লিখেছেন মনির হোসাইন
প্রবেশের আগে কিছু কথা আপ্নেগো লগে শ্যাষ কইরা নিতে চাই মানে ভূমিকার মতই আরকি ... কথিত মহত্তম ঘটনা আমাদের জন্য কোনো স্মরণীয় মহাপুরুষের আবির্ভাব কিংবা কথিত ঐশী গ্রন্থ নয় বরং তা উল্টো। ঐতিহাসিক বয়ানিতে তা পুরা বিপরীত চিত্র। সেইখানে খালি চোখে পড়ে বন্ধ্যা সময়ের স্তব্ধ সময়কে। আমরা দেখতে পাই সেইখানে ক'জন ভয়ানক হায়েনা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার ষড়যন্ত্র করছে কিংবা করে ফেলেছে। তাদের উপর বইসা বইসা ছড়ি ঘুরাইতেছে একজন! এটা একটা থ্রিলার মুভির মত।
তবে সেইটা সিনেমার শেষ চিত্র। এর আগে চিত্রে অবশ্য হাজার হাজার কিংবা কথিত লক্ষাধিক নায়কেরা ধারাবাহিক নায়কগিরি কইরা গেছে! সবই একই খোঁয়াড়ে প্রতিপালিত। তো শেষ সিনেমার নায়কের উপর নিক্ষেপিত তার অটোবায়ুগ্রাফি কুরানের কিছু সুরার , আয়াতের শাণেনুযুলীয় ব্যাখ্যা আমরা জিরো ফ্যাট মানে থলথলা চর্বিবিহীন করবো। সেইখানে যুক্তি বিবেক বিজ্ঞানের আলোকেই আমরা নির্মোহভাবে করবো ।
এইখানে উল্লেখ করা দরকার যে, সন্দেহ জ্ঞানের নীচে নয় বরং উপরে। তো আপ্নেরা যারা এই মরমে সিদ্ধান্ত নিয়া ফেলছেন যে, এই লেখার বিরোধীতা করবেন তাদের বলছি আপ্নেরা যে জিনিশের উপর ভরসা কইরা যুদ্ধে নামবেন তা য্যানু জ্ঞান আর প্রজ্ঞার দ্বারা চালিত হয়। এইবার আলোচনা শুরু করা যায় ...।
১. (হে রসুল) নিশ্চয় তোমার চরিত্র অতি মহান। (২:২৬৩)
মজা - ই মজা! আসমান থেইকা একজন আরেকজনকে বইলা দিয়েছে 'তোমার চরিত্র অতি মহান!' আর অমনি সে নাইচ্যা নাইচ্যা তার চ্যালা-চামুণ্ডাদের বইলা দিলো আমি অতি মহৎ চরিত্রের অধিকারী। নিজ থেইকা বোজার খ্যামতা নাই সে মহৎ কি না ? আমাদের ইউনুসরে নোবেল দিয়া ওরা কয় 'হে সুদখোর ঠিক আছে তবে, গরীবগু লাইগ্যা কম সুদ নেয়। তবে হে মানুষ হিসাবে খাঁটি!' মহম্মদেরও সেইরম সার্টিফিকেট দরকার আছে নি?
২. এই সেই মহাগ্রন্থ , এতে কোন সন্দেহ নেই। সাবধানীদের জন্যে এ গ্রন্থ পথনির্দেশক। (২ : ৩)
মহাগ্রন্থ বইলা এখানে কিরম বুঝান হইছে!? আকারে বড়, নাকি আধি ভৌতিক -অলৌকিক, কোনটা? যার ঘাড়ে এইটা নাজিল হইছিল, হেইয়া বাইচা থাকলে জিগান যাইত। পাগলা উম্মতদের জিগাইলে খালি ত্যানা প্যাচাইন্না ছাড়া আর কিছু পারেনা। তারপরে কইল কী, এতে কোনো সন্দেহ নাই! এই কথায় কিরাম জানি সন্দেহ হইতাছে! সন্দেহ না করার লাগি ক্যান কইল!? সন্দেহ করলে কী সব জারিজুরি ফাঁস হইয়া যাইব? এর লাইগা নি এই কথা আগ বাড়াইয়া কইছে?
৩. এই কুরান শরীফ তো কেবল দুনিয়াবাসিদের জন্য উপদেশবানী । (২৩ : ৮৭)
উপদেশবাণী! আর কিছু না? কয় কী! তাইলে এইরম এসলাম এসলাম কইরা সারা পৃথিবী জুইরা চিক্কুর পাড়ে কিল্লাই? একজন উপদেশ না মানলে না মানবে, তাতে তর কী! উপদেশ মানার লাইগা চৌদ্দ'শ বছর থেইকা মোড়লি করতাছস ক্যান?
৪. তাহারা কি তাহাদের উপরের দিকে আসমান দেখে না যে, আমি উহাকে কীরূপ নির্মাণ করিয়াছি এবং উহাকে সজ্জিত করিয়াছি এবং উহাতে ছিদ্র পর্যন্ত নাই। (২৮ : ৬)
হা হা প গে ... খালি খালি উপরটাই দেখতে কইল! নীচের দিকেরটা কইলা না, ক্যান? ইয়া বড় আসমান দেইখা মাথা খারাপ হইয়া গেছিল নাকি মহম্মদের? খেজুর পাতার ঘর-দুয়ার বানানো দেইখা মাথা খারাপ হই গেছিল মনে অয়। তাই ভাবছে, অই আসমানও বুঝি কেউ খেজুর পাতার লাহান বানাই রাকিছি! হা হা প গে ......... হেতে কয় কী রে! আসমানে নাকি ফুটা নাই। হে মনে হয় ভাবিছে, খেজুর পাতার ঘর বানাইলে যেরুম ফুটাফাটা থাকে, এতো মোটা আসমানে কী আর ফুটা থাইকপে ! ?
৫. আমি কুরান অবতীর্ণ করিয়াছি এবং আমি উহার রক্ষক। (১৪ : ৯)
উনি অবতীর্ণ করেছে, হেতে ঢোল পিডানোর কী আছে! ছোট ছাগলের না হয় ঢোল পিডানোর দরকার আছে, কিন্তু রামছাগলের দরকার পড়ে ক্যান! নাকি এইটা ছোট ছাগলের নিজের শয়তানি? রামছাগলের নাম কইয়া নিজের নামে চালাই দিছে ...!
৬. আর আমি মানুষ সৃষ্টি করিয়াছি এবং তাহার অন্তরে যে সমস্ত কল্পনার উদয় হয় , আমি তাহা অবগত আছি । (সুরা-ক্বাফ, ২৬)
'আমি মানুষ সৃষ্টি করিয়াছি' এই ডায়লগ শুইনা আমাদের মনে হইতে থাকে এইরম ... আমার সন্তান হইছে , আমি বাবা হইছি, তুমি মা হইছ হুররে......! এইরম আবাল কথা বহুত আছে, যাউগগা। মাইনষের মনে যা আসে হে নাকি অবগত থাকে! উরে...... তরা কে কোথায় আছিস রে দেখা যা আবালডা ক্যায়া বাত কারেগা! হে নাকি সবার মনের কথা ফইরতে ফারে! তাইলে কিছু করে না কিল্লাই!? ব্যাটা ভণ্ড ভাওতাবাজ একটা।
৭. নিশ্চয় আল্লাহতা'লা কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না , যে পর্যন্ত তাহারা নিজেই নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন না করে। (সুরা-রা'দ, ২)
কিরাম জালিয়াত দেখেন ... হে নাকি মানুষরে খাওয়ায় পড়ায়, মাইনষের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করে। ভাইগ্যের লাইগা হে একটি রজনীও আলাদা কইরা রাখছে হের নামও রাইকছে 'শবে বরাত' কইয়া! আর এখন এই আয়াতে গাঞ্জা খায়া কী কয় দ্যাখেন। শবে বরাতে'র রাইত হে যদি সবার লাইগা আগেই সিলেক্ট কইরা রাখে, তয় হে কিল্লাই কয় মানুষ নিজেই নিজের তার ভাগ্যনিয়ন্তা! ওরে ধইরা ...ন্দাইতে মন চায়! তুই যদি নিজেই মাইনষের ভাইগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলিস, তয় আবার কিরাম ব্যাক্কলের মত কস, মানুষ নিজে যদি নিজে নিজের ভাইগ্য নিয়ন্ত্রণ না করে তা'লি হপে না! ব্যাটা পুরা বোগাস , ভণ্ড ।
৮. তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় সন্ধান করোনা । (৪৯ : ১২)
ক্যান ! করুম না ক্যান ? কইরলে কী সব ভণ্ডামি ফাঁস হই যাইপে ? বেলুন ফুটা হই গেলে কি উলঙ্গ হই যাবে সব ? অনুসন্ধান কইরলে কুরান-মুরান , হাদিছ-মুদিছ , আল্লা-নবি সব-ই কী ভুয়া হয়া যাবে ! ভয়ের চোটেই তাইলে এই ঘুমপাড়ানি গান শুনায়ে ঘুমায়ে রাইখতে চায় ! ভালা-ই ধান্ধা করিছুরে ... !
৯. তোমরা চিন্তিত হইও না। (সুরা - মা'য়েদা, ৬)
কিরাম ভুলায়া-ভালায়া রাইকপার চায় দ্যাখেন। হে ভালা করেই জানে, যদি মানুষ একবার চিন্তা করে, তাইলে হের জালিয়াতি-পুংটামি সব ফাঁস হইয়ে যাইবে। ডরাইয়া কয় কী না তোমরা চিন্তা করিও না! নিজে মুরুক্ষ, তাই সব্বাইরে মুরুক্ষ বানাইতে চায়। অবশ্য তার (কু)উম্মতগুলাও হইছে তার মতন-ই।
১০. তোমরা আল্লাহর মহিমা কীর্তন করবে ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে। (২ : ১৮৫)
এতক্ষনে অরিন্দম কহিলা বিষাদে ...! ওরে এই ছিল তর মনে রে... আগে জানা ছিল না। কইল গোপন বিষয় সন্ধান কইরো না, কইল চিন্তা কইরপে না, আর এখন কয় কী আমারে শয়নে স্বপনে জপ করপে! ওরে কে কোথায় আছিস রে এতো মনে অয় আমাগো পিরথিমির কিচ্ছা রে! আমাগো নেতারাও হেতের মতো কথা কয় রে! হাচিনা আফা কয়, আম্লিগ ভালা, ভোট দিবাইন। আবার খাইলদা মেডেম কয়, বিনপি বিটার (better) দল, ভোট দিবাইন। অম্মা, হেতেও দেখি তাই কইবার লাইগছে। তাইতো কই আমগো আম্লিগ, বিনপি ইরাম করে কথা কয় ক্যান! ইটা যে ইরা কুরান থেইকা পাইছে তা জাইনাই না আমার মাথাডা কিরাম ভনভন কইরা ঘুরবার লাইগছে। তাইতো ইরা প্রতি নির্বাচনের আগে কাঠমুল্লাগু লগে দলবাজি করে! কারণ ইরা সব্বাই জানে, সব শয়তানি-ধান্দাবাজির মুলেই হইল কুরান । তুমি আজি সাধু মহারাজ, আমি তবে চোর বটে... হা হা প গে! এই তাইলে কুরানের রূপক শয়তানি? সবই আদিম শয়তানির বিকৃত রাজনীতির ফলাফল!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন