মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০১১

মিনার-বিধ্বংসী গেম


আরও একটি পলিটিক্যালি ইনকারেক্ট ভিডিও।

ইয়োরোপ জুড়ে যত্রতত্র মুসলিমদের মসজিদ নির্মাণোদ্যাগের শিকার অস্ট্রিয়াও। এর প্রতিবাদেই সে দেশের এক রাজনৈতিক দল একটি অনলাইন গেম চালু করেছিল। গেমটি ছিলো এমন: পর্দাজুড়ে মসজিদের মিনার মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠতে শুরু করে একের পর এক, সেগুলোকে ধ্বংস করাই লক্ষ্য। যথাসময়ে তা করতে ব্যর্থ হলে মসজিদটি পোক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে যায়, এর পর এক ইমাম বের হয়ে এসে আজান দিতে শুরু করে।

চালু হবার কয়েকদিনের মধ্যেই সাইটটি ব্লক করে দেয়া হয়েছিল মুসলিম ধর্মানুনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে আশঙ্কা করে। সেই গেমটির এক মিনিট দীর্ঘ ভিডিও-ভার্শন দেখুন।

ইউটিউব তা সরিয়ে ফেলতে পারে আশঙ্কায় ডাউনলোড করে রেখে দিয়েছি। দেখা না গেলে আওয়াজ দিন। 


অলৌকিক বলে কিছু নেই


বানিয়ে পাঠিয়েছেন মনির হাসান

পূর্ণাকারে দেখতে ছবির ওপরে ক্লিক করুন।


প্রিয় পুরনো পোস্টগুলো – ৪৭


ধর্মকারীতে পোস্টের সংখ্যা চব্বিশশো ছাড়িয়ে গেছে। এই সাইটের খোঁজ যেসব পাঠক সম্প্রতি পেয়েছেন বা ভবিষ্যতে পাবেন, তাঁদের পক্ষে আগে প্রকাশিত মজাদার পোস্টগুলো খুঁজে নেয়া ব্যাপক শ্রম- ও সময়সাধ্য ব্যাপার হবে ভেবেই হারানো-দিনের-পোস্ট ধরনের এই সিরিজের অবতারণা। পুরনো পাপীরাও এই সুযোগে স্মৃতিচারণ করে নিতে পারেন 

প্রতি পর্বে আমার বিশেষ প্রিয় পাঁচটি পোস্টের লিংক দেবো সংক্ষিপ্ত বর্ণনাসহ। শুরু করেছি ধর্মকারীর আদিকাল থেকে।

৩. প্রিস্ট অফ! (ভিডিও) 
৪. অবগুণ্ঠনের অন্তরালে (ডকুমেন্টারি) 

আগের পর্বগুলো দেখতে নিচের "কাসুন্দি" ট্যাগে ক্লিক করুন। 

করোটিকল্প – ১৫


চিন্তিত তাপস পাল-এর উদ্ভাবিত দুই মাথার খুলির কার্টুন অনেককেই অনুপ্রণিত করেছে একই থিম ব্যবহার করে আরও কার্টুন বানাতে। বেশ কয়েকটি কার্টুন পাওয়া গেছে এরই মধ্যে। পাল সাহেবের পরিকল্পনা অনুযায়ী, খুলি-কার্টুনের একটি সিরিজ দাঁড় করানো হবে। 

উৎসাহী সকলকে কার্টুনের আইডিয়া পাঠাতে আহ্বান জানানো যাচ্ছে (dhormockery অ্যাট gmail.com)।

মনোনীত আইডিয়াগুলো দিয়ে ধর্মকারীর ফটোমাস্তানেরা কার্টুন বানাবেন এবং আইডিয়াদাতাদের নামসহ সেসব প্রকাশিত হবে। 

কল্পনা হোক লাগামছাড়া। খুলি দুটো হতে পারে মৃত যে কোনও দুই ব্যক্তির। এমনকি একেবারেই বেমানান বা অসম্ভব দু'জনেরও। স্রেফ কয়েকটি উদাহরণ: আইনস্টাইন ও আদম, যিশু ও ব্রুস লি, নবীজি ও মেরিলিন মনরো, মুসা ও পিসি সরকার, আয়েশা ও হাওয়া...। সোজা কথা, দু'জনের কম্বিনেশন যতো উদ্ভট হবে, কার্টুন মজাদার হবার সম্ভাবনা ততো বেড়ে যাবে। শর্ত মাত্র দুটি: সংলাপগুলো হতে হবে বুদ্ধিদীপ্ত ও হাস্যেদ্রেককারী এবং কোনও না কোনওভাবে ধর্মপোন্দনীয়। 

আজকের কার্টুন বানিয়ে পাঠিয়েছেন আসামী মজানন্দ পরমঘুঘু


সৌদি ধর্মীয় পুলিশের চোখে এই পৃথিবী


সৌদি বারবারিয়া বা চৌদি আজবের ধর্মীয় পুলিশদের নিয়ে বানানো একাধারে ব্যঙ্গাত্মক ও পরম পীড়াদায়ী ভিডিও। সন্ধান দিয়েছেন ধর্মালোকিত(!)


ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণে পায়ুপথের ভূমিকা


স-ভূমিকা ছবির সন্ধান দিয়েছেন শয়তানের চ্যালা

ঈশ্বরের অস্তিত্বের আরেকটি জলজ্যান্ত প্রমাণ।

মনটানার আকাশে ধড়ের মধ্যে ঈশ্বর তার পায়ুপথ প্রদর্শন করেছে। অনেক বেকুব নাস্তিক তা দেখে সাথে সাথে আস্তিক হয়ে যায়। পায়ুপথের যাদুতে তাদের অন্তরের সিল মোহর ভেংগে যায়।

পূর্ণাকারে দেখতে ছবির ওপরে ক্লিক করুন।


বিগ ব্যাং নিয়ে হুলস্থুলু: আল্লাহর সাথে বিজ্ঞানী ও নাস্তিকদের কথোপকথন


অতীব বুদ্ধিদীপ্ত এক আইডিয়ার জোগান দিয়েছিলেন প্রলাপ এবং সেটি বাস্তবায়নে টপ-ফটোমাস্তানি করেছেন তানভীর চৌধুরী পিয়েল 


দারিদ্র্য নয়, ধর্মবিশ্বাসই জঙ্গিবাদের প্রধানতম কারণ


জঙ্গিবাদের প্রধান কারণ দারিদ্র্য - বলতে শোনা যায় অনেককেই। প্রধানতম কারণ যে ধর্মবিশ্বাস, তা তারা কিন্তু এড়িয়ে যান সচেতনভাবেই। তবে হ্যাঁ, দারিদ্র্য ছোট একটি কারণ হতে পারে, তবে প্রধান কারণ থেকে তা যোজন আলোকবর্ষ দূরে। 

প্রত্যক্ষ গবেষণালব্ধ ফলাফল সম্পর্কে জানুন সিএনএন-এর পাঁচ মিনিটের রিপোর্টে।



সোমবার, ৩০ মে, ২০১১

হ্রস্বরসবাক্যবাণ – ১০


১.
VAT 69 - ভ্যাটিকানের ধর্মযাজকদের প্রিয় যৌন-আসন। 

২.
ইন্টারপোলের যৌনঅপরাধীর তালিকায় জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ আছেন ওপরের দিকে, অথচ শিশুধর্ষক ধর্মযাজকদের নাম সেখানে নেই। (সংগৃহীত) 

৩. 
ইসলামে ধর্ষকের সঙ্গে ধর্ষিতার বিয়ে দেয়ার রীতি থাকলে ধর্ষকের সঙ্গে ধর্ষিতর বিয়ে সম্ভব নয় কেন? 

রূপকথার রকমফের


চিন্তিত তাপস পাল-এর আরও একটি কুকীর্তি!

পূর্ণাকারে না দেখলে অনেখানি মজা মিস! আর তাই ছবির ওপরে ক্লিক করুন।


বাল্যবিবাহ ও ধর্ষণ: নবীজির সুন্নত


লিখেছেন রেখেছো নারী করে মানুষ করোনি

একটি কৌতুক পড়েছিলাম, যেখানে প্রশ্ন করা হয়: 
- বলুন তো, ঈশ্বর কখন বেশি অখুশি হয়? 
- যখন কোনো ধর্ষিতার মা আকাশের দিকে চেয়ে ঈশ্বরের উদ্দেশে আর্তনাদ করে বলে, হায় ঈশ্বর! এ তুমি কী করলে! 

কৌতুকটি আমায় ভাবালো। কারণ ঈশ্বরের তো বরং খুশি হওয়ার কথা। কেননা তার উম্মতেরা (পুরুষেরা) তার মনোনীত পথেই তো চলছে। শস্যক্ষেত্রের ওপর যেমন খুশি তেমন তাদের শস্য ফলাচ্ছে। শিশ্ন দ্বারা ধর্ষণ করে চলছে। 

পৃথিবীর অনেক প্রান্তেই ধর্ষণ বর্তমানে ডাল-ভাত। আর এই ধর্ষণকে বৈধতা দেয়ার একমাত্র চাবিকাঠি বিয়ে।ইসলামি শরিয়তী বিধি অনুযায়ী - স্বামী কর্তৃক স্ত্রী ধর্ষণ-কর্ষণ-মর্দন যা-ই করুক না কেন, সবই বৈধ। 

নারী মাংসের ভেতর সবচেয়ে সুস্বাদু হয়ত কচি মেয়ের মাংস। আর তাই বাল্য বিবাহ ইসলামী দেশ ছাড়াও আরো অনেকে দেশেই সগৌরবে বিজয় পতাকা উড়িয়ে চলছে। 

এক্ষেত্রে ইসলাম যদিও এককাঠি সরেস। যেখানে মুহম্মদ নিজেই আয়েশাকে ৬ বছর বয়সে বিয়ে করেছেন সেখানে বাল্যবিবাহ তো রীতিমতো সুন্নত! 

চলুন, আজ এক নুজুদ আলীর গল্প শুনা যাক: 

“I’m a simple village girl whose family had to move to the capital, and I have always obeyed the orders of my father and brothers. Since forever, I have learned to say yes to everything. Today I have decided to say no.” – Nujood Ali

“I’m shaking–if they see me, they might arrest me. A little girl running away from home, that just isn’t done. Trembling, I discreetly latch on to the first passing veil, hoping to get the attention of the unknown women it conceals. A tiny voice inside me whispers, Go on, Nujood! It’s true you’re only a girl, but you’re also a woman, and a real one, even though you’re still having trouble accepting that..” – Nujood Ali

নুজুদ আলী ও আইনজীবী শাদা নাসের 

ইয়েমেন প্রদেশের ১০ বছরের এক বালিকা নুজুদ আলী। যার বাবা তাকে প্রায় তিন গুন বেশি বয়স্ক পুরুষের সাথে বিয়ে দেন। প্রথম রাতেই নুজুদ ধর্ষিত হয় তার স্বামী দ্বারা। এরপরেই নুজুদ পালিয়ে আসে বাপের বাড়ি। নিজের বাবা ও মা সাহসের অভাবে তার পাশে না দাড়ালেও তার বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী তাকে যাতায়াত ভাড়া ও ঠিকানা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। 

সানা’র আদালতে ঘরতে ঘুরতে নুজুদ যখন বিচারকের সামনে দাঁড়ায়, বিচারক তখন অবাক চোখে তাকে প্রশ্ন করে সে কি চায়। জবাবে নুজুদ দৃঢ়কন্ঠে বলে, সে তালাক চায়। এরপর আইনজীবী শাদা নাসেরের সহযোগিতায় নুজুদ ছাড়া পায় এই জঘন্য বিয়ে নামক ফাসির কাষ্ঠ থেকে। আজ নুজুদ পড়াশুনা করেছে। যাত্রা শুরু করেছে নতুন একটি জীবনের পথে। যেই স্বপ্নের পথ সে নিজ হাতে তৈরি করে নিয়েছে। 

বেঁচে থাকার স্বাদ নিয়ে নুজুদ এক নতুন জীবনে ওড়ার পথে 

এ এক ছোট পাখির অসীম সাহসের পাখায় ভর করে আকাশে ওড়ার কাহিনী। এইরকম লক্ষ নুজুদ গড়ে উঠতে পারে। লক্ষ প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর জেগে উঠতে পারে। মেয়ে, তুমি তোমার উত্তরী উড়িয়ে রাখো ধর্ম নামক সকল অধর্মের বিরুদ্ধে। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইল।

* সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত সিনথিয়া গোরনীর To Young to Wed: The Secret World of Child Bride

বিন লাদেনের ভ্রাতুষ্পুত্রী ওয়াফা বিন লাদেন


ছয় বছর আগের ঘটনা। মিডিয়ার প্রকাশ পেতে শুরু করলো ওসামা বিন লাদেনের আপন ভাইয়ের মেয়ে ওয়াফা বিন লাদেনের এমন কিছু ছবি, যা স্পষ্টতই ইসলামী রীতিসম্মত নয়। 

সব ছবিই পুরনো। তবু রেকর্ড হিসেবে রাখা যায়। ইসলামের অবিসংবাদী যোদ্ধা বিন লাদেন কেন তার নিজের আত্মীয়কুলে ইসলামী আইন প্রয়োগে উৎসাহী ছিলো না, তা আর জানা যাবে না। 

সর্বমোট এগারোটি বেশরিয়তী ছবি। 












নির্ধর্মীয় সঙ্গীত: ইন দ্য নেইম অভ গড


বব মার্লের পুত্র জিগি মার্লের গাওয়া চমৎকার একটি গান। অবাক কাণ্ড, "রেগেই" (reggae) নয়। গান থেকে একটি উদ্ধৃতি:
all religion should be wiped out
so that people may just live..




রবিবার, ২৯ মে, ২০১১

ইসলাম সাম্যের ধর্ম নয়


না, কথাটা ধর্মপচারকের মস্তিষ্ককল্পিত নয়। কথাটি প্রবীণ সৌদি ইসলামবিদ আবদুল রাহমান আল-বারাক-এর। তিনি স্পষ্টই জানাচ্ছেন, মুসলিম ও ভিন্নমতাবলম্বীদের মধ্যে সাম্য তো সম্ভবই নয় ইসলামে, সম্ভব নয় নারী-পুরুষের সাম্যও। অতএব মোমিন মুসলমান ভাইয়েরা, ইসলাম সাম্যের ধর্ম নয়। খিয়াল কৈরা! 

জীবনবৃক্ষ


কোনও ছু-মন্তরের মাধ্যমে জন্ম হয়নি এই পৃথিবীর, প্রাণের। লক্ষ-কোটিবার "কুন' বললেও কিছু ঘটা সম্ভব নয়। ধর্মগ্রন্থগুলোয় পৃথিবীর বয়স উল্লেখ করা আছে পাঁচ থেকে দশ হাজার বছর। ঐশী কিতাবগুলোর অজস্র বক্তব্য হাস্যকর ও ভ্রান্ত প্রমাণ করে ধর্মকে খেলো প্রমাণ করে চলেছে বিজ্ঞান। তবু বিজ্ঞানের যুগে বাস করে, বিজ্ঞানের সমস্ত উপকারিতা ভোগ করেও বিজ্ঞানে অনাস্থা প্রকাশ করতে পারে শুধু নির্বোধেরাই।  

পূর্ণাকারে দেখতে ছবির ওপরে ক্লিক করুন।


* সৌজন্য: Mike Cowie (ধর্মকারীর শুভাকাঙ্ক্ষী)

ধর্ম চিরকালই প্রগতির অন্তরায়


কোথায় যেন পড়েছিলাম: পৃথিবীর ইতিহাসে ধর্ম বলে কিছু না থাকলে কলম্বাস চাঁদে যেতেন। ধর্মের কারণে কীভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে পৃথিবীর উন্নতি, সভ্যতার অগ্রগতি, সেটাই বুঝিয়েছে এই প্রতীকী বাক্য।

ধর্ম নামের প্রগতিবিদ্বেষী, মানবতাবিরোধী ধারণা ধোলাই করলেন খুব প্রিয় হয়ে ওঠা ইউটিউবার CultOfDusty. তিন মিনিটের ভিডিওতে তিনি সেই পরিচিত রূপে: খ্যাপা, দ্রুতবাচনিক ও যুক্তিনিষ্ঠ। 


ইসলামী ইতরামি: আরও আধা ডজন


১.
চার মুসলিম বীর এক শিক্ষককে মেরে তাঁর চোয়াল ও মাথার খুলি ভেঙে দিয়েছে। ক্ষণস্থায়ী এ দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিবিলোপ রোগে ভুগছেন তিনি। 

চার মুসলিম বীরের নূরানী খোমা-মোবারক

তাঁর "অপরাধ", তিনি মুসলিম অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনে মেয়েদের সেন্ট্রাল ফাউন্ডেশন স্কুলের রেলিজিয়াস স্টাডিজ বিভাগের প্রধান এবং তিনি, এক বীরের ভাষ্যমতে, "ইসলামকে উপহাস করেছেন এবং তাদের (ছাত্রীদের) মাথায় সংশয় ঢুকিয়ে দিচ্ছিলেন"।  

২. 
প্রচলিত আমেরিকার জীবনধারা অনুসরণ করতে চেয়েছিল মেয়েটি। কিন্তু পশ্চিমা রীতিনীতি তো বেশরীয়তী! আর তাই ইসলামের আদর্শে অনুপ্রাণিত তার সৎপিতা হত্যা করলো তাকে। বলেন, সুবহানাল্লাহ। 

৩.
চৌদি আজবের মেয়েরা গাড়ি চালানোর অনুমতির দাবি তুলেছে। কিন্তু মুসলিম পুরুষেরা তাদের কর্তৃত্ব হারাতে চাইবে কেন! তারা পাল্টা প্রস্তুতি নিচ্ছে: মেয়ে-ড্রাইভারদেরকে পেটাবে তারা। মেয়েরা মানুষ নাকি! তারা কেন গাড়ি চালাবে! কিন্তু সমস্যা হলো, বউ পেটানোর অনুমতি কোরানেই স্পষ্টভাবে দেয়া থাকলেও মেয়ে-ড্রাইভার পেটানোর অনুমতি তো কোথাও নেই। তবে আশা করা যায়, অচিরেই দু'-একখানা ফতোয়া নাজিল হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ! 

৪. 
মেয়েরা কেন পড়াশোনা শিখবে! কী প্রয়োজন সেটার! ইসলাম এমনিতেই শিক্ষাবিমুখ। তিমিরবাসী মানুষদের নিয়ন্ত্রণ করা সহজ বলেই এই শিক্ষাবিদ্বেষ। মেয়েদের ক্ষেত্রে তা আরও বেশি প্রযোজ্য। মেয়েদেরকে পড়ানো বন্ধ করার দাবি গ্রাহ্য না করায় আফগানিস্তানে তালিবানদের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধানকে

৫. 
বিন লাদেনের মৃত্যুতে তীব্র শোকাচ্ছন্ন হয়েছে ফাকিস্তানের শতকরা ৫১ জন। 


৬. 
"আমরা যে-দেশেই থাকি বা যাই না কেন, সেখানেই মসজিদ নির্মাণ করবো যতো খুশি। বাধা এলে বলবো, ইসলামোফোবিয়া, সংখ্যালঘুদের প্রতি অবিচার ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে আমাদের দেশে সংখ্যালঘু অন্য ধর্মাবলম্বীরা তাদের উপাসনালয় বানাতে চাইলে, ধর্মচর্চা চালাতে চাইলে তা প্রতিহত করা হবে আল্লাহর ওয়াস্তে।" ইসলামীদের দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক এরকমই। অগণ্য উদাহরণের একটি। 

শস্যক্ষেত্র ও ইসলামী লাঙল


নরওয়ের ওসলোতে গত পাঁচ বছরে যতো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, তার প্রতেকটিতেই ধর্ষক অ-পশ্চিমী। পলিটিক্যালি কারেক্ট থাকার প্রয়োজনীয়তায় জাতি-ধর্ম নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা না হলেও সহজ হিসেবে অনুমান করে নেয়া যায়, এদের সিংহভাগ মুসলিম। ভিডিওতে এক ধর্ষিতা কোনও ধর্মের নাম উল্লেখ না করে বলছেন: 
... “He said, that he had the right to do exactly as he wanted to a woman.”
... “Because that is how it was in his religion.”
... “Women did not have rights or opinions, he was in charge.”

বোঝা গেল? দু'মিনিটের ভিডিও দেখুন।


আলোর পথযাত্রী


ধর্মান্ধকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এগিয়ে আসছে আলোকিত তরুণেরা। গত মাসেই প্রকাশিত একটি পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছিল এক আমেরিকান তরুণীর কথা, যে তার স্কুলের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছিল খোদাই-করা প্রার্থনাবাণীর স্থান স্কুলে নয় দাবি করে। 

আজ জানলাম, সৃষ্টিতত্ত্ববাদের (creationism - ধর্মবিশ্বাসকে বিজ্ঞানের মোড়কে উপস্থানের করুণ চেষ্টা) মতো ভুয়া, বিজ্ঞানসংশ্লেষহীন বিষয় স্কুল সিলেবাসে অন্তর্ভুক্তির বিরুদ্ধে করা মামলায় জয়ী হয়েছে এক আমেরিকান তরুণ। 

পাঁচ মিনিটের ভিডিও। 


বোরখা-নৃত্য? নাকি নিনজা-প্রশিক্ষণ?


ফেসবুক থেকে সংগ্রহ করে পাঠিয়েছেন ফাহাদ জ্যাকসন


শনিবার, ২৮ মে, ২০১১

শিশুদের যারা সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে


"ষোলো বছরের বালকে আমার চলবে না। আমার চাই কম বয়সী। চোদ্দ বছরের। অভাবগ্রস্ত বালকদের খুঁজে বের করো, যাদের পারিবারিক সমস্যা আছে।" - কোনও বালকের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপনের ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য মোবাইল ফোনে মরক্কীয় ড্রাগ ডিলারকে এই কথাগুলো বলেছিল... কইঞ্চেন দেহি, কেডা?

কইতারলেন না? তাহলে শুনুন। শিশুকামী ক্যাথলিক ধর্মযাজকদের অগণ্য স্ক্যান্ডালে জর্জরিত ভ্যাটিকান প্রবল অনিচ্ছা সত্ত্বেও লোক দেখানোর জন্য হলেও কিছু উদ্যোগ নিয়েছিল। সংস্কার সাধনের ভান করার লক্ষ্যে গঠন করা হয়েছিল কিছু কমিটি। শিশুকামী ধর্মযাজক সম্পর্কীয় কমিটিতে খোদ পোপের উপদেষ্টা ছিলো ভ্যাটিকানের অত্যন্ত প্রভাবশালী কার্ডিনাল রিকার্দো সেপ্পিয়া। ওপরের কথাগুলো তারই বলা। 


অর্থাৎ শিশুকামী প্রতিরোধ কমিটিতেই শিশুকামী! হয়তো উপায়ও ছিলো না। কারণ ভ্যাটিকানে অ-শিশুকামী যাজক খুঁজে বের করা দুঃসাধ্য বলেই মনে হয়।

সেপ্পিয়া তার আরেক বন্ধুকে (সে-ও বর্তমানে তদন্তভুক্ত) আগে একবার বলেছিল, বালকদের প্ররোচিত করার সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান শহরের শপিং মলগুলো। তারা দু'জন টেলিফোনে কথা বলার সময় ঈশ্বরকে গালিগালাজও করেছে। 

টাইম পত্রিকায় বিশদ রিপোর্ট পড়ুন। 

করোটিকল্প – ১৩


চিন্তিত তাপস পাল-এর উদ্ভাবিত দুই মাথার খুলির কার্টুন অনেককেই অনুপ্রণিত করেছে একই থিম ব্যবহার করে আরও কার্টুন বানাতে। বেশ কয়েকটি কার্টুন পাওয়া গেছে এরই মধ্যে। পাল সাহেবের পরিকল্পনা অনুযায়ী, খুলি-কার্টুনের একটি সিরিজ দাঁড় করানো হবে। 

উৎসাহী সকলকে কার্টুনের আইডিয়া পাঠাতে আহ্বান জানানো যাচ্ছে (dhormockery অ্যাট gmail.com)।

মনোনীত আইডিয়াগুলো দিয়ে ধর্মকারীর ফটোমাস্তানেরা কার্টুন বানাবেন এবং আইডিয়াদাতাদের নামসহ সেসব প্রকাশিত হবে। 

কল্পনা হোক লাগামছাড়া। খুলি দুটো হতে পারে মৃত যে কোনও দুই ব্যক্তির। এমনকি একেবারেই বেমানান বা অসম্ভব দু'জনেরও। স্রেফ কয়েকটি উদাহরণ: আইনস্টাইন ও আদম, যিশু ও ব্রুস লি, নবীজি ও মেরিলিন মনরো, মুসা ও পিসি সরকার, আয়েশা ও হাওয়া...। সোজা কথা, দু'জনের কম্বিনেশন যতো উদ্ভট হবে, কার্টুন মজাদার হবার সম্ভাবনা ততো বেড়ে যাবে। শর্ত মাত্র দুটি: সংলাপগুলো হতে হবে বুদ্ধিদীপ্ত ও হাস্যেদ্রেককারী এবং কোনও না কোনওভাবে ধর্মপোন্দনীয়। 

আজকের কার্টুন বানিয়ে পাঠিয়েছেন থাবা বাবা। 


ধর্ম - চূড়ান্ত বিনোদনের অনন্ত উৎস


ধর্ম কেন পরম হাস্যকর, ধর্ম কেন আমাদের চূড়ান্ত বিনোদনের অনন্ত উৎস - সব ধার্মিককে ধরে এই কথাগুলো শোনানো উচিত। প্রায় তিন মিনিটের ভিডিও। 


প্রিয় পুরনো পোস্টগুলো – ৪৬


ধর্মকারীতে পোস্টের সংখ্যা চব্বিশশো ছাড়িয়ে গেছে। এই সাইটের খোঁজ যেসব পাঠক সম্প্রতি পেয়েছেন বা ভবিষ্যতে পাবেন, তাঁদের পক্ষে আগে প্রকাশিত মজাদার পোস্টগুলো খুঁজে নেয়া ব্যাপক শ্রম- ও সময়সাধ্য ব্যাপার হবে ভেবেই হারানো-দিনের-পোস্ট ধরনের এই সিরিজের অবতারণা। পুরনো পাপীরাও এই সুযোগে স্মৃতিচারণ করে নিতে পারেন 

প্রতি পর্বে আমার বিশেষ প্রিয় পাঁচটি পোস্টের লিংক দেবো সংক্ষিপ্ত বর্ণনাসহ। শুরু করেছি ধর্মকারীর আদিকাল থেকে।

২. না গান, না কবিতা (টিম মিনচিন) 
৪. নামাজরঙ্গ (ছোট ছোট কয়েকটি মজার ভিডিও) 
৫. ধর্ম ও বিজ্ঞান (মনীষীদের উদ্ধৃতি) 

আগের পর্বগুলো দেখতে নিচের "কাসুন্দি" ট্যাগে ক্লিক করুন।

শুক্রবার, ২৭ মে, ২০১১

নির্লজ্জ অর্থাৎ টিপিক্যাল ধর্মবাজ


২১ মে তারিখে র‍্যাপচার-এর ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল যে-ধুরন্ধর ধর্মবাজ, সেই ভবিষ্যদ্বাণী নিষ্ফলা প্রমাণিত হবার পর কী বলতে পারে বরে মনে হয় আপনার? নিজ কর্ণে শুনুন এবং আবারও নিশ্চিতভাবে উপলব্ধি করুন, ধর্মবাজ মানেই বেহায়া। 


যিশুর মাসিক আগমন


২১ মে তাঁর দ্বিতীয় আগমনের কথা ছিলো। আসেননি। তবে দেখা দিয়েছেন ভিন্নভাবে। আচ্ছা, এটাকে যিশুর মাসিক আগমন বলা যায় না? 


দেব-দেবীদের দেহকাব্য


এ কী ছড়া পড়লাম! হায় ভগবান! হিন্দু দেব-দেবীদের এমন অবমাননা কি মেনে নেয়া যায়! ছড়াখানা এতোটাই ইয়ে-টাইপ যে, নিজের ব্লগে দেয়ার সাহস পর্যন্ত করতে পারলাম না! 
লিংকে যাওয়ার আগে ইমোটা খুব-খুব খিয়াল কৈরা, কইলাম! 

করোটিকল্প – ১২


পাঠিয়েছেন ফাহাদ জ্যাকসন


ধর্মবিশ্বাসীরা ভাবতে শিখবে কবে?


র‍্যাপচার-ব্যর্থতা বিষয়ে আরও একটি দুর্ধর্ষ ভিডিও। মাত্র দেড় মিনিটের।


ধর্মাতুল কৌতুকিম – ২২


৫৮.
- যারা সতর্ক থাকে, ঈশ্বর তাদের রক্ষা করেন, - আপন মনেই এক যাজিকা (nun) বলছিল মোমবাতিতে কনডম পরাতে পরাতে।

৫৯.
আত্মঘাতী হামলা করে শহীদ হওয়া মুসলিমদের জন্যে বেহেশতে কুমারীর ব্যবস্থা নেই। পারলৌকিক যৌনচাহিদা তাদেরকে মেটাতে হবে নিজেদের উদ্যোগে - আত্মঘাতীদের হতে হবে আত্মহাতী। 

৬০. 
খ্রিষ্টান স্কুলের শিক্ষক ছাত্রদের প্রশ্ন করলেন: 
- কী হবে, টেন কম্যান্ডমেন্টের যে কোনও একটি কেউ ভাঙলে?
- বাকি থাকবে ন'টি কম্যান্ডমেন্ট।

বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০১১

নাস্তিক্যবাদ ধর্ম নহে, হে আবালকুল!


বায়োনিকড্যান্স-এর বলিষ্ঠ বক্তব্যময় ভিডিওগুলো খুবই টানে আমাকে। আজকের ভিডিওর বিষয়: নাস্তিক্যবাদ কি ধর্ম? কিছু আস্তিক এবং, দুঃখের বিষয়, ধর্মবিমুখ বা ধর্মউদাসীনদের একটি অংশও এমন অপধারণা পোষণ করে। খুব সম্ভব, গভীরভাবে চিন্তা না করেই। এ বিষয়ে একটি আলাদা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছে আছে। তার আগে শোনা যাক বায়োনিকড্যান্সের কিছু কথা: 

Explain to me how arguing against the validity of religion makes atheism a religion.

...are you mentally deficient in some way I should be made aware of? Cuz I hear this argument

আড়াই মিনিটের ভিডিও।


যৌনইঙ্গিতবাহী চার্চ সাইন


না, উদ্দেশ্যমূলকভাবে যৌনইঙ্গিত এসবে দেয়া হয়নি। তবে তা খুঁজে পাওয়া দুঃসাধ্য নয় একেবারেই। সর্বমোট ঊনিশখানা ছবি।