আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ১৯ জুন, ২০১১

যাবতীয় ধর্ম > হয়ে রবে বর্ম > করো অপকর্ম


১.
ইহুদি ধর্মীয় আদালতের বিচারকেরা এক কুকুরকে পাথর ছুঁড়ে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সৌভাগ্যক্রমে, নির্দেশ পালিত হবার আগেই কুকুরটি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। 

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ঘোর রক্ষণশীল ইহুদীদের এই আদালতের সামনে অতিকায় একটি কুকুর এসে ঘেউ-ঘেউ করতে শুরু করলে বিচারকেরা ভীত হয়ে পড়ে কুকুরটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। তখন উপস্থিত বিচারকদের একজনের স্মরণে আসে, বছর বিশেক আগে এক সেক্যুলার আইনজীবী আদালতের বিচারকদেরকে অপমান করেছিলেন। আদালত তখন তাঁকে অভিশাপ দিয়েছিল এই বলে যে, ইহুদিধর্মে ঘৃণ্য প্রাণী কুকুরের দেহে তাঁর আত্মা ভর করবে। সেই অভিশাপ বাস্তবায়িত হয়েছে জ্ঞান করে আদালত কুকুরটির মৃত্যুদণ্ড দেয়। 

বুঝি না, ধর্মবিশ্বাসী হলেই কি যুক্তিবুদ্ধি লোপ পায়?

(লিংক পাঠিয়েছেন: প্রিয়াম শংকর ঘোষ)

২.
মানবজীবন পত্রিকার খবর: দেবতার নির্দেশে হত্যা করেছি বাবাকে

চুনারুঘাট প্রতিনিধি: দেবতার নির্দেশেই বাবাকে হত্যা করেছি। বাঘু ও শীতলী পুজো পালনে বাধা দেয়ার কারণেই দেবতা বাবাকে বলি দেয়ার হুকুম দিয়েছেন। তাই বাবাকে হত্যা করে দেবতার কথা রেখেছি। পুলিশের হাতে বন্দি ঘাতক শ্রীধাম ঝড়া (৩০) পিতা হত্যার দায় স্বীকার করে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। তার বাড়ি উপজেলার চাকলাপুঞ্জি চা বাগানের মেইল লাইন বস্তিতে। ১৬ই জুন রাত প্রায় সাড়ে ৯টায় সে তার বাবা কমল ঝড়া (৫০) কে মন্দিরের সামনে ত্রিশূল দিয়ে খুন করে। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। গতকাল শুক্রবার শ্রীধামকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়। শ্রীধাম জানান, তার বাবা কমল ঝড়া একজন মাতাল। তিনি দেবতা বিশ্বাস করেন না। প্রকারান্তরে শ্রীধাম পুজো-পার্বণে বিশ্বাসী। এ নিয়ে প্রায়শই বাবা এবং ছেলের মাঝে ঝগড়া লেগে থাকতো। এছাড়া শ্রীধামের মা প্রমিলা ঝড়াকে বহু আগেই সংসার থেকে তাড়িয়ে দেয় কমল ঝড়া। এ কারণেও বাবা-ছেলের মাঝে কথা কাটাকাটি হতো। শ্রীধাম তার বাড়ির পাশেই একটি রাম মন্দির নির্মাণ করে এখানে বিভিন্ন দেব-দেবীর পুজো করে আসছিল। এ বিষয়টি বাবা কমল ভাল চোখে দেখেননি। ঘটনার দিন দুপুরে পুজো নিয়ে উভয়ের মাঝে ঝগড়া হয়। এ কারণে মন খারাপ হয় শ্রীধামের। সে দিনেই ঘুমিয়ে পড়ে। হঠাৎ সে স্বপ্নে দেখে বাঘু দেবতা তার সামনে এসে বলছেন, তুই যদি আমাকে পেতে চাস তাহলে তোর বাবাকে আমার সামনে বলি দিতে হবে। এ কথার পরই শ্রীধাম তার বাবাকে দেবতার পদচরণে উৎসর্গ করে (খুন) মরদেহের পাশে বসে থাকে। ওসি সৈয়দ মাহমুদুর রহমান ও দারোগা নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন। শ্রীধামের স্ত্রী সঞ্চিতা ঝড়া এ ঘটনার ব্যাপারে কিছুই বলেন নি। 

(লিংক পাঠিয়েছেন: মালা আলম)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন