আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১১

তিন ফোড়ন


লিখেছেন আরিফুর রহমান 

১. 
নৈতিকতার ধারণা ধর্মগুলোই চুরি করেছে। আপনি হয়তো গলা শক্ত করে সৃষ্টিকর্তার বিশ্বাস নিয়ে নিজের বিশ্বাসের বড়াই করে যাবেন, অযৌক্তিকভাবে, অবিরত। আপনাকে সেটা করতেই হবে, কারণ আপনার পা থেকে মাথা পুরোটাই ও বস্তুতে বানানো। বিশ্বাস হারালে আপনার নিজেরই যে কিছু থাকবে না। অন্ধ বিশ্বাস নামের একটা আগাছার শেকড় আপনার অস্তিত্বের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে আছে। এ থেকে মুক্তি নেই আপনার। 
করুণা, আপনার এবং আপনার মতো যারা আটকে গেছেন, তাঁদের জন্য।

২. 
আধ্যাত্মিকতা একটা ভুয়ো ধারণা। মূলতঃ শিক্ষার অভাব অথবা বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কহীনতাই এসব উদ্ভট অনুভূতির অবতারণা করে। প্রচুর বুড়ো এসব ভং ধরে থাকে বটে, সেটা নিজেদের অজ্ঞতা ঢাকার জন্য এক প্রকার ভাঁড়ামো ছাড়া আর কিছু নয়।
এদেরকে বুজুর্গ না বলে বুজরুক বলাই শ্রেয়।

৩.
নীতি-নৈতিকতার সাথে মরণের কোনো সম্পর্ক নেই। যেটুকু সময় বেঁচে আছি, নৈতিক ও পরিশ্রমী জীবনই তো অর্থপূর্ণ ও আনন্দময়। মরণের পরে স্বর্গের লোভ, অথবা আগুনের ভয়ে যে ভালো মানুষ হয়ে থাকে, তাকে ছেলেমানুষ বৈ কিছু বলা উচিত নয়। শিশুদেরই বাবা-মা ভয় ও লোভ দেখিয়ে থাকে। 
এ ধরনের রিপু-তাড়িত জীবন কি আসলেই তৃপ্তিকর? কারো হুমকিতে অথবা লালসায় যদি 'লাইন' মেনে চলি, এর চেয়ে লজ্জা আর কিসে আছে? 
মর্যাদাবানের উচিত ধর্মের লোভ ও ভয়ের ঊর্ধ্বে ওঠার চেষ্টা করা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন