আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০১১

হুজুরের কী দোষ?


লিখেছেন হৃদয়াকাশ

শীর্ষ নিউজ ডটকম এর বরাত দিয়ে ২৭ জুন, ২০১১ ধর্মকারীতে একটা পোস্ট ছাড়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সাভারের এক মাদ্রাসার শিক্ষক তার মাদ্রাসার ১২ বছর বয়সী এক ছাত্রকে বলাৎকার করেছে। এ বিষয়ে হুজুরের পক্ষ হয়ে আমার কিছু বলবার আছে। আমার বক্তব্য শেষে আপনারা রায় দেবেন, ঐ ঘটনায় কার দোষ? ঐ হুজুর, না অন্য কারোর?

হযরত আনাস (রা.) তাঁর ‘তফসির মাজহারি’ ভলিউম ১২, পৃষ্ঠা ৯৪ তে বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর রাসূল বলেছেন, “যে ব্যক্তি স্বীয় হস্তদ্বয়ের সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় ( অর্থাৎ হস্তমৈথুন করে), সে অভিশপ্ত।” এই একই বিষয়ে বলেছেন আতা (রা.)। তিনি বলেছেন, “ কিছুসংখ্যক লোক এমনভাবে পুনরুত্থিত হবে (হাশরের ময়দানে) যেন তাদের হস্তদ্বয় গর্ভবতী। আমার মনে হয় তারা সেই লোক যারা হস্তমৈথুন করে।”

এতে পরিষ্কার যে হস্তমৈথুন করে যৌনসুখ উপভোগ ইসলামে নিষিদ্ধ। কারণ তাহলে তাদের হাত শেষ বিচারের দিনে গর্ভবতী হয়ে আল্লার কাছে ঐ ব্যক্তির অপকর্মের সাক্ষ্য দেবে।

এখন দেখা যাক, বেহেশতের ভোগবিলাসের বর্ণনায় হুরদের পাশাপাশি কোরানের ৫২ নম্বর সূরা তূর এর ২৪ নম্বর আয়াতে কাদের কথা বলা হচ্ছে। “এবং তাহাদের পার্শ্বে তাহাদের দাসগণ ঘুরিয়া বেড়াইবে, তাহারা যেন প্রচ্ছন্ন মুক্তাস্বরূপ।”

এই মুক্তাসদৃশ বালকগণের কাজ কী? তারা কি থাকবে বেহেশতিদের রুচি পরিবর্তনের জন্য? হ্যাঁ, ৭২ জন হুরীর সঙ্গে যোনীপথে সঙ্গম করতে করতে যদি মুমিন মুসলমানরা একঘেঁয়েমি বোধ করে, তখন তারা সেই সব মুক্তাসদৃশ বালকদের ব্যবহার করতে পারবে ভিন্নরকম যৌনসুখ লাভের জন্য। এই জন্যই তো মাঝে মাঝে মাদ্রাসার হুজুর কর্তৃক ছোট ছোট ছেলেদের বলাৎকার করার খবর পত্রিকায় বের হয়, যা সম্পূর্ণ ইসলামসম্মত বলেই বোধ হয়। কারণ, বেহেশতে আল্লা গেলমানের ব্যবস্থা রেখেছে। এখন দুনিয়া থেকেই যদি গেলমান ব্যবহারের তরিকাটা শিখে যাওয়া না হয়, তাহলে তো বেহেশতে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা।

এই সব বিষয় মাদ্রাসার হুজুরেরা জানে, কিন্তু ছোট ছোট পোলাপানেরা তো তা আর জানে না। তাই তারা বাপ মাকে ব্যাপারটা বলে দেয়। আবার এইসব বিষয় জানে না সাধারণ পাবলিকও। তাই তারা হুজুরদের এ ধরনের কাজে অন্যায় খুঁজে পায়, তাদের মারধোর করে, চাকরি থেকে বহিষ্কার করে; যা সম্পূর্ণ অন্যায়। বলাৎকার যদি অন্যায়ই হতো তাহলে তো আল্লা ‘সম্পূর্ণ জীবন বিধান’ ইসলামে এর শাস্তির একটা ব্যবস্থা রাখতোই। কিন্তু ইসলামের কোথাও কি এর জন্য শাস্তির কোনো বিধান আছে? না, নাই। বরং শাস্তির ব্যবস্থা আছে যৌনউত্তেজনা প্রশমন করার জন্য ঘরের কোণে বা বাথরুমে বসে হস্তমৈথুন করলে। সাব্বাশ। এই না হলে সম্পূর্ণ জীবন বিধান!

হস্তমৈথুন করে তুমি বীর্যপাত করবে কেনো ? বীর্যপাত করবে দাসীদের যোনীর মধ্যে। তাদের বিয়ে না করলেও চলবে। কারণ, আল্লা মুমিন মুসলমানদের জন্য কোরানের মাধ্যমে দাসীদের ভোগ করা জায়েজ করে দিয়েছেন। দাসী যদি না থাকে বিয়ে করো, এক থেকে চার। সে হোক না তোমার মামাতো, খালাতো, চাচাতো বোন বা ছেলের বউ। বয়স হোক না তার ছয় থেকে পঞ্চাশ; তাতে কিছু যায় আসে না। তারপর তুমি উপযুক্ত মোহরানা দিয়ে তার যোনীর দাম পরিশোধ করে তাকে তোমার জন্য হালাল করে নাও। মনে রাখতে হবে, ঐ মোহরানা কিন্তু নারীদের অধিকার; তাদের সম্মান। পুরুষদের কাছে নিজের দেহ তুলে বা খুলে দেওয়ার বিনিময়ে যা তারা অর্জন করে। 

এই সামর্থ্য না থাকলে সর্বোচ্চ তিন দিন এবং সর্বনিম্ন তিন ঘণ্টার জন্য মুতা বিয়ে করো। তারপর তার যোনীতে তোমার বীর্যপাত করো। কিন্তু হস্তমৈথুন করে তুমি তোমার বীর্যের অপচয় করতে পারবে না। কারণ, ইসলামের জনসংখ্যা বাড়ানো দরকার। কেননা, নবী বলেছেন, সংখ্যায় তিনি অন্যদের পরাস্ত করবেন। 

অর্থসমস্যা বা বিভিন্ন কারণে মুমিন মুসলমানরা যখন ইসলামের এতগুলো নারী সম্ভোগ ব্যবস্থার কোনোটিই হাতের নাগালে পায় না, তখন তারা উত্থিত লিঙ্গের দিকে যেই নিজের হাত বাড়ায়, অমনি তার মনে পড়ে হাদিসের হুশিয়ারি, হাশরের ময়দানে গর্ভবতী হস্তদ্বয়। কিন্তু যৌনউত্তেজনা তো আর কোনো আইন মানে না। তখন মাদ্রাসার হুজুরদের মনে পড়ে ছোট ছোট বালকদের কথা। যাদের সে হাতের নাগালে পায়। মাদ্রাসার হুজুর হওয়ার কারণে সব ছাত্রই যেখানে তাদের শ্রদ্ধা করে। হুজুর বুঝতে পারে, এদের কাছ থেকে বিপদের সম্ভাবনা কম। তাই তারা তাদের পছন্দের মুক্তাসদৃশ কাউকে ডেকে পাঠায় তাদের নির্জন কক্ষে। কিন্তু অবোধ বালক সাইফ উদ্দিন (১২) ইসলামী জীবন বিধানের এই ব্যাপারটা বুঝতে পারে নি। তাই সে তা বলে দেয় তার বাপকে। তারপর মারধোর খেয়ে ফিরোজ হুজুরকে ছাড়তে হয় মাদ্রাসা। এতে হুজুরের কী দোষ? সে তো ইসলামের বাইরে কিছু করে নি। আল্লা বেহেশতে যার ব্যবস্থা রেখেছে, দুনিয়ায় সেটা করলে দোষ কী? সেই জন্যই তো আল্লা ব্যাভিচারের জন্য পাথর ছুঁড়ে হত্যা করার মতো ভয়ংকর শাস্তির ব্যবস্থা রাখলেও এইটার জন্য শাস্তির কোনো ব্যবস্থা রাখে নি। পুরুষ মাত্রেরই যৌনউত্তেজনা হয়, তারও হয়েছে। হস্তমৈথুন করা নবীর অপছন্দ বলে সে তা করে নি। কোনো প্রকারেই কোনো ধরণের বিয়ে তার পক্ষে এখন করা সম্ভব নয় বলে সে বলাৎকারের মতো নির্দোষ ব্যাপারটিকেই বেছে নিয়েছে। এতে ধর্মও ঠিক থাকলো, আবার নিজের সমস্যার সমাধানও হলো। তাহলে ঐ হুজুরের কী দোষ? তাকে কেন মারধোর করে ঐ মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়া হলো বা কেনোই তাকে চোরের মতো পালাতে হলো? দোষ যদি কিছু থেকে তা ইসলাম, মুহম্মদ ও আল্লার। হুজুরের কোনো দোষ নেই। কারণ, মাদ্রাসার হুজুর হয়ে সে তো ইসলামের বাইরে যেতে পারে না।

গোপন ওহী : আল্লা পাক ধর্ষকরে পালাইতে দিলো; কারণ, আল্লা বলাৎকারকারী হুজুরের পক্ষে। যেহেতু সে ইসলামের বিধানের বাইরে যায় নাই এবং আল্লা তারে প্রতিশ্রুতি দিছে অন্য কোনো এক মাদ্রাসায় তারে আবার সেট কইর‌্যা দিবো। যেহেতু সে আরবি পড়তে পারে এবং জোব্বা পাজামা সহ মাথায় টুপি পরে। তার কোনোদিন রুজির কোনো অভাব হইবো না, যতদিন দুনিয়ায় ইসলাম এবং মূর্খ মুসলমান আছে। তবে শর্ত হচ্ছে, যখনই সে এই ধরণের কোনো কার্য করিবে, তখনই তাকে স্থান ত্যাগ করিয়া অপরিচিত কোনো নতুন স্থানে গমন করিতে হইবে। এইটাকে হিজরতও বলা যাইতে পারে।

এই কথাগুলো এতক্ষণ যাদের উদ্দেশ্যে বয়ান করলাম, তারা বলেন, কার দোষ ? হুজুর, ইসলাম, নবী না আল্লার ????

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন