আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১১

নারী-খতনা: একটি বর্বরোচিত ধর্মীয় প্রথা


লিখেছেন সুমিত 

মুসলিম দুনিয়ার বহু দেশেই নারী খতনা নামের এক বীভৎস, বর্বরোচিত ধর্মীয় প্রথা প্রচলিত রয়েছে। এই প্রথা মনুষ্যসমাজের কলঙ্ক বই কিছুই নয়। এই প্রথা পুরুষকে মানুষ থেকে শয়তানে পরিণত করেছে। আর নারীকে পরিণত করেছে পশুতর জীবে। 

এই প্রথা আজও প্রচলিত আছে ঘানা, গিনি, সোমালিয়া, কেনিয়া, তাঞ্জানিয়া, নাইজেরিয়া, মিশর, সুদান সহ উপসাগরীয় বিভিন্ন দেশে। এই সব দেশে নারীদের যৌন কামনাকে অবদমিত করে যৌন-আবেগহীন যৌন-যন্ত্র করে রাখতে পুরুষশাসিত সমাজ বালিকাদের ভগাঙ্কুর ( clitorich) কেটে ফেলে। যোনির প্রবেশ মুখে পাপড়ির মত বিকশিত ভগাঙ্কুর নারীর যৌন-আবেগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। 

নারীদের খতনা করা হয় ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার আগে অর্থাৎ সাধারণত সাত-আট বছর বয়সে। খৎনা যারা করে, তাদের বলা হয় হাজামী। দু'জন নারী শক্ত করে টেনে ধরে বালিকার দুই উরু। দু'জন নারী চেপে ধরে বালিকার দুই হাত। হাজামী ছুরি দিয়ে কেটে ফেলে ভগাঙ্কুর। এই সময় উপস্থিত নারীরা সুর করে গাইতে থাকেন, ''আল্লাহ মহান, মুহম্মাদ তার নবী; আল্লাহ আমাদের দূরে রাখুক সমস্ত পাপ থেকে।" 

পুরুষশাসিত সমাজ ওই সব অঞ্চলের মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষের রন্ধ্রে রন্ধ্রেই বিশ্বাসের বীজ রোপন করেছে: কাম - নারীদের পাপ, পুরুষদের পূণ্য । খতনার পর যোনিমুখ সেলাই করে দেওয়া হয় ঋতুস্রাবের জন্য সামান্য ফাঁক রেখে। খোলা থাকে মূত্রমুখ। খৎনার পর চল্লিশ দিন পর্যন্ত বালিকার দুই উরুকে একত্রিত করে বেঁধে রাখা হয়, যাতে যোনিমুখ ভাল মত জুরে যেতে পারে । 

বিয়ের পর সেলাই কেটে যোনিমুখ ফাঁক করা হয়, স্বামীর কামকে তৃপ্ত করার জন্য। আবারো বলি, স্বামীর কামকে তৃপ্ত করার জন্যই; কারণ নারীর কাম তো ওরা পাপ বলে চিহ্নিত করে নারীকে করতে চেয়েছে কামগন্ধহীন যৌন-যন্ত্র। সন্তান প্রসবের সময় সেলাই আরো কাটা হয় । প্রসব শেষেই আবার সেলাই। তালাক পেলে বা বিধবা হলে আবার নতুন করে আবার নতুন করে সেলাই পড়ে ঋতুস্রাবের জন্য সামান্য ফাঁক রেখে। আবার বিয়ে, আবার কেটে ফাঁক করা হয় যোনি। 

জন্তুর চেয়েও অবহেলা ও লাঞ্ছনা মানুষকে যে বিধান দেয়, সে বিধান কখনই মানুষের বিধান হতে পারে না। এ তো শুধু নারীর অপমান নয়, এ মনুষ্যত্বের অবমাননা ।

(তথ্যসূত্র : আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না । লেখক : প্রবীর ঘোষ ।) 

পূর্বে প্রকাশিত প্রসঙ্গিক পোস্ট: নারীদের খতনা দেয়ার প্রথা। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন