আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০১১

ইছলামী বিনোদনপাঠ – ০২


বাংলাদেশের দৈনিক পত্রিকাগুলোয় প্রায় প্রতিদিনই ইছলামী একটি-দু'টি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। এতোদিন কখনও ওসবের পাশ মাড়াইনি। এখন মনে হচ্ছে, অনেক কিছু মিস করেছি। একটি বিনোদনী সিরিজ চালু করে ফেললাম। পাঠকেরা তাদের চোখে পড়া লেখার লিংক পাঠাবেন, আশা করছি। শুধু পত্রিকার নিবন্ধ কেন, ইছলামী অজস্র বইও (যেমন, মোকছেদুল মোমেনিন) অনন্ত বিনোদনের খোরাক হতে পারে। মোদ্দা কথা, পাঠকদের ইনপুট চাই।

আজকের পর্বটি খুব বিনোদনী নয় অবশ্য। তবে চলে। বিশেষ অংশগুলো হাইলাইট করে দিচ্ছি। ব্র্যাকেটবদ্ধ অংশগুলো আমার মন্তব্য ও প্রশ্ন।

(প্রথম আলো)

ইসলামের বিধান অনুযায়ী, প্রত্যেক শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য শিশুশ্রম নিষিদ্ধ। অথচ সমাজজীবনে এমন কোনো ক্ষেত্র নেই, যেখানে অল্পবয়স্ক শিশুদের কাজ করতে দেখা যাবে না। হতদরিদ্র পিতা-মাতা সংসারে শিশুরা অর্থ উপার্জনে অগ্রসর হয়। সরকার শিশু অধিকার রক্ষা ও শিশুশ্রম নিরসনে অঙ্গীকারবদ্ধ। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে হঠাৎ করেই শিশুশ্রম বন্ধ করা সম্ভব নয়। তাই যতটা সম্ভব শিশুর কর্মস্থল ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ করা প্রয়োজন। ইসলামের শ্রমনীতিমালা অনুসারে কাউকে তার সামর্থ্যের বাইরে দায়িত্ব প্রদান করা সমীচীন নয়। এ মর্মে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ কারও ওপর এমন কোনো কষ্টদায়ক দায়িত্ব অর্পণ করেন না, যা তার সাধ্যাতীত।’ (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৮৬) 

(একেবারেই অপ্রাসঙ্গিকভাবে গায়ের জোরে ঢোকানো হলো কোরানের আয়াত! অথচ আল্লাহপাক কিন্তু জোরজুলুমের বিরুদ্ধে।)  

অথচ দেশে এক কোটি শিশু কায়িক শ্রমে নিয়োজিত। দারিদ্র্যের কারণে দেশের হাজার হাজার শিশু ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত রয়েছে। শিশু নির্যাতনও বাড়ছে। শিশুদের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম, যেমন—উটের জকি, অঙ্গহানি করে ভিক্ষাবৃত্তি, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে বাধ্য করা হয়। এ ধরনের প্রতিটি কাজ ইসলামে অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সামগ্রিকভাবে শিশুদের নিপীড়নমূলক এসব কাজ থেকে মুক্তি দিতে ধর্মীয় সচেতনতা ও সামাজিক আন্দোলনের পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারিভাবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘তাদের সামর্থ্যের অধিক কাজ করাতে চাইলে তাদের সহযোগিতার হাত প্রসারিত করো এবং তাদের ওপর শক্তির অধিক কাজ চাপিয়ে দিয়ো না।’ (বুখারি)

(এখানেও একই কেইস! ধারণা করা যায়, উপরোক্ত বাণীটি নবীজি শিশুশ্রম বিষয়ে বলেননি। বলে থাকলে স্বীকার করতেই হবে, তিনি শিশুশ্রমের পক্ষেই ছিলেন।) 

আজ যারা শিশু, আগামী দিনে তারাই যুবক। শিশুরাই সুশোভিত ও গৌরবময় আগামীর পথনির্দেশক। উন্নত ও ধনী দেশে শিশুরা সব ধরনের অধিকার পেলেও দরিদ্র দেশগুলোতে তারা অধিকারবঞ্চিত থেকে যায়। শিশুশ্রমিক যেমন শহরে আছে, তেমনি গ্রামেও আছে। দেশে বিপুলসংখ্যক শিশুশ্রমে নিযুক্ত থাকায় একদিকে যেমন তারা সুন্দর ও নিরাপদ শৈশব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। আজকের শিশুদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে আগামী দিনের সুন্দর পৃথিবী। আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন, ‘ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বা শিশুরা পার্থিব জীবনের শোভা।’ (সূরা আল-কাহ্ফ, আয়াত: ৪৬) 

(লেখকের অকারণ কোটেশন দেয়ার প্রবণতা দেখে স্কুলবালকদের কথা মনে পড়ে যায়।)

... ইসলামের নৈতিক শিক্ষা, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও ধর্মীয় পরিবেশ না পেলে শিশুর যথার্থ বিকাশ সাধিত হয় না(অর্থাৎ অমুসলিম শিশুরা যথার্থভাবে বিকশিত হতে পারে না? জানা ছিলো না।) নবী করিম (সা.) অবহেলিত শিশুদের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিৎসা ও বিনোদনের যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ধর্মে-কর্মে যথার্থ মানুষ হিসেবে গঠন করেছিলেন। তিনি শিশুদের ভালোবাসতেন। (শিশুদের প্রতি, বিশেষ করে বালিকাশিশুদের প্রতি তাঁর বিশেষ ভালোবাসার কথা কে না জানে! ছয় বছরের অয়েশাকে বিয়ে করেও খায়েশ মেটেনি তাঁর। তিনি এক হামাগুড়ি দেয়া বালিকাকে দেখে "আমি বেঁচে থাকলে একে বিয়ে করবো" বলে নিয়ত করেছিলেন। এই ঘটনাগুলোর হাদিসগুলো লেখক কেন যে উদ্ধৃত করলেন না!)  যেকোনো শিশুকে তিনি নিজের সন্তানের মতো আদর করতেন। শিশুদের প্রতি কোমল ব্যবহার নিজে করেছেন এবং অন্যদের সদাচার করার নির্দেশ প্রদান করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা শিশুদের স্নেহ করো, তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করো এবং সদাচরণ ও শিষ্টাচার শিক্ষা দাও।’ (তিরমিযি) ...

ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও কলাম লেখক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন