আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ২২ আগস্ট, ২০১১

ইসলামী ধর্ষণ-আইনের নেপথ্যে


লিখেছেন মৌনতা

কখনো কখনো কোনো ইতিহাসের কোনো ঘটনা ভবিষ্যতে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করে। তেমনই একটি ঘটনা হলো - আয়েশার (মুহাম্মদের কচি বউ এবং ইসলামের প্রধান সাহাবী, নবীজির ভ্রাতৃসম আবু বকরের মেয়ে) সাথে সাফোয়ানের প্রেমময় রাত্রিযাপন। আয়েশাকে বাঁচাতে গিয়ে তার বুড়ো ভাম স্বামী মুহম্মদ আয়াত নাজিল করিয়ে নেন আর সেই আয়াতের অপব্যবহারের কারণে অনুন্নত শরীয়া আইনপ্রধান দেশগুলোয় বর্তমানে ধর্ষকদের কোনো শাস্তি হয় না। সিরিয়াল রেপিস্টরা নির্বিঘ্নে তাদের কাজ সমাধা করতে সাহস করে। 

আমার খুব প্রিয় একজন ব্লগার চমৎকার ভাবে নাটকের সংলাপের মতো করে এই সব ঘটনা লিখেছেন। আয়েশা আহমেদ তাঁর নাম। "কমিকস: কামুক" তাঁরই লেখা সংলাপের চিত্ররূপ। আমি সংক্ষেপে বাংলায় ঘটনা লিখছি (বুখারী ৩: ৪৬:৭১৭)

বানু মুস্তালিকদের সাথে যুদ্ধজয়ের পর গনিমতের মাল (যুদ্ধে পাওয়া নারী এবং সম্পদ) হিসেবে এক সুন্দরী ইহুদী জুয়াইরিয়ার সাথে প্রথম রাত কাটাতে মুহাম্মদ আয়েশাসহ বাকী মেয়েদেরকে তাঁবু থেকে বের করে দেয়। বার বার এই জাতীয় ঘটনা ঘটেছে এবং কামে অতৃপ্ত আয়েশা এবার প্রতিশোধ স্বরূপ রূপবান সাফোয়ানের সাথে রাত কাটাতে সিদ্ধান্ত নেয় এবং সাফোয়ানের সাথে গোপন পরামর্শ করে দিনক্ষণ ঠিক করে রাখে। মদিনা ফেরার পথে আয়েশা ইচ্ছে করেই উটের কাফেলার থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং তারা একসাথে রাত্রি যাপন করেন। 

আয়েশা: সাফোয়ান প্রিয়তম, তোমাকে ধন্যবাদ আমায় এতো সুন্দর সময় উপহার দেবার জন্য।

সাফোয়ান: কী যে বলো! আমি কি মজা কম পেয়েছি? কিন্তু আমি কি তোমাকে মুহম্মদের মতো মজা দিতে পেরেছি? শুনেছি, তার ৩০ জন পুরুষের সমান যৌনক্ষমতা!

আয়েশা: আরে ধুর! কী যে বলো না! এগুলো হলো গুজব। সে এক ক্লান্ত বৃদ্ধ, সে কী করে যুবকদের মতো দীর্ঘ সময় ধরে মেয়েদের মজা দেবে? তার উপর এখন সে শুধু নতুন মেয়ের সংস্পর্শেই শুধু উত্থিত হতে পারে। গনিমতের মাল হিসেবে সে এতো নতুন মেয়ে পাচ্ছে যে আমাদের পালা অনেক দিন পর পর আসে। আমাদের পুরোনো স্ত্রীদের যৌন-উত্তেজনা তাই প্রশমিত হয় না। 

সাফোয়ান: আল্লাহর নবীর বদনাম না করি, তারচেয়ে চলো সবাইকে কী বলবো, তাই চিন্তা করি।

আয়েশা: কী আবার! আমি বলবো প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়েছিলাম, আর সেখানে আমার গলার হার হারিয়ে ফেলি, ঐটা খুঁজতে গিয়ে কাফেলায় ঠিক সময়ে ফেরা হয়নি আর কাফেলা আমাকে ফেলে রওনা দিয়ে দিয়েছিল মদীনার পথে।

সাফোয়ান: আচ্ছা, আমি বলবো আমি পথের মাঝে তোমাকে ঘুমন্ত অবস্থায় খুঁজে পেয়েছি। 

আয়েশা: কেউ তবে আর সন্দেহ করবে না। আমাদের মধুর অভিসার শুধু আমাদের মাঝে গোপন থাকবে। এবার কথা কম বলো - আর শেষবারের মতো আমাদের স্বাধীনতা উপভোগ করি।

পরের দিন সাফোয়ান উটের পিঠে করে আয়েশারকে মূল কাফেলায় ফেরত নিয়ে এলো। 

আব্দুল্লাহ বিন ওবেই (মুনাফিক): আরে শালা! সাফোয়ান তো আয়েশাকে পুরো সাফ করে দিয়েছে মনে হয়। 

আরেক মুসলিম: নিশ্চয় ওরা সারা রাত ঘুমায়নি, দেখো না, দুইজনেই চোখ কেমন লাল। 

আব্দুল্লাহ বিন ওবেই: (দীর্ঘশ্বাস ফেলে) আমি হলেও সারা রাত ঘুমাতাম না! 

আয়েশার এবং সাফোয়ানের বানানো গল্প অনেকেই বিশ্বাস করেনি। গল্পটা মুহম্মদের কানেও যায়, সে আয়েশাকে তার বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু আয়েশার বাবা আবু বকরকে সে অনেক সমীহের দৃষ্টিতে দেখতো। তবে নিজের বউ তার ৩০ পুরুষের সমান যৌনক্ষমতাকে অগ্রাহ্য করে এক যুবকের সাথে রাত কাটিয়েছে - এটা তার সুনামকে আঘাত হানতে পারে। তাই আবার সে এক আয়াত নাজিল করিয়ে নেয়। তাতে বলা হয়, জেনা (ইসলামে অবৈধ কামকার্যকে জেনা বলে এবং ধর্ষণ ও জেনা সমতুল্য) কর্মের চারজন পুরুষ সাক্ষী না থাকলে জেনাকারীর কোন শাস্তি হবে না।

বর্তমানে ইসলামে শরীয়া আইনমতে, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে তবে শুধুমাত্র কয়েকটি ক্ষেত্রে: ধর্ষক নিজে দোষ স্বীকার করলে, চার জন সাবালক পুরুষের সামনে ধর্ষণ হলে।

ভাবানুবাদ। মূল লেখা এখানে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন