বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০১১
লিংকিন পার্ক - ০৩
সময়াভাবে যে-বিষয়গুলো নিয়ে পোস্ট দেয়া হয়ে ওঠে না...
১.
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হতে আগ্রহী গোঁড়া খ্রিষ্টান মিশেল বাকম্যান বলেছেন, আমেরিকার সাম্প্রতিকতম ঘুর্ণিঝড় বস্তুত আমেরিকার প্রতি ঈশ্বরের সতর্ক সংকেত (লিংক পাঠিয়েছেন নাফিস হাসান ও মৌনতা), তবে তাঁর কথাকে 'রসিকতা' বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ তিনি নিজেই দাবি করছেন, তাঁর নাকি তুখোড় রসবোধ। বিস্তারিত এই ভিডিওতে।
এ বিষয়ে এক মোমিন মুসলমানের বক্তব্য পড়ুন। অবশ্য শিরোনামটিই শুধু বিনোদনী: সারা দুনিয়ার মুসলিমের উপর অত্যাচারের প্রতিফলে আল্লাহ’র তরফ থেকে গজব। লেখাটি না পড়লেও চলবে। লিংক পাঠিয়েছেন সৌমিত্র চক্রবর্তী।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হতে আগ্রহী গোঁড়া খ্রিষ্টান মিশেল বাকম্যান বলেছেন, আমেরিকার সাম্প্রতিকতম ঘুর্ণিঝড় বস্তুত আমেরিকার প্রতি ঈশ্বরের সতর্ক সংকেত (লিংক পাঠিয়েছেন নাফিস হাসান ও মৌনতা), তবে তাঁর কথাকে 'রসিকতা' বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ তিনি নিজেই দাবি করছেন, তাঁর নাকি তুখোড় রসবোধ। বিস্তারিত এই ভিডিওতে।
এ বিষয়ে এক মোমিন মুসলমানের বক্তব্য পড়ুন। অবশ্য শিরোনামটিই শুধু বিনোদনী: সারা দুনিয়ার মুসলিমের উপর অত্যাচারের প্রতিফলে আল্লাহ’র তরফ থেকে গজব। লেখাটি না পড়লেও চলবে। লিংক পাঠিয়েছেন সৌমিত্র চক্রবর্তী।
২.
সেক্যুলারিজম কি মানুষকে আরও বেশি নৈতিক হতে সাহায্য করে? জার্মান পত্রিকার বিশ্লেষণ।
সেক্যুলারিজম কি মানুষকে আরও বেশি নৈতিক হতে সাহায্য করে? জার্মান পত্রিকার বিশ্লেষণ।
৩.
বেহায়ার মতো হাসতে হাসতে দুই বছরের শিশুর মগজে ঢোকানো হচ্ছে ধর্মবিশ্বাসের বিষ! সাত মিনিটের ভিডিও।
৪.
ফক্স নিউজ চ্যানেলে ডেভ সিলভারম্যানের সহাস্য বাকযুদ্ধের কথা মনে আছে? তিনি পরে টুইটারে লিখেছিলেন এ বিষয়ে: Off camera they said they wanted a calm discussion. Then they became fox news.
বেহায়ার মতো হাসতে হাসতে দুই বছরের শিশুর মগজে ঢোকানো হচ্ছে ধর্মবিশ্বাসের বিষ! সাত মিনিটের ভিডিও।
৪.
ফক্স নিউজ চ্যানেলে ডেভ সিলভারম্যানের সহাস্য বাকযুদ্ধের কথা মনে আছে? তিনি পরে টুইটারে লিখেছিলেন এ বিষয়ে: Off camera they said they wanted a calm discussion. Then they became fox news.
রসবোধ কাকে বলে, তার ছোট্টর একটি নমুনা মিশেল বাকমান দেখে নিতে পারেন।
৫.
আবারও নিশ্চিত হলাম, মগজের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড পালনে সবচেয়ে বড়ো অন্তরায়ের নাম ধর্মবিশ্বাস। নইলে এই ক্যাথলিক গাঁড়োলগুলো কীভাবে একবিংশ শতাব্দীতে বসে দাবি করতে পারে, পৃথিবী এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কেন্দ্র এবং সূর্য প্রদক্ষিণ করছে পৃথিবীকে। গ্যালিলিওর ঘোষণা ছিলো বস্তুত ক্যাথলিক চার্চের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
৬.
ঈশ্বরের ব্লগ
৭.
গোলাপ পাঠিয়েছেন বিবিসি-র তৈরি একটি ডকুমেন্টারির লিংক। তিন পর্বের এবং তিন ঘণ্টা দীর্ঘ।
Atom: Clash of the Titans
Atom: The Key to The Cosmos
Atom: The Illusion of Reality
আস্তিকীয় ভ্রান্তিবিলাস
নাস্তিকদেরকে প্রায়ই আস্তিকদের একটি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়, "এই যে তুমি বলতেসো, আল্লা-টাল্লায় বিশ্বাস করো না, কিন্তু একবারও ভেবে দেখসো, তোমার ধারণা যদি ভুল হয়?" শুনে এতোদিন বলতাম, আমাদের ধারণা ভুল - তার সপক্ষে সামান্যতম যুক্তি-তথ্য-প্রমাণ তোমাদের নেই। বরং তুমি তোমাদের বিশ্বাসের সপক্ষে জুতসই প্রমাণ পেলে আমাকে জানিয়ো, আমি আমার ভুল স্বীকার করে নেবো।
তবে আস্তিকদের এমন প্রশ্নের লা-জবাব জবাব দিয়েছেন রিচার্ড ডকিন্স। এখন থেকে তাঁর দেয়া যুক্তি ব্যবহার করবো।
এক মিনিটের চলমান টেক্সট-ভিডিও।
কোরান কুইজ – ০৬
নিশ্চয়ই মোমিন মুসলমানগণ কোরান সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখেন। বেয়াড়া নাস্তিকগনও নিজেদেরকে কোরান-অজ্ঞ বলেন না কখনও। তাই মুসলিম-নাস্তিক নির্বিশেষে সকলেই অংশ নিতে পারেন কোরানের আয়াতভিত্তিক এই ধাঁধা প্রতিযোগিতায়। এই সিরিজের মাধ্যমেই তাঁরা নিজেদের কোরান-জ্ঞান যাচাই করে নিতে পারবেন।
প্রশ্ন ১১. মুহম্মদের স্ত্রীগণ সকল মুসলমানের মাতা।
ক) হ্যাঁখ) না
প্রশ্ন ১২. মুহম্মদ সকল মুসলমানের পিতা।
ক) হ্যাঁ খ) না
(স্ক্রল করে নিচে উত্তর দেখুন)
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
উত্তর ১১. হ্যাঁ।
(সুরা ৩৩.৬)
উত্তর ১২. না।
(সুরা ৩৩.৪০)
পবিত্র কোরান থেকে প্রাপ্ত উত্তর দুটো বিশ্লেষণ করলে আমরা এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি: মুসলমানদের মা আছে, তবে তারা, ভদ্র ভাষায় বললে, পিতৃপরিচয়হীন
মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০১১
সহিহ সহাবস্থান
নিচের ছবিটি পাঠিয়েছেন fctheist.
ছবিতে ক্লিক করে পূর্ণাকারে দেখুন।
এ প্রসঙ্গে মনে পড়ে গেল পুরনো একটি পোস্টের কথা। সেই পোস্ট থেকেই উদ্ধৃতি ও ছবি:
অনলাইন টিভি দেখার একটা সফটওয়্যার আছে আমার। তো একদিন সেটির চ্যানেল আপডেট লিস্টের এক জায়গায় চোখ আটকে গেল। স্ক্রিনশট নিয়ে রাখলাম সঙ্গে-সঙ্গে।
কোরানীয় সমতল পৃথিবী
সপ্তম শতাব্দীর মানুষ পৃথিবীর আকার, সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত ও আকাশ সম্পর্কে সম্পর্কে যে-ধারণাগুলো পোষণ করতো, সে-কথাগুলোই লেখা হয়েছে কোরান নামের তথাকথিত ঐশী কিতাবে। আল্যাফাক এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা হলে তা তো এসব সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেবার কথা তার রচিত কোরানে!
কিন্তু ব্যাটায় কোরানে উল্টাপাল্টা ও হাস্যোদ্রেককারী "তথ্য" দিয়ে বিপদে ফেলেছে ইসলাম-রক্ষকদেরকে! তারা গলদঘর্ম হয়ে আল্যাফাকের বাণীর সত্যতা প্রমাণ করতে গিয়ে কী নাকালটাই না হয়!
ধর্মধোলাইসঙ্গীত
ধর্মকারীর সঙ্গীত বিভাগ "বে-হামদ ও বে-নাত"-এ এসেছে নতুন গান। গানটিতে তথাকথিত ঐশী কিতাবগুলোকে তথা ধর্মগুলোকে ধোলাই করা হয়েছে আচ্ছামতো! প্রথম দুই চরণই তো প্রাণটা জুড়িয়ে দেয়:
The Bible is bullshit, the Koran is a lie
The Bagavad Gita did not fall from the sky.
ব্লগের ডান কলামের একেবারে ঊর্ধ্বাংশ দ্রষ্টব্য।
আমিই মহাবিশ্ব, আমিই ঈশ্বর
লিখেছেন প্রলাপ
১.
১৯ তারিখ রোজ শুক্রবার গিয়েছিলাম নগরের সর্বোচ্চ এবং সর্ববৃহৎ সংযমালয় বসুন্ধরা সিটিতে সংযম পালন করতে। গিয়ে দেখলাম পুরো পান্থপথ জুড়ে বিশাল লাইন। সবাই এসেছে সংযম পালন করতে। লাইন দেখে মনে হল অনেকেই সেহরী সেরেই লাইনে দাঁড়িয়ে গেছে। যাই হোক, বাসা কাছে হওয়ায় আমি পায়ে হেঁটেই গিয়েছিলাম, তাই লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা পোহাতে হল না। ইনফিনিটি থেকে বাবা এবং ভাইয়ের জন্য দুটি পাঞ্জাবী কিনলাম। আমার মা-বাবা বাস করে পুরান ঢাকার ওয়ারীতে। ড্রাইভারকে ফোন দিলাম গাড়ি নিয়ে আসতে, গন্তব্য ওয়ারী। সোনারগাঁ মোড়ে এসে সিগনালে দাড়ালাম। এই পয়েন্টে ভিক্ষুকের অনেক উপদ্রব। কাউকে টাকা দেয়ার জন্য উইন্ডোর কাঁচ নামালেই দল বেঁধে হামলে পড়ে অন্তত হাফ ডজন ভিক্ষাপ্রার্থী। তাই কাউকে ভিক্ষা না দেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। পাঁচ মিনিটের সিগনালে প্রায় ছয়-সাতজন ভিক্ষুক আমার জানালায় টোকা দিয়ে গেল। কারো দিকে ভ্রুক্ষেপই করলাম না। একসময় পাশে এসে দাঁড়ালো দশ-এগারো বছরের একটি ছেলে। কেন যেন ছেলেটি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করলো। মুহূর্তেই মনে হল, আমি যেন ছেলেটির মত ছেঁড়া-মলিন একটি পোশাক পড়ে গাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে নিজের কাছেই ভিক্ষা চাইছি। শৈশবের আমি আর সেই ছেলেটি যেন একাকার হয়ে গেছে। সম্বিত ফিরে পেয়ে দেখলাম সিগনাল ছেড়ে দিয়েছে। মাথা ঘুরিয়ে ছেলেটির দিকে তাকিয়ে থাকলাম কিছুক্ষণ। সাড়ে চার হাজার টাকায় কেনা সংযম আমার জন্য লজ্জার উৎস হয়ে উঠলো।
২.
মাঝে মাঝে এমন হয় যে, নিজের সত্ত্বাকে আশেপাশের অন্যান্য মানুষ/প্রাণী এমনকি জড় পদার্থ থেকে আলাদা করে ভাবতে পারি না। কখনো মনে হয় আমার কলমখানা, আমার কিবোর্ড খানা আমার সত্ত্বার অবিচ্ছেদ্য অংশ। কখনো রাস্তায় দেখা একদম অপরিচিত কোনো মানুষকেও আত্মার আত্মীয় বলে মনে হয়। কখনো কখনো নিজের আলাদা কোন অনুভুতির অস্তিত্ব থাকে না, অথচ অন্যের কষ্টে কষ্ট পাই, অন্যের হাসিতে আনন্দ অনুভব করি। সকল বস্তুর, সকল জীবের সত্ত্বা মিলে একটি একক সত্ত্বার অস্তিত্ব অনুভব করি নিজের মাঝে। মনে পড়ে, বিগ ব্যাং-এর পূর্বে সবাই ছিলাম একই বিন্দুতে লীন। নিজেকেই মনে হয় মহাবিশ্ব, নিজেকেই মনে হয় ঈশ্বর।
৩.
ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত ঈশ্বরের মত আমার অনেক পুজারী নেই। কিন্তু তাই বলে তার চেয়ে কোন অংশে কম ক্ষমতাবান আমি নই কোনোভাবেই। লক্ষ-কোটি বান্দা থাকতে পারে ভগবানেশ্বরাল্লাহর, কিন্তু একজন অভুক্তকে খাবার জোটানোর ক্ষমতা তার নেই, যেটা আমার রয়েছে। তাই ঈশ্বরের দ্বারস্থ না হয়ে নিজের কাছেই চাই সবকিছু।
সোমবার, ২৯ আগস্ট, ২০১১
রমজানে অসংযমী ভাবনা
১.
একটা সাধারণ দিনে লোকে খায়, ঘুমায়, কাজ করে, ডেট করে... সব করে সাধারণ নিয়মে। খাদ্য কিন্তু তার চেতনা জুড়ে থাকে না। কিন্তু রোজার দিনে লোকে সারাক্ষণ ভাবে খাবার নিয়ে। এমনকি খাদ্য নিয়ে তারা রীতিমতো ফ্যান্টাসাইজ করে। আর ইফতারের সময়ে খাদ্যের ওপরে উপগত হয়।
(টোস্টার)
২.
অতি বিশ্বাসীরা (বিশেষত প্রবীণরা) কারোর রোজা ভাঙার খবর শুনলে ফুল বেসে আঁতকে উঠেন, কিন্তু খবরের কাগজে নৃশংস খুনের সংবাদগুলো অসাধারণ নিস্পৃহ হয়ে অবলীলায় পড়ে যান। ভয়মিশ্রিত কঠিন বিশ্বাস তাদের বিবেকের একটা অংশকে অকেজো করে তুলেছে। কেবল ভয় আর প্রলোভনই কি তবে তাদের "শুদ্ধ মানুষ" হবার মূল প্রেরণা?
(নীল নীলিমা)
মুসলিম হত্যার পেছনে কারা?
এক প্রাক্তন মুসলিম ইতিহাস, তথ্য ও উপাত্ত ঘেঁটে দেখাচ্ছেন, ইতিহাসে মুসলিমরাই মুসলিমদেরকে সবচেয়ে বেশি হত্যা করেছে। অন্য কোনও ধর্মানুসারীরা বা আমেরিকা নয়। মুসলিম গোত্রে-গোত্রে হানাহানি ও হত্যাকাণ্ড শুরু হয়েছে নবীর মৃত্যুর পর থেকে এবং এখন পর্যন্ত তার সূচক স্পষ্টতই ঊর্ধ্বমুখী।
অনন্ত আন্তঃধর্ম বিতর্ক
দু'টি ভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে বিতর্কের ধরন সংক্রান্ত একটি ভিডিও (ধর্মকারীতে প্রকাশিত) থেকে অনন্ত লুপ-এর এই gif ফাইল বানিয়ে পাঠিয়েছেন মালা আলম।
সনাতনী কামিনী - ০২
লিখেছেন নিলয় নীল
সনাতনী কামিনী - ০১
শুধু বিধাতার সৃষ্টি নহ তুমি নারী--
পুরুষ গড়েছে তোরে সৌন্দর্য সঞ্চারি
...
লজ্জা দিয়ে, সজ্জা দিয়ে, দিয়ে আবরণ,
তোমারে দুর্লভ করি করেছে গোপন।
পড়েছে তোমার 'পরে প্রদীপ্ত বাসনা--
অর্ধেক মানবী তুমি অর্ধেক কল্পনা।
শরৎচন্দ্রের ভাষাতে বলতে হয়, আজকে আমরা তেলাপোকা কতোটা নারীস্বাধীনতা দিয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করবো।
আর স্ত্রী মারা গেলে স্বামী কী করবে? হ্যাঁ, পবিত্র মনুসংহিতার মাধ্যমে মনু সমাধান দিয়ে গেছেন: “ভার্যায়ৈ পূর্বমারিণ্যৈ দত্ত্বাগ্নীনন্ত্যকর্মণি/পুনর্দারক্রিয়াং কুর্যাৎ পুনরাধানমেব চ॥” (৫:১৬৮). এবার শুনুন বাংলা অর্থ - দাহ ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষ করে স্বামী আবার বিয়ে এবং অগ্ন্যাধ্যান করবেন। কী চমৎকার বিধান!
মনুসংহিতায় বলা আছে, বিবাহিতা স্ত্রীলোকের কাজ হবে: "স্মৃতঃ/পতিসেবা গুরৌ বাসো গৃহার্থোহগ্নিপরিক্রিয়া॥” (২:৬৭). বাংলা অর্থ - পতিসেবা, গুরুগৃহে বাস (স্বামীগৃহে বাস), গৃহকর্ম পরিচালনা করা এবং অগ্নিদেবকে সন্তুষ্ট রাখাই একজন সতী-সাধ্বী স্ত্রীর কর্তব্য।
পুরুষ ও নারীর দায়িত্ব সম্পর্কে মনুসংহিতায় বলা হয়েছে: "সন্তান জন্ম দেওয়া নারীর কর্তব্য এবং সন্তান উৎপাদনার্থে পুরুষ সৃষ্টি হয়েছে" (৯:৯৬)।
মনুসংহিতা নারীকে ধর্ম থেকে দূরে থাকার উপদেশ দেয়া হয়েছে: "যে সকল নারী একদা বৈদিক মন্ত্র-শ্লোক পর্যন্ত রচনা করেছিলেন, তাদের উত্তরসূরীদের জন্য ধর্মগ্রন্থ পাঠ সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত-অমন্ত্রক" (২:৬৬); "নারী মন্ত্রহীন, অশুভ" (৯:১৮)।
মনুসংহিতাতে লিপিবদ্ধ আছে, স্বামীর অপ্রিয় কোনো কিছু করা যাবে না: “কামন্তু ক্ষপয়েদ্দেহং" (৫:১৫৬). বাংলা অর্থ - সাধ্বী নারী কখনো জীবিত অথবা মৃত স্বামীর অপ্রিয় কিছু করবেন না ।
নারীর গুণাবলি সম্পর্কে মনুসংহিতায় বলা আছে: "নারীর কোনো গুণ নেই, নদী যেমন সমুদ্রের সাথে মিশে লবনাক্ত (সমুদ্রের গুণপ্রাপ্ত) হয়, তেমনই নারী বিয়ের পর স্বামীর গুণযুক্ত হন" (৯:২২)।
এখানেই নারীর স্বাধীনতা বিষয়ে বলা হচ্ছে: “অস্বতন্ত্রাঃ স্ত্রিয়ঃ কার্য্যাঃ পুরুষৈঃ স্বৈর্দ্দিবানিশম্/ বিষয়েষু চ সজ্জন্ত্যঃ সংস্থাপ্যা আত্মনো বশে॥” (৯:২) বাংলা অর্থ - স্ত্রীলোকদের স্বামীসহ প্রভৃতি ব্যক্তিগণ দিনরাত পরাধীন রাখবেন, নিজের বশে রাখবেন।
এর পরবর্তী শ্লোক: “পিতা রক্ষতি কৌমারে ভর্ত্তা রক্ষতি যৌবনে/রক্ষতি স্থবিরে পুত্রা ন স্ত্রী স্বাতন্ত্র্যমর্হতি॥” (৯:৩) বাংলা অর্থ - স্ত্রীলোককে পিতা কুমারী জীবনে, স্বামী যৌবনে ও পুত্র বার্ধক্যে রক্ষা করে; (কখনও) স্ত্রীলোক স্বাধীনতার যোগ্য নয়।
এবার দেখুন মনুসংহিতার আরেকটি বিখ্যাত শ্লোক: "দূষণম্/অতোহর্থান্ন প্রমাদ্যন্তি প্রমদাসু বিপশ্চিতঃ॥” (২:২১৩). বাংলা অর্থ - “নারীর স্বভাবই হলো পুরুষদের দূষিত করা...”!
মনুসংহিতার ঈশ্বরতুল্য মনুর আরেকটা উক্তি উর্লেখ না করে পারছি না: “নৈতা রূপং পরীক্ষনতে নাসাং বয়সি সংস্থিতিঃ/সুরূপং বা বিরূপং বা পুমানিত্যেব ভুঞ্জতে॥" (৯:১৪). বাংলা অর্থ - “যৌবনকালে নারী রূপ বিচার করে না, রূপবান বা কুরূপ পুরুষ মাত্রেই তার সঙ্গে সম্ভোগ করে।”
পুরো মনুসংহিতা পড়লে দেখা যাবে, যখনই নারী নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, তার প্রত্যেকটা জায়গায় নারীকে এভাবে "সম্মানিত" করা হয়েছে। হিন্দু ধর্ম অনুসারে মনু হচ্ছে ঈশ্বর কর্তৃক প্রেরিত প্রথম পুরুষ, যার বংশধন হিসেবে আমরা মানব। মনুর ধর্মই মানব ধর্ম। মনুর মাধ্যমে ঈশ্বর যে বিধান দিয়েছে, সেটারই নাম মনুসংহিতা। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, মনুর এই মতবাদ থেকেই এসেছে মনুবাদ, আর মনুবাদ থেকে এসেছে মানবতাবাদ!
সনাতনী কামিনী - ০১
শুধু বিধাতার সৃষ্টি নহ তুমি নারী--
পুরুষ গড়েছে তোরে সৌন্দর্য সঞ্চারি
...
লজ্জা দিয়ে, সজ্জা দিয়ে, দিয়ে আবরণ,
তোমারে দুর্লভ করি করেছে গোপন।
পড়েছে তোমার 'পরে প্রদীপ্ত বাসনা--
অর্ধেক মানবী তুমি অর্ধেক কল্পনা।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নারীর কাব্যিক সংজ্ঞা দিয়েছেন এভাবে। তিনি পারেননি হিন্দু পিতৃতন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসতে। হিন্দু পিতৃতন্ত্র পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে সফল পিতৃতন্ত্র। এতোটাই সফল যে, তা নারীকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিল যে, স্বামীর মৃত্যুর পর তার সাথে জ্বলন্ত অগ্নিতে নিজেকে পোড়ালে স্বর্গলাভ হয়! হিন্দু পিতৃতন্ত্র এতো বেশি সফল যে, রবীন্দ্রনাথের মতো বহুমুখী প্রতিভারাও এই পিতৃতন্ত্রের জয়গান গেয়েছেন। সেই পিতৃতন্ত্রের রাজত্ব এখনও ভালোভাবেই বহাল আছে।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় একটা কথা বলেছিলেন, "যাঁরা দাবি করেন, সনাতন ধর্মের নির্ভুল বিধি-ব্যবস্থার জন্যই তা এতো হাজার বছর ধরে তা টিকে আছে, তাঁদেরকে বলতে চাই: টিকিয়া থাকাটাই চরম সার্থকতা নয়। অতিকায় হস্তী লোপ পাইয়াছে , কিন্তু তেলাপোকা টিকিয়া আছে।"
শরৎচন্দ্রের ভাষাতে বলতে হয়, আজকে আমরা তেলাপোকা কতোটা নারীস্বাধীনতা দিয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করবো।
স্বামী মারা গেলে স্ত্রীর স্বর্গলাভের জন্য স্বামীর জ্বলন্ত চিতায় ঝাঁপ দিতে হবে। তবে বিকল্প একটি "মানবিক" সমাধান দেয়া আছে মনুসংহিতায়: “পুস্পমূলফলৈঃ শুভৈঃ/ন তু নামাপি গৃহ্নীয়াৎ পত্যৌ প্রেতে পরস্য তু॥” (৫:১৫৭). বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় - স্ত্রী সারা জীবন ফলমূল খেয়ে দেহ ক্ষয় করবেন, কিন্তু অন্য পুরুষের নামোচ্চারণ করবেন না।
আর স্ত্রী মারা গেলে স্বামী কী করবে? হ্যাঁ, পবিত্র মনুসংহিতার মাধ্যমে মনু সমাধান দিয়ে গেছেন: “ভার্যায়ৈ পূর্বমারিণ্যৈ দত্ত্বাগ্নীনন্ত্যকর্মণি/পুনর্দারক্রিয়াং কুর্যাৎ পুনরাধানমেব চ॥” (৫:১৬৮). এবার শুনুন বাংলা অর্থ - দাহ ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষ করে স্বামী আবার বিয়ে এবং অগ্ন্যাধ্যান করবেন। কী চমৎকার বিধান!
মনুসংহিতায় বলা আছে, বিবাহিতা স্ত্রীলোকের কাজ হবে: "স্মৃতঃ/পতিসেবা গুরৌ বাসো গৃহার্থোহগ্নিপরিক্রিয়া॥” (২:৬৭). বাংলা অর্থ - পতিসেবা, গুরুগৃহে বাস (স্বামীগৃহে বাস), গৃহকর্ম পরিচালনা করা এবং অগ্নিদেবকে সন্তুষ্ট রাখাই একজন সতী-সাধ্বী স্ত্রীর কর্তব্য।
পুরুষ ও নারীর দায়িত্ব সম্পর্কে মনুসংহিতায় বলা হয়েছে: "সন্তান জন্ম দেওয়া নারীর কর্তব্য এবং সন্তান উৎপাদনার্থে পুরুষ সৃষ্টি হয়েছে" (৯:৯৬)।
মনুসংহিতা নারীকে ধর্ম থেকে দূরে থাকার উপদেশ দেয়া হয়েছে: "যে সকল নারী একদা বৈদিক মন্ত্র-শ্লোক পর্যন্ত রচনা করেছিলেন, তাদের উত্তরসূরীদের জন্য ধর্মগ্রন্থ পাঠ সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত-অমন্ত্রক" (২:৬৬); "নারী মন্ত্রহীন, অশুভ" (৯:১৮)।
মনুসংহিতা অনুসারে যাঁদের জন্য হোম নিষিদ্ধ, তাঁরা হলেন: "কন্যা, যুবতী, রোগাদি পীড়িত ব্যক্তির হোম নিষিদ্ধ এবং করলে নরকে পতিত হয়" (১১:৩৭)!
মনুসংহিতাতে লিপিবদ্ধ আছে, স্বামীর অপ্রিয় কোনো কিছু করা যাবে না: “কামন্তু ক্ষপয়েদ্দেহং" (৫:১৫৬). বাংলা অর্থ - সাধ্বী নারী কখনো জীবিত অথবা মৃত স্বামীর অপ্রিয় কিছু করবেন না ।
নারীর গুণাবলি সম্পর্কে মনুসংহিতায় বলা আছে: "নারীর কোনো গুণ নেই, নদী যেমন সমুদ্রের সাথে মিশে লবনাক্ত (সমুদ্রের গুণপ্রাপ্ত) হয়, তেমনই নারী বিয়ের পর স্বামীর গুণযুক্ত হন" (৯:২২)।
এখানেই নারীর স্বাধীনতা বিষয়ে বলা হচ্ছে: “অস্বতন্ত্রাঃ স্ত্রিয়ঃ কার্য্যাঃ পুরুষৈঃ স্বৈর্দ্দিবানিশম্/ বিষয়েষু চ সজ্জন্ত্যঃ সংস্থাপ্যা আত্মনো বশে॥” (৯:২) বাংলা অর্থ - স্ত্রীলোকদের স্বামীসহ প্রভৃতি ব্যক্তিগণ দিনরাত পরাধীন রাখবেন, নিজের বশে রাখবেন।
এর পরবর্তী শ্লোক: “পিতা রক্ষতি কৌমারে ভর্ত্তা রক্ষতি যৌবনে/রক্ষতি স্থবিরে পুত্রা ন স্ত্রী স্বাতন্ত্র্যমর্হতি॥” (৯:৩) বাংলা অর্থ - স্ত্রীলোককে পিতা কুমারী জীবনে, স্বামী যৌবনে ও পুত্র বার্ধক্যে রক্ষা করে; (কখনও) স্ত্রীলোক স্বাধীনতার যোগ্য নয়।
এবার দেখুন মনুসংহিতার আরেকটি বিখ্যাত শ্লোক: "দূষণম্/অতোহর্থান্ন প্রমাদ্যন্তি প্রমদাসু বিপশ্চিতঃ॥” (২:২১৩). বাংলা অর্থ - “নারীর স্বভাবই হলো পুরুষদের দূষিত করা...”!
মনুসংহিতার ঈশ্বরতুল্য মনুর আরেকটা উক্তি উর্লেখ না করে পারছি না: “নৈতা রূপং পরীক্ষনতে নাসাং বয়সি সংস্থিতিঃ/সুরূপং বা বিরূপং বা পুমানিত্যেব ভুঞ্জতে॥" (৯:১৪). বাংলা অর্থ - “যৌবনকালে নারী রূপ বিচার করে না, রূপবান বা কুরূপ পুরুষ মাত্রেই তার সঙ্গে সম্ভোগ করে।”
পুরো মনুসংহিতা পড়লে দেখা যাবে, যখনই নারী নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, তার প্রত্যেকটা জায়গায় নারীকে এভাবে "সম্মানিত" করা হয়েছে। হিন্দু ধর্ম অনুসারে মনু হচ্ছে ঈশ্বর কর্তৃক প্রেরিত প্রথম পুরুষ, যার বংশধন হিসেবে আমরা মানব। মনুর ধর্মই মানব ধর্ম। মনুর মাধ্যমে ঈশ্বর যে বিধান দিয়েছে, সেটারই নাম মনুসংহিতা। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, মনুর এই মতবাদ থেকেই এসেছে মনুবাদ, আর মনুবাদ থেকে এসেছে মানবতাবাদ!
(চলবে)
রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১১
একা ও তিনজন
যুক্তি শাণিত ও নিখুঁত হলে প্রতিপক্ষের সংখ্যাধিক্যে কিচ্ছু এসে যায় না।
খ্রিষ্টানদের টিভি চ্যানেল ফক্স নিউজ তাদের স্টুডিওতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল American Atheists সংগঠনের সভাপতি ডেভ সিলভারম্যানকে। তাঁকে নাকাল করাই লক্ষ্য ছিলো নিশ্চয়ই। প্রস্তুতিও সেভাবেই নেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনজনের বাহিনী একজনকে মোকাবিলা করতে চরমভাবে ব্যর্থ হলো। সিলভারম্যানের চৌকস যুক্তির সামনে তাদেরকে অসহায়ভাবে চিৎকারই করে যেতে হয়েছে শুধু। খুবই পুলকিত হলাম দ্রোহী-র পাঠানো এই ভিডিও দেখে।
ধর্মগাধাদের নির্লজ্জ প্রভুরা
তুখোড় কমেডিয়ান জর্জ কারলিন ঈশ্বর সম্পর্কে বলেছিলেন, "... but he loves you. And he needs money!" (এই ভিডিওর প্রথম দেড় মিনিট অবশ্যদ্রষ্টব্য)
কারণ ধর্ম মানেই কিছু ধুরন্ধর লোকের ব্যবসা। আর ধর্মবিশ্বাসীদের চেয়ে সহজ শিকার আর কী হতে পারে তাদের জন্য? ধর্মবাজদের টাকা হাতিয়ে নেয়ার পদ্ধতি কতোটা নির্লজ্জ হতে পারে, তার উদাহরণ দেখুন এই ভিডিওতে। তবে এমন ফাঁদে পা দেয়ার মতো ধর্মগাধার অভাব নেই এই ধরাধামে। তাই ধর্ম ব্যবসা চলছে মহাসমারোহে।
ভিডিওটির নিচে লিরিকসসহ এমবেড করা গানটি (আমার প্রিয় অস্ট্রেলীয় কমিক গ্রুপ দ্য চেসার-এর গাওয়া) বড়োই প্রাসঙ্গিক, মোক্ষম এবং চরম মজাদার। বিশেষ করে ধর্মবাজ সাজা গায়ক যখন গেয়ে ওঠেন ধর্মানুসারীদের উদ্দেশে:
I’ve got all of heavens riches,
Thanks to all you stupid bitches!
লিরিকস:
Praise the lord for all the cash I’ve got,
Praise him for my rolls-royce and my yacht.
Serving God ain't hard,
With a credit card,
Jesus died so I could make a lot!
Praise the lord he's made us millionaires,
Wave your donations in the air.
We’ve replaced our hymns,
With ATMs,
And soon we will charge a fee on every prayer!
Jesus Christ was a poor man don’t you know,
He should’ve used our accountants for his cash flow!
Stop the Sermon on the Mount,
He should’ve had a bank account!
2000 years with interest, he’d be rolling in the dough!
Praise the lord this song's out on CD,
Just 14.95 plus GST.
Hallelujah,
Plenty of moolah!
Solid gold baubles on my Christmas tree!
I’ve got all of heavens riches,
Thanks to all you stupid bitches!
Praise the lord for modern Christianity! Yeah!
Whoever said religion should be free!
শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১১
নাস্তিকেরা এখানেও পিছিয়ে
একটু পুরনো পরিসংখ্যান। কারণ ভিডিওটাই ২০০৬ সালের। আমেরিকার ৭৫ শতাংশ নাগরিক খ্রিষ্টান। কারাগারে বন্দীদের ভেতরে খ্রিষ্টানদের সংখ্যাও শতকরা ৭৫ জন। অর্থাৎ অনুপাত সঠিক আছে। এবার নাস্তিকদের পরিসংখ্যান দেখা যাক। নাস্তিকদের সংখ্যা আমেরিকায় শতকরা ১০ জন হলেও জেলবাসীদের মধ্যে তাদের সংখ্যা শতকরা ১ জনেরও অ-নে-ক কম - ০.২ শতাংশ। মন্তব্য করার দরকার আছে?
ইহকালের চার পরকালের বাহাত্তরের রিহার্সেলমাত্র
আমার ধারণা, এই ছবিটি ব্যবহার করে ধর্মকারীর পাঠকেরা তাদের সৃজনশীলতার নমুনা দেখাতে পারবেন বরাবরের মতোই। এতে ক্যাপশন বসানো যেতে পারে, থট/স্পিচ বাবল ব্যবহার করা যেতে পারে, এ থেকে বানানো যেতে পারে পোস্টার, ছড়া...
অপেক্ষায় ধর্মপচারক।
লিংকিন পার্ক - ০২
সময়াভাবে যে-বিষয়গুলো নিয়ে পোস্ট দেয়া হয়ে ওঠে না...
১. আমেরিকাবাসী চৈনিক-মালয়েশীয় সমকামী ধর্মযাজক তাঁর বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান মালয়েশিয়ায় করার ঘোষণা দেয়ায় সেখানে আবহাওয়া উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে।
২. বিবর্তনের ধারায় চার্চ হয়ে গেল সুপারমার্কেট
৩. ধর্ম ও রাষ্ট্রের পৃথকীকরণ বিষয়ে ওবামার পুরনো বক্তৃতা।
৪. আমাদের হিন্দু ভাইদের জন্য দুঃসংবাদ। তারা সবাই মুসলিম। (লিংক পাঠিয়েছেন মালা আলম)
৫. বিবর্তনকে অস্বীকার করে আদম-হাওয়ার কু-রূপকথাকে আঁকড়ে ধরে থেকে আর সুবিধে করা যাচ্ছে না বলে ইভ্যানজেলিক্যাল খ্রিষ্টানরা অল্পস্বল্প করে আলোর পথে আসছে নাকি?
সহজতম বিবর্তনশিক্ষা
শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০১১
ইসলামের শীতল ছায়াতলে
লিখেছেন থাবা বাবা
সবই নাকি কোরান থেকে চুরি
সবই নাকি কোরানেতে লেখা,
তাইতো তারা হাতে মারে তুড়ি
বলে “তোদের ঈমান কোথায় দেখা।”
আমার ঈমান - বিদ্যা এবং জ্ঞান
ঈমান-ভরা আমার মাথার খুলি,
তাদের দেখি নারীই শুধু ধ্যান
ঈমান তাদের অণ্ডকোষের ঝুলি?
মহা-উন্মাদ নবীই তাদের শেষ
তিনি নাকি অনেক মহান লোক,
মহান ভূমি আরব যে তার দেশ
তাঁর ছিল খুব বিয়ে করার ঝোঁক।
সবই নাকি কোরান থেকে চুরি
সবই নাকি কোরানেতে লেখা,
তাইতো তারা হাতে মারে তুড়ি
বলে “তোদের ঈমান কোথায় দেখা।”
আমার ঈমান - বিদ্যা এবং জ্ঞান
ঈমান-ভরা আমার মাথার খুলি,
তাদের দেখি নারীই শুধু ধ্যান
ঈমান তাদের অণ্ডকোষের ঝুলি?
মহা-উন্মাদ নবীই তাদের শেষ
তিনি নাকি অনেক মহান লোক,
মহান ভূমি আরব যে তার দেশ
তাঁর ছিল খুব বিয়ে করার ঝোঁক।
তাঁর ফলোয়ার - সাহাবা যার নাম
সবার তাদের থাকতো খাড়া শিশ্ন,
করতো শুধু যুদ্ধ এবং ‘কাম’
তাদের কাছে ফেল মেরে যায় কৃষ্ণ।
যুদ্ধশেষে করতো তারা ধর্ষণ
আবাল এবং বনিতা ও বৃদ্ধ,
তাতেই নাকি আল্লা করে বর্ষণ
নেকী, ওসব কর্মকাণ্ড সিদ্ধ।
মহা-ম্যাডের দুনিয়া ছিল চ্যাপ্টা
আকাশ নাকি ওল্টানো এক বাটি,
তারারা সব আসমানেতে ল্যাপ্টা
রাত্রে যাতে আঁধার না পায় মাটি।
সূর্য কাটায় আরশ তলে রাত
দিনে খোদার আদেশ পেয়ে ধায়,
সূর্যের আবার থামার তো নেই ধাত
কাদার ভেতর অস্ত নাকি যায়।
আরো কতো আজব কথা লেখা
লেখা কতো আজব আজব কাণ্ড,
এই দুনিয়ায় মানুষ তো নয় একা -
জ্বীন-হুরিতে ভরা খোদার ভাণ্ড।
নতুন কিছুর পেলে তারা দেখা
চেঁচিয়ে বলে জোরসে তারা হেঁকে,
সবই আছে কোরানেতে লেখা
সবই নাকি চুরি কোরান থেকে।
আইনস্টাইন কিংবা স্টিফেন হকিং
নতুন সূত্র নতুন করে বলুক,
শুনবে নাকো যতোই করো নকিং
ব্যস্ত তারা লইতে ‘ঢিলা-কুলুখ’।
সবার তাদের থাকতো খাড়া শিশ্ন,
করতো শুধু যুদ্ধ এবং ‘কাম’
তাদের কাছে ফেল মেরে যায় কৃষ্ণ।
যুদ্ধশেষে করতো তারা ধর্ষণ
আবাল এবং বনিতা ও বৃদ্ধ,
তাতেই নাকি আল্লা করে বর্ষণ
নেকী, ওসব কর্মকাণ্ড সিদ্ধ।
মহা-ম্যাডের দুনিয়া ছিল চ্যাপ্টা
আকাশ নাকি ওল্টানো এক বাটি,
তারারা সব আসমানেতে ল্যাপ্টা
রাত্রে যাতে আঁধার না পায় মাটি।
সূর্য কাটায় আরশ তলে রাত
দিনে খোদার আদেশ পেয়ে ধায়,
সূর্যের আবার থামার তো নেই ধাত
কাদার ভেতর অস্ত নাকি যায়।
আরো কতো আজব কথা লেখা
লেখা কতো আজব আজব কাণ্ড,
এই দুনিয়ায় মানুষ তো নয় একা -
জ্বীন-হুরিতে ভরা খোদার ভাণ্ড।
নতুন কিছুর পেলে তারা দেখা
চেঁচিয়ে বলে জোরসে তারা হেঁকে,
সবই আছে কোরানেতে লেখা
সবই নাকি চুরি কোরান থেকে।
আইনস্টাইন কিংবা স্টিফেন হকিং
নতুন সূত্র নতুন করে বলুক,
শুনবে নাকো যতোই করো নকিং
ব্যস্ত তারা লইতে ‘ঢিলা-কুলুখ’।
কোরান রক্ষা করেন স্বয়ং প্রভূ
বদলাবে না উলটে গেলেও মর্ত,
কারোর নাকি ক্ষমতা নাই কভু
তারপরেও বদলে যে যায় অর্থ।
একটি শব্দ - চোদ্দরকম মানে
এটাই হলো আরবি ভাষার ফাঁকি,
বিজ্ঞানীরা নতুন তথ্য আনে
মোল্লারা দেয় কোরান ধরে ঝাঁকি।
জের-জবর ও নুকতা গ্যাঁড়াকলে
বদলে আয়াত যাচ্ছে প্রতিদিন,
ইসলামেরই শীতল ছায়াতলে
নূরের ঠ্যালায় হচ্ছে আলো ক্ষীণ।
বদলাবে না উলটে গেলেও মর্ত,
কারোর নাকি ক্ষমতা নাই কভু
তারপরেও বদলে যে যায় অর্থ।
একটি শব্দ - চোদ্দরকম মানে
এটাই হলো আরবি ভাষার ফাঁকি,
বিজ্ঞানীরা নতুন তথ্য আনে
মোল্লারা দেয় কোরান ধরে ঝাঁকি।
জের-জবর ও নুকতা গ্যাঁড়াকলে
বদলে আয়াত যাচ্ছে প্রতিদিন,
ইসলামেরই শীতল ছায়াতলে
নূরের ঠ্যালায় হচ্ছে আলো ক্ষীণ।
সম্যক সম্মানসম্পন্ন সম্ভাষণ
বিশ্বে শিশুকামীদের সবচেয়ে বড়ো সংগঠনের প্রধান এবং সংগঠনভুক্ত সব শিশুকামীর প্রধান রক্ষাকর্তা ভ্যাটিকানের ভণ্ড পোপ তার ভ্যাটকানি হাসি দেখাতে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর নিজের দেশ জার্মানি (বার্লিন) সফরে যাচ্ছে। তাকে সাদর সম্ভাষণ জানানো হচ্ছে এভাবে:
আরও একটি প্রতিবাদের কিছু দৃশ্যসম্বলিত স্লাইড-শো।
বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১১
আদমচরিত ০৪১
লিখেছেন মুখফোড়
ঈশ্বর সপ্তাহে একদিন ছুটি কাটাইয়া থাকেন। বাকি ছয়দিন হুলুস্থুলু অফিস করেন। সারা ব্রহ্মাণ্ডের কার্যাদি সাধন করিয়া বেড়াইতে হয়। কোন ছায়াপথে কোন নক্ষত্রকে ঘিরিয়া কোন গ্রহ লাট খাইতে খাইতে নিজের উপগ্রহসমূহকে ঘুরাইয়া মারিবে, তাহা পদে পদে নির্ধারণ করিয়া দেন। কোন ব্যাং কোন দাদুরীর সহিত সঙ্গম করিয়া কোন পাতার নিচে ডিম্ব পাহারায় নিযুক্ত হইবে, তাহাও তাকেই বাছিয়া দিতে হয়। পান হইতে চুন খসিলেই সব আউলাইয়া যাইবে।
কিন্তু ছয়দিন অফিস করিয়া ঈশ্বরের পোষায় না। তিনি দীর্ঘদিন যাবত হলিডে কাটান না। লোকে ছুটিতে কক্সবাজার যায়, ব্যাংকক যায়, ফুকেট যায়, বিচিত্র সব মাসাজ উপভোগ করিয়া চনমনা হইয়া বাটী ফেরে, আর তিনি বসিয়া বসিয়া জগতসংসারের সুতার গিটঠু পাকাইতেছেন আর ছাড়াইতেছেন। কোনো বিনোদন নাই।
ঈশ্বর স্থির করিলেন, তিনিও হলিডে মারিবেন এক চক্কর। ব্যাংককে গিয়া উপর্যুপরি ফূর্তি মারিবেন। ফূর্তির চোটে বুড়া হাড্ডিতে চোট পাইলে বুমরুনগ্রাদে চিকিৎসা করাইয়া আসিবেন।
ঈশ্বর আনমনে একটি গামছায় প্রয়োজনীয় টুকিটাকি ভরিতে ভরিতে মোবাইল মারিয়া গিবরিলকে তলব করিলেন। গিবরিল আসিয়া সেলাম ঠুকিল।
একটি নিমের ডাল, আধা শিশি খাঁটি সর্ষপতৈল, কয়েকটি কানকাঠি, মেষচর্মের কনডম প্রভৃতি কাজের জিনিস গামছায় পুঁটুলি বাঁধিতে বাঁধিতে ঈশ্বর কহিলেন, "তা গিবরিল, ডাইনোসরগুলি কেমন আছে?"
গিবরিল কহিল, "তারা আনন্দে আছে জাঁহাপন। কেহ পানিতে সাঁতার কাটিতেছে, কেহ আকাশে উড়িতেছে, বাকিরা জমিনেই দাপাদাপি করিয়া অস্থির।"
ঈশ্বর খুশি খুশি গলায় কহিলেন, "বিস্তর বিবর্তন ঘটিতেছে শুনিলাম?"
গিবরিল কহিল, "হাঁ। বিবর্তিত হইয়া তাহারা পৃথিবীর তাবত ফুটাফাটা দখল করিয়া বসিয়াছে।"
ঈশ্বর কহিলেন, "গুড! ভারি কাজের জিনিস এই বিবর্তন! যাই হউক, আমি একটু হলিডে মারিয়া আসি। তোমরা নন্দন কাননকে দেখিয়া শুনিয়া রাখো। গণ্ডগোল করিও না। আর আদম কোনরূপ বেচাল ঘটাইলেই তাহার কানশা বরাবর একটি প্রকাণ্ড থাবড়া মারিয়া বসাইয়া দিবে ... হতভাগা একখানা!"
গিবরিল ভ্যাবাচ্যাকা খাইয়া কহিল, "আপনি হলিডেতে গেলে জগত সংসার চালাইবে কে?"
ঈশ্বর কহিলেন, "কেন, শাজাহানিল?"
গিবরিল আঁতকাইয়া উঠিয়া কহিল, "শাজাহানিল কি জগতসংসার চালাইতে পারিবে? উহার কি লাইসেন্স আছে?"
ঈশ্বর কহিলেন, "আহা, হিংসুক প্রবৃত্তি দূর কর গিবরিল। শাজাহানিল আমার মহল্লার স্বর্গদূত, উহাকে বিলক্ষণ চিনি।"
গিবরিল ভ্যানভ্যান করিতে লাগিল, "শাজাহানিল তো আনপড় একখানা! ও চালাইবে জগতসংসার?"
ঈশ্বর কহিলেন, "শোনো, এত লেখাপড়া দিয়া কী হইবে? তাছাড়া শাজাহানিল সিগনাল চিনে, গবাদি ও ছাগাদি পশুও চিনে, আদম আর ঈভকেও চিনে অল্পবিস্তর। দুশ্চিন্তা করিও না। উহাকে লাইসেন্স দিয়া গেলাম।"
ঈশ্বর কাঁধে পুঁটুলি ঝুলাইয়া ব্যাংকক অভিমুখে যাত্রা শুরু করিলেন।
শাজাহানিল হাসিমুখে জগত সংসারের দায়িত্ব গ্রহণ করিল।
সে পঁয়ষট্টি মিলিয়ন বৎসর আগের কথা।
মুসলিমদের উদ্দেশে কয়েকটি প্রশ্ন
এক প্রাক্তন মুসলিম কিছু প্রশ্ন করেছেন মোমিন মুসলিমদের উদ্দেশে। তাঁরা কি পারবেন ত্যানা না পেঁচিয়ে ও ঐতিহ্যবাহী ইছলামী পিছলামি না করে সরাসরি স্পষ্ট উত্তর দিতে? ছয় মিনিটের ভিডিওর সঙ্গে 'মেটালিকা'-র 'নাথিং এলস ম্যাটারস'-এর পিয়ানো ভার্শন বোনাস।
প্রশ্নগুলো ভিডিওর নিচে লিপিবদ্ধ করা হলো।
Does God's stated purpose of creating man so they worship him seem worthy of an immensely intelligent and all-powerful being?
If God is self-sufficient, and does nothing in vain, isn't creation the height of vanity?
If creation is for our benefit, then what is the benefit to those who will burn forever?
What's the point of God's test when he knows the outcome? Is it just so he can have a reason to punishment & reward?
Can a being who creates humans he knows will fail his test and will be tortured without end, be called The Most Merciful of those who show Mercy?
If God wanted us to freely choose to worship him - then why threaten us? Does someone with a gun to his head really have free choice?
Why does God cause so much suffering to humans? Is it part of God's test to prompt them to turn to him in obedience and worship? Isn't that like a con-man who causes a problem then offers to fix it for you?
Why would God give humans the ability to reason - then punish them for rejecting beliefs reason cannot reconcile?
Why does the human body look suspiciously like it was the result of a long cumulative process of evolution resulting in imperfections and vestigial organs and genes - and not the result of the instant and perfectly planned creation of Adam and Eve?
Which is more evil, the imperfect creature who commits evil or the perfect entity which created evil?
Is being good because you fear God, really being good?
Why did God send all known prophets, miracles and books to one area of the world and at a time when people were superstitious and gullible?
Why did God only protect the Qur'an from corruption? Couldn't he have protected the Bible and prevented billions claiming he has a son?
What was so special about prophet Jesus that God made him born to a virgin? Took him up to heaven before he was crucified? And is going to bring him back again before the day of judgment?
Do you believe it's acceptable for a husband to hit a rebellious wife?
Why do so many characteristics of Allah like anger and vengefulness seem like human ones?
Why does the Qur'an say don't ask questions about things, when the answer would trouble you. Should followers of other religions also not ask questions about their religion when it might trouble them?
Why will God never forgive Shirk? What are they really guilty of? Ignorance? Being born to the wrong family?
The quran criticizes idolaters for following the religion of their parents. Are you any different?
You believe other people are following false, corrupted or unfounded beliefs? Are you certain you're not also?
বুধবার, ২৪ আগস্ট, ২০১১
চিন্তার বিষয়বস্তু
নিচের পোস্টার দেখে কেউ যেন ভেবে না বসেন যে, ব্যঙ্গ করা হচ্ছে এই অবোধ শিশুকে। একেবারেই নয়। বস্তুত ধিক্কার জানানো হচ্ছে কোমল শিশুমস্তিষ্কে ধর্মবিশ্বাস নামের বীভৎস, ভীতিজাগানিয়া এবং কুৎসিত ও অশ্লীল প্রলোভনপূর্ণ বিষ ঢোকানোর প্রক্রিয়াকে।
বানিয়ে পাঠিয়েছেন দাঁড়িপাল্লা (গুমর ফাঁক)
মহাকবিরাজ মহানবী – ০২
নিশ্চয়ই ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান এবং মহানবী নিশ্চয়ই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সর্ব বিষয়ে সার্বিকভাবে জ্ঞানান্বিত ব্যক্তি। আর তাই ইসলামী চিকিৎসাবিজ্ঞানও চির-আধুনিক ও সর্বজনীন। বুঝে পাই না, মুসলিমরা কেন নবী বর্ণিত নানাবিধ চিকিৎসাপদ্ধতি ব্যবহার করে সুন্নত পালনে অনীহ।
মোমিন বান্দাদেরকে যাতে আর অনৈসলামিক চিকিৎসার পেছনে অনর্থক অর্থব্যয় করতে না হয়, সেই লক্ষ্যে শুরু করা হয়েছে এই সিরিজ।
চিকিৎসাপদ্ধতি ২.
উল্টোপাল্টা কিছু খেয়ে পৈটিক গোলযোগ দেখা দিলে অর্থাৎ ত্যাগের লক্ষ্যে ঘন ঘন টয়লেটমুখী হতে বাধ্য হলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ঘরে মধু থাকলেই মুশকিল আসান।
হাদিসে বর্ণিত আছে, এক লোক নবীজির কাছে এসে জানালো, তার ভাইয়ের পেট খারাপ হয়েছে। শুনে নবীজি মধু খাওয়ার উপদেশ দিলেন। পরে সেই লোকটি আবার এসে জানালো, মধু খেয়ে তার ভাইয়ের দশা আরও কাহিল হয়েছে। দ্বীনের নবী তখন ভর্ৎসনার সুরে বললেন, "আল্লাহপাক সত্য বলেছেন, আর মিথ্যা বলেছে তোমার ভাইয়ের পেট।"
ইহা হইতে আমরা কী শিক্ষা পাইলাম? লুজ মোশন হলে মধু খেয়ে সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব। তবে যদি তা না ঘটে, বুঝতে হবে পেটের ঈমান দুর্বল। কারণ আল্লাহপাক মিথ্যে বলতে পারেন না।
(বুখারী ৭.৭১.৬১৪)
তথ্যসূত্র সহায়তা: আনাস।
The Thinking Atheist-এর নেপথ্যের ব্যক্তিটি
The Thinking Atheist-এর বানানো ভিডিওগুলির প্রতি আমার মুগ্ধতা প্রকাশ করেছি বহুবারই। ক'দিন আগে একচল্লিশটি মুক্তো নামে তাঁর ভিডিওগুলোর একটি সংকলনও এমবেড করেছি ধর্মকারীতে।
The Thinking Atheist-এর পেছনের ব্যক্তিটি এবার জনসমক্ষে এসেছেন প্রথমবারের মতো। নাস্তিক হিসেবে। কারণ এর আগে তিনি খ্রিষ্টান ছিলেন তিরিশ বছর ধরে, এর মধ্যে বারো বছর কাজ করেছেন ক্রিশ্চিয়ান ব্রডকাস্টার হিসেবে। কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত Oklahoma Freethought Convention-এ তিনি বক্তৃতা দেন। ভিডিওগুলোর মতো কথাবার্তাতেও তিনি চৌকস, সরস। তাঁর পঁয়তাল্লিশ মিনিটের বক্তৃতা আমি খুব উপভোগ করেছি।
লিংকিন পার্ক - ০১
সময়াভাবে যে-বিষয়গুলো নিয়ে পোস্ট দেয়া হয়ে ওঠে না...
১. চৌদি আজবের কাছে হজ্ব একটি বিপুল লাভজনক ব্যবসার নাম। কৌতূহলোদ্দীপক রিপোর্ট।
২. নরওয়েতে অনুষ্ঠিত দ্য ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিস্ট কংগ্রেসের সমাপনী অনুষ্ঠানে বড়ো পর্দায় দেখানো হয়েছিল এই ভিডিও, যেখানে গান গেয়েছেন Darwin & The Naked Apes, গানের নাম Children of Evolution.
৩. সরকারী খরচে পোপের স্পেন আগমনের প্রতিবাদের কিছু ছবি। জমায়েত জনতার বিপুলতায় আশাবাদী হওয়াই যায়।
৪. সমকামিতাবিদ্বেষী ক্যাথলিক সিনেটরের গে সেক্স স্ক্যান্ডাল।
৫. ধর্ষক, শিশুকামী হিসেবে খ্যাতিমান ব্যক্তিরাই ইসলামের পথে আসে তা তো নয়। এই দেখুন না, বিরাশি বছর বয়সী গ্র্যান্ডমাদারকে হত্যা করে সাজাভোগী এক কয়েদী ইসলাম গ্রহণ করেছে। কারণটি অভিনব।
মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০১১
ধর্মের নামে শিশুনির্যাতন
এইসব শিশুর বাপ-মা'র জন্য উপযুক্ততম স্থান হওয়া উচিত জেলখানা অথবা মানসিক হাসপাতাল। তারা তাদের অবোধ সন্তানদের অপরিণত মস্তিষ্ক ধর্ম দিয়ে ধোলাই করে বানাচ্ছে ধর্মপ্রচারক! এবং তা দেখে মুগ্ধ হবার মতো গর্দভেরও অভাব নেই এই বিশ্বচরাচরে!
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল আগামীকাল প্রচার করবে pint-sized-preachers নামের একটি ডকুমেন্টারি। তিন মিনিটের ট্রেইলার দেখুন।
জ্বীন-শয়তান সমাচার
লিখেছেন রুবাইয়্যাত আহসান
বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে
আমরা তখনও পিছে,
বিবি তালাকের ফতোয়া খুঁজছি
হাদিস ও কোরান চষে।
বাহিরের দিকে যত মরিয়াছি
ভেতরের দিকে তত
গুনতিতে মোরা বাড়িয়া চলেছি
গরু ছাগলের মত।
জ্বীন-ভূত বিষয়াদি চর্মচক্ষে না দেখার কারণে সম্পূর্ণ অন্যের বর্ণনার উপর নিজের ভরসাটুকু সম্পূর্ণ চাপিয়ে নিশ্চিন্ত হতে পারি না। এখন আবার প্রত্যেকেই জাকির নায়েক- ধর্ম বিষয়ক কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলে প্রত্যেকেই সাত খন্ড রামায়ণ না শুনিয়ে ছাড়ার মতলব করেন না, আবার নিজের পেটে থাকা কিছু বিদ্যের দাবী নিয়ে সেটার অযথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুললে ‘আমি ঠিক, বাকী সব ভুল’ দাবী তুলনেওয়ালারও হতোদ্যম হয় না। তাই খুঁজে পেতে একটা বই জোগাড় করলাম জ্বীন বিষয়ে জানার জন্য। বইটা নিয়েই দুইটা কথা বলতে আসলাম।
যে বইটা নিয়ে আলোচনা করতে আসছি, সেটার বিষয় বস্তু জ্বীন। বিষয়বস্তু না বলে বলা ভাল - পুরো বইটি লেখা হয়েছে জ্বীন নিয়ে। বইটার প্রচারের কোন ইচ্ছা নাই, তাই ডাউনলোড লিংক দিলাম না। আর ভয় পাবার কিছু নাই, বাঙালি এখনও এত উন্নত জাতের কোন চীজ হয়ে উঠতে পারে নাই যে, সে মানব জিন নিয়ে গবেষনা করবে। আর আমি নিজেও বাঙালি ব্যতীত ভিন্ন কোন শ্রেণীতে পড়ি না। মানব শিশুর ইন্টেলেকচুয়াল ইন্টিলিজেন্স ফর্ম করে ছয় থেকে সাত সপ্তাহে - বাঙালির এই জিনিস আদৌ কোনোদিন তৈরী হয় কি না, বৈদ্যনাথ তলার কোনো স্টেথেস্কোপওয়ালা তা এ পর্যন্ত হলফ করে বলার সাহস পর্যন্ত করে উঠতে পারে নাই- সেহেতু এই বিষয়ে সন্দেহের কোনো ঘাটতি আছে কারো বলে মনে হয় ন। ভূত, পেত্নি নিয়ে বিস্তর গল্প ফাঁদা হয়েছে এ যাবৎ - আব্বা-আম্মারা আমাদের হাতে সেই শৈশবকালে ফিডারের পাশাপাশি হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলেন রূপকথার গল্প। কালক্রমে ফিডারটা মুখ থেকে সরে যাবার কারণে আমাদের বাম হাতে রূপকথা বইখানা ধরা থাকলেও ডান হাত আর ফিডার ধরার কাজে ব্যবহৃত না হয়ে খালি পড়ে থাকতো। যেহেতু সকল বাঙ্গালীই সব্যসাচী, তার অন্য হাত বেকার খালি পড়ে থাকুক, সে তা কখনোই চায়নি। আমাদের ধর্মপুরুত গোষ্ঠীও মওকা বুঝে সেই খালি হাতে পবিত্র গ্রন্থ চাপিয়ে দিয়েছে। ভারসাম্য রক্ষার জন্য রূপকথার ঠাকুরমার ঝুলির যোগ্য সামঞ্জস্য বই পেয়ে আমরা দিরুক্তি করিনি।
তবে বইখানার প্রারম্ভিক কথাদুটো খুব মনঃপূত হয়েছে আমার। কথাটা হুবহু আমার ব্লগের প্রথম দুই লাইনেই কোট করে তুলে দিয়েছে, বিন্দুমাত্র পরিবর্তন করিনি। যদি লেখাটার ইমেজ পিকচার দেখাই তাহলে কিছুটা লজ্জা পেতে পারেন- এমনিতেই রমজান মাস, আর কিছু থাকুক না থাকুক- বাঙালীর লাজের কোন কমতি কোনো কালে ছিলো না। এই পোস্টে প্রচুর ইমেজ ব্যবহার করেছি। অতি আবশ্যক না হলে লিংক আকারেই সংযোজন করে দিলাম, এমবেড করা অপেক্ষা।
প্রথমটাই দেখুন- রমজান সাধনার মাস বলে কথা, খোদা আর তার রসুল দুটো জিনিস বাগিয়ে বসে আছেন।
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম বা ৭৮৬
যাবতীয় প্রশংসা অনন্ত মহান আল্লাহর প্রাপ্য
এবং
বুক ভরা দুরুদ ও সালাম তাঁর রসূলের জন্য।
জ্বীন জিনিসটা কি?
পবিত্র কোরানের বহু জায়গায় জ্বীনের উল্লেখ করা আছে অত্যন্ত ‘সুস্পষ্ট ভাষায়’। প্রিয় নবীজির প্রিয় হাদিসেও জ্বীন বিষয়ক বহু আলোচনা পাওয়া যায়। তাই জ্বীনে অস্তিত্বে বিশ্বাস রাখার বিষয়টি ঈমান-আকীদার অংশ হয়েই দাঁড়ায়।
মূলতঃ অমুসলিম পন্ডিতদের মধ্যে রয়েছে ‘ভূত’ নিয়ে অদ্ভুতরকমের বিভ্রান্তি।
[ভূত নিয়ে নানা বিভ্রান্তির জবাব দেওয়া যায় জ্বীন দিয়ে- ক্ষিকজ্]
[মজা মারেন!!! হাসলে দাঁত ভেঙ্গে দিবো!!]
জ্বীনদের বিভিন্ন কার্যকলাপে মাঝে-মধ্যে দেখে শুনে কেউ কেউ সেগুলোকে ভূতের কারসাজি বলে মনে করেন এবং ওগুলোর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হাতড়াতে থাকেন। কিন্তু আমরা যারা জ্বীনের অস্তিত্বে বিশ্বাসী, জ্বীনদের বিষয়ে অনেক কিছুই জানি না।
হযরত আবূ উমার আয্-যাহিদ এর মতে- জিন্নাত বা জ্বীনজাতির কুকুর বা ইতর শ্রেণীকে বলা হয় জ্বীন।
[আল্লাহর সৃষ্টিকূলের মাঝে শ্রেষ্ঠতর সৃষ্টি হলো মানুষ বা আশরাফুল মাখলুকাত। পক্ষান্তরে নিকৃষ্টতম সৃষ্টি হলো কুত্তা- সাহাবীদের মতে, প্রাণীকূলের মধ্যে একমাত্র কুত্তার স্পর্শ লাগলেই অযু করতে হয়। মানুষের সবচেয়ে নিকটবর্তী এই প্রাণীটিকে ব্রাত্য করে রাখার কারণ খোদা মাবুদ জানে-
আমিরিকানদের ডায়লগ আছে একটা- একটা ফাকার মেয়ে খোজার আগে একটা সাকার কুত্তা খুজে বের করো। এই হাদীস শোনার পর তারা বলবে- একটা ফাকার মেয়ে খোঁজার আগে একটা সাকার জ্বীন খুঁজে বের করো।]
তবে এইটুকু জ্বীনের পরিচয় তা বলতে গেলে আপত্তি জানাবো। শুধু এইটুকুই না। হযরত আবুল আলিয়াহ (রহঃ) বলেছেন- কিছু কিছু উট জন্মানোর পর প্রথমদিকে জ্বীন হয়ে থাকতো।
হ্যা, ভুল পড়েননি। জ্বীন শাস্তি স্বরূপ উট হয়ে যেত না, বরং উট জ্বীন হয়ে যেতো। অনেকটা জন্মান্তরবাদ থিওরীর মতো- আগে পশু হয়ে জন্মাবা, পূন্যের খাতা ভারি হলে মানুষ না, ডিরেক্ট জ্বীন।
হে মানব প্রজাতি, তোমরা জ্বীনে বিশ্বাস না রেখে বরং উটে বিশ্বাস রাখো।
জ্বীনদের খাদ্য কি?
গু-গোবর।
হযরত শায়খ আবদুল কাদীর জীলানী (রহঃ) হজ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে তার সঙ্গে তার মুরীদরাও রওনা হন। সেই সফরে তারা যখনই কোনো মঞ্জিলে যাত্রা বিরতি দিতেন, তাদের কাছে সাদা পোশাক পরিহিত এক যুবক হাজির হত। কিন্তু সে তাদের সাথে কোন কিছুই খাওয়া-দাওয়া করত না। বড়পীর হযরত আবদুল কাদীর জীলানী (রহঃ) আপন মুরীদদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, তারা যেন ওই যুবকের সাথে কথা না বলে।
এভাবে যেতে যেতে তারা এক সময় মক্কা শরীফে গিয়ে প্রবেশ করলেন এবং একটি বাড়িতে উঠলেন।
কিন্তু তারা যখন বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতেন, তখন সেই যুবকটি ঢুকত এবং তারা বাড়িতে ঢোকার সময় যুবকটি বের হয়ে যেত। এটা বেশ কয়েকজনের কাছে আশ্চর্য লাগলেও বড়পীরের আদেশ মতো কেউ তাকে কিছু জিজ্ঞেস করতে যেতে পারছিলো না।
একবার সবাই বের হয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু একজন তখনও থেকে গিয়েছিলেন পায়খানায়। সেই সময় সেই যুবকটি জ্বীনটি প্রবেশ করে। তাকে তখন কেউ দেখতে পায়নি। সে ঘরে ঢুকে একটা থলি খুলে গোবর-নাদি বের করে খেতে শুরু করে। সে সময় পায়খানায় থেকে যাওয়া মুরীদ ওই ঘরে প্রবেশ করেন। এবং তিনি সেই জ্বীনকে দেখতে পান। তখন জ্বীনটি সেখান থেকে চলে যায় এবং এরপর আর কখনও তাঁদের কাছে আসেনি।
মুরীদটি এ ঘটনার কথা বড়পীর সাহেবের কাছে উল্লেখ করলে তিনি বলেন, ও ছিল সেইসব জ্বীনদের অর্ন্তগত, যারা রসুলুল্লাহহ (সাঃ)-এর মুখে পবিত্র কোরান শুনেছিলেন এবং সাহাবী জ্বীন হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন।
(-আরজাওয়াতুল জ্বান, ইবনু ইমাদ, বাংলা গ্রন্থ জ্বীন জাতির বিস্ময়কর ইতিহাস)
অর্থাৎ জ্বীনদের খাদ্য গু-গোবর এবং তারা অর্ন্তযামী নয়। অর্ন্তযামী নয় এ কথা ঢালাও ভাবে বলা যায় না, তবে কেউ যদি জ্বীনদের চোখ-স্পর্শ কিংবা কোনোরকম অস্তিত্ব এড়িয়ে থাকতে চান, তারা ওয়াশরুমে অবস্থান করবেন।
জ্বীনরা কি বংশ বিস্তার করে?
হ্যাঁ, জ্বীনরা বংশ বিস্তার করে। জ্বীনদের পুরুষ-নারীও আছে। মেয়ে জ্বীনদের কথা যেহেতু উল্লেখ করা নেই, সেহেতু ধরে নেওয়া হয় তাদের একাংশ পেত্নি সম্প্রদায় থেকে এসেছে। এরা সেক্স করে, এদের সন্তানসন্ততি হয়। এদের পর্নো ভিডিও নেটেও পাওয়া যায়, অনেকে হয়তো দেখে থাকবেন। পর্নো সাইটে ভিডিও দেখার জন্য ঢুকেছেন, কিন্তু গিয়ে দেখলেন পেজ লোডিং হচ্ছে তো হচ্ছে না, পাতা এক জায়গায় স্থির হয়ে আছে, নড়াচড়া করছে না। কোনো কোনো সময় হঠাৎ ভিডিও বাফারিং হতে হতে গিয়ে এক জায়গায় এসে স্থির হয়ে যায়। যাঁরা জানেন না, তাঁদের জানিয়ে রাখা প্রয়োজন, আপনারা তখন যেটা দেখেন সেটা জ্বীনদের পর্নো।
শয়তানের পছন্দ-অপছন্দ?
শয়তানেরও পছন্দ অপছন্দ আছে। বিশেষ করে ভোটকা-মটকু-পাডা লোকদের শয়তান বেশি পছন্দ করে।
হযরত অহাব বিন মুনাব্বিহ (রহঃ) বলেছেন, প্রত্যেক মানুষের সাথে তার শয়তান থাকে। কাফিরের শয়তান কাফিরের সাথে খায়-দায় ও তার সাথে বিছানায় শোয়। তবে সেই শয়তান গে কি না, সেটার কোনো হাদিস কোথাও পাওয়া যায়নি। আবার মুমিনের শয়তান মুমিনের থেকে দূরে থাকে। বেশি খায় ও বেশী ঘুমায়, এমন লোককে শয়তান বেশী পছন্দ করে।
তবে সত্যি কথা বলতে ,- আল্লাহ নিজেই শয়তান লালন করেন। এটা একটা কনফিউজিং ব্যাপার যে, তিনি নিজে শয়তান থেকে বিরত থাকতে বলেছেন মানুষকে, অনেক অনেক হাদিস পয়দা করেছেন এই কথা স্মর্তব্যে আবার তিনি নিজেই উপযাজক হয়ে শয়তান চাপিয়ে দেন মানুষের ঘাড়ে। তাহলে মানুষকে শয়তান থেকে দূরে থাকার কথাটা কি ফাইজলামি?
জ্বীনের অসঅসা?
উপরের ছবি মতে- আল্লাহ পবিত্র কোরানে বলেছেন, হে নবী! আপনি মানবজাতিকে এই দুআটি বলে দিন। আমি মানুষের পালনকর্তা, মানুষের বাদশাহ্ ও মানুষের উপাস্যের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি ‘খাননাস’ (শয়তান) এর ‘অসঅসা’র অনিষ্ট থেকে, যে অসঅসা দেয় মানুষের অন্তরে, চাই সে জ্বীনদের মধ্য থেকে হোক কিংবা মানুষের মধ্যে থেকে। [তাফসীরুল কোরআন, আবদুর রাযযাক, খন্ড ২ পৃষ্ঠা ১৯৬। ইবনুল মুনযির]
এখানে একটু জানিয়ে রাখা প্রয়োজন অসঅসা জিনিসটা কি?-কাযী আবূ ইয়াঅলা (রহঃ) বলেছেন- অসঅসার বিষয়ে একটি বিশেষ মত হলো, এ একটি উহ্য কথা বিশেষ- যা অন্তরে অনুভূত হয়। সহজ বাংলায় বলতে গেলে - আপনি যা চিন্তা করছেন কিন্তু মুখে বলছেন না বা অন্য কোন ইন্দ্রিয় দ্বারা তা প্রকাশ করছেন না, তা। অন্য এক মত অনুযায়ী, অসঅসা হলো এমন বিষয় যা চিন্তা ভাবনার মাধ্যমে অনুভূত হয় এবং এ দ্বারা মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে স্পর্শন, সঞ্চালন ও প্রবেশন ঘটে।
যেমন একদা হুজুরে পাক নামাজ পড়ার সময় নামাজ ফালায়া শয়তানের সাথে ফাইট দিসিলো। ফাইটে হুজুর জিতছেন- এমন চিপি দিছেন গলা ধইরা, শয়তান নবীজির মুখে হাতে থুতু মাইরা পালায়া গেছে।
তবে অন্য আরেক কু-চিন্তা মাথায় চলে আসলো এই হাদিস শোনার সাথে সাথে। নামাজের সময় হুজুর নাকি প্রায়ই বেভুলো হয়ে যেতেন। এবারও কি সেরকম কিছু হলো নাকি!! কিসে চিপ দিতে গিয়ে কিসে দিয়েছেন, আর চিপ দিওয়ার কারণে কী জিনিস বের হয়েছে, যেটাকে থুতু বলে প্রচার করছেন, কে জানে!!!- আর না ঘাঁটাই বাবা, থুতু খুঁজতে গিয়ে কী না কী বের হয়ে যাবে!!
জ্বীনের অন্য রূপ:
সব কিছুরই ভিন্ন এক রূপ রয়েছে ইসলামী পরিভাষায়, যেমন নবীরা অন্যরূপে নবী পরিচয়ের বাইরে একজন সাধারণ মানুষ বৈ অন্য কিছু না। আবার রসুলেরা প্রকারন্তরে প্রত্যেকে এক একজন নবী।
ঠিক তেমনি এক মুহাদ্দিস বর্ণনা করেছেন, শয়তান জান্নাতে প্রবেশ করে চারপেয়ে পশুর আকারে, যেন ঠিক উটের মতো। ওর উপর আল্লাহর অভিশাপ পড়ে। ফলে ওর পাগুলো খসে যায় এবং সাপে পরিনত হয়।
হযরত আবুল আলিয়াহ্ (রহঃ) বলেছেন- কিছু কিছু উট জন্মানোর পর প্রথম দিকে জ্বীন হয়ে থাকতো।
আমাদের সম্মানিত হুজুরে মুহাম্মদ তিনি একজন এতিম ছিলেন। আমার স্কুলে থাকাকালীন গল্প পড়েছি মদীনার চিপায় দাঁড়ায়া এক বাচ্চা কাঁদছিলো- মুহাম্মদ তাকে নতুন জামা কাপড় পরিয়ে তার দুঃখ কষ্ট ভুলিয়ে দেন। এরকম অনেক হাদীসও দেখেছি- রাস্তায় বাচ্চারা খেলাধূলা করছিলো, মুহাম্মদ তাদের কাছে থেমে তাদের সাথে হাসি ঠাট্টা করেন।
আমাদের এলাকায় এক দোকানদার থাকতো, সেও একই কাজ করতো। আমরা খেলতে থাকলে দেখা হলেই থেমে যেত। হাসি মুখে একচোট খেলেও নিতো আমাদের সাথে। কিন্তু যখন আমাদের কারো সাথে একাকি দেখা হতো- ধরে মার দিতো। আমি নিজেও বেশ কয়েকবার কোনো কারণ ছাড়াই চড় খেয়েছি। কোনো কথা না বলে এসে দুম করে চড় কষিয়ে দিতো। স্যাডিস্টরা বাচ্চাদেরকে তাদের অতি শক্তিশালি কোনো প্রতিপক্ষ বলে কখনোই মনে করে না। তারা বাচ্চাদের সামনে তাদের অস্বাভাবিক প্রবৃত্তির প্রকাশ খুব স্বাভাবিক ভাবে ঘটায়। ইতিহাসের দিকে তাকালে এমন অনেক উদাহরণ দেখা যাবে- এমন অনেক সাধারন অথবা বিখ্যাত লোকের বাচ্চা নিপীড়ন, যৌন নিপীড়ন, বাচ্চা নির্যাতনের অভিযোগ আছে। এদের মাঝে কিছু প্রমাণিত আবার অনেকগুলোই প্রমাণহীন। পোপ একটা বড় উদাহরণ হতে পারে।
যে প্রসঙ্গে বলা আসুন দেখি-হযরত উমমে আব্বান বিনতে আল্-ওয়াযাঅ (রহঃ) এর পিতামহ জনাব রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে নিজের একটি পাগল বাচ্চাকে নিয়ে যেতে নবীজি বলেন, ‘ওকে আমার কাছাকাছি নিয়ে এসো এবং ওর পিঠটি আমার সামনে কর। তারপর নবীজি তার উপর নীচের কাপড় ধরে পিঠে মারতে মারতে বলেন- ‘ওরে আল্লাহর দুশমন! বেরিয়ে যা!’ ফলে বাচ্চাটি সুস্থ হয়ে চোখ খোলে। [আল-হাওয়াতিফ, ইবনে আবিদ্ দুনইয়া, পৃষ্ঠা ১১৬]
কয়েকদিন আগের খবরটি নিশ্চয়ই কেউ ভুলে যান নি- এক ভন্ড পীর কিভাবে বাচ্চাদের দুপা ধরে বন বন করে ঘুরিয়ে চিকিৎসা দিতো। আর এরকম অনেক কাহিনী কেচ্ছা কিংবা সচক্ষেই দেখেছেন- ওঝা, কবিরাজ তুকতাক করে, মরিচ পুড়িয়ে, চাল খাইয়ে কিভাবে রোগী সারায়। জ্ঞানী মুহাম্মদ তাদের থেকে আলাদা কোন কিছু নয়।
বরং এটা আরও ভয়ঙ্কর অমানবিক ও প্রকৃত ‘শয়তানের’ কাজ যে- একটা পাগল বাচ্চাকে ধরে প্রহার করা। পার্ভাট কোথাকার!
এরকম আরো অনেক উদাহরণ আছে:
(হাদীস) হযরত উসামা বিন যাইদ (রাঃ) বলেছেন- আমরা রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সাথে হজ্জের জন্য (মদীনা থেকে মক্কার উদ্দেশ্যে) রওয়ানা হয়েছি। ‘বাত্বনে রওহা’ নামক স্থানে এক মহিলা নিজের বাচ্চাকে সামনে এনে বলে- ‘ হে আল্লাহর রসুল! এ আমার ছেলে। যখন থেকে আমি ওকে প্রসব করেছি তখন থেকে এখন পর্যন্ত এর রোগ সারেনি।’ তো জনাব রসুলুল্লাহ (সাঃ) মহিলাটির কাছ থেকে বাচ্চাটি নিয়ে নিলেন। এবং তাকে নিজের বুক এবং পায়ের মাঝখানে রেখে, তার মুখে থুথু দিয়ে বলেন- ‘ওহে আল্লাহর দুশমন! বেড়িয়ে যা! আমি আল্লাহর রসুল।’ এরপর নবীজি বাচ্চাটিকে তার মায়ের হাত তুলে দিয়ে বলেন- ‘একে নিয়ে যাও। এখন ওর কোনও কষ্ট নেই।’
[আবু ইয়াঅলা- আবূ নূআইম, দালায়িলুন নুবুয়ত। বায়হাকী, দালায়িলুন নবুয়ত ৬: ২৫ মুজমাউয যাওয়াদি ৯:৭]
আমাদের চিকিৎসালয় গুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিত, মেডিকেল কলেজগুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিত, ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিগুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিত, ড্রাগ হাউজগুলো জ্বালিয়ে দেওয়া উচিত। প্লাসিবো বলতে কি বোঝায়, তা যারা বোঝেন, এটার সাথে দয়া করে গুলিয়ে ফেলবেন না। এটা কোন প্লাসিবোও নয়- এটা নির্যাতন। একটা অসুস্থ বাচ্চাকে হাত পা চাপ প্রয়োগ করে তার মুখে থুথু মারা অসুস্থ বিকৃত মস্তিষ্কের লোক ছাড়া অন্য কেউ করতে পারে না।
জ্বীন কিভাবে ধরে?
'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসে আমরা সেই তখন পড়েছিলাম, খালি চুলে ঘুরে বেড়ানোর কারনে কোন মেয়েকে যেন জ্বীনে ধরেছে। এটার উৎপত্তি স্থলটা পাওয়া যাবে- তাযকিয়ারে হামদূনিয়্যাহ্ তে।
এক কবি পত্নিকে জ্বীনে ধরল। কবি সেই ঝাঁড়ফূঁক করলেন, যা তদবীরকারীরা করে থাকেন। তারপর জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি মুসলমান না ইহুদী না নাসারা (খ্রিস্টান)?’ শয়তান তাঁর স্ত্রীর মুখ দিয়ে বলল, ‘আমি মুসলমান।’ কবি বললেন, ‘তাহলে তুমি আমার স্ত্রীর উপর ভর করাকে হালাল ভাবলে কিভাবে, আমিও তো তোমার মতো মুসলমান?’ সে বলল, ‘আমি একে ভালোবাসি।’ কবি ফের প্রশ্ন করলেন, ‘কেন তুমি এর উপর চড়াও হয়েছ?’ জ্বীন বলল, ‘এ বাড়ির মাঝে মাথা খুলে চলাফেরা করছিল বলে।’ কবি বললেন, ‘তুমি যখন এতই লজ্জাশীল, তো জুরজান্ থেকে ওর জন্য একটা ওড়ান আনলে না কেন, যা দিয়ে এর মাথা ঢেকে দেওয়া যেত?’
মেয়েরা খালি মাথায় চলাফেরা করবেন না। শয়তান আপনাদের অ্যাটাক করবে।
প্লেগ কেন হয়?
অদ্যাবধি ভিন্ন কোনো ধারণাতে আস্থা রাখতাম। তবে এখন আমি জানি, কী কারণে প্লেগ রোগ ছড়ায়। এর কারণ জ্বীন। এ ব্যাপারে নবীজির হাদিস আছে, যা দিয়ে এর সত্যতা প্রমাণ করা যায়।
হযরত আবূ মুসা আশতারী (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:
‘আমার উম্মত আন্ত্রিক ও প্লেগের দ্বারা ধ্বংস হবে।’ সাহাবীগণ বলেন- হে আল্লাহ রসূল (সাঃ)! আন্ত্রিক রোগ তো আমরা জানি, কিন্তু প্লেগ কি জিনিস?’
তিনি বলেন- ‘তোমাদের শত্রু জ্বীনদের হামলা বিশেষ’
শুধু যদি এইটুকুই বলে ক্ষান্ত হতো তাহলে কথাই ছিলো। কিন্তু তা না, বরং হাদিস থেকে এটা আরো নিশ্চিত হওয়া যায়, প্লেগ রোগে মারা যাওয়া কোনো ব্যক্তি শহীদের মর্যাদা পায়।
(হাদীস) হযরত আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, জনাব রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:
প্লেগ রোগে প্রচন্ড কষ্ট আছে। যা আমার উম্মতকে চাপিয়ে দেয়া হবে তাদের শত্রু জ্বীনদের তরফ থেকে। সেই জ্বীনদের কুঁজ হবে উটের কুজের মতো। যে ব্যক্তি প্লেগ-পীড়িত এলাকায় থাকবে, সেই ইসলামী রাস্ট্রের সীমান্ত রক্ষী (মুজাহিদের মতো) হবে। প্লেগে ভুগে যে মরা পড়বে, সে শহীদের মর্যাদা পাবে। এবং যে মানুষ প্লেগ প্রভাবিত এলাকা ছেড়ে পালাবে, সে ইসলাম বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় ময়দান ছেড়ে পলায়নকারীর মতো অপরাধী বলে গণ্য হবে।
জ্বীনদের এই বদনজর নিয়ে আবার একটি হাদিস আছে:
(হাদিস) বর্ণনায় হযরত উম্মে সালমাহ (রাঃ)- জনবা রসুলুল্লাহ (সাঃ) একবার তাঁর ঘরে একটি বাচ্চা মেয়েকে দেখেন, যার জ্বীনের বদনজর লেগেছিলো। তিনি বলেন, একে অমুকের কাছ থেকে ঝাড়ফুঁক করিয়ে নাও, এর বদনজর লেগেছে।
উপরের এই তিন হাদিসের প্রমাণসূত্র হলো-
১.মুসনাদে আহমাদ। মুসান্নিফে ইবনে আবী শায়বাহ্। কিতাবুত্ব তাওয়াঈন, ইবনে আবিদ দুনইয়া। বাযযার। আবূ ইয়াঅলা। ইবনে কুযাইমাহ্। তবারানী। হাকিম ও সিহহাহ্। দালায়িলুন নুবুয়ত, বায়হাকী প্রভৃতি।
২. আবু ইয়াঅলা। তবারানী, বাযযার।
৩. বুখারী, কিতাবুত ত্বিব্ব বাব ৩৫। সহীহ্ মুসলিম কিতাবুস সালাম, হাদীস ৮৫। মুসতাদরকে হাকিম ৪:২১২। মাসাবীহস সুন্নাহ ১৩:১৬৩। মুসান্নিফে আবদুর রাযযাক ১৯৭৬৯। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীস ৪৫২৮।
এই হলো হুজুরে সাল্লাহিআলাইহিসল্লামের জ্ঞান-গরিমা। কোরান পয়দা করে টাইম রিলেটিভিটি ঢুকাইছেন মাগনা?
শয়তান কারা?
শয়তানের একটা ভালো উদহারণ হলো বাংলাদেশের ক্রিকেট প্লেয়াররা। খেলার মাঝে দেখা যায় এরা প্রায়ই কাঁখে হাত দিয়ে দাড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। হাঁটার সময়ও কাঁখে হাত রেখে হাঁটতে থাকে।
পল্লী গ্রামের ছবি আঁকতে গেলে যে কোন শিল্পী কমন যে ডায়াগ্রামটা ভাবেন- কলসী কাঁখে গ্রামের বধূ পানি আনতে যাচ্ছে। সিনেমাতেও তার বহিঃপ্রকাশ- কাঁখে হাত রেখে স্কুলের পিটি প্যারেডের মতো লাফাতে লাফাতে ব্যায়াম করছে নায়িকা।
এই কাঁখে হাত রেখে কে চলাফেরা করে জানেন- শয়তান!!!
হযরত হামীদ বিন হিলাল (রহঃ) বলেছেন- নামায পড়ার সময় কাঁখে হাত রাখতে নিষেধ করার কারণ- শয়তানকে যখন পৃথিবীতে নামিয়ে দেওয়া হয়, সেই সময় সে ছিলো কাঁখে হাত রাখা অবস্থায়।
[ইবনু আবী শায়বাহ]
নামধারক শয়তান
হুজুরে আলা নাম দিয়েও শয়তান চিনে নেন। সত্যি বলতে কি- নামে নয় কামেই পরিচয়, এই প্রবাদের জন্ম তারও অনেক পরে। শিহাব নামে যত লোক আছে সব শয়তান। ফেসবুকে যে হাজার হাজার শিহাব, সব শয়তান। বিশ্বাস না হলে হুজুরের হাদিসের সাথে মিলিয়ে দেখুন-
শয়তানের হাতিয়ার কি কি?
আসুন চিনে নেই শয়তানের হাতিয়ার কি কি-
হযরত কাতাদাহ (রহঃ) বলেছেন- ইবলীসকে যখন আসমান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়, তখন সে আল্লাহর কাছে কয়েকটি প্রশ্ন করে। আল্লাহ সেগুলোকে উত্তর দেন-যেমনঃ
- হে প্রভু! আপনি তো আমাকে অভিশপ্ত করলেন, কিন্তু আমার ইলম কি হবে?
- জাদু।
- আমার কোরআন কি হবে?
- কবিতা।
- আমার কিতাব কি?
- মানুষের শরীরে খোদাই করা চিহ্ন।
- আমার খাদ্য কি?
- যাবতীয় মরা প্রাণী এবং যেসব হালাল পশু আল্লাহর নাম না নিয়ে যবেহ্ করা/ মরা হয়।
- আমার পানীয় কি হবে?
- মদ।
- আমার বাসস্থান?
- গোসলখানা।
- বৈঠকখানা?
- হাট-বাজার।
- আমার মুআযযিন কে?
- গায়ক-বাদক।
- আমার ফাঁদ বা জল কি?
- নারী।
[মাকায়িদুশ শায়তান, ইবনু আবিদ দুনইয়া]
উপরের কথপোকথনে কখনো মনে হয়নি আল্লাহর উপর থেকে শয়তানের আস্থা বা শ্রদ্ধা হারিয়ে গিয়েছে- বরং এখনও তাকে সম্বোধন করছে মহাপ্রভুর নামেই। আর তাদের এই কথোপকথন থেকে স্পষ্ট- মদ খাওয়া শয়তানের কাজ, প্রত্যেক গোসলখানা হলো শয়তানের আড়ত, হাট-বাজারের শয়তান কিলবিল করতে থাকে, নারীরা প্রত্যেকেই হলো শয়তানের অস্ত্র, সব কবি প্রকারান্তরে শয়তান, আর সব মরা প্রাণী আর আল্লাহর নাম না নিয়ে জবাই করা প্রাণী শয়তানের খাবার।
আমাদের চিনে রাখা প্রয়োজন এই শয়তানদের
হযরত মুজাহিদ (রহঃ) বলেছেন- শয়তানের পাঁচটা ছেলে। প্রত্যেককে সে একটা একটা কাজে নিযুক্ত করে রেখেছে। তাদের নামগুলো হলো- সাবরাদ, আঊর, মাসূত, দাসিম ও যিলনাবূর।
►সাবরাদের দায়িত্বে আছে বিপদাপদে ধৈর্য হারানোর কাজ। মানুষের বিপদ বিপর্যয়ের সময় এই শয়তান তাকে অধৈর্য্য হয়ে মৃত্যুকে ডাকতে, জামাকাপড় ছিঁড়তে, বুক মুখ চাপড়াতে এবং ইসলাম-বিরোধী অজ্ঞসূচক কথাবার্তা বলতে প্ররোচিত করে।
► আঊর এর দায়িত্বে আছে ব্যাভিচার। এই শয়তান মানুষকে ব্যাভিচারের নির্দেশ দেয় এবং ওই কাজের দিকে আকৃষ্ট করে।
► মাসূত এর দায়িত্বে আছে মিথ্যা সংবাদ রটানো। যেমন, এই শয়তান মিথ্যা কথা শুনে অন্য লোককে তা বলে। সে আবার তার এলাকার লোকেদের কাছে গিয়ে বলে- একজন আমাকে এইসব কথা বলেছে। তার নাম জানি না বটে, তবে সে আমার মুখচেনা।
► দাসিমের কাজ হলো মানুষের সাথে সাথে তার বাড়িতে আসা এবং বাড়ির লোকেদের দোষের কথাগুলো বলে দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে তাকে ক্ষেপিয়ে তোলা।
► আর যিলনাবূর এর দায়িত্বে আছে হাট-বাজার। সে তার (গুমরাহীর) পতাকা পুঁতে রেখেছে হাটে বাজারে।
শয়তান এক পায়ে জুতা পরে-
(হাদীস) হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত জনাব রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন-
তোমাদের মধ্যে কেউ যেন একপায়ে জুতা পরে না হাঁটে। কেননা শয়তান চলে এক পায়ে জুতা পরে।
মুহাম্মদের জ্ঞানের কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। শয়তানকে যখন জান্নাত থেকে বিচ্যুত করা হয়, তখন সে কোন ব্রান্ডের জুতা পড়ত এটা উল্লেখ করা হয়নি। বাংলাদেশের অন্তত ২% লোকের জুতা কেনার সামর্থ্য পর্যন্ত নেই, আবার ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া ভ্যাগাবন্ড টাইপের অনেক পোলাপান হুমায়ূন আহমেদ পড়ে জুতা খুলে হিমু সাজতে চায়। এক পায়ের কথা যেহেতু বলা আছে, আমরা বীজগাণিতিক হিসেবে ধরে নিতে পারি, যে ব্যক্তি কোন পায়েই জুতা পরে না- সে ডবল শয়তান!!
শয়তানের পছন্দের রং-
(হাদীস) বর্ণনায় হযরত রাফিই বিন ইয়াযীদ সাকাফী (রাঃ) রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:
শয়তান লাল রং পছন্দ করে, অতএব তোমরা লাল রং (এর পোশাক পরা) থেকে নিজেদের বাঁচাবে এবং বিরত থাকবে সমস্ত গর্বসৃষ্টিকারী পোশাক থেকেও।
[আবূ আহমাদ আল হাকিম, ফিল কিনা। কামিল ইবনু আদী, ১১৭২। ইবনু কানিই। ইবনুস সুকুন। ইবনু মানদাহ। আবূ নাঈম, ফিল মা অরিফাত, বায়হাকী, ফী শুআবুল ঈমান। আল-জামিই আস-সগীর। মাজমাউয যাওয়াইদ, ৫:১৩০। জামউল জাওয়ামিই, ৫৬১৯। কানযুল উম্মাল ৪১১৬১। ফাতহুল বারী ১০:৩০৬। মুসনাদুল ফিরদাউস, দায়লামী হাদীস,৩৬৮৮;২:৩৭৯। মারাসীল, আবু দাউদ। আল-জামিই আল কাবীর ১:৮৪]
শয়তানের শয়তানী
হাদীসগুলো দেখি আসুন-
হযরত হামনাহ্ বিনতে জাহাশ (রাঃ) বলেছেন- আমার মাসিক স্রাব হত অতিরিক্ত । সে কথা আমি জনাব রসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে তিনি বলেন, এটা হলো শয়তানের চালগুলো মধ্যে একটা চাল।
আবার অন্যত্র অন্য একটি হাদিস হতে দেখা যায়-
হযরত আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, জনাব রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, প্রত্যেক মানবশিশুর ভূমিষ্ঠলগ্নে শয়তান তাকে খোঁচা দেয়। যার কারণে সেই বাচ্চা সজোরে কেঁদে উঠে। কেবল মরিয়ম ও তাঁর পুত্র (হযরত ঈসা) এ থেকে মুক্ত ছিলেন।
হাদীসটি বর্ণনার পর হযরত আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) বলেন, যদি ইচ্ছা হয়, তো আল্লাহর এই আয়াতটি পড়ে নাও:
(হযরত মরিয়মের মা আল্লাহর উদ্দেশ্যে বলেছিলেন-) হে আল্লাহ্! আমি মরিয়ম ও তার সন্তানকে অভিশপ্ত শয়তানের অনিষ্ট থেকে তোমার আশ্রয়ে সঁপে দিলাম।
[সূরা আলে ইমরান, আয়াত ৩৬]
হযরত আবূ হুরাইরাহর অন্য এক বর্ণনায় এরকম আছে, প্রত্যেক মানবশিশুর ভূমিষ্ঠকালে তার পাঁজরে শয়তান আঙুলের খোঁচা দেয়। পারেনি কেবল হযরত ঈসার বেলায়। তাঁকেও সে খোঁচা দিতে গিয়েছিলো। কিন্তু লেগেছিলো পর্দায়।
অন্য এক বর্ণনায় আছে, তিনি বলেছেন: বাচ্চা সেই সময় চিৎকার করে, যখন শয়তান নড়াচড়া করে।
[তবারানী, বুখারী, কিতাবুল আমবিয়া, বাব ৪৪। মুসলিম, কিতাবুল ফাযায়িল, হাদীস ১৪৬। মিশকাত ৬৯। কানযুল উম্মাল ৩২৩২৫। তাফসীর ইবনু জারীর, ৩:১৬২। বুখারী, কিতাবু বাদয়িল খলক, বাব ১১। মুসনাদে আহমাদ, ২:৫২৩। সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ফাযায়িল হাদীস ১৪৮।]
তাড়াতাড়ি শেষ করব, এরপরেও আরো অনেকগুলো কাহিনী কেচ্ছা আছে শয়তান আর জ্বীন নিয়ে। বেশ কিছু শর্টকাট মেরে যাচ্ছি।
হাঁচাহাঁচিতে রয়েছে বরকত:
আরো একটু মজা-
এইটা নিয়ে তেমন ডিটেলস লিখছি না।-তবে মহিলাদের গর্ভপাত আর মাইওপিয়া বা হ্রস্বদৃষ্টি টাইপ কেসে কে দায়ী তার একটা সুরাহা হলো আরকি!! মাথার ঘিলু ওজন করে মাপালে নির্ঘাত একটা থান ইটের সমান হবে।
কুকুর বিষয়ক বিভ্রান্তি
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর জবানে পাওয়া যায়- কুকুররা এক প্রকার জ্বীন এবং এরা খুব দুর্বল শ্রেনীর জ্বীন। সুতরাং কারো কাছে কুকুর বসে গেলে কিছু দেওয়া অথবা সরিয়ে দেওয়া দরকার।
আবার হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেন- কুকুর হলো এক প্রকার জ্বীন। যখন ও তোমাদের খাওয়ার সময় আসবে তো ওকে কিছু দেবে। কেননা ওরও একটা প্রবৃত্তি (নফস্) আছে।
ঠিক তারপরই যে হাদিসটা দেওয়া হয় রসুলুল্লাহের- সেখানে দেখা যায়:
যদি এই কুকুরেরা এক মাখলূক (আল্লাহর সৃষ্টিজীব) না হত, তবে আমি এগুলোকে কতল করার নির্দেশ দিতাম, কিন্তু কোনও মাখলুককে বিলীন করে দিতে আমার ভয় হয। তবে তোমরা ওগুলোর মধ্যে সমস্ত কালো কুকুরকে কতল করে দেবে, কেননা ওরা হলো এক প্রকার শয়তান।
যারা জানেন তাদের হয়তো জানানো লাগবে না, যারা জানেন না তাদের জন্য আরেকবার উল্লেখ করি- ইতিপূর্বে এই হাদিসখানা প্রসবের পূর্বেই রসূলের আরেকটি হাদিসে পাওয়া যায়, জীব্রাইল তার জন্য ওহী নিয়ে আসতে পারছিলেন না তার ঘরে একটা কুকুর অবস্থান করার কারণে। যে ঘরে কুকুর থাকে সে ঘরে আল্লাহর রহমত প্রবেশ করে না।
কুত্তা এক প্রকার জ্বীন!!! হাসতে হাসতে মরি। তবে তারচেয়েও আশ্চর্য ব্যাপার রসুলুল্লাহের হাদিস খানা। কালো কুকুরকে কতল কর!!
আমি মোটামুটি নিশ্চিত অ্যাপার্থাইড শাসনামলে মুহাম্মদ জন্মগ্রহণ করলে ভয়ঙ্কর এক উগ্র বর্ণবাদী হয়ে উঠতেন-ক্রীতদাস বেলালের কথাটা বাদ দিলে আমি খুব জোরালো গলায় এটা বলতে পারতাম। তবে এক বেলাল কোন ধ্রুব সিদ্ধান্তে পৌছানোর জন্যও যথেষ্ট নয়, এটাও মনে রাখা দরকার।
বনী ইসরাঈলের লোকেরা বাঁদর আর শুয়োরে রূপান্তরিত হয়ে গিয়েছিলো- সাপও তেমনি রূপান্তরিত জ্বীন।
বাম হাতিদের উপর নির্যাতন কম চালানো হয় নি। আর সেটার শুরুও আজকের কথা নয়। সিনিস্টার বাযারা বাম হাতি তারা শয়তান, যারা বাম হাতি তারা মোটা বুদ্ধির লোক, তারা পিছিয়ে পড়া লোক- এটাই সেই প্রস্তর যুগের ধ্যান ধারনা। বরংচ একজন বিজ্ঞানীর নাম বললে প্রথমেই বলতে হবে একজন বামহাতি বিজ্ঞানীর কথা- তিনি জার্মান ছিলেন। ক্রিকেটর বরপুত্রের কথা বললে বলতে একজন বামহাতির কথা। একজন বিখ্যাত নাট্যকারের নাম বললে বলতে হবে বামহাতির কথা.....ইত্যাদি ইত্যাদি। বাম মানেই খারাপ। ইংরেজী সিনিস্টার শব্দটা সেই ভুল ব্যাখ্যাই করে,সিনিস্টার মানে শয়তান বা শয়তানের মতো। ভাষাবিজ্ঞান নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নেই কিন্তু বামপন্থী-ডানপন্থীর চুকবুক ললিতকলা শিখতে গিয়ে জেনেছি এই শব্দটা এসেছে ফরাসি শব্দ 'সেনেস্ত্রে' থেকে। আর এই সেনেস্ত্রা মানে বাম দিক। আমি জেনে চমকে গিয়েছিলাম। ধর্মান্ধ নই, ধর্মপুরুতদের লেখা আদর্শলিপির পাঠ নিয়ে বড় হয়ে উঠিনি- কিন্তু আর দশজনের চোখে নিজের অবস্থান কী, ভেবে একটু হতোদ্যম হই।
নেংটা পুটু হয়েও জ্বীনদের চোখে ফাঁকি দেবার তরিকা:
জ্বীনরা অদৃশ্য কিংবা দৃশ্যমান। তারা দেখছে কিংবা দেখছে না আপনাকে। আপনার যেহেতু জানার কোন উপায় নেই- সেহেতু নবীজির শিখিয়ে দেওয়া পন্থাটা আপনার জন্যই-
আরো -
বইটা, ভেবেছিলাম, শেয়ার করবো না। কিন্তু আপনাদের বঞ্চিত করতে ইচ্ছে করছে না। আহসনা হাবীবের ‘রাত বারোটার পরের জোকস’ পড়তে পড়তে যারা বোর হয়ে গিয়েছেন, দুই বলদের ভিডিও দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে গেছেন- তারা দেখতে পারেন এই ‘বলদীয় কেচ্ছা কাহিনী’।
শেষ করি আজকের একটা খবর দিয়েই। কালেরকন্ঠ পত্রিকায় আসলো খবরটা। জ্বীনের বাদশা পরিচয় দিয়ে ফোন করে, চিঠি দিয়ে এখনো লোকেদের বিরক্ত করে, তাদের ভয় দেখিয়ে টাকা পয়সা আদায় করা হয়। মূলত এটাই হলো বাস্তবতা। হুজুরে আলা প্রিয় নবীর সময়েও একই কাজ হয়েছে, এখনও হচ্ছে। সময়টাই কেবল বদলেছে- এই যা!
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)