শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০১১

ইসলামের শীতল ছায়াতলে

লিখেছেন থাবা বাবা

সবই নাকি কোরান থেকে চুরি
সবই নাকি কোরানেতে লেখা,
তাইতো তারা হাতে মারে তুড়ি
বলে “তোদের ঈমান কোথায় দেখা।”

আমার ঈমান - বিদ্যা এবং জ্ঞান
ঈমান-ভরা আমার মাথার খুলি,
তাদের দেখি নারীই শুধু ধ্যান
ঈমান তাদের অণ্ডকোষের ঝুলি?

মহা-উন্মাদ নবীই তাদের শেষ
তিনি নাকি অনেক মহান লোক,
মহান ভূমি আরব যে তার দেশ
তাঁর ছিল খুব বিয়ে করার ঝোঁক।

তাঁর ফলোয়ার - সাহাবা যার নাম
সবার তাদের থাকতো খাড়া শিশ্ন,
করতো শুধু যুদ্ধ এবং ‘কাম’
তাদের কাছে ফেল মেরে যায় কৃষ্ণ।

যুদ্ধশেষে করতো তারা ধর্ষণ
আবাল এবং বনিতা ও বৃদ্ধ,
তাতেই নাকি আল্লা করে বর্ষণ
নেকী, ওসব কর্মকাণ্ড সিদ্ধ।

মহা-ম্যাডের দুনিয়া ছিল চ্যাপ্টা
আকাশ নাকি ওল্টানো এক বাটি,
তারারা সব আসমানেতে ল্যাপ্টা
রাত্রে যাতে আঁধার না পায় মাটি।

সূর্য কাটায় আরশ তলে রাত
দিনে খোদার আদেশ পেয়ে ধায়,
সূর্যের আবার থামার তো নেই ধাত
কাদার ভেতর অস্ত নাকি যায়।

আরো কতো আজব কথা লেখা
লেখা কতো আজব আজব কাণ্ড,
এই দুনিয়ায় মানুষ তো নয় একা -
জ্বীন-হুরিতে ভরা খোদার ভাণ্ড।

নতুন কিছুর পেলে তারা দেখা
চেঁচিয়ে বলে জোরসে তারা হেঁকে,
সবই আছে কোরানেতে লেখা
সবই নাকি চুরি কোরান থেকে।

আইনস্টাইন কিংবা স্টিফেন হকিং
নতুন সূত্র নতুন করে বলুক,
শুনবে নাকো যতোই করো নকিং
ব্যস্ত তারা লইতে ‘ঢিলা-কুলুখ’।

কোরান রক্ষা করেন স্বয়ং প্রভূ
বদলাবে না উলটে গেলেও মর্ত,
কারোর নাকি ক্ষমতা নাই কভু
তারপরেও বদলে যে যায় অর্থ।

একটি শব্দ - চোদ্দরকম মানে
এটাই হলো আরবি ভাষার ফাঁকি,
বিজ্ঞানীরা নতুন তথ্য আনে
মোল্লারা দেয় কোরান ধরে ঝাঁকি।

জের-জবর ও নুকতা গ্যাঁড়াকলে
বদলে আয়াত যাচ্ছে প্রতিদিন,
ইসলামেরই শীতল ছায়াতলে
নূরের ঠ্যালায় হচ্ছে আলো ক্ষীণ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন