মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০১১

এত শরম কোথায় রাখি !!


লিখেছেন পূর্ব পুরুষ

লজ্জা-শরম নারীর ভূষণ অর্থাৎ ইহা শুধু মাত্র নারীদের জন্যই নির্ধারিত। এতদিন তাই জেনে এসেছি। কিন্তু কিছু কাল যাবত পুরুষ মানুষ হয়েও

আমি খুব শরম পাই যখন শুনি-
আমাদের প্রিয় নবী ৫৭ বৎসর বয়সে ৯ বৎসরের শিশু কন্যাকে ছহবতের মাধ্যমে বিয়ের পরিপূর্ণতা আনেন।

আমি খুব শরম পাই যখন শুনি-
আমাদের প্রিয় নবী তাদের পালিত পুত্রের সোহাগী স্ত্রী জয়নাবকে ভাগাইয়া নিয়ে নিজে বিবাহ করেন। এই স্ত্রী তার অন্যান্য স্ত্রীদের চেয়ে অধিক প্রিয়তমা ছিলেন।

আমি খুব শরম পাই যখন শুনি-
আমাদের প্রিয় নবী এক নিঝুম রাতে উম্মে হানী’র নির্জন ঘর হতে মেরাজে গমন করেন এবং মেরাজ শেষে আবার উম্মে হানীর ঘরে ফিরে আসেন।

আমি খুব শরম পাই যখন শুনি-
আমাদের নবী রাস্তায় কোনো এক নারীকে দেখে ঠিক থাকতে না পেরে তাকে শয়তান আখ্যায়িত করে সত্বর অন্দরমহলে বিবি জয়নাবের শরণাপন্ন হয়ে নিজের শিশ্নকে শান্ত করেন।

আমি খুব শরম পাই যখন শুনি-
পুকুরে/নদীতে স্নানরত গোপীদের বস্ত্র হরণ করে আমাদের পরম আরাধ্য শ্রীকৃষ্ণ কদম্ব বৃক্ষে আরোহন করে তামাশা অবলোকন করেন।

আমি খুব শরম পাই যখন শুনি-
সমুদ্র মন্থনের সময় ভগবান বিষ্ণু মোহিনী নামক সুন্দরী নারীমূর্তি ধারণ করে সমুদ্র মন্থন স্থলে আসলে আমাদের পরম আরাধ্য পরমেশ্বর, দেবাদিদেব মহাদেব সবকিছু ফেলে নিজের শিশ্ন ঠান্ডা করার জন্য মোহিনীর পিছু পিছু ছোটেন।

আমি খুব শরম পাই যখন শুনি-
আমাদের দেবরাজ ইন্দ্র তার গুরু পত্নী অহল্যাকে একাকী পেয়ে তার স্বামীর ছদ্মবেশে তাকে আদর সোহাগ করেন, যার পরিণতিতে দেবরাজের দেহে সহস্র যোনির সৃষ্টি হয়েছিল। 

আমি এ লজ্জা-শরমের হাত থেকে কেমনে রেহাই পাই??

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন