১.
চার মুসলিম বীর এক শিক্ষককে মেরে তাঁর চোয়াল ও মাথার খুলি ভেঙে দিয়েছে। ক্ষণস্থায়ী এ দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিবিলোপ রোগে ভুগছেন তিনি।
চার মুসলিম বীরের নূরানী খোমা-মোবারক
তাঁর "অপরাধ", তিনি মুসলিম অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনে মেয়েদের সেন্ট্রাল ফাউন্ডেশন স্কুলের রেলিজিয়াস স্টাডিজ বিভাগের প্রধান এবং তিনি, এক বীরের ভাষ্যমতে, "ইসলামকে উপহাস করেছেন এবং তাদের (ছাত্রীদের) মাথায় সংশয় ঢুকিয়ে দিচ্ছিলেন"।
২.
প্রচলিত আমেরিকার জীবনধারা অনুসরণ করতে চেয়েছিল মেয়েটি। কিন্তু পশ্চিমা রীতিনীতি তো বেশরীয়তী! আর তাই ইসলামের আদর্শে অনুপ্রাণিত তার সৎপিতা হত্যা করলো তাকে। বলেন, সুবহানাল্লাহ।
৩.
চৌদি আজবের মেয়েরা গাড়ি চালানোর অনুমতির দাবি তুলেছে। কিন্তু মুসলিম পুরুষেরা তাদের কর্তৃত্ব হারাতে চাইবে কেন! তারা পাল্টা প্রস্তুতি নিচ্ছে: মেয়ে-ড্রাইভারদেরকে পেটাবে তারা। মেয়েরা মানুষ নাকি! তারা কেন গাড়ি চালাবে! কিন্তু সমস্যা হলো, বউ পেটানোর অনুমতি কোরানেই স্পষ্টভাবে দেয়া থাকলেও মেয়ে-ড্রাইভার পেটানোর অনুমতি তো কোথাও নেই। তবে আশা করা যায়, অচিরেই দু'-একখানা ফতোয়া নাজিল হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ!
৪.
মেয়েরা কেন পড়াশোনা শিখবে! কী প্রয়োজন সেটার! ইসলাম এমনিতেই শিক্ষাবিমুখ। তিমিরবাসী মানুষদের নিয়ন্ত্রণ করা সহজ বলেই এই শিক্ষাবিদ্বেষ। মেয়েদের ক্ষেত্রে তা আরও বেশি প্রযোজ্য। মেয়েদেরকে পড়ানো বন্ধ করার দাবি গ্রাহ্য না করায় আফগানিস্তানে তালিবানদের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধানকে।
৫.
বিন লাদেনের মৃত্যুতে তীব্র শোকাচ্ছন্ন হয়েছে ফাকিস্তানের শতকরা ৫১ জন।
৬.
"আমরা যে-দেশেই থাকি বা যাই না কেন, সেখানেই মসজিদ নির্মাণ করবো যতো খুশি। বাধা এলে বলবো, ইসলামোফোবিয়া, সংখ্যালঘুদের প্রতি অবিচার ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে আমাদের দেশে সংখ্যালঘু অন্য ধর্মাবলম্বীরা তাদের উপাসনালয় বানাতে চাইলে, ধর্মচর্চা চালাতে চাইলে তা প্রতিহত করা হবে আল্লাহর ওয়াস্তে।" ইসলামীদের দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক এরকমই। অগণ্য উদাহরণের একটি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন