লিখেছেন কৌস্তুভ
ফেসবুকে এই খবরটা চোখে পড়ল। ধর্মীয় মানসিকতার সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার সম্পর্ক নিয়ে একটা ভদ্রস্থ, ছিমছাম স্টাডি। এবং আমরা যেমনটা আশা করতে পারি, ঠিক তেমনটাই পেয়েছেন গবেষকেরা - আইকিউ বাড়লে ধর্মানুভূতি কমে।
অবশ্য তাঁরা আবার পাষণ্ড-প্রধান রিচার্ড ডকিন্সেরই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক, অতএব এমন নাপাক ফলাফল যে আবিষ্কার করবেন তা আর আশ্চর্য কী?
হাজারদুয়েক আমেরিকান ক্রিশ্চানদের নিয়ে (অর্থাৎ নাস্তিকদের বাইরে রেখে) তাদের মধ্যে ধর্মীয় মানসিকতার বিভিন্ন আঙ্গিক মাপা হয়েছিল। "বাইবেল ঈশ্বরের প্রকৃত বাণী", "আমি জীবনে নির্ভরতা ও পথনির্দেশের জন্য ঈশ্বরের উপর নির্ভর করি" ইত্যাদি কথার সঙ্গে কতটা সহমত, তা মাপার মাধ্যমে।
ফ্যাক্টরগুলো হল সচেতনতা, আধ্যাত্মিকতা, ধর্মনির্ভরতা, ধর্মের সাথে একাত্মতা, ধর্মাচরণ, আর ধর্মীয় গোঁড়ামি।
এই ফ্যাক্টরগুলো ব্যাখ্যা করার উদ্দেশ্যে মাপা হয়েছিল আইকিউ, মুক্তচিন্তা, বয়স, লিঙ্গ, এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা।
প্রধান ফল যা দেখা গেল, আইকিউ বাড়লে সব ধরনের ধর্মীয় মানসিকতাই কমে! (আধ্যাত্মিকতা ছাড়া, প্রত্যেকটাই পরিসংখ্যানের ভাষায় সিগনিফিকেন্টলি কমে।)
তেমনই, যেমন অনুমান করা যায়, শিক্ষা বাড়লেও ধর্মীয় মানসিকতা কমে; মুক্তচিন্তা বাড়লে কমে গোঁড়ামি।
আবার বয়সের সঙ্গে ধর্মীয় ভাবনা বাড়ে। মহিলারাও পুরুষদের থেকে বেশি ধর্মানুগত।
স্বভাবতই, বাইবেলানুগতদের বুদ্ধিশুদ্ধির এহেন অপমানে পাদ্রীদের বুকে শনশন ব্যথা বেজে উঠেছে। এক বিশপ বলেছেন, "না না, এ মোটেই সিরিয়াস কিছু স্টাডি না... অনেক মূর্খেরই বেশি আইকিউ থাকে... বোকাদের ধর্মানুভূতি বেশি, এমন কথা বলা অপমানজনক!" (অপমানজনক বোকাদের জন্য, না ধর্মের জন্য?)
উৎসাহীদের জন্য:
সম্পূর্ণ গবেষণাপত্রের ডাউনলোড লিংক
সাইজ: ১৮০ কিলোবাইট
ফরম্যাট: পিডিএফ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন