ধরুন, ডাক্তারের কাছে গেলেন চিকিৎসার জন্য। কিন্তু ডাক্তার চিকিৎসা করতে অস্বীকৃতি জানালেন। যথাযথ চিকিৎসা বিষয়ে তাঁর অজ্ঞতা বা অদক্ষতা এখানে কারণ নয়। তিনি আসলে বাংলাদেশী কিছু বিচারকের মতো বিব্রত বোধ করেছেন। কারণ? কারণ হতে পারে ব্যক্তিগত, নৈতিক (?) বা ধর্মীয় বিশ্বাস।
ব্রিটেনের চারটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদেরকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, অ্যাবোরশন, জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল প্রেসক্রাইব, ড্রাগ- বা অ্যালকোহলাসক্তের চিকিৎসা ও বিপরীত লিঙ্গের রোগীর গোপনাঙ্গ পরীক্ষাসহ এগারোটি চিকিৎসা ক্ষেত্রে তাদের নৈতিক, সাংস্কৃতিক বা ধর্মীয় বিশ্বাস বাধা হয়ে দাঁড়াবে কি না। "হ্যাঁ" এবং "না" উত্তর দিয়েছে প্রায় কাছাকাছি সংখ্যক ছাত্র। লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, ধর্মীয় কারণে চিকিৎসায় অস্বীকৃতির কারণ এসেছে ১৯.৭ শতাংশ ক্ষেত্রে।
তবে কৌতূহলোদ্দীপক তথ্য হচ্ছে, ধর্মীয় কারণ দেখিয়েছে মূলত মুসলিম ও ইহুদি ছাত্ররা। মুসলিমদের তিন-চতুর্থাংশ এবং ইহুদিদের অর্ধেকেরও বেশি ছাত্র জানিয়েছে, ধর্মবিশ্বাসের কারণে কিছু কিছু চিকিৎসা করতে অসম্মতি জ্ঞাপনের অধিকার তাদের আছে।
কী চমৎকার না? অসুস্থ, রোগাক্রান্ত ও মৃত্যুপথযাত্রী রোগীদের চিকিৎসা ধর্মোন্মাদ ডাক্তারেরা করবে না, কারণ তাদের কাছে মানুষের জীবন রক্ষার চাইতে ধর্মবিশ্বাস-পরিপন্থী কিছু না করাই উত্তম।
ধর্মবিশ্বাস ব্যাপারটি কত্তো মানবিক, তাই না?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন