সোমবার, ৩০ মে, ২০১১

বাল্যবিবাহ ও ধর্ষণ: নবীজির সুন্নত


লিখেছেন রেখেছো নারী করে মানুষ করোনি

একটি কৌতুক পড়েছিলাম, যেখানে প্রশ্ন করা হয়: 
- বলুন তো, ঈশ্বর কখন বেশি অখুশি হয়? 
- যখন কোনো ধর্ষিতার মা আকাশের দিকে চেয়ে ঈশ্বরের উদ্দেশে আর্তনাদ করে বলে, হায় ঈশ্বর! এ তুমি কী করলে! 

কৌতুকটি আমায় ভাবালো। কারণ ঈশ্বরের তো বরং খুশি হওয়ার কথা। কেননা তার উম্মতেরা (পুরুষেরা) তার মনোনীত পথেই তো চলছে। শস্যক্ষেত্রের ওপর যেমন খুশি তেমন তাদের শস্য ফলাচ্ছে। শিশ্ন দ্বারা ধর্ষণ করে চলছে। 

পৃথিবীর অনেক প্রান্তেই ধর্ষণ বর্তমানে ডাল-ভাত। আর এই ধর্ষণকে বৈধতা দেয়ার একমাত্র চাবিকাঠি বিয়ে।ইসলামি শরিয়তী বিধি অনুযায়ী - স্বামী কর্তৃক স্ত্রী ধর্ষণ-কর্ষণ-মর্দন যা-ই করুক না কেন, সবই বৈধ। 

নারী মাংসের ভেতর সবচেয়ে সুস্বাদু হয়ত কচি মেয়ের মাংস। আর তাই বাল্য বিবাহ ইসলামী দেশ ছাড়াও আরো অনেকে দেশেই সগৌরবে বিজয় পতাকা উড়িয়ে চলছে। 

এক্ষেত্রে ইসলাম যদিও এককাঠি সরেস। যেখানে মুহম্মদ নিজেই আয়েশাকে ৬ বছর বয়সে বিয়ে করেছেন সেখানে বাল্যবিবাহ তো রীতিমতো সুন্নত! 

চলুন, আজ এক নুজুদ আলীর গল্প শুনা যাক: 

“I’m a simple village girl whose family had to move to the capital, and I have always obeyed the orders of my father and brothers. Since forever, I have learned to say yes to everything. Today I have decided to say no.” – Nujood Ali

“I’m shaking–if they see me, they might arrest me. A little girl running away from home, that just isn’t done. Trembling, I discreetly latch on to the first passing veil, hoping to get the attention of the unknown women it conceals. A tiny voice inside me whispers, Go on, Nujood! It’s true you’re only a girl, but you’re also a woman, and a real one, even though you’re still having trouble accepting that..” – Nujood Ali

নুজুদ আলী ও আইনজীবী শাদা নাসের 

ইয়েমেন প্রদেশের ১০ বছরের এক বালিকা নুজুদ আলী। যার বাবা তাকে প্রায় তিন গুন বেশি বয়স্ক পুরুষের সাথে বিয়ে দেন। প্রথম রাতেই নুজুদ ধর্ষিত হয় তার স্বামী দ্বারা। এরপরেই নুজুদ পালিয়ে আসে বাপের বাড়ি। নিজের বাবা ও মা সাহসের অভাবে তার পাশে না দাড়ালেও তার বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী তাকে যাতায়াত ভাড়া ও ঠিকানা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। 

সানা’র আদালতে ঘরতে ঘুরতে নুজুদ যখন বিচারকের সামনে দাঁড়ায়, বিচারক তখন অবাক চোখে তাকে প্রশ্ন করে সে কি চায়। জবাবে নুজুদ দৃঢ়কন্ঠে বলে, সে তালাক চায়। এরপর আইনজীবী শাদা নাসেরের সহযোগিতায় নুজুদ ছাড়া পায় এই জঘন্য বিয়ে নামক ফাসির কাষ্ঠ থেকে। আজ নুজুদ পড়াশুনা করেছে। যাত্রা শুরু করেছে নতুন একটি জীবনের পথে। যেই স্বপ্নের পথ সে নিজ হাতে তৈরি করে নিয়েছে। 

বেঁচে থাকার স্বাদ নিয়ে নুজুদ এক নতুন জীবনে ওড়ার পথে 

এ এক ছোট পাখির অসীম সাহসের পাখায় ভর করে আকাশে ওড়ার কাহিনী। এইরকম লক্ষ নুজুদ গড়ে উঠতে পারে। লক্ষ প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর জেগে উঠতে পারে। মেয়ে, তুমি তোমার উত্তরী উড়িয়ে রাখো ধর্ম নামক সকল অধর্মের বিরুদ্ধে। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইল।

* সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত সিনথিয়া গোরনীর To Young to Wed: The Secret World of Child Bride

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন