাদা করেছি (নিশ্চয়ই আমার এই অবদান আল্লাহপাকের নজর এড়াবে না)।

এক এক করে সব ক'টিই পোস্ট করবো। আজ যাচ্ছে ব্রিটিশ অঙ্কবিদ ও নানাবিধ বৈজ্ঞানিক রচনার লেখক সাইমন সিং-এর অসম্ভব কৌতূহলোদ্দীপক কোড-বিশ্লেষণ! কোনও ঘটনা ঘটে যাবার পরে কিছু উৎসাহী ঐশী কিতাবগুলোয় বা নোস্তারদামুস-এর রচনার ভেতরে খুঁজে পায় সেই ঘটনার "ভবিষ্যদ্বাণী"। খুঁজে পাওয়ার পদ্ধতিটি কেমন, সেটি দেখাচ্ছেন, সাইমন সিং। ভাবতে পারেন, "মবি ডিক" নামের বইয়ে প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু সম্পর্কিত বিশদ ভবিষ্যদ্বাণী কোডেড অবস্থায় আছে! সাড়ে ছয় মিনিটের ভিডিওটি দেখে নেয়া খুবই উচিত হবে। 


ইসলামী ইতরামি: আধা ডজন


১.
এ মাসের মাঝামাঝি ব্রাজিলের এক স্কুলের ১২ জন ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করার পর আত্মহত্যা করে। খবরটি এভাবেই এসেছিল মিডিয়ায়। পরে জানা গেল, সে ছিলো ধর্মান্তরিত মুসলিম, দাড়ি রেখেছিল (সচিত্র সংবাদ এখানে), দিনে চার ঘণ্টা করে কোরান পড়তো, সন্ত্রাস ও আত্মঘাতী হামলা ইসলাম ধর্মে মহিমান্বিত করা হয় বলেই ইসলামকে ঘোর পছন্দ ছিলো তার। দু'টি ভিডিওও পাওয়া গেছে পরে। একটিতে সে বলছে হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য, অন্যটিতে রয়েছে তার মৃত্যুর পর দাফনপ্রক্রিয়া প্রাসঙ্গিক নির্দেশনা। দুটো ভিডিওই পর্তুগীজ ভাষায়, তবে ইউটিউবে ইন্টারঅ্যাকটিভ ট্র্যান্সস্ক্রিপ্ট বাটন ব্যবহার করে ইংরেজি সাবটাইটেল পাওয়া যাবে। 

২. 
ইসলামের সৌন্দর্য উপভোগ করুন। 


না, পুরনো ছবি নয়। এ মাসেই শরিয়া পুলিশ জনসমক্ষে বেত্রাঘাত করেছে ৩৪ বছর বয়স্ক মহিলাকে বেত্রাঘাত করা হচ্ছে পরপুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে। 

৩.
১৪ বছরের কিশোরকে ইসলামী বেহেশতের লোভ দেখিয়ে আত্মঘাতী বোমারু বানিয়েছিল ইসলামী জঙ্গিরা। কিন্তু কিশোর সফলভাবে হামলা চালাতে ব্যর্থ হয়ে গুরুতরভাবে জখম হয়।


৪.
ব্রিটিশ রাজপরিবারে আসন্ন বিয়ে উপলক্ষে মিডিয়া ও লোকজনের মাতামাতি দেখে ঘেন্না ধরে গেছে। এ বিষয়ক কোনও খবর পড়ি/দেখি না। তবে একটা হেডিং দেখে চমকে উঠলাম। ইসলামী ইতরামী আসলেই অনন্ত ও অপরিসীম। স্রেফ ভেবে দেখুন, এই বিয়ের সময় ইসলামীরা হামলা চালানোর চেষ্টা করবে

৫.
নবীজির ছিলো কুকুরবিদ্বেষ (অথবা কুকুরভীতি)। সে কারণেই, বোধ হয়, তিনি এই চমৎকার প্রাণীটিকে "অপরিষ্কার" ঘোষণা করেছিলেন, "যার উপস্থিতিতে ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে না"। সেই পথ থরেই কি ইরানের সংসদ সদস্যরা প্রকাশ্য স্থানে ও বাড়িতে কুকুর নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে?

৬. 
নারীকে সম্মানদানে নিরলস ইসলাম। আমেরিকার মসজিদে ইমাম অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে পুরুষ-নারীর সমতা দেখানোর চেষ্টা করে জানাচ্ছে, কোরানেই বলা আছে, নারীরা নিচুশ্রেণীর প্রাণী, তাই তাদেরকে আঘাত/প্রহার করা যায়। ইচ্ছে এবং ধৈর্য থাকলে ভিডিও দেখতে পারেন।


ইচ্ছেপূরণ



ধার্মিকদের ধর্ম-ধারণা


অধিকাংশ ধর্মবিশ্বাসী ধর্মাচার পালন করে "অন অটোম্যাটিক"। নির্দিষ্ট কোনও ধর্মীয় প্রথা বা আচরণের উৎস,  সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞানও তাদের থাকে না। কিন্তু "ধর্মীয় ঐতিহ্য" বা "চারপাশে সবাই পালন করে" বা "বছরের পর বছর পালিত হয়ে আসছে" - এসবই হয় ধর্মাচারের ভিত্তি। চারপাশের আস্তিকদের নানাবিধ ধর্মীয় উৎসব সম্পর্কে বিশদ প্রশ্ন করে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হোন 

ঈস্টারের আগে রোমানিয়ার গ্রামাঞ্চলে নেয়া কয়েকটি সাক্ষাৎকার ওপরের কথাগুলোর ছোট্ট একটি প্রমাণমাত্র। 



রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১১

খেলছো যারে লইয়া – ০৩



* অনুবাদ ও ফটোমাস্তানি: ধর্মের ষাঁড়কৌস্তুভ

ধর্মযাজকদের নিয়ে নির্ধর্মীয় সঙ্গীত


ক্যাথলিক চার্চের যৌন স্ক্যান্ডাল বিষয়ে বানানো খুবই শক্তিশালী ও শ্রুতিমধুর গান। ভিডিওটিও চমৎকার। গেয়েছেন ব্রিটিশ গায়ক কসমো জার্ভিস। প্রকাশ করেছেন খ্রিষ্টধর্মীয় উৎসব ঈস্টারের ঠিক আগে। 

গানের ভূমিকায় তিনি উল্লেখ করেছেন, ক্যাথলিক ধর্মযাজকদেরকে সম্পূর্ণ যৌনবঞ্চিত রাখার রীতিটি অমানবিক। This is a dumb rule I think, I'm not catholic but a penis does fit in a vagina. I wish that the rules could be changed. 

ভিডিও যদিও ছয় মিনিটের, তবে প্রথম চার মিনিট গান। 


তাঁর আরও একটি দুর্দান্ত গান: Gay Pirates

গাধা-নবীজির কথোপকথন


একদমই বানানো গল্প নয়। রীতিমতো নির্ভরযোগ্য ইসলামী কিতাব থেকে নেয়া। কিতাবটির রচয়িতা ইবন কাথির, যাঁর "তাফসির আল-কুরআন আল-আধিম" ইসলাম জাহানে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য। 

কী কথা গাধার সনে, জানতে হলে প্রভূত আনন্দদায়ী স্লাইড শো দেখে নিন। 



জায়েজ-নাজায়েজ


লিখেছেন আখতারুজ্জামান আজাদ 

: নসিব আমার দরাজ বড়, রহম বুঝি গো ঝরে;
কেবলা হুজুর ধূল ফেলেছেন এই অধমের ঘরে।
কেবলা হুজুর, একটা বিষয় দরকার খুব জানা-
চুরি-করা মুরগি খেতে নেই তো কোনো মানা?

: নাউজুবিল্লাহ্! বলিস কী রে? খোদার নাজাত খোঁজ্,
চুরি-করা মুরগি দিয়ে আমায় দিবি ভোজ!
হারামজাদা-বেকুব-বেদ্বীন, জানিস কী এর ফল?
আর কি কোনো সালুন আছে? জলদি এবার বল্!

- কসুর করুন, কেবলা হুজুর! সালুন নেই আর মোটে;
গরিব আমি, ফকির আমি, রিজিক নাহি জোটে।

: বহুত আচ্ছা,বহুত আচ্ছা! নিলাম নাহয় মেনে,
মুরগিটাকে বধ করেছিস কোত্থেকে তুই এনে?

: পাশের বাড়ির পাটের ক্ষেতে মুরগিটাকে পেয়ে,
খোদার নামে জবাই করে এলাম বাড়ি ধেয়ে।

: ক্ষান্ত হ তুই, ক্ষুধায় আমার জ্বলছে আগুন পেটে;
এই তো দেখি মছলা পেলাম কেতাবখানা ঘেঁটে।
নাদান রে তুই এই ঘটনা বললি না ক্যান্ পাছে?
পাটক্ষেতেরই মুরগি খাওয়া জায়েজ পুরো আছে!

Piss TV এখন বাংলায়


দৈনিক মতিকণ্ঠের সৌজন্যে পাওয়া পোস্টার:


ঘটমান ভয়াবহ বর্তমান


বাংলাদেশের এক পরিবারে ঘটমান ভয়াবহ এক ঘটনার কথা জানাচ্ছেন নিলয় নীল

ভালো মানুষ করে ভালো কাজ, খারাপ মানুষ করে খারাপ কাজ। কিন্তু ভালো মানুষকে দিয়ে খারাপ কাজ করিয়ে নিতে প্রয়োজন হয় ধর্মের। 

Steven Weinberg-এর বলা এই অপ্রিয় কথাটির বাস্তবায়ন আমরা প্রায়ই দেখতে পাই। আজ এর একটি উদাহরণ দেবো। 

একজন পিতা কি তার সন্তানের জীবনে হমকির কারণ হতে পারে? 
একজন ভাই কি তার ভাইয়ের ওপর বর্বর শারীরিক অত্যাচার করতে পারে? 
হ্যাঁ, পারে। পারে অনেকেই। ধর্মের কারণে। 

শাফাউল ইবনে মাসুদ (নিকনেম - ব্রাত্য সাজ) নামের এই ছেলেটির অপরাধ হলো, সে প্রচলিত চিন্তাধারার বাইরে চিন্তা করে। সে প্রশ্ন করে। উত্তর চায়। যখন পায় না, তখন হতাশ হয়। আস্তে আস্তে তার মধ্যে যুক্তিবাদী চিন্তার প্রসার ঘটে। তার পরিবার এটা সহ্য করতে পারছে না। তাকে জোর করে ধর্মবিশ্বাসী বানাতে চায় তার বাবা-মা। 

তারা ছেলেকে বন্দী করে জোর করে বাধ্য করে নামাজ পড়তে, প্রতিদিন কোরান শরীফ পড়তে। কিন্তু ব্রাত্য সাজের ব্যক্তিগত দর্শন হলো: সত্যের জন্য সবকিছু ত্যাগ করা যায়, সবকিছুর জন্য সত্যকে ত্যাগ করা যায় না। 

যখন তাকে কোনোভাবেই ইসলামের পথে আনা গেল না, তখন তার ওপরে নেমে এলো নির্যাতন। আর এই নির্যাতনের আসল নায়ক সাজ-এর খালাতো ভাই। সাজ-এর বাবা-মাকে তিনিই সকল প্রকার ইসলামী বুদ্ধি প্রদান করেন। এখন তাদের সকল প্রচেষ্টা, কীভাবে তাদের ছেলেকে ইসলামের পথে নিয়ে আসা যায়। 

তার বাবার ধারণা, ছেলে নাস্তিকদের নিষিদ্ধ দলের মধ্যে ঢুকে গেছে। এই দলটি ভয়ানক খারাপ। জেএমবি বা আল-কায়েদার চেয়েও। এই দলে ঢোকানোর অন্যতম হোতা - সাজ-এর প্রাইভেট টিউটর রঞ্জন। সব দোষই তার। সে-ই তার ছেলেকে নাস্তিক বানিয়েছে! সাজ-এর আরেকটা অপরাধ আছে। সে একটা নাস্তিক মেয়েকে ভালোবাসে। ওই মেয়ের সঙ্গে রিলেশন চলতে থাকলে তার ছেলে নষ্ট হয়ে যাবে। 

ইসলাম ধর্মমতে, ইসলাম ত্যাগকারীদের হত্যা করা উচিত। একজন প্রকৃত ইসলামপ্রেমিক হত্যাই করে। এখন প্রশ্ন জাগে, সাজ-এর পরিবার তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে হত্যা করবে? একজন মানুষের মৃত্যু হতে পারে দু'ভাবে: ১. শারীরিকভাবে, ২. মানসিকভাবে। সাজ-এর পরিবার সাজকে শারীরিকভাবে হত্যা না করলেও তাকে মানসিকভাবে ঠিকই হত্যা করে চলেছে। এভাবে চলতে থাকলে তার মানসিক মৃত্যু অনিবার্য। মানুষ কি আসলেই স্বাধীন? ধর্ম আর কতোদিন মানুষকে পরাধীন করে রাখবে?

পুনশ্চ. আমার লেখায় হয়তো আবেগের প্রাবল্য আছে, কারণ আমি এটা লিখেছি ঘোরের মধ্যে। আবেগটুকু বাদ দিয়েও পাঠকেরা মূল বক্তব্যটির ভয়াবহতা অনুধাবন করতে পারবেন বলে আশা করি। সাজ আজকে আমার সঙ্গে দেখা করেছে। সে পালিয়ে বের হয়ে এসেছিল বাড়ি থেকে। পরে বাবা-মার সঙ্গে যোগাযোগ করে কিছু শর্তসাপেক্ষে বাসায় ফিরেছে। তার সমস্ত ঘটনা আমি তার নিজের মুখ থেকে শুনেছি। 

আপডেট ১: সাজ-এর বান্ধবী আমাকে ফোন করেছিল। সাজ-এর পরিবার, বিশেষ করে তার খালাতো ভাই, তাকে অমানুষিকভাবে মেরেছে। সাজ বলেছে, তার হাত ভেঙে গেছে। মারের কারণ ছিলো, সে বাসা থেকে পালিয়ে বান্ধবী ও আমাদের সঙ্গে দেখা করেছে। খালাতো ভাইটি সাজ-এর বান্ধবীকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। 

আপডেট ২: আজকে (২৩ এপ্রিল) প্রিন্স প্রিজম নামে সাজ-এর এক বন্ধু সাজ-এর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল তার খালার বাসায়। সেখানেই সে এখন বন্দী হয়ে আছে। প্রিন্স ছিলো একা। সাজ-এর কয়েক খালা, মামা ও খালাতো ভাই তার সঙ্গে প্রথমে খারাপ ব্যবহার করে। তবে প্রিন্স মাথা ঠাণ্ডা রেখে ব্যাপারটা হ্যান্ডল করেছে। সাজ-এর খালার পরিবার বলেছে, বান্ধবীর সঙ্গে সাজের সম্পর্ক তারা প্রথমে মেনে নিয়েছিল, তবে যখন জানতে পারে, মেয়েটি নাস্তিক, তখন তারা এতে ঘোর আপত্তি জানায়। 

এখন সাজকে গৃহবন্দী রাখা হবে। মোবাইল, কম্পিউটার কিছুই দেয়া হবে না। তারা এভাবে তাকে রাখবে এক বছর। তাকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে। এবং তারা আশা করছে, ধীরে ধীরে সাজ-এর মধ্যে ধর্মভাব এসে যাবে (না এলে ওষুধ হিসেবে মার প্রয়োগ করা হবে)। তার পরিবারের ধারণা, এক বছরের মধ্যে তাকে তারা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে। 

এক্ষেত্রে বলে রাখা উচিত, সাজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র। তাই পড়াশোনায় ছেদ পড়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে উত্তর দেয়া হয়, পড়াশোনায় এক বছর বিরতি দিলে কোনো সমস্যা হবে না। নাস্তিকগোষ্ঠী বা তাদের সংগঠনের সঙ্গে সাজ-এর যোগাযোগের সমস্ত ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে তারা এবং এ-ও বলেছে, কোনো বা কয়েকজন নাস্তিক সাজকে শয়তানি বুদ্ধি দিলে বা সাহায্য প্রদান করলে তাকে বা তাদেরকে হত্যা করতে তারা পিছপা হবে না।

তার পরিবারের বক্তব্যের কতোটা সত্য বা কতোটা অতিরঞ্জন, তা নির্ধারণ করার উপায় আছে কি?

গতিময় যুক্তিশব্দমালা


জর্জ কারলিন, খুব সম্ভব, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ানদের একজন। তাঁরই এক ভিডিও থেকে বক্তব্য নিয়ে চলমান টেক্সট বা টেক্সট অ্যানিমেশন (যার টেকনিক্যাল নাম kinetic typography) ব্যবহার করে বানানো এক মিনিটের দারুণ এক ভিডিও। 


ভূতপূর্ব ও ভূতোত্তর যিশু


পুনরুজ্জীবন লাভের পরে যিশু বিলিয়ার্ড খেলতে যেতেন যদি...


অনেকের মনে থাকতে পারে, আমেরিকার খ্রিষ্টানপন্থী টিভি চ্যানেল ফক্স নিউজের সবচেয়ে "রাফ অ্যান্ড টাফ" উপস্থাপক হিসেবে পরিচিত বিল ও'রেইলি ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে গিয়ে পেড়েছিলেন জোয়ার-ভাটার কথা। তাঁর মতে জোয়ার-ভাটা যেহেতু নিখুঁত সময় অনুসারে সংঘটিত হয় এবং তার কোনও ব্যতিক্রম নেই (Tide goes in, tide goes out. Never a miscommunication. You can't explain that.), সেটাই ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ। 

তাঁর এই কথাকে যে কতোভাবে পচানো হয়েছে! পরে কখনও পোস্ট দেয়া যাবে এই বিষয়ে। এখন দেখা যাক, যিশুর পুনরুজ্জীবন লাভের ঘটনা সম্পর্কে বিল ও'রেইলি কী বলতে পারতেন: 


খ্রিষ্টানদের ঘোর বিশ্বাস, যিশু আবার আসবেন এই পৃথিবীতে। তা সত্যি হলে কী করণীয় হবে?


শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১১

ঈস্টার কেন বল্দার্গু


ভুয়া উৎসব কতো প্রকার ও কী কী, তার প্রতিটির নিদর্শন পাওয়া যাবে ধর্মীয় উৎসবগুলোর ভেতরে। এই যেমন, এখন চলছে ঈস্টারের মৌসুম। এর পটভূমিটি এরকম: যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করে মেরে ফেলা হলো, কিন্তু তিনদিনের মাথায় "আবার সে এসেছে ফিরিয়া"। একেবারে জলজ্যান্ত! 

আচ্ছা, সেই সময়ে প্যালেস্টাইন অঞ্চলে মাদকদ্রব্য কি সহজলভ্য ছিলো? কেউ বলতে পারেন? 

প্রিয় হয়ে ওঠা ইউটিউবার CultOfDusty একেবারে তুলোধুনো করে ফেললেন ঈস্টারকে। পাঁচ মিনিটের ভিডিও। 



শ্রম, অর্থব্যয় ও কালেক্ষেপণের বিনামূল্য বিকল্পের নাম প্রার্থনা


দাউ দাউ করে জ্বলছে টেক্সাস। দশ লক্ষ একর জমির বনজঙ্গল ও গাছপালা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। চৌঁত্রিশটি প্রদেশের কয়েক হাজার অগ্নিনির্বাপক কর্মী আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। 

বুঝি না, কেন এই অনর্থক শ্রম, অর্থব্যয়, কালেক্ষেপণ! অগ্নিনির্বাপকেরা অরণ্যে জলবর্ষণ না করে বরং হাঁটু গেঁড়ে ঈশ্বরের কাছে বৃষ্টির প্রার্থনা করলেই পারেন! টেক্সাসের গভর্নরই তা মনে করেন। তাই তিনি ২২ থেকে ২৪ এপ্রিল টেক্সাসে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনার আয়োজন করেছেন।  

জীবনের সর্বক্ষেত্রে এই সহজ পদ্ধতি প্রয়োগ না করে দেশে-দেশে কেন যে ডাক্তার, অগ্নিনির্বাপক, উদ্ধারকারী, পুলিশ ও ইত্যাকার পেশার লোকদের পোষা হয় পয়সা খরচ করে! প্রার্থনা সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সম্পূর্ণভাবে অর্থসাশ্রয়ী। প্রার্থনায় কাজ হয় নিশ্চয়ই! নইলে হাজার-হাজার ভগবানেশ্বরাল্লাহ আছে কী করতে? তাদের কারুর না কারুর সাড়া তো নিশ্চয়ই দেয়ার কথা! 

ওপরের ঘটনা প্রসঙ্গে কেন জানি বাংলাদেশের লেজেহোমো এরশাদের কথা মনে পড়লো। বৃষ্টির জন্য মোনাজাত করে তিনি প্রলয়ঙ্করী ঝড় নামাতে সমর্থ হয়েছিলেন।

হালারা ক্যান যে বুঝে না... 


আল্লাহভক্ত নিরলস ট্রোল


নিচের মুখটিকে ইন্টারনেটের অনেক জায়গায় ট্রোল নামে ব্যবহৃত হতে দেখেছি।


এই মুখসম্বলিত একটা কার্টুন পেলাম নেটে।


অপরাধ শুধু কবিতা লেখা!


স-ভূমিকা লিংক পাঠিয়েছেন গুমর ফাঁক

ইসলামী নীতি অনুসারে এখন ধর্ষকদের বিচার করা কি সম্ভব হবে? ৪টা পুরুষ-সাক্ষী কেমনে জোগাড় হবে? তার চেয়ে বড় কথা - এই মৃত মেয়েটি কি ভাবে এখন সাক্ষী জোগাড় করবে? 


কবিতা লেখার অপরাধে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীদের ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে জীবন দিতে হলো আয়াত আল-গেরমেজি (২০) নামে বাহরাইনের এক মহিলা কবিকে। আজ বৃহস্পতিবার তেহরান টাইমস ডট কমে প্রকাশিত এক খবরে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, আয়াত কিছুদিন আগে বাহরাইনের প্রধানমন্ত্রী খলিফা ইবনে সালমান আল খলিফার নিন্দা করে কবিতা লেখেন। এ জন্য আয়াতকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতেই ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে আজ আয়াতের মৃত্যু হয়।

তেহরান টাইমস ডট কমের খবরে আরও জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীকে নিন্দা করে কবিতা লেখার অপরাধে প্রথমে হুমকি দিয়ে আয়াত আল-গেরমেজিকে একটি চিঠি ও ই-মেইল পাঠানো হয়েছিল। আয়াত এ বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ তাচ্ছিল্য করে বিষয়টি আমলে নেয়নি। পরে আয়াতের খোঁজে তাঁর বাড়িতে কয়েক দফা তল্লাশি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। এর কিছুদিন পরই আয়াতকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু আয়াত আল-গেরমেজির পরিবার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে জানতে চাইলে তারা এ বিষয়ে কিছু জানে না বলে জানিয়েছিল।

কয়েক দিন আগে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি আয়াতের পরিবারকে ফোনে জানায়, আয়াত সেনা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

সেনা হাসপাতালের চিকিত্সক আয়াতের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, বেশ কয়েক দিন ধরে গণধর্ষণের শিকার হয়ে আয়াত আল-গেরমেজির অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।

কোরানের করুণ ধরা খাওয়া


কোরান না পড়ে, বা পড়লেও সঠিকভাবে না বুঝে, বা সঠিকভাবে বুঝলেও চক্ষুলজ্জার খাতিরে সত্য বেমালুম চেপে গিয়ে ইসলামীরা অনাবশ্যক জোরগলায় প্রায়ই কিছু দাবি করে থাকে। যেমন, কোরানে কোনও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য নেই, কোরানে উল্লেখিত কোনও তথ্যই বিজ্ঞানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়, কোরানের মতো গ্রন্থ রচনা তো দূরের কথা - এর কয়েকটি আয়াতের মতো আয়াত রচনাও মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়... এবং ইত্যাকার আগডুম-বাগডুম। 

এক মোমিন মুসলমান কোরান-মমতামণ্ডিত ভিডিওতে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিল এই মর্মে। একজন সেটির উত্তর দিয়েছে গানে-গানে। একেবারে কোরানের আয়াত উল্লেখপূর্বক। খুবই আনন্দদায়ী হয়েছে বলে ভিডিওটি অবশ্যদ্রষ্টব্য।

সুর নেয়া হয়েছে The Sound Of Music ছবির My Favourite Things নামের গান থেকে।


ইন্টারনেটে প্রচলিত একটি শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে ভিডিওর শেষে: PWN
শব্দটির অর্থ, উৎপত্তি ও ব্যবহার: 
PWN
(verb)
1. An act of dominating an opponent. 
2. Great, ingenious; applied to methods and objects. 
Originally dates back to the days of WarCraft, when a map designer mispelled "Own" as "Pwn". What was originally supose to be "player has been owned." was "player has been pwned". 
Pwn eventually grew from there and is now used throughout the online world, especially in online games.
1. "I pwn these guys on battlenet" 
2. "This strategy pwns!" or "This game pwn." 
The past tense and past participle is pwned, may also be spelled pwnd (sometimes with an apostrophe before the d), pwnt, or powned.