১.
এক পিতা গ্যাসলাইটার দিয়ে তার ছেলের হাত ও কনুই পুড়িয়ে দিয়েছে। সন্তানের "অপরাধ" ছিলো, সে বাইবেল ধরেছিল হাত দিয়ে, এবং পিতার তাতে মনে হয়েছিল, সে "ভূতগ্রস্ত" হয়ে পড়েছে।
ধর্মবিশ্বাস স্বাভাবিক বোধবুদ্ধি বিলুপ্ত করে দেয় বলেই মনে হয়। নইলে এই জাতীয় মর্মবিদারী ঘটনার এতো প্রাচুর্য কেন?
২.
ধর্মবিশ্বাসের প্রাবল্যে বুদ্ধিসুদ্ধি লোপ পাবার আরেকটি নমুনা দেখুন। বাইবেলে বর্ণিত আছে, সূর্য পৃথিবীর চারপাশ প্রদক্ষিণ করে এবং পৃথিবীই এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কেন্দ্র। ভাবা যায়, এক পাল ক্যাথলিক গর্দভ এই যুগেও এই বল্দার্গুতে বিশ্বাস করে! গুচ্ছের বাইবেলীয় বাণীর উদ্ধৃতি দিয়ে বাইবেলের বাণীর সত্যতা প্রমাণ করা যায় বলে তারা মনে করে।
ব্যাপারটা যেন এরকম: বাইবেলেই বলা আছে, বাইবেলের সমস্ত বাণী নির্ভুল। "ধর্মগাধা" শব্দটি কার আবিষ্কার, জানি না, তবে তা বেজায় মোক্ষম ও লক্ষ্যভেদী।
৩.
বাবা-মার বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেছে আগেই। মা খ্রিষ্টধর্মের অনুসারী। ছেলে নিজেকে খ্রিষ্টান হিসেবেই পরিচয় দেয়। কিন্তু তার মুসলিম পিতা তাকে খ্রিষ্টধর্ম ত্যাগ করে ইসলামের পথে আসতে হুকুম দিয়েছে। এর অন্যথা হলে পিতা তাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়ে সাচ্চা মুসলমানের পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন