১.
"আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হোক তাদের ওপরে, তাদের কবরের ওপরে মলত্যাগ করুক শয়তান," - পরিবারের সম্মান রক্ষা করতে গিয়ে নিজের তিন কন্যা ও প্রথম স্ত্রীকে হত্যা করে গর্বিত পিতা ও স্বামী এই বাসনা পোষণ করেছে।
২.
পুরুষেরা যা-ই করুক না কেন, তাতে পরিবারের সম্মানহানি ঘটে না! পরিবারে কলঙ্ক আনে শুধুই মেয়েরা! আর তাই অনার কিলিং-এর শিকার তারাই হয় প্রধানত। এখন দেখুন ইছলামী পরিবারগুলোর সম্মান অটুট রাখতে আত্মীয়-পরিজনের হাতে নিহত মেয়েদের স-লিংক ছবির গ্যালারি! বলা চলে, ইছলামী অনার বোর্ড। এই পাতাটি অবশ্য বছর দুই আপডেট করা হয়নি।
(লিংকম্যান: দ্রোহী)
৩.
ছলে-বলে-কৌশলে, হুমকি দেখিয়ে, ভীতি প্রদর্শন করে, ব্ল্যাকমেইল করে বা অন্য যে-কোনও উপায়ে এক অমুসলিমকে মুসলিম বানাতে পারলে বেহেশতে প্লট বরাদ্দ হয়ে যায়। আর তাই বারো বছরের খ্রিষ্টান বালিকাকে অপহরণ করার পর আট মাসব্যাপী প্রহার ও ধর্ষণ করতে থাকে বেহেশত-লোভী এক ইসলামী ষণ্ড, এবং শেষমেষ তাকে দ্বীনের পথে আনতে সে কামিয়াব হয়।
৪.
ক্যাথলিক ধর্মানুসারী এক ভারতীয়কে মালদ্বীপ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। তাঁর অপরাধ, এক কপি বাইবেল পাওয়া গেছে তাঁর কাছে। অবাক হবেন না, ইসলামী দেশ মালদ্বীপের আইন লংঘিত হয়নি এতে।
৫.
নবীজির আরেক খাস বান্দার সন্ধান পাওয়া গেছে। এক ইমাম ১৩ বছরেরও কম বয়সী তিন বালিকাকে যৌন নির্যাতন করেছে।
৬.
বলিউডি ছবির নাম রাখা হয়েছে আজান, এবং তাতে মুসলিমদের ধর্মানুনুভূতি উত্থিত হয়ে গেছে।
৭.
ষাট ইছলামী ষণ্ড লৌহদণ্ডসজ্জিত হয়ে ঢুকে পড়ে বালিকা বিদ্যালয়ে এবং পেটাতে থাকে হিজাবহীন ও অনৈছলামিক পোশাক পরিহিতা ছাত্রী ও শিক্ষিকাদের। বড়োই শরিয়তসম্মত কর্ম!
৮.
তিউনিসিয়ার এক বিশ্ববিদ্যালয় নিকাব পরার কারণে এক ছাত্রীকে ভর্তিগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে একদল ইছলামী ষণ্ড। তবে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নতজানু হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়।
৯.
পড়াশোনা তথা জ্ঞানকে ইসলামের বড়োই ভয়। তাইতো এক ইছলামী আত্মঘাতী বোমারু শিক্ষামন্ত্রণালয়ের পাশে ঘটানো একটি আক্রমণে এক শতাধিক লোককে হত্যা করে, যাদের মধ্যে ছিলো স্কলারশিপ-প্রত্যাশী মেধাবী ছাত্ররাও। এই হামলাকারী আগে ঘোষণা দিয়েছিল, সেকুলার পড়াশোনা ত্যাগ করে ছাত্রদের উচিত জিহাদে অংশ নেয়া।
১০.
পরিবারের "সম্মান রক্ষা করতে" অনার কিলিং-এ সম্মত না হওয়ায় এক পরিবারকে সহ্য করতে হচ্ছে ইছলামীদের আক্রমণ, সন্ত্রাস।
১১.
মানুষ যেখানে নগ্ন অবস্থায় থাকে বা থাকতে পারে, সেখানে "আল্যা" লেখা হারাম। সুইমিং পুলের স্নানঘরে কেই একজন, খুব সম্ভব, শ্রদ্ধাভরেই লিখে রেখেছিল তার নাম, তবু এ নিয়ে হয়ে গেল তুলকালাম কাণ্ড! ষণ্ডরা কি ভুলে গিয়েছিল যে, তাদের আল্যা সবখানেই আছে এবং মানুষেরা নেংটু হয়ে থাকলেও সে সেখান থেকে চোখ ফেরায় না?
১২.
ইছলামী সন্ত্রাসবাদের প্রধান কারণ নাকি দারিদ্র্য ও শিক্ষার অভাব! তাই যদি হবে, তাহলে ব্রিটেনের সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের দুই-তৃতীয়াংশ সুশিক্ষিত (আদতে তারা কুশিক্ষিত) ও স্বচ্ছল পরিবারের সদস্য কেন? আরেকটি প্রশ্ন জাগে মনে: অন্য ধর্মগুলোর অনুসারীদের ভেতরে কি অশিক্ষিত ও দরিদ্র নেই? তারা কেন সন্ত্রাসী হয় না?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন