১.
পাস্তাফারিয়ানিজম কি আমেরিকায় ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে গেল? এক নাছোড়বান্দা নাস্তিক সামরিক বাহিনীতে থাকার সময় তাঁর পরিচয়পত্রে ধর্মবিশ্বাসের জায়গায় লিখিয়ে নিতে পেরেছেন "নাস্তিক্যবাদ / এফএসএম" অর্থাৎ ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটার। কম্বিনেশনটা ঠিক সঠিক হয়নি অবশ্য। কারণও আছে। সেই ব্যক্তি ধর্মের নাম এফএসএম লিখতে চেয়েছিলেন বটে, আবার "নাস্তিক্যবাদ" বাদ দিতেও মন সরেনি তাঁর। তাই এই উদ্ভট কম্বিনেশন। তবে আসল কথা হলো, এফএসএম নামের প্যারোডি ধর্ম অফিসিয়াল পরিচয়পত্রে স্থান করে নিতে পেরেছে। অবশ্য ভিন্নভাবে ভেবে দেখলে বলতেই হবে, তথাকথিত ধর্মগুলোর ভিত্তি ও বিশ্বাসযোগ্যতা এফএসএম-এর চেয়ে এক বিন্দুও বেশি নয়।
ওপরের ঘটনার নিয়ে খুউবই মজাদার লেখার এই লিংক পাঠিয়েছেন Suirauqa.
২.
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে নির্ধর্মের প্রসার বড়োই আশাব্যঞ্জক বলে আমি মনে করি। কয়েক বছর আগেও নির্ধর্মের কোনও প্ল্যাটফর্ম ছিলো না। এখন আছে পরাক্রমশালী ইন্টারনেট, যেখানে নির্ধর্মীদের ক্রমবর্ধমান দাপট চোখ এড়িয়ে যাবার মতো নয়। এখন থেকে প্রতি পরবর্তী প্রজন্ম পূর্ববর্তী প্রজন্মের চেয়ে ধর্মবিমুখতর হবে, এতে কোনও সন্দেহই নেই। এবং ধর্মবিমুখতার সূচকটি ঊর্ধ্বমুখী থাকবেই।
এ বিষয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত খুবই চমৎকার একটা লেখা।
* পোস্টের নামকরণে ব্যবহার করলাম বানানো শব্দ "সুলিংক" ("সুনীতি" যেমন); আবার একই ভাবে খারাপ কোনও সংবাদ বা ম্যাটরিয়ালের লিংককে "দুর্লিংক"ও বলা যাবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন