বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০১১

হাসতে হাসতে পাগল হয়ে যাব


লিখেছেন পূর্ব পুরুষ 

আমার খুব হাসি পায়, যখন শুনি
মহাভারতে কুন্তীদেবী কুমারী অবস্থা তো বটেই,সধবা অবস্থাতেও পরবীর্যে সন্তান জন্ম দিয়ে তিনি সতী।

আমার খুব হাসি পায়, যখন শুনি
পৃথিবীকে স্থির রাখতে মহান আল্লাহ এর উপরে পাহাড়-পর্বত নির্মান করেন।

আমার খুব হাসি পায়, যখন শুনি
দেহবিহীন দুই দৈত্য রাহু ও কেতু চন্দ্র ও সূর্যকে গ্রাস করলে হয় চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ। দেহ না থাকায় গলাধঃকরণ করার পর চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ ছেড়ে যায়!

আমার খুব হাসি পায়, যখন শুনি
সূর্য এক সম্প্রদায়ের উপর উদিত হয় আবার এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যায়।

আমার খুব হাসি পায়, যখন শুনি
ভগবান বিষ্ণু শত বৎসর যুদ্ধ করেও গয়াসূরকে পরাস্ত করতে পারেন না (শেষে সন্ধি করেন)।

আমার খুব হাসি পায়, যখন শুনি
সমগ্র দূনিয়া যার নখদর্পণে সেই আল্লাহ খেজুর আর আঙ্গুর ছাড়া অন্যকোন সুস্বাদু ফল দেখতে পাননি/অথবা তৈরি করতে পারেননি।

আমার খুব হাসি পায়, যখন শুনি
জান্নাতী নারীদের সঙ্গম-সহবাসের পরও কুমারীত্ব অটুট থাকে ।

আমার খুব হাসি পায়, যখন শুনি
জয়নাবকে বিবাহের বৈধতা দানের জন্য কোরানের আয়াত নাজিল করতে হয়।

আমার খুব হাসি পায়, যখন শুনি
দেবরাজ ইন্দ্রের কাছ থেকে মানবী তো বটেই পশুরাও রেহাই পায়নি।

এত হাসি পেলে পাগল হতে কতক্ষণ!!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন