লিখেছেন আখতারুজ্জামান আজাদ
: নসিব আমার দরাজ বড়, রহম বুঝি গো ঝরে;
কেবলা হুজুর ধূল ফেলেছেন এই অধমের ঘরে।
কেবলা হুজুর, একটা বিষয় দরকার খুব জানা-
চুরি-করা মুরগি খেতে নেই তো কোনো মানা?
: নাউজুবিল্লাহ্! বলিস কী রে? খোদার নাজাত খোঁজ্,
চুরি-করা মুরগি দিয়ে আমায় দিবি ভোজ!
হারামজাদা-বেকুব-বেদ্বীন, জানিস কী এর ফল?
আর কি কোনো সালুন আছে? জলদি এবার বল্!
- কসুর করুন, কেবলা হুজুর! সালুন নেই আর মোটে;
গরিব আমি, ফকির আমি, রিজিক নাহি জোটে।
: বহুত আচ্ছা,বহুত আচ্ছা! নিলাম নাহয় মেনে,
মুরগিটাকে বধ করেছিস কোত্থেকে তুই এনে?
: পাশের বাড়ির পাটের ক্ষেতে মুরগিটাকে পেয়ে,
খোদার নামে জবাই করে এলাম বাড়ি ধেয়ে।
: ক্ষান্ত হ তুই, ক্ষুধায় আমার জ্বলছে আগুন পেটে;
এই তো দেখি মছলা পেলাম কেতাবখানা ঘেঁটে।
নাদান রে তুই এই ঘটনা বললি না ক্যান্ পাছে?
পাটক্ষেতেরই মুরগি খাওয়া জায়েজ পুরো আছে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন