আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০১১

প্রিয় পুরনো পোস্টগুলো – ৫৪


ধর্মকারীতে পোস্টের সংখ্যা সাতাশশো ছাড়িয়ে গেছে। এই সাইটের খোঁজ যেসব পাঠক সম্প্রতি পেয়েছেন বা ভবিষ্যতে পাবেন, তাঁদের পক্ষে আগে প্রকাশিত মজাদার পোস্টগুলো খুঁজে নেয়া ব্যাপক শ্রম- ও সময়সাধ্য ব্যাপার হবে ভেবেই হারানো-দিনের-পোস্ট ধরনের এই সিরিজের অবতারণা। পুরনো পাপীরাও এই সুযোগে স্মৃতিচারণ করে নিতে পারেন 

প্রতি পর্বে আমার বিশেষ প্রিয় পাঁচটি পোস্টের লিংক দেবো সংক্ষিপ্ত বর্ণনাসহ। শুরু করেছি ধর্মকারীর আদিকাল থেকে।


আগের পর্বগুলো দেখতে নিচের "কাসুন্দি" ট্যাগে ক্লিক করুন। 

ধেড়ে শিশু



আরেক শিশুকামী ধর্মবাজ


৬৫ বছর বয়সী ক্যাথলিক ধর্মযাজক ৭ বছরের বালিকার ওপরে উপর্যুপরি যৌননিপীড়ন চালিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে।


একটু মাথা ঘামান না!

ছবিটায় থট-বাবল বসিয়ে কিছু করা যায় না? আইডিয়াবাজ ও ফটোমাস্তানেরা সব কোথায়? 


অলৌকিক ছেড়ে লৌকিক


বিজ্ঞানবিরোধিতায় ধর্মগুলো বড়োই পারঙ্গম। ইতিহাস সাক্ষী, সাক্ষী বর্তমানও। তবে বিজ্ঞানের সমস্ত অবদান ব্যবহারে তারা নির্লজ্জ। 

এই যেমন, সম্প্রতি শিশুকামীদের স্বর্গ ভ্যাটিকানের প্রধানতম ব্যক্তি এখন টুইটার ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। অর্থাৎ টুইটারের মাধ্যমে ধর্মপ্রচার। খোমাখাতাতেও তাঁর অ্যাকাউন্ট আছে বলে পড়েছি। 

তথাকথিত ঐশী অলোকিক ঘটনায় অভ্যস্ত হলেও অবাক-করা পার্থিব টেকনোলজি দেখে পোপ বিস্মিত হলেন বলেই মনে হলো (লিংকে এমবেড করা ভিডিও দেখুন)। বুঝি না, কেন ধর্মবাজেরা ধর্মপ্রচারে ঈশ্বরের অলৌকিক সাহায্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে! 

লিংক পাঠিয়েছেন মালা আলম

নির্মলমূত্র নুহের নৌকা


শিরোনামের প্রথম শব্দটি কনফিউজিং মনে হলে উদাহরণসহ বুঝিয়ে বলি: "দোষ" থেকে আমরা পাই "নির্দোষ" অর্থাৎ দোষহীন। একইভাবে "মল" থেকে "নির্মল"।


মেরাজের প্রকৃত রহস্য


লিখেছেন বোকা বলাকা

১৪০০ বছর আগের এই রাতে মহামানব তার চাচাত বোন উম্মে হানির ঘরে রাত কাটিয়েছিলেন, যখন তার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না (এই মহামানব উম্মে হানির প্রেমে পড়েছিলেন কিন্তু তার সৎচরিত্রের (?) কারণে তার চাচা তার মেয়ের বিয়ে তার সাথে দেন নি। তাই বলে তো আর প্রেম বৃথা যেতে পারে না)। 


ভোর বেলা মহামানব তার সাথীদের কাছে ধরা খেয়ে গেলে এক কল্পকাহিনী ফেঁদে বসে। আর সেটাই মে...রা...জ।

প্রতিযোগিতার নাম: কারা সত্যিকারের মুসলিম


পাঠিয়েছেন লাইট ম্যান


না, কোরবানির পরে রক্ত পরিষ্কারের দৃশ্য নয়। এটা আল্লার ঘরে মোল্লাদের রক্তের বন্যা! পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সংঘাতে মসজিদে বোমা বিষ্ফোরনের পর মসজিদ পরিষ্কার করার দৃশ্য। 

প্রাসঙ্গিক কিছু খবরের লিংক। 

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-11-06/news/106999

http://www.samakal.com.bd/details.php?news=2&view=archiev&y=2010&m=11&d=05&option=single&news_id=106567&pub_no=506

http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?cid=1&id=140780&hb=5

http://abna.ir/data.asp?lang=11&Id=212059

http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/05/03/79607

বুধবার, ২৯ জুন, ২০১১

'কুন' কইলো কুন এক ব্যাটায়...


আল্লাহ বললো, কুন, আর অমনি তৈরি হয়ে গেল বিশ্বচরাচর। এই কু-রূপকথায় বিশ্বাস করেন যাঁরা, তাঁরা বৃথা কালক্ষেপণ না করে বরং দূরে গিয়ে কোরান-হাদিস বার‌বার রিভাইজ দিয়ে দো জাহানের অশেষ নেকী হাসিল করুন। বাকিরা, সময় এবং নেটস্পিড অনুকূল থাকলে, দেখে নিন বিবিসি-র তৈরি এক ঘণ্টার ডকুমেন্টারি Lost Horizons: The Big Bang. 


শিশুদের জন্য ঐশী ভালোবাসা


ইসলামে জোর-জবরদস্তি নেই


ইসলামত্যাগের কারণে কাউকে হত্যার ইসলামী বিধানটি নাকি ধর্মীয় স্বাধীনতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়! কারণ তাকে হত্যা করা হয় বিশ্বাস ত্যাগ করার 'অপরাধে' নয়, প্রত্যক্ষভাবে ইসলামবিরোধিতার মাধ্যমে ইসলামের প্রতি বিপুল বিশ্বাসঘাতকতা করার জন্যে। পার্থক্য কিছু বুঝলেন? আমি বুঝিনি। পড়ে দেখুন

এদিকে জেরুজালেমের ইসলামিক ফতোয়া কাউন্সিল-এর মতে, ইসলামত্যাগীকে তিন দিন সময় দেয়া হয় ক্ষমাপ্রার্থনার জন্যে। এর অন্যথা হলে তাকে হত্যা করা হয়। 

বলেন, আলহামদুলিল্লাহ! 

ভালো ঈশ্বরের আশীর্বাদ


গত মাসের শেষের দিকে আমেরিকার মিজোরি প্রদেশের জোপলিনে টর্নেডোর আঘাতে বিধ্বস্ত কয়েকটি বাড়ির দেয়ালের ছবি।

ঈশ্বর এতো ভালো যে, চারপাশে সবকিছু ধ্বংস করলেও নিজের নাম লেখা দেয়ালটি অক্ষত রেখেছে

টর্নেডোর মাধ্যমে ঈশ্বর তার আশীর্বাদের নমুনা দেখিয়েছে

"ঈশ্বর আমাদের রক্ষা করেছে" লিখেও সব রক্ষা হয়নি! 

পশ্চিমা দেশগুলোয় "মুসলিমপ্রীতির" একটি কারণ


হল্যান্ডে একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় স্থানীয় ইসলামী স্কুলের কিছু ছাত্র সেখানে গিয়ে চিৎকার করতে থাকে, কেউ কেউ প্রদর্শন করে ঊর্ধ্বমুখী মধ্যাঙ্গুলি। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো একটাই - মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-পরিজনদের মনে আঘাত দেয়া। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানের পরিচালিকা বলেছেন, মুসলিম ছাত্রদের একজন তাঁর কাছে জানতে চায় মৃত ব্যক্তিটি মুসলমান কি না। উত্তরে তিনি "না" বললে সে মন্তব্য করে, "একটা কুকুর কমলো।"

অ-মুসলমানের মৃত্যুতে তার দোজখবাস কামনা করার দোয়া আছে ইসলামে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই বালকগুলোর আচরণ অবশ্য অনৈসলামিক বলে মনে হলো না।

দু'মিনিটের ভিডিও রিপোর্ট দেখুন। সেখানে বলা হচ্ছে, এটা বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা নয়। 


সমস্যার মীমাংসামূলক সমাধান



নির্ধার্মিক মনীষীরা – ৩৪


মানবজাতির অন্যতম প্রধান ট্র্যাজেডি এই যে, ধর্মগুলো নৈতিকতা অপহরণ করেছে।
আর্থার সি. ক্লার্ক (১৯১৭-২০০৮; ব্রিটিশ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক)

য়ুক্তিকে ত্যাগ করেছে যে-ব্যক্তি, তার সঙ্গে যুক্তিসহ তর্ক করা আর মৃতকে ওষুধ দেয়ার ভেতরে ফারাক নেই। 
Thomas Paine (১৭৩৭-১৮০৯; লেখক, বুদ্ধিজীবী, আবিষ্কারক, বিপ্লবী, আমেরিকা প্রতিষ্ঠাতাদের একজন) 

আফিম তবুও ভালো, ধর্ম সে তো হেমলক বিষ। 
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৯৫৬-১৯৯১; কবি)

আমাদের ফ্রন্টের কিছু যোদ্ধা


এই তালিকার অনেকর সম্পর্কে জানি না। আবার আরও কিছু জনের নাম এতে যোগ করা যেতে পারতো বলে মনে হলো...

পূর্ণাকারে দেখতে ছবির ওপরে ক্লিক করুন।


মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০১১

ধর্ম ও বিজ্ঞানের জয়-পরাজয়


ধর্মের সব বাণী ধ্রুব সত্য। অন্তত ধর্মগুলো তেমনটিই দাবি করে থাকে। পক্ষান্তরে বিজ্ঞান নিয়ত পরিবর্তনশীল। এবং তা সব সময়ই উন্নতির দিকে। পুরনো ভুল স্বীকার করে নিয়ে বিজ্ঞান নিরন্তর সত্যপথযাত্রী। তবে বিজ্ঞান কখনও ভুল প্রমাণিত হলেই ধর্ম সত্য হয়ে ওঠে না। একইভাবে ধর্ম ভুল প্রমাণিত মানেই বিজ্ঞান সত্য - তা-ও কিন্তু নয়। সত্যের প্রয়োজন তথ্য-প্রমাণ। যে পক্ষ তা দেখাতে পারে, জয় হয় তারই। 

বায়োনিকড্যান্স-এর তিনি মিনিটের ভিডিও।



প্রথমে বন্দনা করি...



হুজুরের কী দোষ?


লিখেছেন হৃদয়াকাশ

শীর্ষ নিউজ ডটকম এর বরাত দিয়ে ২৭ জুন, ২০১১ ধর্মকারীতে একটা পোস্ট ছাড়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সাভারের এক মাদ্রাসার শিক্ষক তার মাদ্রাসার ১২ বছর বয়সী এক ছাত্রকে বলাৎকার করেছে। এ বিষয়ে হুজুরের পক্ষ হয়ে আমার কিছু বলবার আছে। আমার বক্তব্য শেষে আপনারা রায় দেবেন, ঐ ঘটনায় কার দোষ? ঐ হুজুর, না অন্য কারোর?

হযরত আনাস (রা.) তাঁর ‘তফসির মাজহারি’ ভলিউম ১২, পৃষ্ঠা ৯৪ তে বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর রাসূল বলেছেন, “যে ব্যক্তি স্বীয় হস্তদ্বয়ের সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় ( অর্থাৎ হস্তমৈথুন করে), সে অভিশপ্ত।” এই একই বিষয়ে বলেছেন আতা (রা.)। তিনি বলেছেন, “ কিছুসংখ্যক লোক এমনভাবে পুনরুত্থিত হবে (হাশরের ময়দানে) যেন তাদের হস্তদ্বয় গর্ভবতী। আমার মনে হয় তারা সেই লোক যারা হস্তমৈথুন করে।”

এতে পরিষ্কার যে হস্তমৈথুন করে যৌনসুখ উপভোগ ইসলামে নিষিদ্ধ। কারণ তাহলে তাদের হাত শেষ বিচারের দিনে গর্ভবতী হয়ে আল্লার কাছে ঐ ব্যক্তির অপকর্মের সাক্ষ্য দেবে।

এখন দেখা যাক, বেহেশতের ভোগবিলাসের বর্ণনায় হুরদের পাশাপাশি কোরানের ৫২ নম্বর সূরা তূর এর ২৪ নম্বর আয়াতে কাদের কথা বলা হচ্ছে। “এবং তাহাদের পার্শ্বে তাহাদের দাসগণ ঘুরিয়া বেড়াইবে, তাহারা যেন প্রচ্ছন্ন মুক্তাস্বরূপ।”

এই মুক্তাসদৃশ বালকগণের কাজ কী? তারা কি থাকবে বেহেশতিদের রুচি পরিবর্তনের জন্য? হ্যাঁ, ৭২ জন হুরীর সঙ্গে যোনীপথে সঙ্গম করতে করতে যদি মুমিন মুসলমানরা একঘেঁয়েমি বোধ করে, তখন তারা সেই সব মুক্তাসদৃশ বালকদের ব্যবহার করতে পারবে ভিন্নরকম যৌনসুখ লাভের জন্য। এই জন্যই তো মাঝে মাঝে মাদ্রাসার হুজুর কর্তৃক ছোট ছোট ছেলেদের বলাৎকার করার খবর পত্রিকায় বের হয়, যা সম্পূর্ণ ইসলামসম্মত বলেই বোধ হয়। কারণ, বেহেশতে আল্লা গেলমানের ব্যবস্থা রেখেছে। এখন দুনিয়া থেকেই যদি গেলমান ব্যবহারের তরিকাটা শিখে যাওয়া না হয়, তাহলে তো বেহেশতে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা।

এই সব বিষয় মাদ্রাসার হুজুরেরা জানে, কিন্তু ছোট ছোট পোলাপানেরা তো তা আর জানে না। তাই তারা বাপ মাকে ব্যাপারটা বলে দেয়। আবার এইসব বিষয় জানে না সাধারণ পাবলিকও। তাই তারা হুজুরদের এ ধরনের কাজে অন্যায় খুঁজে পায়, তাদের মারধোর করে, চাকরি থেকে বহিষ্কার করে; যা সম্পূর্ণ অন্যায়। বলাৎকার যদি অন্যায়ই হতো তাহলে তো আল্লা ‘সম্পূর্ণ জীবন বিধান’ ইসলামে এর শাস্তির একটা ব্যবস্থা রাখতোই। কিন্তু ইসলামের কোথাও কি এর জন্য শাস্তির কোনো বিধান আছে? না, নাই। বরং শাস্তির ব্যবস্থা আছে যৌনউত্তেজনা প্রশমন করার জন্য ঘরের কোণে বা বাথরুমে বসে হস্তমৈথুন করলে। সাব্বাশ। এই না হলে সম্পূর্ণ জীবন বিধান!

হস্তমৈথুন করে তুমি বীর্যপাত করবে কেনো ? বীর্যপাত করবে দাসীদের যোনীর মধ্যে। তাদের বিয়ে না করলেও চলবে। কারণ, আল্লা মুমিন মুসলমানদের জন্য কোরানের মাধ্যমে দাসীদের ভোগ করা জায়েজ করে দিয়েছেন। দাসী যদি না থাকে বিয়ে করো, এক থেকে চার। সে হোক না তোমার মামাতো, খালাতো, চাচাতো বোন বা ছেলের বউ। বয়স হোক না তার ছয় থেকে পঞ্চাশ; তাতে কিছু যায় আসে না। তারপর তুমি উপযুক্ত মোহরানা দিয়ে তার যোনীর দাম পরিশোধ করে তাকে তোমার জন্য হালাল করে নাও। মনে রাখতে হবে, ঐ মোহরানা কিন্তু নারীদের অধিকার; তাদের সম্মান। পুরুষদের কাছে নিজের দেহ তুলে বা খুলে দেওয়ার বিনিময়ে যা তারা অর্জন করে। 

এই সামর্থ্য না থাকলে সর্বোচ্চ তিন দিন এবং সর্বনিম্ন তিন ঘণ্টার জন্য মুতা বিয়ে করো। তারপর তার যোনীতে তোমার বীর্যপাত করো। কিন্তু হস্তমৈথুন করে তুমি তোমার বীর্যের অপচয় করতে পারবে না। কারণ, ইসলামের জনসংখ্যা বাড়ানো দরকার। কেননা, নবী বলেছেন, সংখ্যায় তিনি অন্যদের পরাস্ত করবেন। 

অর্থসমস্যা বা বিভিন্ন কারণে মুমিন মুসলমানরা যখন ইসলামের এতগুলো নারী সম্ভোগ ব্যবস্থার কোনোটিই হাতের নাগালে পায় না, তখন তারা উত্থিত লিঙ্গের দিকে যেই নিজের হাত বাড়ায়, অমনি তার মনে পড়ে হাদিসের হুশিয়ারি, হাশরের ময়দানে গর্ভবতী হস্তদ্বয়। কিন্তু যৌনউত্তেজনা তো আর কোনো আইন মানে না। তখন মাদ্রাসার হুজুরদের মনে পড়ে ছোট ছোট বালকদের কথা। যাদের সে হাতের নাগালে পায়। মাদ্রাসার হুজুর হওয়ার কারণে সব ছাত্রই যেখানে তাদের শ্রদ্ধা করে। হুজুর বুঝতে পারে, এদের কাছ থেকে বিপদের সম্ভাবনা কম। তাই তারা তাদের পছন্দের মুক্তাসদৃশ কাউকে ডেকে পাঠায় তাদের নির্জন কক্ষে। কিন্তু অবোধ বালক সাইফ উদ্দিন (১২) ইসলামী জীবন বিধানের এই ব্যাপারটা বুঝতে পারে নি। তাই সে তা বলে দেয় তার বাপকে। তারপর মারধোর খেয়ে ফিরোজ হুজুরকে ছাড়তে হয় মাদ্রাসা। এতে হুজুরের কী দোষ? সে তো ইসলামের বাইরে কিছু করে নি। আল্লা বেহেশতে যার ব্যবস্থা রেখেছে, দুনিয়ায় সেটা করলে দোষ কী? সেই জন্যই তো আল্লা ব্যাভিচারের জন্য পাথর ছুঁড়ে হত্যা করার মতো ভয়ংকর শাস্তির ব্যবস্থা রাখলেও এইটার জন্য শাস্তির কোনো ব্যবস্থা রাখে নি। পুরুষ মাত্রেরই যৌনউত্তেজনা হয়, তারও হয়েছে। হস্তমৈথুন করা নবীর অপছন্দ বলে সে তা করে নি। কোনো প্রকারেই কোনো ধরণের বিয়ে তার পক্ষে এখন করা সম্ভব নয় বলে সে বলাৎকারের মতো নির্দোষ ব্যাপারটিকেই বেছে নিয়েছে। এতে ধর্মও ঠিক থাকলো, আবার নিজের সমস্যার সমাধানও হলো। তাহলে ঐ হুজুরের কী দোষ? তাকে কেন মারধোর করে ঐ মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়া হলো বা কেনোই তাকে চোরের মতো পালাতে হলো? দোষ যদি কিছু থেকে তা ইসলাম, মুহম্মদ ও আল্লার। হুজুরের কোনো দোষ নেই। কারণ, মাদ্রাসার হুজুর হয়ে সে তো ইসলামের বাইরে যেতে পারে না।

গোপন ওহী : আল্লা পাক ধর্ষকরে পালাইতে দিলো; কারণ, আল্লা বলাৎকারকারী হুজুরের পক্ষে। যেহেতু সে ইসলামের বিধানের বাইরে যায় নাই এবং আল্লা তারে প্রতিশ্রুতি দিছে অন্য কোনো এক মাদ্রাসায় তারে আবার সেট কইর‌্যা দিবো। যেহেতু সে আরবি পড়তে পারে এবং জোব্বা পাজামা সহ মাথায় টুপি পরে। তার কোনোদিন রুজির কোনো অভাব হইবো না, যতদিন দুনিয়ায় ইসলাম এবং মূর্খ মুসলমান আছে। তবে শর্ত হচ্ছে, যখনই সে এই ধরণের কোনো কার্য করিবে, তখনই তাকে স্থান ত্যাগ করিয়া অপরিচিত কোনো নতুন স্থানে গমন করিতে হইবে। এইটাকে হিজরতও বলা যাইতে পারে।

এই কথাগুলো এতক্ষণ যাদের উদ্দেশ্যে বয়ান করলাম, তারা বলেন, কার দোষ ? হুজুর, ইসলাম, নবী না আল্লার ????

সহি নামাজ শিক্ষা


স-ভূমিকা ছবিটি পাঠিয়েছেন শয়তানের চ্যালা।

নামাজ পড়লে আল্লাহ নাকি অনেক খুশি হন। নামাজে কোর-আনের সূরাগুলোই পাঠ করতে হয়। তবে ছোট সূরাগুলো বেশি জনপ্রিয়। যেমন সূরা নিসা, সূরা লাহাব, সূরা ইখলাস। কারণ এগুলো পড়তে কম টাইম লাগে। আসুন আমরা সূরা লাহাবের অর্থ বুঝে বুঝে নামাজ পড়ে আল্লাহকে খুশি করি। 


বায়োনিক ধোলাই


ইসলামী জঙ্গিদের অপকীর্তিগুলো সম্পকে প্রায় সব তথাকথিত মডারেট মুসলিমের বক্তব্যের সারকথা এই: এদের কার্যকলাপ দিয়ে ইসলামকে বিচার করা উচিত নয়। বস্তুত ধর্মসংক্রান্ত যাবতীয় কুকাণ্ড সম্পর্কেই ধর্মবিশ্বাসীদের এই অপযুক্তি দিতে দেখা যায়। এই অজুহাতকে যুক্তি-গোলায় ধ্বংস করে দিচ্ছেন ইউটিউবার বায়োনিকড্যান্স।

দু'মিনিটের ভিডিও।


ইছলামীদের দিবাস্বপ্নদোষ



ধর্মাতুল কৌতুকিম – ২৫


পাঠিয়েছেন শুভজিৎ ভৌমিক 

৬৭. 
– যিশুর জন্য সবচেয়ে কনফিউজিং দিন কোনটি?
– বাবা দিবস।

৬৮. 
চৌদি আরবের এক লোকের ইন্টারভিউ নেয়া হচ্ছে। 
প্রশ্নকর্তা: আপনার নাম?
উত্তরদাতা: শেখ জুনেদ বিন সাউদ আল আমুদী বিন হাবিবি বিন খলিলি...
প্রশ্নকর্তা: হইছে হইছে থামেন। সেক্স?
উত্তরদাতা: সপ্তাহে ২৫-৩০ বার করি আরকি। বউয়ের তো অভাব নাই।
প্রশ্নকর্তা: আরে ধুর মিয়া, আমি সেই কথা বলি নাই। সেক্স কি? মেল না ফিমেল?
উত্তরদাতা: মেল, ফিমেল, শিমেল সব চলে। মাঝে মাঝে ক্যামেলও চলে।

৬৯. 
– তাবলিগের লোক আর খ্রিষ্টান পাদ্রীদের মধ্যে মিল কোথায় ?
– দুই পার্টি প্রধানত কমবয়স্ক বালকদের মধ্যেই ধর্ম "ভইরা" দিতে চায়।

গাভীটি গাধা নয়



সোমবার, ২৭ জুন, ২০১১

শিশুকন্যার ওপর অত্যাচার

লিখেছেন Suirauqa

বহু ছোটবেলায় লালন ফকিরের একটা গানের লাইন পড়েছিলাম, "সুন্নত দিলে হয় মুসলমান, নারীর তবে কী হয় বিধান..." ওই সুন্নত শব্দটির মানে যখন জানলাম এবং জীববিজ্ঞান ক্লাসে নারী-পুরুষ প্রজনন অঙ্গের বিবরণ পড়লাম, তখন মনে হয়েছিল, সত্যি তো! আজ মনে হয়, সে যেন এক অন্য শতাব্দীর কথা। তখন লালন কি জানতেন, বা আমিই কি ছাই জানি যে, এই চূড়ান্ত বর্বর-জাতীয়, অমানবিক, হিংসক, ঘৃণ্য প্রথা মুসলমান দেশ বা গোষ্ঠীগুলোতে শিশুকন্যাদের ওপরে আরোপিত হয়ে আসছে? যে প্রথাটির কথা বলছি, তার পোষাকি নাম ফিমেইল সার্কামসিশন, যা অনুবাদে দাঁড়ায় নারী-সুন্নত বা নারী-খৎনা। কিন্তু সঠিক নাম ও বিবরণ পাওয়া যায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization, WHO) এবং জাতিসংঘ (United Nations, UN)-এর কাছে, এই প্রথার নাম হল, ফিমেইল জেনিটাল মিউটিলেশন বা FGM, অর্থাৎ নারী-জননাঙ্গের ইচ্ছাকৃত বিকলীকরণ। WHO-র সংজ্ঞা অনুযায়ী, এফ জি এম এর অন্তর্ভুক্ত হল সেই সমস্ত প্রক্রিয়া যা দিয়ে বহির্গত নারী জননাঙ্গের কিয়দংশ বা সম্পূর্ণাংশ কেটে নেওয়া হয়, বা চিকিৎসা-সংক্রান্ত কারণ ছাড়াই নারী যৌনাঙ্গের হানি ঘটানো হয়। 

উইকিপিডিয়াতে এই সংক্রান্ত লেখায় বিস্তারিত বিবরণ আছে। এইগুলো পড়তে গিয়ে আমার নিজেরই একটা শারীরিক রি-অ্যাকশন হচ্ছে, তাই আর সেই বর্ণনায় যাচ্ছি না। শুধু এটুকু বলা দরকার যে, এই কুপ্রথার শিকার যারা, তাদের জীবনে অনেক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। শিশুবয়স থেকে প্রাক্‌যৌবনকাল পর্যন্ত মেয়েদের ওপর এই প্রক্রিয়া আরোপিত হয়ে থাকে। বহু জায়গায়, এই অঙ্গচ্ছেদনের অস্ত্রোপচার যারা করে, তাদের অনেকেরই কোনো চিকিৎসা-শাস্ত্রের জ্ঞান থাকে না, এবং অস্ত্রোপচার করা হয়ে থাকে অ্যানেস্থেসিয়া ছাড়া বা সঠিক জীবাণুশূণ্য পরিবেশ ছাড়া, কখনও বা সঠিক শল্যচিকিৎসার উপকরণ ছাড়াই। অনেক সময়ই অতিরিক্ত রক্তপাতে বা জীবাণু-সংক্রমণে সেই সব মেয়েদের মৃত্যু ঘটে। অনেক রকম গুরুতর লং টার্ম স্বাস্থ্যহানিও ঘটে। যেমন, প্রসাবপথে বা যৌনাঙ্গে সংক্রমণ, বিভিন্ন রকমের ক্ষত এবং বন্ধ্যাত্ব। এরা সারাজীবন যৌনসঙ্গম উপভোগ করতে পারে না, এবং প্রথম যৌনঅভিজ্ঞতা প্রচণ্ড পীড়াদায়ক হয়। প্রসবের সময় অনেক রকমের গণ্ডগোলের সম্ভাবনা দেখা দেয় - প্রসবকালে শিশুমৃত্যু এবং প্রসবের পরে রক্তপাত। 

এই অমানবিক প্রথার প্রচলনের কারণ হিসেবে বলা হয়ে থাকে সংস্কৃতি, ধর্ম আর সমাজ-সম্পর্কিত বিভিন্ন কারণ। কিন্তু আসল যে কারণে এই বর্বর প্রথা শিশুকন্যা এবং মহিলাদের ওপরে আরোপ করা হয়ে থাকে, তা হল মহিলাদের দেহ ও যৌনতার ওপর সম্পূর্ণ অধিকার স্থাপন করা। এবং সেটা অনেকক্ষেত্রে সম্ভবপরও হয়। এফ জি এম মহিলাদের যৌনসুখ - অরগ্যাজম - উপভোগের অন্তরায় হতে পারে। তাছাড়া দেখা গেছে যে এই মহিলাদের বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগের সৃষ্টি হয়ে থাকে, যার পোশাকী নাম হল পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস সিন্‌ড্রোম। সাধারণভাবে যে মহিলারা শারীরিক, মানসিক এবং যৌন নির্যাতনের শিকার হন, তাদের এই সিনড্রোম দেখা যায়। কিন্তু এই প্রথা এই সব সমাজে চলে আসছে, কারণ মনে করা হয় যে, শিশুকন্যাকে বড় করে তোলার জন্য, এবং তাকে বয়োপ্রাপ্তি ও বিবাহের জন্য তৈরী করে তোলার জন্য এটি প্রয়োজনীয়। আসলে মনে করা হয় যে, এফ জি এম-এর ফলে যে যৌনাঙ্গে যন্ত্রণা হয় সেটা তাদেরকে বিবাহ-বহির্ভূত যৌন অভিজ্ঞতায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত করবে। মহিলাদের ব্যক্তিস্বাধীনতা, যৌনস্বাধীনতায় এর থেকে বড় হস্তক্ষেপ আর হয় না, এবং এর থেকে ভয়াবহ যৌন নির্যাতন খুবই কম আছে। 

ধর্মীয় নেতারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে এই বিষয় নিয়ে কথা বলে থাকে। কেউ এটাকে মনে করে ধর্মের সঙ্গে সংযোগহীন, কেউ বলে ধর্মগ্রন্থে এর অনুমোদন নেই। আল-আজহার সুপ্রীম কাউন্সিল অফ ইসলামিক রিসার্চ - মিশরের সর্বোচ্চ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ - একটি বক্তব্য পেশ করেছে এই মর্মার্থে যে, ইসলামে ধর্মীয় কানুনে এফ জি এম-এর কোন অনুমোদন নেই। কিন্তু বিভিন্ন ফিখ-এ (শরিয়তী আইনের অংশ) বলা আছে মহিলাদের প্রিপিউস (মেঢ্রত্বক) ছেদন করার কথা। চতুর্দশ শতাব্দীর আলেখ্য উমদাত আল-সালিক ওয়া-উদ্দাত আল-নাসিক-এ বলা আছে যে, এই ত্বকচ্ছেদন মহিলা এবং পুরুষ দু'জনের জন্যই অবশ্যকর্তব্য। মহিলাদের জন্য সেটা হল ক্লিটোরিসের উর্ধ্বাংশ, আরবী ভাষায় বাজ্‌র। 

প্রতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারিকে জাতিসংঘ ঘোষণা করেছে নারী যৌনাঙ্গের বিকলীকরণের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক দিবস, এই কথা জানিয়ে যে, এই প্রথা মহিলা এবং কন্যাসন্তানের পক্ষে মানবিকতার বিরোধী, এবং এফ জি এম কোনো ধর্মে অনুমোদিত নয়। সাধারণত এফ জি এম-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা বা জনমত গড়ে তোলার দু'রকম উপায় আছে - স্বাস্থ্য বিষয়ক এবং মানবাধিকার বিষয়ক। স্বাস্থ্য বিষয়ক উপায়ে এফ জি এম-এর প্রভাবে মহিলাদের যে শারীরিক এবং মানসিক হানি ঘটে, তার কথা প্রচার করা হয়। কিন্তু যেহেতু এই সব সমাজে মহিলাদের খুব একটা আওয়াজ নেই বা তাদের প্রয়োজনীয়তাকে ততটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না, তাই এই উপায়ে খুব একটা ফলাফল পাওয়া যায়নি। বর্তমানে মানবাধিকার বিষয়ক উপায়ে চেষ্টা করা হচ্ছে, এই উপায়ে চারটে মানবাধিকার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়, মহিলাদের বিরুদ্ধে হিংস্রতা, শিশুদের অধিকার, নির্যাতন থেকে মুক্তি, এবং স্বাস্থ্যের অধিকার ও শরীরী সার্বভৌমত্ব - যেগুলোকে এফ জি এম লঙ্ঘন করে থাকে। 

এই প্রসঙ্গের অবতারণা কেন করলাম? ইন্দোনেশিয়ার ইসলাম-প্রধান দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কয়েকদিন আগে একটি ডিক্রী জারি করে কিছু মেডিকাল প্রফেশনালদের অনুমতি দিয়েছে শিশুকন্যাদের ওপরে এফ জি এম অস্ত্রোপচার করার জন্য। সেই দেশে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে - তাই স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের মাতৃস্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ইনা হার্নাবতী বলেছেন যে, এর উদ্দেশ্য এই যে ইসলামী বিধি মেনে অনেক মা-বাবা তাদের শিশুকন্যাদের এফ জি এম করিয়ে থাকে; অজ্ঞ, মুর্খ লোকেদের দিয়ে সেটা করানো থেকে শিক্ষিত ডাক্তারদের দিয়ে সেটা করানো বেশী স্বাস্থ্যকর। কিন্তু এই ডিক্রীর ফলে পরোক্ষে এই অমানবিক প্রথাকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন সে দেশের মহিলা মানবাধিকারের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

ট্র্যাভেলিং লাইট



"বিবর্তন একেবারেই মিথ্যে"


প্রিয় ইউটিউবার CultOfDusty এবারে রিভার্স খেলছেন। যথারীতি পরম উপভোগ্য।


মরুভূমিজাত ধর্ম রসহীনই হবার কথা



ধর্মের বলাৎকারোন্মুখ শিশ্ন


বেহেশতে প্রতিশ্রুত বৈচিত্র্যময় ইন্দ্রিয়পরায়ণ জীবনে হুরের পাশাপাশি অজস্র গেলমানও থাকবে। নিচের ঘটনা পড়ে মনে হলো, গেলমান নিয়ে বেহেশতে কিংকর্তব্য, সেটা বুঝতে চেয়েছিল এক হুজুর। 

লিংক পাঠিয়েছেন পাদুকা

সাভারে মাদ্রাসা শিক্ষকের ছাত্র বলাৎকার

ঢাকা, ২৬ জুন (শীর্ষ নিউজ ডটকম): সাভারে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। পৌর এলাকার ডগড়মোড়ার দারুল কুরআন মাদ্রাসার (নামটা খিয়াল কৈরা!) নাজারা বিভাগের শিক্ষক ফিরোজ গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে সাইফ উদ্দিন (১২)কে বলাৎকার করেন। এ ঘটনায় মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকসহ এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং ছাত্রের পিতা শিক্ষককে মারধর করলে তিনি পালিয়ে যায়। 

জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় শিক্ষক মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের সাইফ উদ্দিনের কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে জোরপূর্বক তাকে বলাৎকার করে এবং কাউকে বিষয়টি না বলার জন্য বিভিন্ন ভয়-ভীতি প্রর্দশন করে চলে যায়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ায় ও ভয়ে মাদ্রাসার কাউকে কিছু না বলে ওই ছাত্র তার বাড়িতে চলে যায়। এদিকে ছাত্রের পরিবারের লোকজন মাদ্রাসা থেকে অসময় বাড়িতে আসার কারণ জানতে চাইলে সে এ ঘটনা বলে দেয়। এ ঘটনা শুনে ছাত্রের পিতা উত্তেজিত হয়ে মাদ্রাসায় এসে ওই শিক্ষককে প্রকাশ্যে মারধর করে। পরে মাদ্রাসার ছাত্র -শিক্ষকসহ এলাকাবাসী শিক্ষককে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে ছাত্রের পিতা তার ছেলেকে বলাৎকারের বিষয়টি জানায়। আর এ সুযোগে লম্পট শিক্ষক পালিয়ে যায়। (এইটা কী হইলো! আল্লাহপাক ধর্ষকরে পালাইতে দিলো! সে কার দলে?)

এ ব্যাপারে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু বক্কর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ।

ঈশ্বরের বাইবেলপাঠ



ধর্মের শেখানো দুর্নৈতিকতা


অদ্ভুত সুন্দর এক ভিডিও। দেড়-দুই হাজার বছর আগে প্রবর্তিত 'নৈতিকতা' বর্তমান যুগে কেন একেবারেই অচল ও হানিকর, তা সরলভাবে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে এতে। অতিঅবশ্যদ্রষ্টব্য। 


অলৌকিক ঘটনা আর ঘটে না কেন


পাঠিয়েছেন শয়তানের চ্যালা


রবিবার, ২৬ জুন, ২০১১

প্রিয় পুরনো পোস্টগুলো – ৫৩


ধর্মকারীতে পোস্টের সংখ্যা সাতাশশো ছাড়িয়ে গেছে। এই সাইটের খোঁজ যেসব পাঠক সম্প্রতি পেয়েছেন বা ভবিষ্যতে পাবেন, তাঁদের পক্ষে আগে প্রকাশিত মজাদার পোস্টগুলো খুঁজে নেয়া ব্যাপক শ্রম- ও সময়সাধ্য ব্যাপার হবে ভেবেই হারানো-দিনের-পোস্ট ধরনের এই সিরিজের অবতারণা। পুরনো পাপীরাও এই সুযোগে স্মৃতিচারণ করে নিতে পারেন 

প্রতি পর্বে আমার বিশেষ প্রিয় পাঁচটি পোস্টের লিংক দেবো সংক্ষিপ্ত বর্ণনাসহ। শুরু করেছি ধর্মকারীর আদিকাল থেকে।

১. আমার বোরখা-ফেটিশ – ১০ (গান, ভিডিও) 
২. যিশুর ওইটা কী? (বিনোদন সংবাদ) 
৪. এ কী শুনি! (ভিডিও) 

আগের পর্বগুলো দেখতে নিচের "কাসুন্দি" ট্যাগে ক্লিক করুন। 

মুসলিম জাহানে কার্টুনাতঙ্ক - ০৯



আমাদের আত্মীয়েরা – ২৭


অপার কৌতূহল আছে বানরেরও। বিবিসি-র Clever Monkeys নামের ডকুমেন্টারি থেকে নেয়া দু'মিনিটের ভিডিও।


কনডম ভণ্ডামো



ঐশী মানেই ভুয়া


এক মহিলা এয়ারপোর্টে আইসা কইলো, এক প্লেনের ভিত্রে বোমা রাখা আছে। তারে জিগাইল, তুমি কইত্তে জানো? সে কয়, আল্লাহ তারে মেসেজ দিসে। ইমেইলে, মোবাইলে নাকি চ্যাটে, সেইটা অবশ্য জানা যায় নাই। 

রিপোর্ট পাইয়া সাথে সাথে এয়ারপোর্ট ২০ মিনিটের জন্যে ক্লোজড। পুরা খোঁজ দ্য সার্চ দিয়া দেখা গেল, ঈশ্বরের মেসেজ বরাবরের মতোনই ভুয়া। 

মহিলারে ধইরা মেন্টাল হেলথ ফ্যাসিলিটিতে আটকায়া রাখলো। কিন্তু এইটা কি ঠিক কাম হইলো? দেড়-দুই হাজার বছর আগে যারা কোনও প্রমাণ ছাড়াই ঈশ্বর-আল্লাহর মেসেজ পাইসে বইলা দাবি কইরা নবী-রসুল হয়া বইসা আছে, তাগোর মানসিক সুস্থতা নিয়া তো কথা ওঠে না! তারাও তো হয় মেন্টাল কেইস, নয় পুরাই ধড়িবাজ! পাবলিকে এই সোজা কথাটা ক্যান যে বুঝে না! 

যিশু যদি আমেরিকান হতেন



আরও একটি নাস্তিক্যবাদী ছবি?


এক গোঁড়া খ্রিষ্টান আর এক নাস্তিকের দ্বন্দ্ব নিয়ে তৈরি এক ছবি The Ledge মুক্তি পেয়েছে গত মে মাসে। সেই ছবির একটি অংশ ও ট্রেইলার দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিন। আমি খুব বেশি মুভিভক্ত নই বলে দেখিনি এখনও। পাঠকদের কাছ থেকে তেমন প্রতিক্রিয়া পেলে দেখে ফেলতেও পারি 



যুক্তি পরীক্ষা



শনিবার, ২৫ জুন, ২০১১

বিশ্বাসে মেলায় পুত্র?


আমরা, ধর্মহীনেরা, সব সময় ধর্মগুলোর সমালোচনায় মগ্ন। অথচ একটিবারও ভেবে দেখি না, পৃথিবীতে ধর্ম না থাকলে কত্তো বিনোদন থেকে আমরা বঞ্চিত হতাম! 

নিচের বিনোদন সংবাদের লিংক পাঠিয়েছেন মালা আলম। 

একটি পুত্রের আশায় ৩৭ বছর গোসল করেন না কৈলাস
শনিবার, ২৫ জুন ২০১১

আরিফ আহমেদ: ৬৫ বছরের প্রবীণ কৈলাস সিং ১৯৭৪ সালে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে এ পর্যন্ত একটি দিনের জন্যও তিনি গোসল করেননি। শুধু তাই নয়, এতগুলো বছর কোন নাপিতকে স্পর্শ করতে দেননি তার চুল বা দাড়ি-গোঁফ। তার ৬ ফুট দীর্ঘ চুল নির্বিঘ্নে বেড়েছে। নিজের বিচিত্র এ সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কৈলাস সিং বলেন, তিনি এক সন্ন্যাসীর কাছে গিয়েছিলেন। ওই সন্ন্যাসী তাকে বলেছিলেন, তার উপদেশ অনুসরণ করলে কৈলাস একটি সৌভাগ্যবান পুত্র-সন্তান লাভ করবেন। যে বংশের ধারাকে টিকিয়ে রাখবে। অথচ, সন্ন্যাসীর সেই ভবিষ্যদ্বাণী দীর্ঘ ৩৭ বছরেও সফল হয়নি। কারণ, কৈলাস একে একে ৭টি কন্যা-সন্তানের জনক হয়েছেন। এতো কিছুর পরও তাকে দমাতে ব্যর্থ হয়েছেন সবাই। কৈলাস সিংয়ের স্ত্রী কলাবতী দেবী (৬০) বলেছেন, আমার স্বামীর এ ধরনের অবিবেচনা প্রসূত সিদ্ধান্তের কথা শোনার পর আমি তাকে তিরস্কার করেছিলাম। এক পর্যায়ে কান্নাকাটিও করেছিলাম। এমনকি তার সঙ্গে এক বিছানায় ঘুমাবো না বলেও তাকে সাবধান করে দিয়েছিলাম। কলাবতী দেবী বলেন, তিনি আমার স্বামী। সে কারণে আমার এর বেশি আর কিছু করার ছিল না। এদিকে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা একবার জোর করে তাকে নদীতে ফেলে গোসল করানোর প্রচেষ্টার কথাও স্বীকার করেন। স্ত্রী কলাবতী জানান, তিনি আমাদের সঙ্গে একরকম লড়াই করেই পালিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এরপর থেকে বহুবার চেষ্টা করেও তাকে গোসল করাতে ব্যর্থ হয়েছি। আমার স্বামী বলেন, তিনি মরতেও রাজি, তবে গোসল কিছুতেই করবেন না। শুধু একটি পুত্র-সন্তানই তার এ কঠিন ব্রতকে ভাঙতে পারে। বহু বছর পার হয়ে গেছে। এখন আমি এতেই অভ্যস্ত হয়ে গেছি। অবশ্য যত দুর্নামই থাকুক, কৈলাস সিং যে নিজেকে পরিষ্কার রাখার কোন চেষ্টাই করেন না, তা ঠিক নয়। প্রতিদিন সন্ধ্যায় তিনি অগ্নিস্নান বা আগুনের উত্তাপে গোসল করেন। এরপর গাঁজা সেবন করেন, হিন্দু শিব দেবের পূজা করেন ও আগুনের চারপাশে নৃত্য করেন। তার বিশ্বাস, এতেই পরিচ্ছন্নতা বা পরিশুদ্ধি অর্জন করা যায়। ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের প্রচণ্ড গরমে সারাদিন ধরে গরু চরিয়ে ও মাঠের কাজ শেষে ঘর্মাক্ত শরীরে ঘরে ফেরেন কৈলাস। আর তারপর চলে অগ্নিস্নান। গ্রামের মানুষ ও প্রতিবেশীরা তাকে প্রায়ই তিরস্কার করলেও তিনি ঈশ্বরের ইচ্ছা পূরণ করছেন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, সাইকেল চালিয়ে গ্রামের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় শিশুরা আমাকে দেখে তিরস্কার করে। গোসল না করার জন্য বহু মানুষ আমাকে তিরস্কার করেন। তবে আমার এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হবে না। কারণ, এটা আমার নয়, ঈশ্বরের ইচ্ছা। অবশ্য, কৈলাসের ১৬ বছরের মেয়ে পূজা জানায়, পিতার অদ্ভুত সিদ্ধান্ত তাকে আরও জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে। পূজা বলে, আমার স্কুলের বন্ধু-বান্ধবরা আমার পিতাকে এক নজর দেখতে ও সাক্ষাৎ করতে বেশ আগ্রহী। তিনি কিভাবে বিনা গোসলে এত বছর বেঁচে আছেন, তাও জিজ্ঞেস করে। প্রথমদিকে রাগ হলেও, পরিবারের সদস্যদের কাছে ব্যাপারটা এখন স্বাভাবিক। যত যাই হোক, কৈলাস সিংয়ের শেষ কথা, আমার কোন পুত্র-সন্তান নেই। আর তাই, আমি আর কোনদিন গোসল করবো না। তবে, হয়তো পুনর্জন্মের পর আমি আবার গোসল করবো।

ধর্মটোপ



নূরানী অন্ধকারে যাদের বাস


কানাডার টরন্টোয় এক মসজিদে শরিয়া আইন অনুযায়ী চোরের হাত কেটে নেয়া, পরপুরুষ- বা পরনারীগমনের ('ব্যভিচার' শব্দটি আমার কাছে কুৎসিত ঠেকে) কারণে নারীকে পাথর ছুঁড়ে হত্যার সপক্ষে কথা বলা হয়েছে।

বুঝি না, এরা কেন যে সেই দেশগুলোয় যায় না, যেখানে তারা আপন মনের মাধুরী মিশায়ে পাথর ছুঁড়িয়া মারিলে বা তস্করের হস্তদ্বয় শরীর থেকে অলাদা করে ফেললে সেটাকেই গণ্য করা হবে ন্যায়বিচার হিসেবে!

এ নিয়ে বারো মিনিট দীর্ঘ ভিডিও রিপোর্ট। 


ইছলামী আইফোন



ক্যান্সার ও এইডস এখন নিরাময়যোগ্য


বিশ্বাসনির্ভর নিরাময় পদ্ধতি বা ফেইথ হীলিং-এর কাছে ক্যান্সার-এইডসও এখন তুচ্ছ ব্যাপার! কেন যে বৈজ্ঞানিকেরা গবেষণা নামের পণ্ডশ্রমে নিজেদের জড়ায়! 

বিবিসি-তে বাইশে জুনের রিপোর্ট। 


তোরা যে যা বলিস, ভাই...


... আমার শোনার সময় নাই। আমি এক-বইয়ের পাঠক।


যিশু না দেখলেই হলো



শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০১১

অপচয়


লিখেছেন থাবা বাবা 

এক নাস্তিকের সমাধিলিপি পোস্টটা পড়ে আমার নিজের একটা লেখার কথা মনে পড়ে গেল। প্রায় বছরখানেক আগের লেখা। 

ছোটবেলার একটা কথা দিয়ে শুরু করি! আমি তখন বেশ ছোট। মা'র চাকরির সুবাদে সারাদিন বাসায় দাদীর কাছে থাকতাম। দাদীই জোর করে ধরে-বেঁধে খাওয়াতেন। এক একটা লোকমা বানিয়ে এটা হাঁসের ডিম ওটা বকের ডিম ইত্যাদি বলে বলে খাওয়ানোর কথা এখনো মনে আছে। আমার পিচ্চি ভাগ্নিকে যখন তার দাদী এখন সেভবেই খাওয়ায় আমার নিজের দাদীর কথা মনে পড়ে যায়। সে কথা থাক!

একটু বড় হয়ে যখন নিজের হাতে খেতে শিখলাম, আমাকে তখন থালায় করে নিজের হাতে খেতে দেয়া শুরু হলো তখন খেতে বসে থালা থেকে ভাত মুখে যাবার থেকে মেঝেতে বা টেবিলেই বেশী ছড়াতো। সেটা দেখে দাদী কী করতেন মনে নেই। তবে আরো একটু বড় হবার পর মানে আমার মধ্যে খানিকটা ধর্মীয় সংস্কার ইনজেক্ট করার পর এরকম ভাত পড়লে দাদীর কাছে যে বকুনিটা শুনতে হতো সেটা হলো ভাত নষ্ট করতে হয় না। ভাত নষ্ট করলে প্রতিটা ভাতের দানার জন্য দোজকে সত্তুরটা সাপ এসে আমাকে কামড়াবে। প্রশ্ন করতাম "কেন"? দাদী খুব ধৈর্যের সাথে উত্তর দিতেন "দানা নষ্ট করতে হয় না। দানা আল্লার দান, তাই দানা নষ্ট করলে আল্লার গুনাহ দেন", গুনাহ শব্দের অর্থ তখন মোটামুটি বুঝতে শিখেছি। আর দাদীর কাছে কাসাসুল আম্বিয়ায়ার দোজকের গল্প শুনে ভয় ভালই হতো। তাই চেষ্টা করতাম কতো কম সাপের কামড় খাওয়া যায়। 

মোটামুটি ৭০টা সাপের কামড়ে অভ্যস্ত হয়ে যাবার পর আমার মাথায় প্রশ্ন আসা শুরু করলো। আচ্ছা, রুটি নষ্ট করলে কয়টা সাপে কামড়াবে? রুটি হয় আটা থেকে, আটা যে গম থেকে হয় আর গম যে "দানা" সেটা আমার জানা ছিল না তখন। তাই দাদীকে জ্বালাতাম যে, এক টুকরা রুটি নষ্ট করলে কয়টা সাপে কামড়াবে বলে। দাদী উত্তর দিতে পারতেন না। শুধু রুটি না দুধ, কলা, সুজি, ইত্যাদি যে সব জিনিস দানা না সেগুলো নষ্ট করলে কতোগুলো সাপে কামড়াবে! দাদী প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতেন না, সেটাই স্বাভাবিক। তবে প্রশ্নে প্রশ্নে জর্জরিত হয়ে দাদী রেগে যেতেন এতো প্রশ্ন করতাম বলে! যে কথা বলে আমার অন্যান্য ভাই-বোনদের ঠাণ্ডা করতে পারতেন সেটা বলে আমাকে ঠান্ডা করা যাচ্ছে না দেখে শেষে বিরক্ত হয়ে আসল কথাটা বলতেন যে খাবার নষ্ট করা গুনাহর কাজ, অন্যায়! তবে বড় হতে হতে এই শিক্ষাটা দাদীর কাছে পেয়েছি যে, অপচয় করা অন্যায়!

অপচয়কারীকে ইসলামে শয়তানের ভাই হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই কারণ আমরা কোনো জিনিস নষ্ট করি না। এমনকি আমাদের গৃহপালিত ভক্ষ্য পশু-পাখিগুলোও অপচয় রোধের হাত থেকে রেহাই পায় না। আমাদের বাড়িতেই একটা বুড়ো গরু ছিল। এক দিন শুনলাম সেটাকে জবাই করা হবে। কারণ সেটা বুড়ো হয়ে গিয়েছে, কদিন পরে সে এমনিতেই মরে যাবে। তাই তাকে মেরে খেয়ে ফেলা হবে। একটা গৃহপালিত গরুও স্বাভাবিকভাবে মরতে পারে না! কারণ মরা গরু খাওয়া হারাম! আর সেটা খুব বড় একটা অপচয়!

আমরা অপচয় রোধে কী না করি! ইদানীং বিদ্যুৎ ঘাটতির দিনে সরকার পর্যন্ত বিদ্যুৎ অপচয় রোধে অনুরোধ জারি করেছে যে, আমরা যেন সন্ধ্যা ছ'টা থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত এয়ার-কন্ডিশান না চালাই। তাতে বিদ্যুৎ অপচয় হয়! এরকম অপচয়রোধক অনেক পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি, নিচ্ছি, নিতেই থাকবো। আর সেটা যে কোনো ধর্মীয় দিক দিয়েও শিক্ষা দেয়া হয়। আমাদের সমাজ-সংসার-ধর্ম প্রতিনিয়ত আমাদের এই শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে যে, আমরা যাতে অপচয় না করি।

কিন্তু এত্তো এত্তো শিক্ষা পাবার পরেও আমাদের অপচয়ের হাত খাট হচ্ছে না। সবচেয়ে মিতব্যায়ী মানুষটাও তার মৃত্যুর পর অপচয়ের মচ্ছবে লেগে যান।

মানুষের মৃত্যুর পর তার দেহটা নষ্ট করে ফেলা হয়। কেউ মাটি চাপা দেয়, কেউ আগুনে পোড়ায়। কিন্তু মোদ্দা কথা হলো দেহটা নষ্ট হয়ে যায়। পার্শিয়ান অগ্নি উপাসকদের সম্পর্কে যখন প্রথম পড়ি তখন জেনেছিলাম যে তারা মৃত্যুর পর দেহ কবরেও দেয় না অথবা আগুনেও পোড়ায় না। তারা একটা উঁচু জায়গায় মৃতদেহটা রেখে দিয়ে আসে। যাতে দেহটা শকুনে খেয়ে ফেলতে পারে! একটা কাজে তো লাগে, কিছু প্রাণী খাদ্য পায়!

এখন বিজ্ঞান অনেক উন্নত। মানুষে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করা কোনো ব্যাপারই না, যেটা কয়েক দশক আগেও কঠিন ছিল। এখন অহরহই শুনি চক্ষুদান, কিডনীদানের ঘটনা। জীবিত মানুষের থেকে তো সেটা নেয়াই যায়, এখন প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কল্যাণে মৃত মানুষের শরীর থেকেও অঙ্গ নেয়া যায় সহজেই।

পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত মানুষ রোগে-শোকে ভুগে মরে যাচ্ছে। তাদের একটা বড় অংশ আছে, যাদের শরীরে একজন সুস্থ মানুষের সুস্থ প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করলেই বেঁচে যেতে পারে। অনেক দৃষ্টিহীন আছেন যাদের চোখে কর্ণিয়া প্রতিস্থাপন করলেই দৃষ্টি শক্তি ফিরে পেতেন। কিডনী ফেইল করে ভুগছে মানুষ। একটা সুস্থ কিডনি প্রতিস্থাপন করলে হয়তো বেঁচে যেতে পারে। সেভাবে হার্ট, লিভারও প্রতিস্থাপন করা যায়, চিন্তা করা যায় কতোজন মানুষ আবার সুস্থ হয়ে বেঁচে যেতে পারে শুধু একটি অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে?

মানুষের ইনার অর্গান ছাড়া মানুষের বেঁচে থাকা সম্ভব না। তাই ইনার অর্গান ফেইল করলে বা সেটা ঠিক মতো না চললে মানুষে মৃত্যু প্রায় অবধারিত। তখনই সেই অর্গান বা অঙ্গের প্রতিস্থাপনের প্রশ্নটা আসে। কিন্তু যার কাছ থেকে সেই অঙ্গটা নেয়া হবে তার কী হবে? সে মানুষটা তো তার দান করে দেয়া অঙ্গটার অভাবে মৃত্যুমুখে পতিত হবে! তাই একজন মানুষ তার একমাত্র অঙ্গ দান করতে পারে না তার নিজের বেঁচে থাকার জন্য। কিডনী দান করা যায়, বা চক্ষু দান করা যায় কারণ একটা দান করলেও আরেকটা তো থাকে।

জীবিত মানুষের কাছ থেকে অঙ্গ নেয়া যায় না কারণ মানুষটির তো বেঁচে থাকার জন্য নির্দিষ্ট অঙ্গটির প্রয়োজন। কিন্তু একজন মৃত মানুষ? তার তো আর শরীরের দরকার নেই, অঙ্গের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় তার জন্য! তার কাছ থেকে তো সহজেই অর্গান নিয়ে একজন অসুস্থ বা মৃত্যুপথযাত্রী মানুষ সুস্থ হয়ে উঠে বেঁচে থাকতে পারে, এবং আজকের দিনে সেটা সম্ভব।

তাই মৃত্যুর পর দেহটাকে মাটি চাপা দিয়ে বা আগুনে নিক্ষেপ করে ধ্বংস করে দেয়া একটা বিশাল অপচয়। দেহটাকে ধ্বংস না করে সেটাকে মানবকল্যানে ব্যবহার করা যায়। দেহটাকে ধ্বংস করে না দিয়ে তার অঙ্গগুলো দান করে দিলে আরো কয়েকজন মানুষ সুস্থ হয়ে বেঁচে উঠতে পারে!

আমরা আজকাল রিসাইক্লিং এর কথা বলি। কিন্তু নিজেকে রিসাইকল করার কথা বলি না। সারাটা জীবন অপচয় রোধে আন্দোলন করে মৃত্যুর মাধ্যমে সবচেয়ে বড় অপচয়টা করি! আমরা একবারও ভাবি না আমার মৃতদেহ দাহ না করে বা কবর না দিয়ে দেহটা মানবকল্যানে দান করে দিলে কমপক্ষে একটা মানুষের জীবন ফিরিয়ে দেয়া যেত! ভুলে যাই "জীবে দয়া করে যেই জন/সেই জন সেবিছে ঈশ্বর (!!!!!!)"!

আমরা আসলেই শয়তানের ভাই! নইলে সুযোগ থাকতেও অসংখ্য মানুষের জীবন না বাঁচিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেই!!!

* থাবা বাবার লেখাটির জন্য উপযুক্ত ছবি খুঁজতে গিয়ে কিছু চমৎকার পোস্টার পাওয়া গেল নানান আকারের। সেসব জুড়ে দিচ্ছি। 









নিত্য নবীরে স্মরি – ৩৫



নির্ধর্মীয় সঙ্গীত: Hasa Diga Eebowai


অ্যাত্তো মজাদার ব্ল্যাসফিমাস গান আর শুনেছি বলে মনে হয় না। একেবারেই 

বড়োই মনোগ্রাহী সুর, সরস, বুদ্ধিদীপ্ত লিরিকস। ভাবছেন, Hasa Diga Eebowai মানে কী? উগান্ডার ভাষায় এর মানে হলো... না, বললে মজা নষ্ট হয়ে যাবে। অতি উৎসাহীরা গুগলিয়ে মানে বের করে পরে গান শুনলে অনেকখানি মজা থেকে বঞ্চিত হবেন কিন্তু। 

ভিডিওটা ঠিক ভিডিও নয়। তাতে লিরিকস এমবেড করা শুধু।

গানটিতে কড়া শব্দের প্রয়োগ আছে। অতএব খিয়াল কৈরা! 


লিরিকস:

MAFALA
In this part of Africa, we ALL have a saying – whenever something bad happens, we just throw our hands up to the sky and say HASA DIGA EEBOWAI!

ELDER CUNNINGHAM
Hasa Diga Eebowai?

MAFALA
It's the only way to get through all these troubled times. There's war, poverty, famine...but having a saying makes it all seem better!

There isn't enough food to eat.
Hasa Diga Eebowai.
People are starving in the street.
Hasa Diga Eebowai.
Hasa Diga Eebowai!
Hasa Diga Eebowai!

ELDER PRICE
Well, that's pretty neat!

ELDER CUNNINGHAM
Does it mean no worries for the rest of our days?

MAFALA
Kind of!

We've had no rain in several days. (Hasa Diga Eebowai!)
And eighty percent of us have AIDS. (Hasa Diga Eebowai!)
Many young girls here get circumcised,
Their clits get cut right off. (Way oh!)
And so we say up to the sky
Hasa Diga Eebowai!
Hasa Diga Eebowai!
Hasa Diga Eebowai!

Now you try. Just stand up tall, tilt your head to the sky, and list all the bad things in YOUR life.

ELDER CUNNINGHAM
Somebody took our luggage away. (Hasa Diga Eebowai!)

ELDER PRICE
The plane was crowded and the bus was late. (Hasa Diga Eebowai!)

MAFALA
When the world is getting you down,
There's nobody else to blame. (Way oh!)
Raise a middle finger to the sky,
And curse his rotten name.

ELDER PRICE
Wait, what?

ELDER CUNNINGHAM
Hasa Diga Eebowai!
Hasa Diga Eebowai!
Am I saying that right?

ELDER PRICE
Excuse me, sir, but what EXACTLY does that phrase mean?

MAFALA
Well, let's see...'Eebowai' means 'God', and 'Hasa Diga' means 'FUCK YOU'. So I guess in English it would be, "Fuck you, God!"
Hasa Diga Eebowai!

ELDER PRICE
What?!!

MAFALA
When God fucks you in the butt. (Hasa Diga Eebowai!)
Fuck God back right in his cunt. (Hasa Diga Eebowai!)

Hasa Diga Eebowai! (Fuck you, God!)
Hasa Diga Eebowai! (Fuck you, God!)

ELDER PRICE
Excuse me, sir, but you should really not be saying that. Things aren't always as bad as they seem.

MAFALA
Oh, really? Well, take this fucking asshole, Mutumbo, here. He got caught last week trying to rape a baby.

ELDER PRICE
What!? Why?

MAFALA
Some people in his tribe believe that having sex with a virgin will cure their AIDS. There aren't many virgins left, so some of them are turning to babies.

ELDER PRICE
But...that's horrible!

MAFALA
I know!

(Hasa Diga Eebowai!)
Here's the bucher, he has AIDS.
Here's the teacher, she has AIDS.
Here's the doctor, he has AIDS –
Here's my daughter she has A...
...Wonderful disposition.
She's all I have left in the world.
And if either of you lays a hand on her –
I will give you my AIDS.

If you don't like what we say 
Try living here a couple days.
Watch all your friends and family die.
Hasa Diga Eebowai!
Fuck you!

Hasa Diga Eebowai!
Fuck you, God, in the ass, mouth, and cunt-a
Fuck you, God, in the ass, mouth, and cunt-a
Fuck you, God, in the ass, mouth, and cunt-a
Fuck you in the eye!

Hasa Diga Eebowai! 
Fuck you, God, in the ass, mouth, and cunt-a
Fuck you, God, in the ass, mouth, and cunt-a
Fuck you, God, in the ass, mouth, and cunt-a
Hasa – fuck you in the other eye!

Hasa Diga Eebowai! 
Fuck you, fuck you God
Hasa Diga Eebowai! 
Fuck you, fuck you God
Hasa Diga Eebowai! 
Fuck you, fuck you God

Hasa Diga!
Fuck you God!
In the cunt!