আবাল-আকীর্ণ এ বিশ্বচরাচর।
ইন্দুর একখানা লিংক পাঠালেন। বিষয়: যারা সৃষ্টি হয়েছে তারা আসবেই তাদেরকে কেউ বাধা দিয়ে রাখতে পারবে না। তাহলে ‘জন্ম নিয়ন্ত্রণ’ বা ‘ফ্যামিলি প্ল্যানিং’-এর কি প্রয়োজন থাকতে পারে।
এই জাতীয় লেখা পড়ে মেজাজ ঠিক রাখা দুষ্কর। বেশ বড়োসড়ো এই লেখার প্রথমাংশ থেকে উদ্ধৃতি:
প্রকৃতপক্ষে ‘ফ্যামিলি প্ল্যানিং’ বা ‘জন্ম নিয়ন্ত্রণ’ পদ্ধতির মাধ্যম দিয়ে তারা মুসলমানদের সংখ্যা কমানোর পাশাপাশি চরিত্র হননেরও অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।
যা ইহুদী-নাছারাদের একটি গভীর ষড়যন্ত্র।
তাই ‘দুটি সন্তানের বেশি জন্ম দিলে পদোন্নতিসহ সকল সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করা হবে’ প্রতিমন্ত্রীর এ বক্তব্য অতিসত্বর প্রত্যাহার করে খালিছ তওবা করতে হবে।
লেখাটির মূল বক্তব্য হচ্ছে, জন্মনিয়ন্ত্রণ হারাম, কারণ আল্লাহ কিছু দিলে তা নিতেই হয়। সেটাই যদি যুক্তি হয়, তাহলে বৃষ্টির সময় ছাতা ব্যবহারও কিন্তু হারাম। বৃষ্টি তো আল্লাহরই দান। রোগ-বালাইয়ে কোনও ওষুধ গ্রহণ বা যে কোনও চিকিৎসাও হারাম হওয়া উচিত। এসবও তো আল্লাহর দান।... কী আর কমু! ছাগুসুলভ যুক্তির অগণ্য নমুনাসমৃদ্ধ লেখাটি উৎসাহীরা লিংক ধরে গিয়ে পড়ে নিতে পারেন।
প্রসঙ্গত, গতকালের প্রথম আলোয় বাংলাদেশ পপুলেশন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এবং ন্যাশনাল পপুলেশন কাউন্সিলের একজন সদস্য এ কে এম নূর-উন-নবীর বিশদ সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে বাড়তি জনসংখ্যার কারণেই আমাদের শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা শিরোনামে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন