আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০১১

ঘটনা শেষ পর্যন্ত ঘটেই গেল !


লিখেছেন ইফতেখার ইরাফাত ইফতি

ছোটবেলায় একটা বিষয় প্রায়ই ভাবতাম। কীভাবে বেহেশতে যাওয়া যায়। আমার ভয় ছিল। প্রচণ্ড ভয়, নরকের। মাদ্রাসায় এইসবই বেশি পড়ানো হত। সবসময় ভয়ে কুঁকড়ে থাকতাম। ইসমাইল স্যার যেদিন বললেন, দুনিয়ার আগুন দোযখের আগুনের সত্তর ভাগের এক ভাগ, আর দুনিয়ার আগুনের চেয়ে সত্তরগুণ বেশী তীব্র ,আমি ভীত হই। সেদিন বাসায় ফিরে ইচ্ছে করে আগুনে হাত দিয়েছিলাম আগুনে পোড়ার কষ্ট অনুভব করার জন্য। বুঝতে পারি, বেহেশতে যাওয়া সহজ না। ঘুমালেই দুঃস্বপ্ন দেখতাম নরকে... আগুন, সাপ...। আমার বয়স তখন কত ছিল? ৬ কিংবা ৭। কোনো ধরনের গূঢ় তত্ত্ব নিয়ে চিন্তার বয়স তখন ছিল না, কিন্তু সত্যি সত্যি আমি সেই শৈশবেই মৃত্যু নিয়ে ভাবিত হয়ে পড়েছিলাম। নরক, মৃত্যুভয়ে পুরোপুরি আচ্ছন্ন ছিলাম। ছোট একটা ছেলে মৃত্যুর কথা ভেবে নিজের মনে একা একা কষ্ট পাচ্ছে, এই দৃশ্য ভেবে এখনো আমার খারাপ লাগে। আমি প্রতি মুহুর্তে চাইতাম যেন আমি কোনো দুর্ঘটনায় মারা যাই। আমার আফসোস হত, কেন আমি জন্মের সময়ই মারা যাইনি।

আরেকটা চিন্তা ছিল। যদি নবী হতে পারতাম, যদি মুহম্মদের সময়ে জন্ম নিতাম! নবী হলে তো বেহেশতে যাওয়া খুব সোজা। যাই হোক, ঘটনা শেষ পর্যন্ত ঘটেই গেল।

সুরাটা নাযিল হয়েছিল গত ১২ জুলাই।

শানে নজুল: পাচ ঘন্টা ল্যাব করে বিধ্বস্ত হয়ে শাহবাগ মোড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা চেয়ারে বসেছিলাম। এক ফুচকাওয়ালার কাছ থেকে সবাই ফুচকা নিলাম। পরে টাকা দিতে গিয়ে দেখি ফুচকাওয়ালা নেই। চারদিকে খুঁজেও পেলাম না। পরে জানতে পারি, তিনি ফেরেশতা ছিলেন! সেদিন রাতেই আমার উপর এই সূরা নাযিল হয়ে যায়।

সুরায়ে ফুচকা... (শাহবাগী সুরা )

"নি:সন্দেহে, তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ, যিনি আসমান ও জমিন ছয় দিবসে সৃষ্টি করিয়াছেন। আসমানগুলিকে বিনা খুঁটিতে উচ্চে দণ্ডায়মান রাখিয়াছেন। অতঃপর তাদের অনন্ত শোকের পর শান্তি অবতীর্ণ করলেন, যা ছিল তন্দ্রার মত। অতঃপর তোমাদের জন্য ভূমিকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ স্বরূপ স্থাপন করে দিয়েছেন। তোমরা কি জান না, আকাশ উপর থেকে তিন টুকরো হয়ে ফেটে পড়ার উপক্রম হয় আর তখন জনৈক ফেরেশতা তাদের পালনকর্তার প্রশংসাসহ আপনার প্রতি ও আপনার বন্ধুদের প্রতি ফুচকা বর্ষণ করেছেন ...নিশ্চয়ই পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় আল্লাহ তার পেয়ারা বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল, করুণাময়।"

FAQ:

জনৈক অবিশ্বাসী:
১) কিসের ভিত্তিতে আপনি দাবী করেন, আপনার সাথে শূন্যের ঈশ্বরের যোগাযোগ? নবীত্বের কোন প্রমাণ?
-> অবিশ্বাসীদের পথে ফেরানোই আমার কাজ। আর প্রমাণ? স্বয়ং ঈশ্বরের ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড আমার জানা আছে। আমি নিজেই মাঝে মাঝে তাঁর স্ট্যাটাস আপডেট করি।

২) আপনার কাছে ওহী কিভাবে আসে?
-> মাঝে মাঝে আমি একটি অলৌকিক ঘন্টাধ্বনির শব্দ শুনতে পাই। তখন নিজের অজান্তেই ল্যাপটপ খুলে ইয়াহু মেইলবক্স চেক করি। সেখানেই আসমান থেকে সূরা মেইল করে দেয়া হয়। মাঝে মাঝে জিব্রাইল ফেসবুকেও আমার সাথে যোগাযোগ করেন। (জিব্রাইল অবশ্য এত দীর্ঘ সময় একাকীত্বের জ্বালা সইতে না পেরে বিয়েশাদী করে ফেলেছেন। তাঁর বউয়ের সাথে মাঝে মাঝে চ্যাট হয়।)

৩) ঈশ্বরও কি বিয়ে করেছেন নাকি?
-> কী সব ননসেন্স কথা জিজ্ঞেস করেন! স্ত্রী থাকলে কি তিনি এতদিন সর্বক্ষমতাময় থাকতে পারতেন?

৪) ওহী নাযিলের সময় মুহম্মদের চোখমুখ লাল হয়ে যেতো, হাড় কাঁপানো শীতের সময়ও কপাল থেকে ঘাম ঝরত, তিনি মৃগী রোগীর মত জোরে জোরে নিশ্বাস নিতেন। উটের মত শব্দ করতেন। অনেক সময় তাঁকে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হত। আপনার এমন কোনো শারীরিক পরিবর্তন?
-> নাহ। আমার কোন সমস্যা হয় না। আমি শারীরিক আর মানসিকভাবে সুস্থই থাকি।

জনৈক বিশ্বাসী:
৫) আপনি নবী হতে পারেন না। নবীরা শুধুমাত্র বর্বর আরব সমাজেই গড়াগড়ি খেতেন। পৃথিবীর আর কোথাও নবী জন্ম নেয় না।
-> হেদায়েত কি শুধু তাদেরই দরকার ছিল? পৃথিবীর আর কোথাও পথভ্রষ্ট মানুষ ছিল না? নুহের বন্যা হওয়ার মত পাপাচার কি তখনকার চেয়ে এখনকার মানুষ কম করছে? এখন তো কয়েক ডজন নবী প্রয়োজন।

৬) চুপ করুন। কেয়ামত পর্যন্ত নবী হওয়া-হওয়ি বন্ধ। আপনার কি মনে হয় না, আপনি মানসিকভাবে অসুস্থ? আসমান তিন টুকরো হয় কীভাবে? গাজাখুরি গল্প। ইয়াহুতে মেইল পাওয়া এইসবই হ্যালুসিনেশন। Epilepsy, Maniac depressive, Paranoia, Schizophrenia এইসব রোগের নাম শুনেছেন?
-> ওইসব রোগে আপনার নবী আক্রান্ত ছিলেন। আর আপনি যুক্তি দিতে চান কেন? আপনি বিশ্বাসী মানুষ হয়ে অবিশ্বাস করেন কেন? আপনার কাজই হল বিশ্বাস করা।

"শুনে রাখ অবিশ্বাসীদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি ।তারা কি জানে না যে, আল্লাহ্ ও তাঁর নবীর বিরোধিতাকারীদের জন্য আছেজাহান্নামের আগুন,সেখানে তারা চিরকাল থাকবে । নিশ্চয় আল্লাহর কাছে তাদের সবচেয়ে বড় মর্যাদা আর তারাই তো সফলকামযারা বিশ্বাস করে।আর যারা নবীর বিরোধিতা করবে তারা তাদের কৃতকর্মের দরুনই ধ্বংস হয়ে যাবে..।"
…………………

একটা ফেসবুক পেইজে সুরায়ে ফুচকা পোস্ট করেছিলাম। দেখা গেল, বিশ্বাসী মানুষরাই এটা বিশ্বাস করে না। কয়েকজন ব্যঙ্গ বাদ দিয়ে যুক্তি (!) দেখাতে চায়। একজন আমাকে মেসেজ দিয়ে জানায় তার গোপন কষ্টের কথা…

"এইগুলা কি? আপনি কুরানকে অবমাননা করেন.. যেটা বলছেন সেটা তো সত্য কথা না.. আপনি আপনার বিলিফ দিয়ে সবার মনে কষ্ট দিচ্ছেন.. আপনার কারনে অনেকে কষ্ট পাচ্ছে.. কোন রিলিজন নিয়ে কোন খারাপ কথা বলা ঠিক না.."

(বুঝতে পারছি, ধর্মানুনুভুতি সবচেয়ে বেশি আঘাতপ্রাপ্ত হয় ব্যঙ্গ-অট্টহাস্য দ্বারা। ধর্মপ্রচারক নিয়ে বিধর্মীরা শত কথা বললেও অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দেয়া হয়। কিন্তু ধর্মপ্রচারক নিয়ে আঁকা কার্টুন ধার্মিকদের মনে যেন আগুন জ্বালিয়ে দেয়।)

অথচ আমার বন্ধু নিটোল (নাস্তিক) চোখ-কান বন্ধ করে আমার উপর প্রথম বিশ্বাস এনেছে। কয়েকজন ছাহাবীও জুটে গেছে।আমার পয়দাকৃত ধর্মের নাম কী হবে, আমি কোন রাজনৈতিক দল সাপোর্ট করব, এইসব বিষয়ে শীঘ্রই সুরা নাযিল হয়ে যাবে।আজ রাতেই আসমানে ইমার্জেন্সী মিটিং ডাকা হয়েছে। মিটিং-এর ফলাফল সাথে সাথেই মেইল করে জানিয়ে দেয়া হবে। দ্বীনের দাওয়াত দেয়ার জন্যই এই ফেসবুকেই একটা পেইজ খোলার পরামর্শ দিয়েছে কেউ কেউ। ইতিমধ্যে আসমানী কিতাব প্রকাশনী, জিব্রাইল প্রকাশনী থেকে আমার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে একখানা কিতাব বের করার জন্য। আধুনিক সুরাসমগ্র, যেটা হবে কোরানের মতোই আরেক বেস্টসেলার।

একটা সময় লক্ষ লক্ষ নবী জন্ম নিত আরবের উর্বর ভূমিতে। নিজেকে নবী দাবী করা ছিল তখন তরুণ আরবদের ফ্যাশন।এখন কেউ নবীত্ব দাবী করলে তাকে ভণ্ডই বলা হবে। বলতে পারেন, কোন মাপকাঠিতে তাহলে আগের দাবীদাররা উৎরে যান?

এই ফ্যাশন এখন ব্যাকডেটেড। কারণ ধর্মের উপযোগিতা নেই আর। আজকের পৃথিবীতে ভুল করে নবী জন্ম নিলে তাদের সোজা কান ধরে মানসিক হাসপাতালেই পাঠানো হবে।
........

অনেকে আমার এই একটা বিষয়ে বেশ অবাক হয়। আমি একটা ভদ্র-ভাল ছেলে, চশমা ছাড়া চোখে দেখি না। আমার মত একটা সুবোধ ছেলে কেন মাঝে-মাঝে ধর্ম নিয়ে ফাজলামি করবে!!! এটাও কি সম্ভব!!

* এভাবে অন্য কারো ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত দেয়া কি ঠিক?
-> আপনার বিশ্বাস এত ঠুনকো কেন?

* ধর্ম ছাড়া জীবনে আর কোন বিনোদন নেই ?
-> অবশ্যই আছে। তবে ধর্ম একটা উৎকৃষ্টতম বিনোদন।

* তাই বলে ব্যঙ্গ করবে?
-> হুমম। করি কারণ এটা ব্যঙ্গ করার যোগ্য।

আমি মনে করি, কৌতুক বিনোদন উপভোগ করা মানুষের মৌলিক অধিকার। টম এন্ড জেরি আমাকে যেভাবে বিনোদিত করে, ঠিক তেমনি ধর্মগুলোও। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, চিত্তবিনোদন, হাসি-খুশি থাকা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে...।চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে হাসি হল এমন এক অনৈচ্ছিক প্রতিক্রিয়া যার ফলে মুখের ১৫টি মাংসপেশী একই সময়ে সংকুচিত হয় এবং দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস ঘটে। এ ছাড়াও হাসি ও প্রফুল্লতার সময় শরীরের রক্ত-প্রবাহ দ্রুত সঞ্চালিত হওয়ায় রক্তে এড্রেনালিন বেড়ে যায়। ফলে মানুষ আরো সজীবতা ও আনন্দ অনুভব করে। মন মেজাজে ফুর্তির সৃষ্টি হয়।

"ইসলাম ধর্ম মানুষের শারীরীক ও আত্মিক সমস্ত চাহিদার প্রতি গুরুত্ব দেয়। যারা মানুষের জন্য আনন্দ ও সুখের ব্যবস্থা করেন,পবিত্র কোরআনে তাদের প্রশংসা করা হয়েছে এবং তারা পরকালে আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কার পাবে বলে উল্লেখ আছে।"
......

ধর্মের সমালোচনা করা হবে, ধর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হবে, অপদস্থ করা হবে, ব্যঙ্গ করা হবে। আপনি যদি বিশ্বাসী হন, তবে চুপচাপ বিশ্বাস করুন। আপনার রুমে গিয়ে কেউ আপনার কোমল ধর্মানুনুভুতিতে আঘাত দিচ্ছে না। কিন্তু সমস্যা হবে, যখন ব্যক্তিগত গণ্ডি ছাড়িয়ে রাষ্ট্রে, সমাজে, বিজ্ঞানে, আইনে ধর্ম নিয়ে আসা হয়।

ধর্ম আর যুক্তি একসাথে যায় না। কারণ ধর্ম যুক্তির বিষয় নয়। সব সময় মনে রাখবেন, আপনি বিশ্বাসী মানুষ। হাস্যকর সব গালগল্প আপনি বিশ্বাস করেন। তার চেয়েও হাস্যকর লাগে, যখন এইসব গালগল্পের পেছনে বিজ্ঞান আর যুক্তি ঢোকানোর চেষ্টা করেন। কোনো কিছুতেই কখনো যুক্তি দিতে আসবেন না। আবারও বলছি, কখনোই যুক্তি দিতে আসবেন না। এটা খুবই হাস্যকর, অনেক সময়ই বিরক্তিকর। যদি বলি আমার পড়ার টেবিলের নিচে একটা কথা-বলতে-জানা দশ পা-ওয়ালা ড্রাগন আছে, আপনার উচিত বিশ্বাস করা। যদি বিশ্বাস করতে না পারেন, যদি মনে হয় এটা সম্ভব না তবে বুঝে নিন আপনি একটা ভণ্ড।

তবে ধর্ম খুবই বেহায়া। সবখানেই তার নাক গলালো লাগবে। নারীর ব্যক্তিগত পোশাক নিয়ে টানাটানি করে। ক্লাসে ঝামেলা করে। কোয়ান্টাম মেকানিক্সে ধর্ম চলে আসে। মেরাজের ঘটনার মধ্য দিয়ে রিলেটিভিটি,প্যারালাল ইউনিভার্স, ওঅর্মহোল, হাইপারডাইভ ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান লাভের কথা বলে। এই তো কয়েকদিন আগে ক্লাসে radioactivity পড়ানোর সময় পরমাণু ক্ষয় হতে থাকে এমন একটা exponential গ্রাফ দেখিয়ে স্যার বলেন, "এই যে সব ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে এখান থেকেই আমরা কেয়ামতের ইঙ্গিত পাচ্ছি’’!!

আমরা হেসে ফেলি। আশেপাশে প্রতিদিন ধর্মকে চলাফেরা করতে দেখি। কখনো কখনো সাফার করি। কখনো বিরক্ত হই। আর কখনো কখনো মজা পাই। হাসাহাসি করি। হাসির উপর কোনো ঔষধ নাই। আর এই হাসি উৎপাদনে ধর্মের ভূমিকা অপরিসীম।

অতএব, ঔষধ = ধর্ম
-> ঔষধ = বিজ্ঞান
সুতরাং, ধর্ম = বিজ্ঞান
(প্রমাণিত)

সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরণ:

(হাসি ঠাট্টা মুমিন-মুসলিমের জন্য নহে, ধর্ম নিয়ে তো আরো নহে। কারন দুনিয়াতে যতই হাসিবে, আখেরাতে ততই কাঁদিবে। (সহীহ বুখারী।)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন