আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০১১

ইসলামী শস্যক্ষেত্র – ০৩

লিখেছেন নিলয় নীল

পুরুষতন্ত্রের মাধ্যমে একটা মানুষকে নারী করে তোলার সর্বাপেক্ষা আধুনিক হাতিয়ার হলো ধর্ম। পুরুষ খুব ভালোভাবে জানে যে, পুরুষদের তৈরি বিধান নারীরা গ্রহণ করবে না। তাই তারা নিজেদের বিধান চালিয়ে দিয়েছে ঈশ্বরের নামে। ঈশ্বরের কথা ভাবলে সর্বশক্তিমান এক সত্ত্বার কথা মানুষের মাথায় আসে। সনাতন ধর্মসহ প্রত্যেক ধর্মেই নারীর অবস্থান পুরুষের নিচে। তুলনামূলকভাবে ইসলাম নতুন ধর্ম। তবে ইসলামে নারীজাতিকে যেভাবে 'সম্মানিত' করা হয়েছে, তা অনেক বেশি ভয়ংকর। 

ইসলাম ধর্মে নারী বিষয়ে নিচের রচনাটি মূলত কোরান, হাদিস ও নির্ভরযোগ্য অন্যান্য ইসলামী সূত্র থেকে নেয়া উদ্ধৃতির সংকলন। ক্ষেত্রবিশেষে আমি মন্তব্য না করে পারিনি। 

এহিয়া উলুম আল দীন, ভলুম ২ পৃষ্ঠা ৩৭০-৩৭১ থেকে:
সাইদ ইবনে জুবায়ের বলেছেন, শুধুমাত্র দেখেই দাউদ (দঃ) এর মনে বাসনার উদ্রেক হয়েছিল। তাই তিনি তাঁর পুত্রকে (সুলায়মান দঃ) বললেন:- হে পুত্র! সিংহ বা কালো-কোবরা সাপের পেছনে হাঁটাও ভাল, তবু কোন নারীর পেছনে হাঁটবে না। নবী (দঃ) বলেছেন:-“নারীর প্রতি কামনার চেয়ে পুরুষের জন্য বেশী ক্ষতিকর কিছু আমি রেখে যাচ্ছি না”।
(নিশ্চয়ই সিংহ বা গোখরো সাপ নারী অপেক্ষা কম ভয়ংকরী!)

এহিয়া উলুম আল দীন, ভল্যুম ২,পৃষ্ঠা ৩৭৩:
স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর চারটি বিষয় কম থাকতে হবে নতুবা সে তাকে অবজ্ঞা করবে: বয়স,শারীরিক উচ্চতা, ধন সম্পদ, এবং বংশগৌরব। স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর চারটি বিষয় বেশী থাকতে হবে:- সৌন্দর্য, চরিত্র, আদব-কায়দা, এবং ধর্মে মতি।
(বিয়ে বা প্রেম করার আগে ব্যাপারগুলো মাথায় রাখতে হবে।) 

ইসলামী বিশ্বকোষ (ডিকশনারি অব ইসলাম) থেকে পৃষ্ঠা ৬৭৮-৬৭৯:
সমগ্র মানব জাতির জন্য নারীর চেয়ে ক্ষতিকর আর কিছুই আমি রেখে যাচ্ছি না। দুনিয়া এবং নারী থেকে দূরে থাকবে। কারণ নারীর কারণেই ইসরাইলের পুত্ররা প্রথম পাপ করেছিল।

শাফী শরিয়া (রিলায়েন্স অফ দি ট্রাভেলার বা উমদাত আল সালিক), পৃষ্ঠা ৬৭২, নম্বর পি-২৮-১:
নবী (দঃ)বলেছেন: পুরুষরা ধ্বংস হয়ে গেছে যখনি তারা মেয়েদের অনুগত হয়েছে।

“ইসলামী বিশ্বকোষ তার ৬৭৫ পৃষ্ঠায় স্বামীদের বলছে:
১। কষ্মিন কালেও স্ত্রীকে বেশী পিরীত দেখাবে না হে, তা হলেই সে কিন্তু লাই পেয়ে মাথায় উঠে সর্বদিকে বিশৃঙ্খল করে দেবে। চিত্ত যদি অতি প্রেমে গদগদ হয়ে ওঠেই, তবে অন্তত: স্ত্রীর কাছে সেটা চেপে রেখো বাপু!
২। বিষয়-সম্পত্তির পরিমাণ তো স্ত্রীকে বলবেই না, অন্যান্য গোপন কথাও লুকিয়ে রেখো সযত্নে। তা না হলেই কিন্তু সে তার দুর্বুদ্ধির কারণে সর্বনাশ করে দেবে সবকিছু।
৩। ও হ্যাঁ, তাকে কখনো কোন বাদ্য-বাজনা করতে দেবে না, আর যেতে দেবে না বাইরেও। পুরুষদের কথা বার্তা তো কিছুতেই শুনতে দেবে না।
(ভালো স্বামী হতে গেলে কী কী কর্তব্য, বুঝলেন তো?)

সুরা নিসা আয়াত নম্বর তিন (৪:৩) বলছে:
আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতিম মেয়েদের হক্‌ আদায় করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্য থেকে যাদের ভালো লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত।
(যাঁরা মনে করেন, একজন মুসলিম পুরুষ সর্বোচ্চ চারটি বিয়ে করতে পারবেন, তাঁরা ভুল জানেন। আসল ব্যাপার হলো, একই সময়ে সর্বোচ্চ চারটি স্ত্রী রাখা যাবে। চারজন বর্তমান স্ত্রীর যে কাউকে অথবা সবাইকে তালাক দিয়ে আবার সমসংখ্যক বিয়ে করা ইসলামসম্মত। নবীর নাতি ইমাম হাসান এই পদ্ধতি অবলম্বন করে তথ্যসূত্রভেদে ১২০ থেকে ৩০০ বার বিয়ে করেছিলেন।)  

সুনান আবু দাউদ, বই ১১ হাদিস ২০৪৫:
মাকিল ইবনে ইয়াসার বর্ণনা করেছেন, এক ব্যক্তি নবীকে (দঃ) বলল “একটা উচ্চ বংশের সুন্দরী মেয়ে আছে, কিন্তু সে বন্ধ্যা। আমি কি তাকে বিয়ে করতে পারি?” নবী (দঃ) বললেন,”না”। সে তাঁর কাছে আবার এল। নবী (দঃ) আবার তাকে নিষেধ করলেন। সে তৃতীয়বার তাঁর কাছে এলে নবী (দঃ) বললেন:”সেই মেয়েদের বিয়ে কর যারা প্রেমময়ী এবং উৎপাদনশীল। কারণ আমি তোমাদের দিয়ে সংখ্যায় অন্যদের পরাস্ত করব”।
(শস্যক্ষেত্র যদি বন্ধ্যা হয়, তাহলে উৎপাদন চলবে কীভাবে!)

এহিয়া উলুম আল দীন, ভলুম ১, পৃষ্ঠা ২২৮:
নবী (দঃ)বলেছেন, উর্বর এবং বাধ্য মেয়েদের বিয়ে কর। যদি সে অবিবাহিতা হয় এবং অন্যান্য অবস্থা জানা না থাকে, তবে তার স্বাস্থ্য এবং যৌবন খেয়াল করবে যাতে সে উর্বর হয়।

এহিয়া উলুম আল দীন, ভলুম ১ পৃষ্ঠা ২২৯:
জাবের যখন এক পূর্ব-বিবাহিতাকে বিয়ে করল, তখন নবী (দঃ) বললেন: “কোন কুমারীকে বিয়ে করলে আরও ভালো হত কারণ তাহলে তোমরা পরস্পরের সাথে আরও উপভোগ করতে পারতে”।

সহিহ্‌ বোখারি ভলুম ৭ হাদিস ৮১:
উকবার বর্ণনামতে নবী (দঃ) বলেছেন: (বিয়ের) যে সব বিধানের মাধ্যমে তোমাদের অধিকার দেয়া হয়েছে (নারীদের) গোপন অঙ্গ উপভোগ করবার, সেগুলো মেনে চলতেই হবে।
(গোপন নারীঅঙ্গের প্রতি নবীজির আকর্ষণের কথা প্রকাশ হয়ে গেল!)

সুনান আবু দাউদ, বই ১১ হাদিস ২১২৬:
বাসরাহ্‌ নামে এক আনসারি বর্ণনা করলেন:
আমি পর্দায় আবৃত থাকা এক কুমারীকে বিবাহ করলাম। আমি যখন তার নিকটে আসলাম তখন তাকে দেখলাম গর্ভবতী। (আমি ব্যাপারটা নবীকে জানালাম।) নবী (সাঃ) বললেন: ‘মেয়েটি মোহরানা পাবে। কেননা তুমি যখন তাকে মোহরানা দিলে তখন তার যোনি তোমার জন্য আইনসিদ্ধ হয়ে গেল। শিশুটি তোমার ক্রীতদাস হবে এবং শিশুর জন্মের পর মেয়েটিকে প্রহার করবে (এই মত ছিল হাসানের)।‘ ইবনে আবুস সারী বলেছেন: ‘তোমার লোকেরা তাকে প্রহার করবে—খুব কঠোর ভাবে। 

সহিহ্‌ মুসলিম, বই ৮ হাদিস ৩৩৬৬:
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেছেন যে, নবী (দঃ) বলেছেন, যে স্ত্রী স্বামীর বিছানা থেকে অন্যত্র রাত্রি যাপন করে, ফেরেশতারা তাকে সকাল পর্যন্ত অভিশাপ দিতে থাকে।

সহিহ্‌ মুসলিম, বই ৮, হাদিস ৩৩৬৭:
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেছেন যে, নবী দঃ) বলেছেন: যাঁর হাতে আমার জীবন (আল্লাহ) তাঁর নামে বলছি, যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীকে বিছানায় ডাকে, আর সে স্ত্রী সাড়া না দেয়, তবে সে স্বামী খুশী না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ তার প্রতি অসন্তুষ্ট থাকেন।

(আগামী পর্বে সমাপ্য)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন