বুধবার, ২৪ আগস্ট, ২০১১

মহাকবিরাজ মহানবী – ০২


নিশ্চয়ই ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান এবং মহানবী নিশ্চয়ই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সর্ব বিষয়ে সার্বিকভাবে জ্ঞানান্বিত ব্যক্তি। আর তাই ইসলামী চিকিৎসাবিজ্ঞানও চির-আধুনিক ও সর্বজনীন। বুঝে পাই না, মুসলিমরা কেন নবী বর্ণিত নানাবিধ চিকিৎসাপদ্ধতি ব্যবহার করে সুন্নত পালনে অনীহ। 

মোমিন বান্দাদেরকে যাতে আর অনৈসলামিক চিকিৎসার পেছনে অনর্থক অর্থব্যয় করতে না হয়, সেই লক্ষ্যে শুরু করা হয়েছে এই সিরিজ। 

চিকিৎসাপদ্ধতি ২.

উল্টোপাল্টা কিছু খেয়ে পৈটিক গোলযোগ দেখা দিলে অর্থাৎ ত্যাগের লক্ষ্যে ঘন ঘন টয়লেটমুখী হতে বাধ্য হলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ঘরে মধু থাকলেই মুশকিল আসান। 

হাদিসে বর্ণিত আছে, এক লোক নবীজির কাছে এসে জানালো, তার ভাইয়ের পেট খারাপ হয়েছে। শুনে নবীজি মধু খাওয়ার উপদেশ দিলেন। পরে সেই লোকটি আবার এসে জানালো, মধু খেয়ে তার ভাইয়ের দশা আরও কাহিল হয়েছে। দ্বীনের নবী তখন ভর্ৎসনার সুরে বললেন, "আল্লাহপাক সত্য বলেছেন, আর মিথ্যা বলেছে তোমার ভাইয়ের পেট।"

ইহা হইতে আমরা কী শিক্ষা পাইলাম? লুজ মোশন হলে মধু খেয়ে সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব। তবে যদি তা না ঘটে, বুঝতে হবে পেটের ঈমান দুর্বল। কারণ আল্লাহপাক মিথ্যে বলতে পারেন না।

(বুখারী ৭.৭১.৬১৪)

তথ্যসূত্র সহায়তা: আনাস।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন