শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০১১

নবীজির বিধান শুধু শিরোধার্যই নয়, শিশ্নধার্যও


লিখেছেন Suirauqa

হালায় চৌদি আজবের মুমিন ভাইবন্ধু আবার রে রে কইর‍্যা খবরে আইস্যা পড়ছে রে! অহন কী হইব, খোদায় মালুম। বিষয়টা অবশ্যই আপ্নাগো অজানা নয় - সেই শিশুকামিতা, যারে চৌদি দেশে আদর কইর‍্যা কয় ইছলামী শিশুবিবাহ। ডক্টর সালিহ বিন ফওজান, নামজাদা মোল্লা এবং চৌদি আজবের সর্বোচ্চ ধর্মীয় কাউন্সিল-এর (অ)সভ্য, সদ্য ফতোয়া জারি করসে যে সাদি করনের লেইগ্যা কোন নিম্নতম বয়স নাই, এবং মহিলা/শিশুকন্যাগো সাদি দিয়া দেওন যাইব, তাগো দোলনায় শুইয়্যা থাকনের বয়স হইলেও (ইভেন ইফ দে আর ইন দি ক্রেইডল)। ১৩ই জুলাই-এর খবরে প্রকাশিত, ফতোয়ায় কইতাসে যে সংবাদমাধ্যম এবং সাংবাদিকেরা আইজকাল বড়ই বাড়াবাড়ি শুরু করসে, পবিত্র শরিয়া আইনের কুনও কথা মানতাসে না। এর ফলে সমাজের সমূহ বিপদের সম্ভাবনা। ফওজানের ঘোর বিশ্বাস কোরআন ৬৫-৪ এর উপ্রে, যেইহানে নাকি অনার্তবা (প্রি-পিউবেসেন্ট) শিশুকন্যাদেরও বিয়া দেওনের কথা আছে; হালার সামনে তো দারুণ উদাহরণ আছেই, আইশার গপ্প তো আপ্নাগো আর কিইবা কমু নতুন কইর‍্যা। লিখতে গিয়াও খারাপ লাগে, বাকিটা লিঙ্ক থিক্যা পইড়্যা নেন। 

লিঙ্ক-এ লেখক এই প্রশ্ন তুলছে যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ: ইছলামী ধর্মীয় প্রবক্তারাই - যাদের কিনা সরাসরি মৌলবাদী বা আতঙ্কবাদী কওন যাইব না - সমানে শরিয়ার অসভ্যতার প্রচার করে চলেন; এটা কেন? এই ফতোয়ার হপ্তাখানেক আগে কুয়েতের এক মহিলা রাজনৈতিক নেত্রী যৌন-দাসত্বকে সংস্থায়িত করার সপক্ষে জোরাল সওয়াল করছে এই বইল্যা যে, মুমিন ভাইগণের উচিত চেচেন যুদ্ধবন্দী মহিলাদের কেনা-বেচা করা। মিশরের এক জনপ্রিয় ধর্মগরু একই কথা কইসে, আরও কইসে যে ইছলামের দারিদ্র্য দূর করনের একমাত্র উপায় হইল জিহাদ কইর‍্যা অমুসলমানদিগের জীবন আর সম্পত্তি লুইট্যা-পুইট্যা নেওন। লেখক এর ব্যাখ্যা দিসে যে এহেন ব্যবহার সপ্তম শতাব্দীর এক আরব নেতার পক্ষে একদমই জায়েজ। মুশকিল হইল, সেই একই ব্যবহার হালার মুমিন ভাইবন্ধু একবিংশ শতাব্দীতেও চালাইতে চায়। এইগুলারে কি কওন যায়, কন দেহি?

Suirauqa ভাই বুঝে না যে, নবীজির বিধান খালি শিরোধার্যই না, শিশ্নধার্যও। 


যাই হোক, ধর্মকারীতে এক সপ্তাহ আগেই আরেক চৌদি ইছলামবাজের ভিডু দিসিলাম। সেখানেও তিনি এই কথাই জোর দিয়া এরশাদ করতেসেন যে, ইছলামে বিয়ার নিম্নতম বয়স বইলা কিছু নাই

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন