আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ৭ অক্টোবর, ২০১১

এই বুলশিটে মুসলিমরা বিশ্বাস করে!


লিখেছেন অনিগিরি

আরবের বেদুঈন আর পৌত্তলিক সমাজের মত আমাদের নবীজীরও অগাধ বিশ্বাস ছিল ভূত-প্রেতের ওপরে। কাল্পনিক এই সৃষ্টিই জ্বীন। জ্বীন বিষয়ে কোরান-হাদীসে যেসব গল্পের ছড়াছড়ি তার সবই গাঁজাখুরি। কোরানেও এই গাজাখুরি গল্পের অভাব নাই। 

আল্লায় যখন ফেরেস্তাদের নিয়ে জটিল মিটিংয়ে মশগুল হয়, তখন নাকি জ্বীনেরা বেহেস্তের প্রথম স্তরে যেয়ে কান পেতে থাকে। শয়তান কান পাততেই পারে, শয়তানের কামই তো ঐটা। কিন্তু আল্লাপাকও সাথে সাথে চারদিক থেকে নাকি মিসাইল ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে।


মিসাইল ছুঁড়তেই পারে, শয়তানরে তো মিসাইল ছুঁড়বেই। তবে কাহিনী হইলো এই যে, আল্লাহপাকের মিসাইল হইতেছে খসে পড়া উল্কাপিণ্ড (কোরানের ভাষায় যেইটা হইছে আকাশের তারকারাজি) অর্থাৎ রাতের আকাশে যেই উল্কা খসে পড়তে দেখা যায়, সেইটাই আল্লাহপাকের মিসাইল ক্ষেপনাস্ত্র। ঐটাই নাকি শয়তানের পেছনে ধাওয়া করে!


বর্তমান যুগে আমরা উল্কাও চিনি, তারকাও চিনি। খালি চোখে তখন তো আর তারা ও উল্কার পার্থক্য করার উপায় ছিল না। আদিম মানুষ যেমন উল্কাপিণ্ডকে খসে-পড়া তারা ভাবত, আল্লাহপাকও সেইটারে তারা মনে কইরা শয়তানের জন্য মিসাইল হিসাবে চালাইয়া দিছে। উল্কাপিণ্ড হচ্ছে কিছু পাথরের টুকরা যা বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করার সাথে সাথে জ্বলে ওঠে। আর তারা হচ্ছে একেকটা সূর্য যারা আমাদের থেকে হাজারো আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।


শুধু সূরা আস-সাফফাতেই নয়, আল্লাহপাক কোরানের অন্য জায়গায়ও এই বিষয়ে কড়া নজর দিছেন। যেমন, আমি কোরান পড়তে যাইয়া সূরা আল মূলকেও একই বিষয় পাইছি: 

সূরা আল মুলক, আয়াত ৫: আমি সর্বনিম্ন আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুসজ্জত করেছি; সেগুলোকে শয়তানদের জন্যে ক্ষেপণাস্ত্রবৎ করেছি এবং প্রস্তুত করে রেখেছি তাদের জন্যে জলন্ত অগ্নির শাস্তি।

যাই হোক এতকিছুর পরও জ্বীন নামক বুলশিটে সবাই বিশ্বাস করে, কারন সেইটা কোরানে আছে। অথচ যে কোনো সুস্থ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ যদি বিষয়টা চিন্তা করেন, তাহলে দেখবেন জ্বীন বলেন আর কোরান বলেন, সবই মানুষের চিন্তা-চেতনার ফসল, মানুষের জীবনে সময়ের প্রয়োজনে এইসব রচিত হয়েছে, ঈশ্বর বা আল্লাহপাকের বিন্দুমাত্র হাত নেই এইসব রচনায়। 

জগতের সকল মানুষ ঈশ্বরের ভণ্ডামি থেকে বেরিয়ে আসুক, এই শুভকামনায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন