আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ১ আগস্ট, ২০১১

ওয়েলকাম! ওয়েলকাম টু অনুভূতি জেনারেল স্টোর!


আখতারুজ্জামান আজাদ বয়সে খুবই তরুণ হলেও খুবই পরিণতমনস্ক ও প্রতিভাবান। চিন্তায়, মেধায়, লেখায় তিনি অত্যন্ত যুক্তিবাদী, স্পষ্টবাদী ও মানবতাবাদী। 

তাঁর রচিত সাম্প্রতিকতম কবিতা পড়ুন। 

ওয়েলকাম! ওয়েলকাম টু অনুভূতি জেনারেল স্টোর!

কী লাগবে বলেন, বস?
কী ক্যাটেগোরির অনুভূতি লাগবে?
আমাদের শোরুমে শেলফে শেলফে সাজানো আছে শাদাকালো-রঙিন অনুভূতি।

এই যে ফার্স্ট রোতে দুটো দেখছেন, এদের নাম দর্শনানুভূতি আর শ্রবণানুভূতি;
ফরেন প্রোডাক্ট, প্রাইস কম, চলে না বললেই চলে।
ফিজিক্সে আছে এদের স্থায়িত্বকাল দশ সেকেন্ড করে।

এই যে, দুই রোয়ের চিপায় লুকানো যেটা দেখছেন,
ওটার নাম, ইয়ে মানে, যৌনানুভূতি।
কেউ কোনো অ্যাডাল্ট কবিতা লিখলে এখানে আঘাত লাগে,
যৌনানুভূতিতে আঘাত লাগলে আপনি কবিকে ব্লক করতে পারেন।
এটার প্রাইস একটু বেশি!

এই যে, পাশাপাশি ফ্রেমে বাঁধানো দুটোকে দেখছেন, সাবধান!
এদের নাম মুজিবানুভূতি আর জিয়ানুভূতি;
মেইড ইন খাঁটি বাংলাদেশ, সেভেন্টির প্রোডাক্ট;
চল্লিশ বছর ধরে বেচছি,মাথা গরম রেখে আজো কাজ করছি!
গোপালগঞ্জ-বগুড়ায় আমাদের নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে বানানো, হাতের কোনো স্পর্শ ছাড়াই।
এখানে কেবল পেশির স্পর্শ, এই অনুভূতিতে আঘাত লাগলেই ধাম ধাম ধ্রিম!

বস,টায়ার্ড? চা খাবেন? ঐ শামসু, বসরে চা দে!
বস কি স্পেলবাউন্ড? গলা শুকায়ে গেছে?
দেখেন, আমাদের কালেকশন কত রিচ!
বাংলাদেশ, নদীমাতৃক দেশ, এখানে জালের মতো ছড়িয়ে আছে সাতশ নদী, জিগজাগ জিগজাগ...
বাংলাদেশ, অনুভূতিমাতৃক দেশ, এখানে আছে সতেরো কোটি মানুষের সতেরো কোটি অনুভূতি, জিগজাগ জিগজাগ...

লাস্ট আইটেমটা দেখাই, সহিসালামতে ধরবেন বস।
বস! বস!! বস!!! আস্তে, আস্তে, আস্তে!!!!
এটি ধর্মানুভূতি, আলতো করে ধরুন, এটি অত্যন্ত মোলায়েম, হালকা এবং ভঙ্গুর।
ধরিবামাত্র ইহা আঘাত পায়,
করিবামাত্র ইহা আঘাত পায়,
বলিবামাত্র ইহা আঘাত পায়,
কিছু না বলিলেও ইহা আঘাত পায়, আঘাতে আঘাতে জর্জরিত ইহার জন্ম।

ধর্মানুভূতি কিনলে আপনার অঢেল লাভ।
এর গায়ে কেউ ফুলটোকা দিলেই
আপনি তাকে গাল ভরে গালি দিতে পারবেন,
পল্টন-মুক্তাঙ্গনে সশস্ত্র শোডাউন করতে পারবেন,
হাত কাটতে পারবেন, জিভ কাটতে পারবেন, হেহে কল্লাও কাটতে পারবেন;
আইন-বেয়াইন আপনাকে কিছুই বলবে না, উলটো আপনি করতে পারবেন ব্লাসফেমি কেস!
বিনা পুঁজিতে ধর্মানুভূতিব্যবসার মতো লাভজনক ব্যবসা দ্বিতীয়টি নেই।

কী বললেন? অর্ধেক ডিসকাউন্ট?
ধুর মিয়া, দেখতেছেন না, ফিক্সড প্রাইস?
ডিসকাউন্ট চান তো, লন, পাপোশের উপর ঐ ফালানো আছে--
সহানুভূতি, যান মাগনা নিয়ে যান!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন