ঠিক যেন হিন্দি ছবির কাহিনী: এক ভাই দস্যু, আরেক ভাই নীতিবান পুলিশ অফিসার।
ইসলামী জঙ্গি সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা হাসান আল-বান্না'র কনিষ্ঠতম ভাই জামাল আল-বান্না উদারচিত্ত মুসলিম। বিশ্বাসী হলেও তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি অনেকখানিই স্বচ্ছ ও যুক্তিপূর্ন। নব্বই বছর বয়সেও তিনি যথেষ্ট দৃঢ়চেতা। বইয়ে ঠাসা তাঁর ফ্ল্যাটটি গ্রন্থাগারের মতো। ইসলামের ওপরে অনেক বই লিখেছেন তিনি।
ইয়োরোপে হিজাব-বিতর্ক সম্পর্কে তিনি বলছেন: "এটা প্রমাণ করে, মুসলিমরা কতোটা ভ্রান্ত হতে পারে। হিজাব-ননসেন্সে মনোযোগ না দিয়ে কোনও গবেষণাকর্ম চালাতো যদি তারা, ইয়োরোপের সমাজ তাদেরকে শ্রদ্ধা করতো। ... ইয়োরোপের মুসলিমরা এখন হিজাব ব্যবহার করে স্রেফ দেখাতে চায় - আমরা আলাদা। ...তারা স্টুপিড! তারা যখন বিশেষ কোনও দেশে বাস করে, তাদের উচিত সেই দেশের রীতিনীতি ও ঐতিহ্য মেনে চলা। ...মুসলিম মননে মরচে ধরে গেছে। গত এক হাজার বছরে তারা কিছুই করেনি। এক হাজার বছর আগে তাদের সমাপ্তি ঘটেছে আবিস্কারস্পৃহার। এর অর্থ কী? এর অর্থ হলো, তারা কোনও কিছু না ভেবেই কাজ করে। মুসলিমরা হয়ে গেছে বানরের মতো, অন্যদের অনুকরণ করে শুধু। এই অবস্থা চলে আসছে গত এক হাজার বছর ধরে।"
ইসলামে সংস্কার (reform) বলে কিছু আছে কি? চোদ্দশো বছরের পুরনো অন্ধকার পেছনে ফেলে ইসলাম কি এগোতে চায়? চায় কি সার্বিক গ্রহণযোগ্যতা না হলেও ইসলামের ঘোর কলুষিত ভাবমূর্তিতে কয়েকটি উজ্জ্বল আঁচড় ফেলতে? পরম দুঃখের কথা এই যে, অবস্থাদৃষ্টে তা মনে হয় না।
মিনিট তিনেকের ভিডিও দেখুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন