অবর্ণন রাইমস বর্তমান সিরিজের ভারপ্রাপ্ত হয়ে আমাকে ভারমুক্ত করেছেন। আল্যাফাক তার হায়াত দারাজ করুক।
নিশ্চয়ই ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান এবং মহানবী নিশ্চয়ই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সর্ব বিষয়ে সার্বিকভাবে জ্ঞানান্বিত ব্যক্তি। আর তাই ইসলামী চিকিৎসাবিজ্ঞানও চির-আধুনিক ও সর্বজনীন। বুঝে পাই না, মুসলিমরা কেন নবী বর্ণিত নানাবিধ চিকিৎসাপদ্ধতি ব্যবহার করে সুন্নত পালনে অনীহ।
মোমিন বান্দাদেরকে যাতে আর অনৈসলামিক চিকিৎসার পেছনে অনর্থক অর্থব্যয় করতে না হয়, সেই লক্ষ্যে শুরু করা হয়েছে এই সিরিজ।
চিকিৎসাপদ্ধতি ৪.
(সহিহ বুখারি: ৭.৭১.৬২৮,৬২৯,৬৩০)
অনুপ্রেরণা: আনাস।
আজকে একটু অন্যরকম তরিকা নিয়ে কথা বলবো। আল্যাপাক আমাদের সব রোগের দাওয়াই সৃষ্টি করেছেন, এটা তো সবাই জানেন। তবে কোরান বইটা অনেক রহস্যময় তো, তাই ইসলামি বিজ্ঞানী আর চিকিৎসকেরা এখনও সব রোগের দাওয়াই খুঁজে পান নাই। পেয়ে যাবেন ইনশাল্যা। আফসোস খালি একটাই, তাঁদের কোনও আবিষ্কার নিজেদের প্যাটেন্টে তাঁরা রাখতে পারেন না। ইহুদি-নাছারা নাছোড়বান্দা বেয়াদ্দপগুলা কীভাবে যেন তাঁরা আবিষ্কার করার একটু আগে সব প্যাটেন্ট করে ফেলে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে চোদ্দশ বছর আগে থেকে স্থিতিশীলভাবে অগ্রসর মুসলিম সমাজের উপর এই নির্যাতন আর জোচ্চুরি বড়ই নিন্দনীয়!
যাই হোক, এখনও যেহেতু পৃথিবীর সব রোগের দাওয়াই আবিষ্কৃত হয়নি, কাজেই এখনও অনেক দুরারোগ্য ব্যাধি পৃথিবীতে রয়ে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হল প্লেগ আর পৈটিক গোলযোগ। জ্বি। এইডস আর ক্যান্সার না, প্লেগ আর পৈটিক গোলযোগ। আল্যার নবী বলেছেন, প্লেগ জিনিসটা কাফেরদের জন্য অভিশাপ আর মুমিনদের জন্য কুদরত। কোন মুমিন বান্দা প্লেগ আক্রান্ত অঞ্চলে থাকলেও সে নিজে প্লেগে আক্রান্ত হবে না। হায়রে, ইন্ডিয়ান মালাউনগুলা সব গাধা! ওদের যখন প্লেগের এপিডেমিক ছিলো, মুমিন মুসলিম বান্দাদেরকে নার্স হিসেবে রাখলেই তো সব মুশকিল আসান হয়ে যেতো। ইসস! আফসোস!
তবে আল্যার নবী এর চেয়েও মহৎ একটা কথা বলে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, প্লেগ আর পেটের অসুখে ভুগে যেসব মুমিন মুসলিমেরা মারা যায়, আল্যাপাক তাদেরকে 'শহীদ' এর সম্মান দেন।
শহীদ হবার এতো সোজা উপায় থাকতে জঙ্গিরা এতো কষ্ট করে কেন!
অনুপ্রেরণা: আনাস।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন