রিচার্ড ডকিন্সের হাত থেকে রিচার্ড ডকিন্স অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করলেন ক্যান্সারাক্রান্ত ক্রিস্টোফার হিচেন্স। এ উপলক্ষে ডকিন্স ও হিচেন্সের দেয়া অতীব চমৎকার বক্তৃতা দুটোর ভিডিও। হাতে সময় থাকলে মিস না করাই উচিত হবে।
সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১১
আমার সন্তান যেন না হয় নাস্তিক
অনুবাদ করেছেন Suirauqa
আমার সন্তানদের নিরীশ্বরবাদী ধর্মমুক্ত অবিশ্বাসী হয়ে ওঠার থেকে বিরত করবার সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় কি?
আমি চাই না আমার কোনো ছেলেমেয়ে ঈশ্বরের কাছে শাস্তি পাক।
নির্বাচকদের বিচারে শ্রেষ্ঠ উত্তর:
- আপনার সন্তানদের কোনোরূপ শিক্ষার কোনো ব্যবস্থা করবেন না, অথবা তাদের কোনো রকম যুক্তিবাদী চিন্তাধারা, সমালোচনা বা বিজ্ঞানের সংস্পর্শে আসতে দেবেন না।
- পৃথিবী কীভাবে চলে, সে সম্পর্কে প্রতিনিয়ত তাদের মিথ্যে কথা বলুন। বেশ সত্যিকারের জ্ঞানের মত করে সাজিয়ে কিছু অর্থহীন প্রলাপবাক্য তাদের কাছে পেশ করুন, এবং এমন ভঙ্গি করুন যেন, সেটাই গভীর তত্ত্বকথা।
- তাদেরকে শেখান তাদের নিজস্ব শরীর এবং শারীরিক কাজকর্মকে ঘৃণা করতে। বুঝিয়ে দিন যে, তারা ক্ষুদ্র, দুর্বল, মূল্যহীন এবং ঐশ্বরিক কৃপায় মোক্ষলাভ না হলে তাদের জাহান্নাম ছাড়া আর গতি নেই। তাদের বলুন যে যা কিছু জীবনে আনন্দদায়ক, তার সব কিছুই ভয়ঙ্কর খারাপ, এমনকি তা নিয়ে চিন্তা করাও পাপ। তাদের একমাত্র আনন্দের উপায় হওয়া উচিত কোনো এক অদৃশ্য বন্ধুর পায়ে মাথা কোটা।
- নিশ্চিত করে নিন যে, আপনার সন্তানেরা যেন তাদের থেকে কোনো অংশে ভিন্ন সবাইকেই ঘৃণার চোখে দেখে - ভিন্ন গায়ের রঙ, দেশ, রাজনৈতিক মতবাদ, এবং সর্বোপরি ভিন্ন ধর্মমতের লোকজন। তাদেরকে ভালভাবে বোঝান যে, এ ধরনের আলাদা লোকজন আসলে দুষ্ট এবং অনিষ্টকারী - এবং যতই আসল জীবনে সে মানুষগুলি যতই অক্ষম সংখ্যালঘু হোক না কেন - আপনার সন্তানেরা যেন জানে যে, এদের আসল উদ্দেশ্য হল আপনার মত চিন্তাধারাবিশিষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠদের দাবিয়ে রাখা এবং আপনাদের ওপর অত্যাচার চালানো।
- সন্তানদের শেখান যে তাদের নিজেদের ধর্ম ছাড়া অন্য যে কোনো ধর্মই হেসে উড়িয়ে দেবার যোগ্য। প্রথম সুযোগে - মনে রাখবেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব - তাদের শেখান, তারা যেন ঠিকমত চিনতে পারে কোনটা কুসংস্কারাচ্ছন্ন মারাত্মক ভুল - যে, কোনো এক বদ্ধ উন্মাদ একবার মরুভূমির মধ্যে কিছু লোককে জানিয়েছিল এক হিংস্র, জিঘাংসাপূর্ণ, নরঘাতক ঈশ্বরের কথা - এবং কোনটা ঐশ্বরিক চিরকালীন সত্য।
- কঠিন ভাবে তাদের শিক্ষা দিন যে, তারা যেন কখনো নিজেদেরকে প্রশ্ন না করে - কখনোই নিজেরা চিন্তা না করে, কখনোই যেন নিজেদের জীবনটা না বাঁচে - শুধু জীবনের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য একটি বিশেষ - এবং একটিই মাত্র - অর্ধশিক্ষিত ব্রোঞ্জ-যুগের উপকথাবলীর উপর নির্বিচারে, নির্দ্বিধায় ভরসা করে চলে।
- সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ - এইটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় - যেকোন প্রকারে নিশ্চিত করুন যে তারা যেন বানান না করতে পারে, ব্যাকরণ এক্কেবারে না বোঝে, এবং সাধারণ ইংরেজী শব্দ অনুধাবন করতে না পারে।
এতেই চলবে।
প্যাট্রিক কন্ডেল: আমাদের লোক – ৪৩
হ্যালোউইনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত পোশাক কী হতে পারে? প্যাট কন্ডেল অভিনব একটি সমাধান দিয়েছেন। তাঁর মতে এ বছর হ্যালোউইনের শ্রেষ্ঠ পোশাক - বোরখা।
ভিডিওটি ইংরেজি সাবটাইটেলসহ। কোনও কারণে তা দেখা না গেলে প্লেয়ারের cc বাটনে ক্লিক করুন।
তবে সর্বাগ্রে প্যাট কন্ডেলের কথা থেকে কিছু শাণিত উদ্ধৃতি:
The Islamic cloak of death has to be the ultimate Halloween garment: if only because it’s so versatile. You could fit it with a pair of bat wings (that would look rather good) or you could simply carry a scythe, to represent death of course (I think both ideas would work very well). Or if you prefer something a bit more authentic, you could carry around a baby with rickets; or a sign saying, ‘Freedom go to hell’ or ‘U.S.A., you will pay’.
...The burka is a remarkable garment, in that it covers the face while allowing all the ugliness through...
... Even in something as disgusting, degrading and dehumanizing as the Islamic shroud of cowardly male misogyny and oppression. And by the way, I hope I didn’t offend any Western feminists with that remark. I know how touchy some of you girls can get when anyone criticizes Islamic male supremacism. Of course, if you want to be really super-safe (because we all know what men are like), you’d be even less likely to get raped if you went around inside a wooden box. You could put it on rollers so your feet don’t have to stick out in a provocative and licentious way. Although, on reflection, that might be taking things just a bit too far. Chances are you’ll be perfectly okay with a mobile tent but you might want to have a carpenter standing by just in case.
... It really is a blank canvas. I certainly hope the idea takes off because I think Western society would be culturally enriched, for a change, if everybody went around in a burka on Halloween. I think it would certain help to lighten the rather creep and sinister image of this alien garment if we took the annual opportunity that Halloween affords to openly mock and ridicule it as the clownish symbol of male stupidity and inadequacy it really is. And that would inevitably lead to greater mutual understanding – which is something I think we all want – and, who know, it might even persuade extremists Muslims to laugh at themselves.
রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১১
ধর্মাতুল কৌতুকিম – ৩০
৮২.
এক এস্কিমো প্রশ্ন করলো এক ধর্মপ্রচারককে:
- আচ্ছা, আমি যদি ঈশ্বর, যিশু আর পাপ সম্পর্কে কোনওকিছু না জানতাম এই জীবনে, তাহলে মৃত্যু পর কি আমি নরকে যেতাম?
- না, - উত্তর দিলো ধর্মপ্রচারক।
- তাইলে, হালার পুত, আমারে ওগো কথা কইতে গেলি ক্যান?
৮৩.
- যিশু নাকি পানির ওপর দিয়ে হাঁটতে পারতেন?
- হ্যাঁ, কারণ বিষ্ঠা পানিতে ডোবে না।
৮৪.
জাহাজ ডুবছে। ক্যাপ্টেন জিজ্ঞেস করলেন:
- মোনাজাত জানেন, এমন কেউ আছেন?
হাত তুললেন এক মাওলানা। ক্যাপ্টেন বললেন তাঁর উদ্দেশে:
- চমৎকার! আমাদের একটা লাইফ জ্যাকেট শর্ট আছে। অতএব বাকি সবাই লাইফ জ্যাকেট পরে নিক, আপনি মোনাজাত করতে থাকুন।
দূষিত নারী, তুমি দূরে থাকো
প্রত্যেক ধর্মেই মেয়েরা নিম্নশ্রেণীর প্রাণী হিসেবে চিত্রিত। আর তাদের যদি ঋতুকাল চলে, তাহলে ধর্মগুলোর চোখে তারা তো একেবারেই অস্পৃশ্য। কোরানের কথা জানি, সেখানে এমন নারীদেরকে দূষিত আখ্যা দিয়ে তাদের থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে।
কৌস্তুভ ধর্ম ও ঋতুকালবতী নারীদের প্রসঙ্গে একটি ছবি ও একটি লিংক পাঠিয়েছেন। লিংকটিও অবশ্যদ্রষ্টব্য। ওটাতে অনেক ছবি ও তথ্য আছে।
লেখাগুলো পড়তে হলে ছবিতে ক্লিক করতে হবে
ধর্ম = বিবেকমুক্তি?
নবীজির শয়তান-চিন্তা
- শয়তান মানুষের কানে হিসু করে
- মানুষের হাই তোলার পেছনে শয়তানের হাত আছে
- রাতে শয়তান ঢোকে মানুষের নাকে
- সুস্বপ্ন আল্যার দান ও দুঃস্বপ্ন - শয়তানের
- শয়তান দূষিত বায়ু ত্যাগ করে সশব্দে
না, হাসাহাসি করা উচিত হইতেসে না। আফটার অল, কথাগুলান যেহেতু নবীজির বলা, তার অর্থ, প্রত্যেক মোমিন মুসলিম তাঁর এইসব কথা বিশ্বাস করে। ফলে তাগো ধর্মানুনুভূতি উত্থিত হয়া পড়তে পারে।
ছোট্ট স্লাইড শো।
ছোট্ট স্লাইড শো।
শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১১
ধর্ম মানেই দুই নম্বরী ব্যবসা
তোমারে হেরি হেথা-সেথা
ভক্তি-লুল উপচায়া পড়লে এমুনই হয়। আল্লাহ-নবীর নাম পাওয়া যায় কল্পনাতীত অসম্ভব সব জায়গায়। এমনকি সেজদা দেয়ার ধারাবাহিক আসনেও গোপনে লেখা আছে নবীর নাম। আবার মানবঘিলুও নাকি সেজদারত আসন গ্রহণ করে রেখেছে
কিন্তুক আমি তো ব্রেইনে এইসব দেখতে পাই (ইট্টু ইয়ে-টাইপ ছবি, কইলাম কিন্তু), আমার কী হবে!
কিন্তুক আমি তো ব্রেইনে এইসব দেখতে পাই (ইট্টু ইয়ে-টাইপ ছবি, কইলাম কিন্তু), আমার কী হবে!
নিচের ছবি দেখার আগে আল্যাফাকের কাছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য ভাষা আরবিতে যে-বেতমিজগুলার দখল নাই, তাদের জন্যে জ্ঞাতব্য: "আহমেদ" লেখা হয় এভাবে - أحمد
খোমাখাতায় কোন এক আবালের পোস্ট থেকে কপি করে এই ছবি পাঠিয়েছেন Free Thinker এবং তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এই ছবিটাকে ধর্মকারীর বেদ্বীন পাঠকেরা যথাযথভাবে পচাবেন।
মানবজাতির যা কর্তব্য
বাংলা সাবটাইটেলযুক্ত ডকুমেন্টারি: বিশ্বব্রহ্মাণ্ড কি ঈশ্বরের সৃষ্টি?
শয়তানের চ্যালা একখানা বিশাল অ-শয়তানী কর্ম করেছেন। স্টিফেন হকিং-এর অংশগ্রহণে ডিসকাভারি চ্যানেলের নির্মিত ডকুমেন্টারি Did God Create The Universe? বাংলায় অনুবাদ করে তাতে সাবটাইটেল বসিয়ে ইউটিউবে আপলোড করে ধর্মকারীতে পাঠিয়েছেন!
ব্যক্তিগত উদ্যোগে পুরো একটি ডকুমেন্টারির বঙ্গানুবাদ ও সাবটাইটেল বসানোর মতো এতো ব্যাপক সময়সাপেক্ষ ও বিপুল শ্রমসাধ্য কাজ এর আগে আর কেউ করেছেন কি না, আমার জানা নেই। তাঁর এই পদক্ষেপ নিশ্চয়ই কাউকে না কাউকে অনুরূপ কর্ম সম্পাদনে অনুপ্রাণিত করবে, করবে না?
রছুল গীতি
লিখেছেন গজব-এ-এলাহি
পুথি আর মেয়েলি গীতকে মিলিয়ে লেখার প্রয়াস।
দ্বীনের বলী মস্ত পা, রাস্তা দিয়া হাইটা যায়,
কুত্তা একটা বান্ধা ছিল গাছের-ই তলায় গো, গাছের-ই তলায়!
আল্লার হুকুমে কুত্তা পাগল হৈয়া যায়,
কাছে পেয়ে পাগলা-কুত্তা কামড়ে দেয় তার পায় গো, কামড়ে দেয় তার পায়!
সেই কামড়ে মহাউন্মাদ নবি হৈয়া যায়,
আকামে-কুকামে সুরা নাজিল কৈরা যায় গো, নাজিল কৈরা যায়!
নাচিতে নাচিতে নবির মাথা ঘুইরা যায়,
বিবির বুকে মুখ লুকাইয়া মেরাজ কৈরা আয় গো, মেরাজ কৈরা আয়!
লোল ফেলিয়া দ্বীনের নবি রোজ জিহাদে চৈলা যায়,
মাইয়া ধৈরা আসে নিয়া বাগে যারে পায় গো, বাগে যারে পায়!
দাসী আর বিবিতে তার ঘর ভৈরা যায়,
গুইনা দেখি একটা ডজন পূর্ণ হৈয়া যায় গো, পূর্ণ হৈয়া যায়!
এক সকালেই সাতশ’ লোকরে মাইরা ফেলতে চায়,
উবাই আইসা দয়া কৈরা তাগোরে বাঁচায় গো, তাগোরে বাঁচায়!
কুরাইজার হাজার জনরে কতল কৈরা লয়,
মাইয়া মানুষ শিশুরে সে দাসদাসী বানায় গো, দাসদাসী বানায়!
দ্বীনের নবি মক্কায় আইসা যবে ঢুইক্যা যায়,
আল্লা বাদে কাবা মন্দির খালি হৈয়া যায় গো, খালি হৈয়া যায়!
পুতুল পূজারি বোকা উদাস হৈয়া রয়,
আল্লারে রাখিয়া নবি সব ভাঙ্গিয়া ফালায় গো, সব ভাঙ্গিয়া ফালায়!
শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১১
কুরবানি-কামুক মোমিনেরা
বর্বর, কুৎসিত, কদর্য ও রক্তাক্ত ইছলামী 'উৎসব' কুরবানি সমাসন্ন। এই প্রথার সমর্থনে যারা উচ্চকণ্ঠ, তারা পরম ঘৃণার্হ। জানি, অনেক মুসলিম পরিবারে স্রেফ সামাজিকতা রক্ষার জন্য কুরবানি দেয়া হয়। এই পাশবিক সামাজিকতা জিইয়ে রাখার প্রয়োজন আছে কি? আসুন না, নিজের পরিবারকে উদ্বুদ্ধ করি, অন্তত একটি প্রাণীর প্রাণ রক্ষা হোক। মাংসাশী জীব হিসেবে মাংস আমরা খাবোই এবং সে-কারণে প্রাণীহত্যাও অনিবার্য। কিন্তু তাই বলে উৎসব করে জনসমক্ষে শিশু-কিশোরদের উপস্থিতিতে প্রাণীহত্যা? কেন পালন করতে হবে এই অমানবিক ঐতিহ্য? মাংস খেতে ইচ্ছে করলে বাজার থেকে কিনে এনে খাওয়া যায় না?
একটা ছোট্ট ভিডিওর শুরুটা দেখে ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল, তবে শেষটা দেখে মনে হলো, কুরবানি-কামুক মোমিনদের এমন দশাই হওয়া দরকার। পশুবধ করে নাকি ছওয়াব কামানো যায়! যতো সব আবালের (প্রকৃতপক্ষে যে-শব্দটি আমি বলতে চাই, সেটি "আবাল"-এর চেয়ে বহু গুণ তীব্র) দল!
আরও একটি ভিডিওর নাগাল পাওয়া গেল নাস্তিক আলীর সৌজন্যে। এটাতে প্রধান চরিত্র উট।
ইউটিউবে qurbani লিখে সার্চ দিলে অগণ্য ভয়াবহ ভিডিওর নাগাল পাওয়া যায়। সেখান থেকে কয়েকটির কিয়দংশ দেখে (পুরোটা দেখা সম্ভব নয়) মনে হলো, অবোধ জীবগুলোকে এভাবে কষ্ট দিয়ে ছওয়াব উপার্জন হয়? মুসলিমরা সেটা বিশ্বাস করে? নির্বোধ বর্বরের দল!
কোরান কুইজ – ০৮
নিশ্চয়ই মোমিন মুসলমানগণ কোরান সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখেন। বেয়াড়া নাস্তিকগনও নিজেদেরকে কোরান-অজ্ঞ বলেন না কখনও। তাই মুসলিম-নাস্তিক নির্বিশেষে সকলেই অংশ নিতে পারেন কোরানের আয়াতভিত্তিক এই ধাঁধা প্রতিযোগিতায়। এই সিরিজের মাধ্যমেই তাঁরা নিজেদের কোরান-জ্ঞান যাচাই করে নিতে পারবেন।
প্রশ্ন ১৪. ইসলামে জোর-জবরদস্তির স্থান আছে কি?
ক) হ্যাঁখ) না
(স্ক্রল করে নিচে উত্তর দেখুন)
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
উত্তর ১৪. উভয়টিই সত্য।
(সুরা ৯.২৯, ২.২৫৬)
নালার নোংরায় নাপাক কোরান
বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১১
সোমালিয়ার যখন হাজার হাজার মুসলমান মরে তখন মুসলমানেরা কী (কি) করেন???!!!
লিখেছেন সেজান মাহমুদ
[প্রথমেই জানিয়ে রাখছি সোমালিয়ার স্মরণকালের ভয়াবহ দূর্ভিক্ষের দিকে সবার নজর দিতে এই লেখা আমি একজন মুসলমান হিসাবে লিখছি না; লিখছি মানবতার অনুসারী হিসাবে, জনস্বাস্থ্য ও বিশ্বসাস্থ্যের একজন চিকিৎসক এবং কর্মী হিসাবে। তবে ইসলাম বা মুসলমানদের নিয়ে কিছু বললেই যে লোকগুলো (বিশেষ করে বাংলাদেশের) তালকানা ষাঁড়ের মতো শিং উঁচিয়ে, দাঁত খিঁচিয়ে তেড়ে আসেন তাদের উদ্দেশ্যে বিশেষ করে এই লেখা]
সোমালিয়া, আফ্রিকার শিং হিসাবে খ্যাত এই দেশটি বাংলাদেশের চেয়ে প্রায় চারগুণ বড় হলেও লোক সংখ্যা মাত্র এক কোটির একটু ওপরে। এই লোক সংখ্যার ৯৯% মুসলমান। দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে আছে। গত ৬০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর খারায় আফ্রিকার শিং নামে খ্যাত দেশগুলো যেমন কেনিয়া, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া এই খরায় একেবারে পর্যুদস্ত। কিন্তু সোমালিয়ায় যুদ্ধ আর খরার যৌথ-প্রভাবে দেশটির সবচেয়ে করুণ দশা-এখন জাতি সঙ্ঘের ঘোষিত দূর্ভিক্ষ পীড়িত এই দেশ। এখানে গত তিন মাসে শুধু শিশু মারা গেছে প্রায় ৩০ হাজার, ২০ লক্ষ শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে চূড়ান্ত পুষ্টিহীনতায় ভূগছে। জনসংখ্যার সবচেয়ে ভালনারেবল অংশ নারী আর শিশু। অধিকাংশ নারীই সন্তানধারণের বয়সী এবং অর্ধেকই অন্তঃসত্ত্বা। এইভাবে, এই অবস্থায় এখন পর্যন্ত ১৫ লক্ষ সোমালী আশ্রয় নিয়েছে আসেপাশের দেশগুলোতে যা অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। হাজার হাজার নারী আর শিশু মরছে প্রতিদিন। যারা এই ঘটনার আবার সূত্র জানতে চাইবেন (সেইসব স্ক্যাপ্টিক ষাঁড়েরা) তাদের জন্য একটা এলবাম করেছি। এখানে লিঙ্ক দিলাম দেখে নেয়ার জন্য।
এবার দেখি মুসলিম বিশ্ব কী করছে এই দুঃসময়ে! হালাল-হারাম নিয়ে তর্ক, কেউ তাদের গলতি ধরিয়ে দিলে তার দিকে গ্লাভস খুলে আক্রমণ, গালিগালাজ? না, না , তারা এতো খারাপ না! পৃথিবীর ৫৭ টি মুসলিম দেশ একসঙ্গে হয়ে তুরস্কে মিলিত হয়েছে।
কত লক্ষ টাকা খরছ করেছে সেই একসঙ্গে হওয়ার জন্য জানি না। কিন্তু তুলেছে মাত্র তুরস্কের টাকায় ২০০ মিলিয়ন, মাত্র ১০ টন ঔষধ, আর কি? তবে এটা পাকিস্তানের পত্রিকা, এদের বিশ্বাস করা যায় না, তাই আরো একটু অনুসন্ধান করে জানা গেল না, একটু বেশি টাকা উঠেছে, ও আই সি (OIC) বলেছে তারা ২৩০ মিলিয়ন ডলার দেবে। অথচ জাতিসঙ্ঘের মতে নূন্যতম পক্ষে দুই দশমিক চার বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। কী আর করা, দেখি বাংলাদেশ না হয় গরীব দেশ, আমাদের দাসত্বের (মানসিক) মালিকেরা কে কী করছেনঃ
পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ও বিলাসবহুল ইয়ট (জাহাজ আর কি!) কাদের দখলে আর এই জাহাজে কী ঘটে?
১. আল সাঈদ, সৌদী সুলতান কাবুস ওসমান পৃথিবীর সবচেয়ে বিলাসবহুল ইয়টের মালিক যার দাম প্রায় ৩০০ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার (ছবিটি আমার আগের এলবামে দেয়া আছে)।
২. আল সালামাস, প্রিন্স সুলতান বিন আব্দুল আজিজ, সৌদি আরব, দাম ২০০ মিলিয়ন ডলার।
৩. লেডি মুরা, নাসের আল রশিদ, ব্যবসায়ী, সৌদী রয়েল পরিবারের উপদেষ্টা, দাম ২১০ মিলিয়ন ডলার
৪. আল মিরকাব, শেখ হামাদ বিন জসিম আল থানি, কাতারের প্রধান মন্ত্রী, দাম ২৫০ মিলিয়ন ডলার
৫. দুবাই, শেখ মোঃ বিন রাশিদ আল মাখতুম, দুবাই এর প্রধান, দাম ৩৫০ মিলিয়ন ডলার।
৬. সবচেয়ে মজার টি হলো ১০০,০০০ কেজি সোনা ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতুতে গড়া প্রায় ৫ বিলিয়ন ( ১০০০ মিলিয়ন এ এক বিলিয়ন, আপনারা গুণে দেখুন কতো) এর মালিক মালয়েশিয়ার একজন অজানা ব্যাবসায়ী।
মধ্যপ্রাচ্যের শেখ-সুলতানেরা প্রতি বছর শুধু বিশ্বের বিলাসবহুল বিপনী বিতানে ব্যয় করেন মিলিয়নস অব ডলারস, নানান দেশে তাদের নিজস্ব হেরেমখানা আছে যেখানে পৃথিবীর নামী দামী তারকা থেকে শুরু করে স্পেশাল নারীদের হাজার হাজার ডলারে ভাড়া করে নিয়ে যাওয়া হয়।
আমাকে আর ফিরিস্তি দেয়ার দরকার আছে? পৃথিবীর যে কোন বিলাসবহুল ব্যায়ের জিনিস খুজে দেখুন কারা এগুলোর মালিক। কিন্তু বিজ্ঞান, জ্ঞান, মানবিকতায় এঁদের নিচের ১০০ জনের মধ্যেও পাবেন না।
আমার দিকে যারা এক্ষুনিই অঙ্গুলি নির্দেশের জন্য মুখিয়ে আছেন (আপনি কি করছেন? বলার জন্য) তাদের উদ্দেশ্যে আগেই বলিঃ আমি মুসলমান হিসাবে বেহেস্ত পাওয়ার জন্য কিছুই করি না। আমি যা করি তা মানুষ হিসাবে করি। আমার সাধ্য মতো আমার জ্ঞান দিয়ে, শারীরিক পরিশ্রম দিয়ে, মেধা দিয়ে, অর্থ দিয়ে যতটুকু পারা যায় করি। তার জন্য আমাকে বেহেস্তে যাওয়ার লোভ দেখানোর প্রয়োজন নেই। সুতরাং যারা মুসলমান, ইসলাম ধর্মের রক্ষাকর্তার দায়িত্ব নিতে চান, আপনারাই বলুন আপনাদের এখন কি করনীয় (অন্তত বেহেস্তের জন্য হলেও)? সকলের মঙ্গল হোক।
ডাস্টি-কথিত সুসমাচার
ইন্টারনেট নির্ধার্মিকদের দখলে। সোশ্যাল মিডিয়া, ব্লগ, ফেইসবুক - সবখানেই ধর্মবিশ্বাসীরা কোণঠাসা। তারা এখন laughing stocks of the Internet. কারণ Religion is fucking stupid, it's also fucking wrong and fucking outdated.
প্রিয় ইউটিউবার CultOfDusty-র আশাবাদের সঙ্গে আমার আশাবাদ মিলে যায়: it's only matter of time before we mock faith into non-existence.
একটি কৌতূহলোদ্দীপক ব্যাপার। ভিডিওটির ৩.৫০ মিনিটে কয়েকটি পোস্টার দেখা যায়, যার একটি ধর্মকারীর জন্যে বানিয়েছিলেন চিন্তিত তাপস পাল! দেখে বড়োই ভালো লাগলো। এই পোস্টারটি যে প্রকৃতপক্ষেই আন্তর্জাতিক প্রচার পেয়েছে, সে বিষয়ে দু'টি পোস্টও দিয়েছিলাম আগে।
হ্রস্বরসবাক্যবাণ – ২৫
১.
পানওয়ালি, চা-ওয়ালি, সবজিওয়ালি, ডিমওয়ালি বুঝি। কিন্তু দিওয়ালি কে?
২.
বাস্তবে ইসলামের আসল দুই স্তম্ভ: ১. ভয় (দোজখ), ২. লোভ (বেহেস্ত)।
(দাঁড়িপাল্লা)৩.
কারুর মৃত্যু হলে বলা হয়ে থাকে, সে এখন ঈশ্বরের কাছাকাছি। তারও অস্তিত্ব থাকে না বলেই কি?
(সংগৃহীত)বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১১
নির্ধার্মিক মনীষীরা – ৪৩
ইয়োহান ক্রয়িফকে মনীষী বলা হয়তো সঙ্গত নয়, তবে তিনি সুখ্যাতিমান তো বটেই। এখন মনে হচ্ছে, এই সিরিজের নাম "নির্ধার্মিক খ্যাতিমানেরা" হলে সঠিক হতো।
আয়েশা-সিনড্রোমাক্রান্ত
ইসলামী ইতরামি: তিন হালি
১.
"আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হোক তাদের ওপরে, তাদের কবরের ওপরে মলত্যাগ করুক শয়তান," - পরিবারের সম্মান রক্ষা করতে গিয়ে নিজের তিন কন্যা ও প্রথম স্ত্রীকে হত্যা করে গর্বিত পিতা ও স্বামী এই বাসনা পোষণ করেছে।
২.
পুরুষেরা যা-ই করুক না কেন, তাতে পরিবারের সম্মানহানি ঘটে না! পরিবারে কলঙ্ক আনে শুধুই মেয়েরা! আর তাই অনার কিলিং-এর শিকার তারাই হয় প্রধানত। এখন দেখুন ইছলামী পরিবারগুলোর সম্মান অটুট রাখতে আত্মীয়-পরিজনের হাতে নিহত মেয়েদের স-লিংক ছবির গ্যালারি! বলা চলে, ইছলামী অনার বোর্ড। এই পাতাটি অবশ্য বছর দুই আপডেট করা হয়নি।
(লিংকম্যান: দ্রোহী)
৩.
ছলে-বলে-কৌশলে, হুমকি দেখিয়ে, ভীতি প্রদর্শন করে, ব্ল্যাকমেইল করে বা অন্য যে-কোনও উপায়ে এক অমুসলিমকে মুসলিম বানাতে পারলে বেহেশতে প্লট বরাদ্দ হয়ে যায়। আর তাই বারো বছরের খ্রিষ্টান বালিকাকে অপহরণ করার পর আট মাসব্যাপী প্রহার ও ধর্ষণ করতে থাকে বেহেশত-লোভী এক ইসলামী ষণ্ড, এবং শেষমেষ তাকে দ্বীনের পথে আনতে সে কামিয়াব হয়।
৪.
ক্যাথলিক ধর্মানুসারী এক ভারতীয়কে মালদ্বীপ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। তাঁর অপরাধ, এক কপি বাইবেল পাওয়া গেছে তাঁর কাছে। অবাক হবেন না, ইসলামী দেশ মালদ্বীপের আইন লংঘিত হয়নি এতে।
৫.
নবীজির আরেক খাস বান্দার সন্ধান পাওয়া গেছে। এক ইমাম ১৩ বছরেরও কম বয়সী তিন বালিকাকে যৌন নির্যাতন করেছে।
৬.
বলিউডি ছবির নাম রাখা হয়েছে আজান, এবং তাতে মুসলিমদের ধর্মানুনুভূতি উত্থিত হয়ে গেছে।
৭.
ষাট ইছলামী ষণ্ড লৌহদণ্ডসজ্জিত হয়ে ঢুকে পড়ে বালিকা বিদ্যালয়ে এবং পেটাতে থাকে হিজাবহীন ও অনৈছলামিক পোশাক পরিহিতা ছাত্রী ও শিক্ষিকাদের। বড়োই শরিয়তসম্মত কর্ম!
৮.
তিউনিসিয়ার এক বিশ্ববিদ্যালয় নিকাব পরার কারণে এক ছাত্রীকে ভর্তিগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে একদল ইছলামী ষণ্ড। তবে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নতজানু হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়।
৯.
পড়াশোনা তথা জ্ঞানকে ইসলামের বড়োই ভয়। তাইতো এক ইছলামী আত্মঘাতী বোমারু শিক্ষামন্ত্রণালয়ের পাশে ঘটানো একটি আক্রমণে এক শতাধিক লোককে হত্যা করে, যাদের মধ্যে ছিলো স্কলারশিপ-প্রত্যাশী মেধাবী ছাত্ররাও। এই হামলাকারী আগে ঘোষণা দিয়েছিল, সেকুলার পড়াশোনা ত্যাগ করে ছাত্রদের উচিত জিহাদে অংশ নেয়া।
১০.
পরিবারের "সম্মান রক্ষা করতে" অনার কিলিং-এ সম্মত না হওয়ায় এক পরিবারকে সহ্য করতে হচ্ছে ইছলামীদের আক্রমণ, সন্ত্রাস।
১১.
মানুষ যেখানে নগ্ন অবস্থায় থাকে বা থাকতে পারে, সেখানে "আল্যা" লেখা হারাম। সুইমিং পুলের স্নানঘরে কেই একজন, খুব সম্ভব, শ্রদ্ধাভরেই লিখে রেখেছিল তার নাম, তবু এ নিয়ে হয়ে গেল তুলকালাম কাণ্ড! ষণ্ডরা কি ভুলে গিয়েছিল যে, তাদের আল্যা সবখানেই আছে এবং মানুষেরা নেংটু হয়ে থাকলেও সে সেখান থেকে চোখ ফেরায় না?
১২.
ইছলামী সন্ত্রাসবাদের প্রধান কারণ নাকি দারিদ্র্য ও শিক্ষার অভাব! তাই যদি হবে, তাহলে ব্রিটেনের সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের দুই-তৃতীয়াংশ সুশিক্ষিত (আদতে তারা কুশিক্ষিত) ও স্বচ্ছল পরিবারের সদস্য কেন? আরেকটি প্রশ্ন জাগে মনে: অন্য ধর্মগুলোর অনুসারীদের ভেতরে কি অশিক্ষিত ও দরিদ্র নেই? তারা কেন সন্ত্রাসী হয় না?
নবী মোর দয়ার খনি
শান্তির ধর্ম ইসলামের প্রবর্তক ছিলেন দয়ার মহাসমুদ্র, দয়াশীল, অত্যন্ত মানবিক গুণসম্পন্ন, করুণাময়, সংবেদনশীল, অনিষ্ঠুর, অক্রুর, অনৃশংস...
ভাবছেন, ফাজলামি করছি? মোটেও না! এই স্লাইড শো ছোট্ট একটি উদাহরণ মাত্র। তবে এতে যা বলা হচ্ছে, সব ইসলামী তথ্যসূত্র থেকে নেয়া হলেও সর্বোতভাবে ভ্রান্ত।
মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১১
এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে নেহাতই তুচ্ছ আমরা - ১৫
কার্ল সেগান-এর Pale Blue Dot: A Vision of the Human Future in Space নামের বই থেকে উদ্ধৃত করা একটি অংশ অবলম্বনে তৈরি ভিডিও। ব্যবহৃত কণ্ঠ কার্ল সেগান-এর নিজের। মুগ্ধ হয়ে শোনার মতো, দেখার মতো। ধর্মবিশ্বাসীদের জন্য নহে। কারণ খোলা মনে শুনলে ধর্মমোহ কেটে যেতে পারে।
ইছলামী পিছলামি তর্কতরিকা
কিছুদিন আগে প্রকাশিত একটি পোস্টের শিরোনাম ছিলো: কোনো ব্লগীয় তর্কে জেতার ইপিছলামী উপায়!
নিচের হতে-পারতো-প্রচ্ছদ পোস্টারটিও খুব প্রাসঙ্গিক।
সঙ্গে পেলাম এই লেখা:
১. সব সময় CAPS Lock অন করে রাখুন। এভাবে টাইপ করা লেখা পাঠ করা বেশ দুরূহ, ফলে আপনাকে কেউ উত্তর দিতে পারবে না।
২. যখনই প্রতিপক্ষ কোরান থেকে বেমক্কা কোনও আয়াত উদ্ধৃত করবে, আপনি বলে দিন, আউট অভ কনটেক্সট কিছু উদ্ধৃত করলেই তো হবে না! পটভূমি ও পরিপ্রেক্ষিত জানতে হবে।
৩. উদ্ধৃত কোনও হাদিস আপনাকে কোণঠাসা করে ফেললে বলুন, হাদিসটি বিশ্বাসযোগ্য নয়।
৪. একের পর এক কোরান হাদিসের উদ্ধৃতি দিতে থাকলে বলুন, সম্যক আরবি-জ্ঞান না থাকলে কোরান-হাদিস সঠিকভাবে বোঝা কারুর পক্ষে সম্ভব নয়।
৫. আরবি ভাষায় প্রতিপক্ষের যথেষ্ট দখল আছে, তেমন প্রমাণ সে দিতে পারলে বলুন, ওই আয়াত বা হাদিস শুধু সেই সময়ের জন্য প্রযোজ্য ছিলো। বর্তমান যুগে তা অচল।
৬. কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারলে অপ্রাসঙ্গিকভাবে বলুন, বর্তমান বিশ্বে ইসলাম সবচেয়ে দ্রুতগতিতে প্রসারিত হচ্ছে এবং সারা বিশ্ব সেই প্রমাণ পাবে অচিরেই।
৭. সে যদি প্রমাণ দেখায় যে, সবচেয়ে দ্রুতগতিতে প্রসারিত ধর্ম ইসলাম নয়, তাকে বলুন, তথ্যটি পক্ষপাতদুষ্ট এবং, খুব সম্ভব, খ্রিষ্টানদের মস্তিষ্কপ্রসূত।
৮. কোরানের বৈজ্ঞানিক অলৌকিকত্ব দাবি করে কয়েকটি ভিডিও আপলোড করুন ইউটিউবে। দাবিগুলোকে কেউ ভুয়া প্রমাণ করে ফেললে বলুন, তার চিন্তাধারা পক্ষপাতদুষ্ট।
৯. তার মনোযোগ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে কোরান থেকে অপ্রাসঙ্গিক আয়াত কপি-পেইস্ট করতে থাকুন একের পর এক।
১০. শেষে তাকে অভিশাপ দিন, দোজখের আগুনে পোড়ার হুমকি দিন এবং বলুন, তার মতো লোক ইসলাম ধর্মের উপযুক্ত নয়।
এভাবেই আপনার বিজয় সুনিশ্চিত করুন। আল্যাহু ফাকবার!
আদম প্রথম আদম নয়
সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১১
ব্ল্যাসফিমেরিক ১০
(ব্ল্যাসফিমাস লিমেরিক - এই দুই শব্দ থেকে বানানো একটি নতুন শব্দ ব্ল্যাসফিমেরিক। দ্বিতীয় ছড়াটি বেশ ইয়ে-টাইপ। কড়া শব্দ আছে, কইলাম! অতএব ইমোটা খিয়াল কৈরা )
লিখেছেন আশেকে রাসূল১.
ইহুদি নাছাড়া রকেট-পেলেন ওড়াচ্ছে তো ওড়াক
মোমিন জানে, এসব মিছে তুচ্ছ হাসির খোরাক
ঈমান খাড়া থাকলে পরে
মোমিন কি আর পেলেন চড়ে?
চড়বে তো সে বেহেস্তী যান - নূরের তৈরি বোরাক
২.
নামাজরঙ্গ – ০৬
লিংকিন পার্ক - ১৮
যে কোনও ধর্মই মানুষে-মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে। তবে একই ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিতে হিন্দুধর্ম অপ্রতিদ্বন্দ্বী। প্রথম আলোর সংবাদ: কেশবপুরে ‘নীচু জাত’ বলে শবদাহে বাধা, প্রতিবাদে মানববন্ধন।
২.
যখন স্থানীয় সরকার দারিদ্র্য লাঘব করতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি সফল করতে নানান পদক্ষেপ নিচ্ছে, তখন দক্ষিণ ভারতীয় রোমান ক্যাথলিক চার্চের অনুসারীদের সংখ্যা পতনমুখী হওয়ায় চার্চ বড়ো পরিবার - সুখী পরিবার স্লোগান দিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছে না শুধু, পরিবারে পঞ্চম (!!!) সন্তান জন্ম নেয়া মাত্র তার নামে দশ হাজার রুপি (দুশো ডলার) ব্যাংক ডিপোজিট দেবে বলে প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছে।
৩.
"রিচার্ড ডকিন্স অ্যাওয়ার্ড" পেলেন ক্রিস্টোফার হিচেন্স। অনুষ্ঠানে ডকিন্স হিচেন্সকে উদ্দেশ্য করে অপূর্ব একটি বক্তব্য রাখেন।
৪.
HIV-তে আক্রান্ত তিন মহিলা চার্চে গিয়েছিলেন। সেখানে তাদেরকে বলা হলো, ওষুধ-ফষুধে নিরাময়-উপশম হবে না, একমাত্র ঈশ্বরই পারে তাঁদের রোগমুক্তি ঘটাতে। রোগ থেকে আরোগ্যলাভের উপায় হিসেবে তাঁরা পেলেন প্রার্থনা করার পরামর্শ। ফলাফল? তিনজনেই মারা গেছেন। চার্চের চুদির্ভাইদের ধরে কী করা উচিত, বলুন তো?
৫.
স্যাম হ্যারিসের সাম্প্রতিকতম বই: Lying. ঠিক ধর্মসংক্রান্ত নয় অবশ্য। উৎসাহীরা ডাউনলোড (এখানে অথবা এখানে) করে নিয়ে পড়ে দেখতে পারেন। আকারে খুবই ছোট: ৮৭ কিলোবাইট, ফরম্যাট: epub (এই ফরম্যাটের জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার নেটে অনায়াসলভ্য। গুগল আপনাদের সহায় হোন।)।
ধর্মঅধ্যুষিত সমাজে ধর্মহীনেরা ধার্মিকদের চেয়ে কম সুখে থাকে। আর ধর্মহীন (অর্থাৎ ধর্মপ্রভাবহীন সমাজে) সমাজে ধার্মিক-ধর্মহীন নির্বিশেষে সবাই সুখী থাকে। এর মানে দাঁড়ায় একটাই: ধার্মিকেরা অবিশ্বাসীদের ওপর সর্বক্ষণ ছড়ি ঘোরাতে থাকে, পক্ষান্তরে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নির্ধার্মিকেরা ধর্মপ্র্রাণ মানুষদেরকে দৌড়ের ওপরে রাখে না। না, এটা মনগড়া কোনও তত্ত্ব নয়। পৃথিবীর একশো পঞ্চাশটি দেশ জুড়ে চালানো গবেষণার ফলাফল।
৮.
ধর্মান্ধদের মগজশূন্যতার উপর্যুপরি আরেকখান নিদর্শন। দুর্গারে ভক্তি দ্যাখানের লেইগ্যা এই পাগলে নিজের ছেলে আর ছেলের বন্ধুরে বলি দ্যাওনের চেষ্টা করসিল।
(স-ভূমিকা লিংকম্যান: suirauqa)
৯.
একই ধর্মে এতো রূপ! ইহুদি, খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের ধর্মে ভাগ, বিভাজন অগণ্য। এইসব শাখা, প্রশাখা, উপশাখা, পাতিশাখা গড়ে ওঠার পেছনে যতো কার। দেখানো হোক না কেন, মূল কারণ দুটো বলেই আমার ধারণা: অর্থিকভাবে লাভবান হওয়া এবং প্রভাববলয় প্রসারণের ইচ্ছে। বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে আমার ধারণা কম। এই নিবন্ধে জানলাম আমেরিকায় প্রচলিত বৌদ্ধধর্মের তিনটি ভিন্ন প্রবাহের কথা।
৮.
ধর্মান্ধদের মগজশূন্যতার উপর্যুপরি আরেকখান নিদর্শন। দুর্গারে ভক্তি দ্যাখানের লেইগ্যা এই পাগলে নিজের ছেলে আর ছেলের বন্ধুরে বলি দ্যাওনের চেষ্টা করসিল।
(স-ভূমিকা লিংকম্যান: suirauqa)
৯.
একই ধর্মে এতো রূপ! ইহুদি, খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের ধর্মে ভাগ, বিভাজন অগণ্য। এইসব শাখা, প্রশাখা, উপশাখা, পাতিশাখা গড়ে ওঠার পেছনে যতো কার। দেখানো হোক না কেন, মূল কারণ দুটো বলেই আমার ধারণা: অর্থিকভাবে লাভবান হওয়া এবং প্রভাববলয় প্রসারণের ইচ্ছে। বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে আমার ধারণা কম। এই নিবন্ধে জানলাম আমেরিকায় প্রচলিত বৌদ্ধধর্মের তিনটি ভিন্ন প্রবাহের কথা।
রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১১
যিশুর লিঙ্গাগ্রের ত্বকাকার
হারাম ও হালাল এবং প্রবাসী মুসলমানদের মূর্খতা
লিখেছেন সেজান মাহমুদ
হালাল শুয়োরের মাংস? |
আমি এলাম ফ্লোরিডার রাজধানী শহরে ইউনিভার্সিটির চাকরি নিয়ে (২০০৪ সাল)। এসেই নানান দাওয়াত খেলাম। এখন পরিবর্তে আমাকেও দাওয়াত দিতে হবে। যাকেই দাওয়াত দিতে যাই, সবারই একই প্রশ্ন, ভাই, হালাল খাবার থাকবে তো? মনে হয়, ইতিমধ্যেই চাউড় হয়ে গেছে যে, আমি হালাল-হারাম নিয়ে একটু ভিন্নমত পোষণ করি! তবু নিমন্ত্রণ করেছি, অতিথিকে তো আর মিথ্যা বলে খাওয়ানো যাবে না। অন্যদিকে আমি থাকি যে শহরে, সেখানে কোনো বাঙালি দোকান নেই, হালাল মাংশও পাওয়া যায় না। যেতে হয় চার ঘন্টা ড্রাইভ করে সেই আটলান্টা, না হয় অরল্যান্ডো। একজন বুদ্ধি দিলেন যে, এখানে খামারে খাসি কিনতে পাওয়া যায়, কিন্তু নিজেরা কেটেকুটে নিতে হবে, ফ্রেস মাংশ, আবার দামও ভালো। আমি মনে মনে প্রমাদ গুনি। আমার সাত বছরের ছেলে তখন মাত্র প্রাণী হত্যার বিরুদ্ধে, প্রকৃতিবাদী হতে গিয়ে মাংশ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। তার জন্য ছেলের মা-ও মাংশ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। আমিই একমাত্র মাংশভূক মানুষ বাসায়। বাসার কাউকে না জানিয়ে খামারে গিয়ে খাসি কিনলাম, যিনি পরামর্শ দিলেন (সদরুল ভাই, যিনি পিএইচডি করা প্রফেশনাল) তিনি নিজেও খুব পরহেজগার মানুষ। আমার দুর্দশা চিন্তা করে (কিম্বা মনে হয় অন্যদের হারাম খাওয়া থেকে বাঁচাতে) তিনি নিজেই মুসলমানের কায়দায় জবাই করলেন। আমি জীবনে যা করিনি, তা-ই করতে হলো, নিজে সেই খাসির মাংশ কেটেকুটে, ধুয়ে নিয়ে এলাম বাসায়। প্রায় ষাটজন মানুষের দাওয়াত। আমার অমাংশভোজী স্ত্রী-পুত্র মাংশ খাবেও না, রাঁধবেও না। আমিই রান্না করলাম ষাটজন লোকের বিরিয়ানী (কিছুই করতে না পরলে হয়তো ফখরুদ্দীন বাবুর্চি না হলেও সেজান্নুদ্দিন বাবুর্চি হতে পারতাম!)
যা হোক, আমার ঘর্মাক্ত কলেবরে সফল দাওয়াত শেষ হলো। সবাই নিশ্চিন্তে খেলেন। সাদরুল ভাই স্বয়ং হালাল কায়দার সাক্ষী! সবাই যখন বিদায় নিচ্ছেন, আমাকেও বললেন ‘আসবেন আমাদের বাসায়।’ বললাম, আসবো -তবে একখান কথা আছে। আমার দিকে তাকিয়ে উন্মুখ সবার মুখায়ব, এঁদের প্রায় সবাই শিক্ষিত, পিএইচডি, ইঞ্জিনিয়ার, কেউ কেউ আবার পদার্থবিদ্যার ডক্টরেট ডিগ্রী নিতে যাচ্ছেন। আমি একেবারে বোমা ফাটানোর মতো করে বললাম, ‘আজকে আপনাদের ফরমায়েশ মতো আমি কিন্তু হালাল মাংশ খেতে দিয়েছি, আমি যা পছন্দ করি না সেই মাংশ-কাটাকুটি করেছি আপনাদের সন্মানে। আপনারাও আমাকে দাওয়াত দিলে কিন্তু ডিনারের সময় এক গ্লাস ওয়াইন দেবেন। স্বাস্থ্যগত কারণে এটা আমি খাই।‘ মোটামুটি স্তম্ভিত হয়ে চলে গেলেন সবাই। বলাই বাহুল্য, তারপর দাওয়াত খেয়েছি, কিন্তু ওয়াইন পাই নি।
সবাই নিশ্চয়ই ভাবছেন আমি উচ্ছন্নে গেছি, বেদ্বীন, নালায়েক হয়ে গেছি। আসলে আমি শুধু একটা পয়েন্ট তুলে ধরতে ঐ কথাগুলো বলেছি। আমি জানি না শুধু প্রবাসী শিক্ষিত, অশিক্ষিত, শিক্ষাবঞ্চিত, স্বল্পশিক্ষিত, সবাই এভাবে ভাবেন, নাকি সারা পৃথিবীর মুসলমানেরা এভাবে ভাবেন! এখানে প্রবাসে তো অন্তত বেশির ভাগই শিক্ষিত। কেউ কেউ দেশে ঘুষখোর আমলা, সরকারী চাকুরির সুবাদে এসে থেকে গেছেন, কেউ ব্যাংকের টাকা মেরে দিয়ে চলে এসেছেন, কেউ খুন করে পালিয়ে, আবার নিরেট নিপাট ভালো মানুষও আছেন এঁদের মাঝে। কিন্ত প্রবাসে এলে এই হারাম-হালাল যেন মাথা চাগিয়ে ওঠে ভালো-মন্দ নির্বিশেষে। আমি জিগ্যেস করি এঁদের, ‘ভাই বাংলাদেশে থাকতে কেউ যদি দাওয়াত দিতেন তাদের কি জিজ্ঞেস করতেন, ‘ভাই ঘুষের-টাকায়-না-কেনা খাবার দেবেন তো?’ ওটাও তো হারাম!
যাহোক, এতোদিন ধরে ধর্ম-কর্ম-করা, শিক্ষিত মানুষগুলোও কি অন্ধের মতো শুধু মেনে চলেন, চলতে চান? আমিও তো মক্তবে পড়েছি। আমার জানা মতে কোরানের কোথাও তো এই ‘জবেহ’ করার পদ্ধতি নিয়ে হারাম-হালাল নির্ধারিত করা হয় নি। কিছু জিনিস হারাম করে দেয়া হয়েছে, মৃত প্রাণীর মাংশ, শূকর বা সোয়াইন, রক্ত, এবং যে কোনো খাবার যা আল্লাহ ব্যতিত অন্য কোন কিছুতে নিবেদিত (আমি ধরে নিচ্ছি পূজার প্রসাদ) ইত্যাদি (সূত্রঃ 16:115 He only prohibits for you the dead animal, blood, and swine-flesh and anything that has been dedicated to other than God….)। কিন্তু একটি পরিষ্কার প্রাণী, তা কীভাবে জবাই করা হলো, তাতে হারাম-হালালের কিছু আসে যায় না। কারণ, যদিও বলা আছে যে, সব কাজের শুরুতে (যেমন প্রাণী জবাই করার আগে) বিসমিল্লাহ বলে নিতে হবে। এখানে যে কাজটি নিজে প্রত্যক্ষ করছেন না সেখানে কে, কীভাবে আল্লাহর নাম নিলেন, তা তো জানার উপায় নেই। প্রবাসে অনেক প্রাণী জবাই করা হয় ক্যাসেটে সুরা পাঠ বাজিয়ে দিয়ে। বরং বলা আছে যে, যারা কিতাবে বিশ্বাস করেন তাদের কৃত সব মাংশই (উল্লেখিত হারামগুলো ছাড়া) খাওয়া জায়েজ (সূত্রঃ 5:5 “Today, all good food is made lawful for you. The food of the People of the Book) is Lawful (HALAL) for you……” । তার অর্থ হলো ইহুদী বা খ্রীষ্টানদের প্রস্তুতকৃত মাংশও খাওয়া যেতে পারে, সব খাবারের আগে যেমন আল্লাহ’র নাম নিতে হয়, তা নিয়েই সম্ভব। তার মানে, প্রবাসের গ্রোসারির দোকানের খাবারও হালাল। কিন্তু জবাই করার আগে আল্লার নাম নেয়া না বা নেয়ার সঙ্গে হালাল হারামের কোন সম্পর্ক আছে বলে আমার জানা নেই। এমনকি কোরানে একথাও বলা আছে যে, ‘সব ভালো খাবারই হালাল (ল’ফুল), কোনো খাবার খেতে আপত্তি করো না যে কোন ঈশ্বরের নাম নেয়া হয়েছে।‘ এখানে মজার ব্যাপার হলো এই ঈশ্বর কিন্তু ইহুদী বা খ্রীষ্টানদের ঈশ্বরও হতে পারে (সূত্রঃ 6:119 Why should you refuse to eat on which God’s Name has been pronounced)। হাদিসেও এমন কথা আছে; সহি বুখারিতে যে বিবি আয়েশা নবীকে বলেছিলেন যে, আমি জানি না এই প্রাণী জবেহ করার আগে, আল্লাহ’র নাম নেয়া হয়েছিল কি না, এখন কী করবো? নবী বলেছিলেন, ‘বিসমিল্লাহ বলে খেয়ে নাও।’
বিষয়টি আরেকটু খোলাসা করে বললে বলা যায় যে, প্রাণী জবাই করার যে পদ্ধতিগুলোর কথা বলা হয়েছে, যেমন আল্লাহর নামে করা বা কিতাবে বিশ্বাসী ঈশ্বরের নামে করা, রক্ত যাতে শরীর থেকে বের হয়ে যায় (কারণ রক্ত হারাম); এগুলোর সবই কিন্তু এখনকার সময়ের প্রেক্ষিতে পালটে গেছে; যেমন ঈহুদীরা কোশার মাংশ করে একই পদ্ধতিতে, রক্ত ধোয়ারও নানান হাইজিনিক পদ্ধতি আছে। সেক্ষেত্রে এই রিচুয়াল নিয়ে বাড়াবাড়ি যুক্তিসঙ্গত কি না?
ধর্ম কি মানুষ কে এতোটাই অন্ধ করে যে এই শিক্ষিত মানুষগুলোও মূর্খের মতো শুধু মেনেই যাবে, একটু খতিয়ে দেখারও তাগিদ নেই, ইচ্ছা নেই। না কি এ আসলে প্রবাসে এসে নিজেদের আইডেন্টিটি ক্রাইসিস, নিজেদেরকে কিছু একটা প্রমাণের ব্যর্থ চেষ্টা মাত্র?! আমি নিজে এই বাছ-বিচারে বিশ্বাসী নই। আমার কাছে এক গ্লাস ওয়াইন পানে স্বাস্থ্য যদি ভালো থাকে, তবে তা পান করবো, কিন্তু ধূমপানে যেহেতু লক্ষ লক্ষ ক্ষতি, কিন্তু কোনো উপকার নেই, আমার কাছে ধূমপান হারাম, ঘুষ খাওয়া অনৈতিক এবং হারাম। এখানে ‘হারাম’ শব্দটি নিষিদ্ধ বোঝাতে ব্যবহার করছি। কিন্তু যারা ধর্মীয় দৃষ্টিতে হারাম-হালাল বিচার করছেন, তাঁদেরও তো এই বিষয়টি নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা থাকা উচিত, যা অনেক সামাজিক নুইসেন্স কে দূরে রাখতে সাহায্য করতে পারে। কারণ আমি দেখেছি এই সামান্য বিষয়টি না জানার কারণে অতিথি হয়ে একজনের বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়া, খাবার টেবেলে হোস্টকে অপমান করা, এমন কি কেউ তথাকথিত হালাল খান না বলে সামাজিকভাবে বয়কট করার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনাও প্রবাসে ঘটে থাকে।
জানি, আমি এই ত্রুটি ধরিয়ে দিলাম বলে ধন্যবাদ দেয়ার বদলে অনেকেই গালমন্দ করবেন, আমার এই হক কথাতেও আহত হবেন অনেকজন!
ফাঁপা চাপাবাজি
শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১১
বেকুবদের উপযুক্ত গপ্পো
এঁকে পাঠিয়েছেন ইঁদুর।
ছবির ওপরে ক্লিক করে ইঁদুরের অঙ্কন পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করুন
একখান আপেল খাওনের অপরাধে আদম-হাওয়ারে আল্যাফাক বেহেশত থিকা ঘাড় ধাক্কা দিয়া দুনিয়ায় পাঠাইসে, আর আমরা নাকি তাগো বংশধর - এমুন বেকুবি টাইপ গাঁজাখুরি গপ্পে গর্দভ ছাড়া অন্য কেউ বিশ্বাস করতারে, সেইটা আমি বিশ্বাস করতারি না।
প্রাণের আদি রূপ
(অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত এক বালক এই নিবন্ধটি রচনা করেছিল এবং সেটি তখন প্রকাশিত হয়েছিল "বিজ্ঞান সাময়িকী" পত্রিকায়। সেই বালক এখন দশম শ্রেণীর ছাত্র। তাঁর দু'টি লেখা ধর্মকারীতে ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর নাম: মাজহারুল ইসলাম।)
আমার কথা
এই লেখাটি ২০০৯ সালে বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছিল। ধর্মের বিভিন্ন বই পড়ে আমি জীবনের উৎস সন্ধান করি প্রথমে। কিন্তু সেগুলো ছিল খুবই দুর্বল। তাই আমি মেনে নিতে পারি নি ঐসব দুর্বল কল্পকথা। নিজের মত করে প্রথমে ভাবি। পরে বেশ কিছু বই পড়ে সঠিকটি জানতে পারি। এবং জানাতে চাই। তারই ফলে এটা লিখে জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি দেখেছি অনেক শিক্ষিত লোকজনও এই বৈজ্ঞানিক তত্ত্বটি মানতে চাই না। আমি এটি লিখেছি ক্লাস এইটে থাকতে। নবম শ্রেণীতে উঠে দেখি, এই তত্ত্বটি জীববিজ্ঞান বইয়ের প্রথম অধ্যায়েই (জীববিজ্ঞানের পরিচিতি-পৃঃ ৮) দেওয়া আছে। কিন্তু বিস্তারিত কোনো বিবরণ নেই। ফলে আমি অনেকের সাথে এ নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রায় সকলেই তত্ত্বটি সঠিক বলেছেন। কিন্তু মেনে নিতে পারেন নি। আমরা বিজ্ঞানকে সঠিক বলি। কিন্তু মেনে নিতে পারি না। যারা মেনে নেয় ও প্রচার করে, তাদেরকে বরণ করে নিতে হয় পীড়ন অত্যাচার; ধর্মধ্বজীদের কঠোর শাস্তি। আমাদের এই সামাজিক দায়বদ্ধতাকে কাটিয়ে উঠতে হবে। না হলে বাংলাদেশ যে গতিতে মধ্যযুগের দিকে এগুচ্ছে; এর ফিরে আসা তো দূরের কথা, থামবারই কোনো চিহ্ন থাকবে না।
মানুষের ইতিহাস শুরু হবার পর থেকেই পৃথিবীতে জন্ম ও মৃত্যু শব্দদুটি মানুষের জীবনকে অর্থময় করে তুলেছে। জন্মের আগে মানুষ যেমন শূন্য ছিল, মারা গেলেও ঐ রকম শূন্য হবে। সূচনার আগে অন্ধকার আর সমাপ্তির পরেও অন্ধকার। দুই অন্ধকারের মাঝে ক্ষণিক আলোক ঝিলিকই হল জীবন। তাই জন্ম মৃত্যুই জীবের জীবনের সার্থকতা। কিন্তু কী ঐ জীবন? কোথা থেকে এলো ঐ প্রাণ? প্রাণীর দেহে প্রাণের সঞ্চার নিয়ে বিজ্ঞানী, দার্শনিক এমনকি কবিও মাথা ঘামিয়েছেন বহুদিন ধরে। তবে সাধারণেরা প্রাণকে দীর্ঘকাল ধরে অলৌকিক ঘটনা বলে মনে করত; কেননা- ধর্মবাদী চিন্তা, বৈজ্ঞানিক অনগ্রসরতা, কুসংস্কার, ভয় মিলে মানুষের ভাববাদী চিন্তাধারা জন্ম দিয়েছে আধ্যাত্মবাদের। সাম্প্রতিককালে বিজ্ঞানীরা জীবনের আদিপর্ব ও মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বিশদ গবেষণা করেছেন। জীবের উৎপত্তি যে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ও রাসায়নিক বিক্রিয়া বা বিবর্তনের ফলে হয়েছে, তার প্রমাণও দেখিয়েছেন। ফলে বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি আর যুক্তির প্রসারের কারণে আত্মা দিয়ে জীবন-মৃত্যুকে ব্যাখ্যা করার অন্তর্নিহিত ত্রুটিগুলো মানুষের চোখে সহজেই ধরা পড়েছে।
জীবন কী
জীবন-এর ব্যপারে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মতটি দিয়েছেন জে ডী বার্নাল (১৯৫১); তাঁর মতটি এমন:
"একটি নির্দিষ্ট আয়তন বা স্থানের মধ্যে স্বচালিত রাসায়নিক প্রক্রিয়ার নাম জীবন এবং এটি অতি জটিল ভৈত রাসায়নিকতন্ত্র যা অসংখ্য সুসংহত বা একীভূত ও স্বনিয়ন্ত্রিক রাসায়নিক ও ভৌত বিক্রিয়ার মাধ্যমে তার পরিপার্শ্বের বস্তু ও শক্তিকে স্বীয় বৃদ্ধির কাজে ব্যবহার করে।"
জীবন কী, সেটা বোঝা সহজ হলেও এর উৎপত্তি সম্পর্কে মন্তব্যগুলো অত্যন্ত দুরূহ। এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে পদার্থবিজ্ঞানী, রসায়নবিজ্ঞানী, প্রাণিবিজ্ঞানী বা উদ্ভিদবিজ্ঞানী সকলেই বরাবর হিমশিম খেয়েছেন। তারপরেও ১৯২২ সালে 'জীবনের উৎপত্তি' নামে একটি বই বের করা হয়। যার লেখক ছিলেন প্রাণরসায়নবিদ ওপারিন। এই বইটিতে তিনি প্রথমবারের মতো এ পৃথিবীতে জীবনের উৎপত্তি কীভাবে হয়েছিল, তার একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেন। জীবনের দু'টি পর্ব দেখান তিনি: রাসায়নিক বিবর্তন ও জৈব বিবর্তন। এই দুটি পর্ব মিলেই 'Complete Evolution' নামক ওপারিন-এর বইটি ১৯৩৮ সালে অনূদিত হয়। কিন্তু ঐ একই সময়ে জীববিজ্ঞানী হালডেন, ওপারিনের কথা কিছু না জেনেই একই রকম মত প্রকাশ করেন এ ব্যাপারে। ফলে সৃষ্টি হয় এক নতুন তত্ত্ব। যা ওপারিন-হালডেন তত্ত্ব নামে পরিচিত। তাদের তত্ত্বটিকে বিশ্লেষণ কলে এমনটি পাওয়া যায় যে:
সাড়ে চারশ কোটি বছর আগেকার পৃথিবী কোনো দিক দিয়েই আজকের পৃথিবীর মতো ছিল না। এ সময় পৃথিবী ছিল প্রচণ্ড গরম, অনেকের মতে তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৫০০০-৬০০০ ডিগ্রির মত। পানি পড়া মাত্রই তা বাষ্প হয়ে উড়ে যেত। তখন সেখানে ছিল না কোনো প্রাণ, ছিল না কোনো মুক্ত অক্সিজেন। আকাশ আর পৃথিবী পরিপূর্ণ ছিল হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, নাইত্রোজেন, মিথেন, অ্যামোনিয়ার মতো বিষাক্ত গ্যাসে; সাথে ছিল জলীয় বাষ্প আর কিছু খনিজ পদার্থ। পরে পৃথিবীর অভ্যন্তরস্থ তাপ বৃদ্ধির সাথে সাথে আর সূর্যের মহাকর্ষের টানে অধিকাংশ প্রাথমিক গ্যাসগুলো উড়ে চলে যায়। অক্সিজেনের পুরোটুকু বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন পরমাণুর সাথে মিলে নানা ধরনের অক্সাইড তৈরি করে। কার্বনও বিভিন্ন ধাতুর সাথে যুক্ত হয়ে তৈরি করে নানা ধরনের মেটাল কার্বাইড। তৈরি হয় ধীরে ধীরে কার্বন ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন, সিলিকন ডাইওক্সাইড, হাইড্রোক্সাইড এসিড আর হাইড্রোফোরিক এসিড ইত্যাদি। বায়ুমণ্ডলে কোনো মুক্ত অক্সিজেন ছিল না, আর সেই সাথে বায়ুমণ্ডলের বাইরে আজকের দিনের মতো ওজোনের স্তরও ছিল না। তাই সূর্যের আলোর অতিবেগুনি রশ্মি খুব সহজেই পৃথিবীতে এসে পৌঁছাত। আর এক্স রশ্মি, গামা রশ্মি, কসমিক রশ্মিগুলোর বিকিরণ ঘটত। এই বৈদ্যুতিক বিকিরণও ছিল আজকের দিনের চেয়ে বহুগুণে বেশি। এমন একটি প্রাণহীন পরিবেশের একটা সময় এসব গ্যাসের ওপর উচ্চশক্তির বিকিরণের প্রভাবে নানা ধরনের জৈব রাসায়নিক পদার্থের উদ্ভব হয়, এগুলো পরবর্তীতে নিজেদের মধ্যে বিক্রিয়ার মাধ্যমে আরো জটিল জৈব পদার্থ উৎপন্ন করে। এ থেকেই পরে ঝিল্লি তৈরি হয়। ঝিল্লিবদ্ধ এসব জৈব পদার্থ বা প্রোটিনয়েড ক্রমে ক্রমে এনজাইম ধারণ করতে থাকে আর বিপাক ক্রিয়ার ক্ষমতা অর্জন করে এটি। এক সময় এর মধ্যকার বংশগতির সংকেত দিয়েই প্রতিকৃতি তৈরি করতে বা পরিব্যাক্তি ঘটাতে সক্ষম হয়। এভাবেই একটা সময় তৈরি হয় প্রথম আদি ও সরল জীব।
ওপারিন ও হালডেনের এই তত্ত্বটির সত্যতা যাচাইয়ে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট ছাত্র মিলার একটি পরীক্ষা করেন। মিলার ১৯৫৩ সালে একটি বায়ু নিরপেক্ষ কাচের ফ্লাস্কে আদি পৃথিবীর একটি দশা তৈরি করেন। তিনি আগেই পাম্প করে এর ভেতর থেকে বাতাস বের করে নেন। তারপর সংযুক্ত ফ্লাস্কের পানি ফুটিয়ে জলীয় বাষ্প তৈরি করেন। একটি বড় পাঁচ লিটার ফ্লাস্কে হাইড্রোজেন, মিথেন, অ্যামোনিয়া গ্যাস প্রবেশ করান। যেখানে ওই আগের ফুটন্ত জলীয় বাষ্প এসে মিশে যায়। এবার মিশ্রণে তিনি বৈদ্যুতিক প্রবাহ চালু করেন। বিক্রিয়াজাত গ্যাসগুলোকে শীতকের সাহায্যে ঘনীভূত করা হয় এবং তারপর সেগুলো বিশ্লেষণ করা হয়। বিশ্লেষণ থেকে ওপারিন-হালডেনের তত্ত্ব যে সঠিক, তা প্রমাণিত হয়। ১৮২০ সালে বিজ্ঞানী ভোয়েলার তাপ প্রয়োগে অজৈব এমোনিয়াম সায়ানেট থেকে ইউরিয়া নামক জৈব পদার্থ উৎপাদন করেছিলেন।
এই পরীক্ষাগুলো থেকে এটা স্পষ্ট হয় যে, আদিম পরিবেশে অজৈব পদার্থ থেকে জৈব পদার্থের উদ্ভবের সম্ভাবনাটি অত্যন্ত শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। জৈব পদার্থের মধ্যে লুকিয়ে আছে জীবনদায়ী শক্তি। জীবদেহ গঠিত এই জৈব পদার্থ দিয়েই, যাতে আছে প্রাণশক্তির স্ফুরণ। তাই আজ প্রমাণিত, কোনো জাদুকরের কেরামতিতে প্রাণের উন্মেষ ঘটেনি। কোনো কল্পিত ঈশ্বরও তার ইচ্ছামত মাটি আর রক্ত মিশিয়ে প্রাণের কিংবা আদম-হাওয়ার সৃষ্টি করেন নি। কোন অলৌকিক ক্ষমতা বলে এই রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলো হাতের ইশারায় ঘটে যায় নি। সৃষ্টি হয় নি প্রাণের আদিরূপ। বরং জীবনের এই রাসায়নিক উৎপত্তি তত্ত্বকেই আজ পৃথিবীর অধিকাংশ বিজ্ঞানী সঠিক বলে মেনে নিয়েছে। তারা মানব মনের কুয়াশা কাটিয়ে জীবনের বাস্তব রূপটিকে প্রতিষ্টিত করাবার প্রয়াস পেয়েছেন। ড. হুমায়ুন আজাদের দুটি উক্তিদিয়ে আমি এই রহস্যের শেষ করতে চাই:
১. মানুষের উৎপত্তি সম্পর্কে দুটি তত্ত্ব রয়েছে: অবৈজ্ঞানিকটি অধঃপঅতনতত্ত্ব, বৈজ্ঞানিকটি বিবর্তনতত্ত্ব। অধঃপতনতত্ত্বের সারকথা মানুষ স্বর্গ থেকে অধঃপতিত। বিবর্তনতত্ত্বের সারকথা মানুষ বিবর্তনের উৎকর্ষের ফল। অধঃপতনবাদীরা অধঃপতনতত্ত্বে বিশ্বাস করে; আমি যেহেতু মানুষের উৎকর্ষে বিশ্বাস করি, তাই বিশ্বাস করি বিবর্তনতত্ত্বে। অধঃপতনের থেকে উৎকর্ষ সব সময়ই উৎকৃষ্ট।
২. যারা ধর্মের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেয়, তারা ধার্মিকও নয়, বিজ্ঞানীও নয়। শুরুতেই স্বর্গ থেকে যাকে বিতাড়িত করা হয়েছিল, তারা তার বংশধর।
হ্রস্বরসবাক্যবাণ – ২৪
হজ্ব স্পেশাল...
১.
আবাল চোদা মুস্লিমরা হজ্ব মারাইয়া লাখ লাখ টাকা বর্বর মাদারচুদগোরে দিয়া আসে, আর সেই টাকার জোরে খাঙ্কির পোলারা আমাগো মিসকিন কয়।
(হৃদয় রাজ খান)২.
জড় পদার্থ কাবাকে সেজদা, কালো পাথরে চুম্বন - হজ্ব কি পৌত্তলিক পুজা নয়?
৩.
চৌদি আজবকে বিপুল অর্থদান সাপেক্ষে নিজের মলমণ্ডিত গুহ্যদ্বার মলমুক্ত ও ইছলামী সুগন্ধীযুক্ত করে পাক বানানোর কাল্পনিক প্রক্রিয়াকে হজ্ব বলা হয়।
লজিক্যালি চ্যালেঞ্জডরা
শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০১১
এর বিচার কেন শরিয়া আইনে হয় না?
হায় জাময়াত হায় ইমাম হায় মৌলভী শিক্ষক!
নিউজডেস্ক, বাংলাদেশনিউজ২৪x৭.কম
বলাৎকারে জড়িত থাকার অভিযোগে আটোয়ারীতে এক জামায়াত নেতা জামে মসজিদের ইমাম বলরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মৌলভী শিক্ষককে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানাগেছে, আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মৌলভী শিক্ষক ও বলরামপুর জামে মসজিদের ইমাম জামায়াত নেতা মাওলানা মোঃ আব্দুর রহমান কর্তৃক গত ৩ অক্টোবর ওই বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র পামুন ইসলামকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে কলপূর্বক বলাৎকার করেন। ছাত্র বাড়ীতে গিয়ে তার পিতামাতাকে সব বলে দেয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ওই ছাত্রের পিতা জহিরুল ইসলাম ওই শিক্ষক আঃ রহমানের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গত ১৫ অক্টোবর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভায় ব্যভিচারী ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেশব রঞ্জন রায় ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পরমেশ্বর বর্মন মৌলভী শিক্ষক আঃ রহমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের সত্যতা স্বীকার করেন।
উল্লেখ যে, মাওলানা আব্দুর রহমান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলের আটোয়ারী উপজেলা শাখার আমীর ও বলরামপুর জামে মসজিদের ইমাম থাকা কালে বিগত ১৯৯৭ সালের ৮ আগস্ট ওই বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর আর এক ছাত্র বিপ্লব হাসানের সাথে অনুরুপ বলৎকারের ঘটনা ঘটান।
সর্বশেষ গত ৩ অক্টোবরের ঘটনা নিয়ে এপর্যন্ত ছয় বার তার অনুরুপ বলাৎকারের ঘটনা প্রকাশ হল এবং সমাজে জানাজানি হল বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। (নিশ্চয়ই এলাকাবাসী প্রবলধর্মপ্রাণ, আর তাই টুপি-দাড়ির সম্মান ও দাপট তাদের কাছে প্রবল। তাঁরা সিরিয়াল রেপিস্টের ঘটানো মাত্র পাঁচখানা বলাৎকারের ঘটনা আল্লাহপাকের ইচ্ছায় ঘটেছে বলে নির্বিকার থেকেছেন বলেই বোধ হয়।)
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও সুধী সমাজ ব্যভিচারী মাওলানা আঃ রহমানকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুতসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১১
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)