বুধবার, ৫ অক্টোবর, ২০১১

আল্লাহর আদেশে মাতৃহত্যা


তাবলীগ জামাতে চিল্লা শেষ করে বাড়িতে ফিরে এক যুবক তার মাকে হত্যা করেছে আল্লাহর নির্দেশে। বলেন, সুবহানাল্লাহ!


ঢাকা: সাভারে এক যুবক অভিনব কায়দায় হত্যা করেছে তার মাকে। নদীতে বেড়ানোর কথা বলে মাকে হাত-পা বেঁধে পানিতে ফেলে হত্যা করেন তিনি।

মঙ্গলবার দুপুরে আশুলিয়ার নয়ারহাট সংলগ্ন চারিগ্রাম এলাকার বংশী নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

পাষ- এ যুবকের নাম আলাউদ্দিন (২৫); তিনি চারিগ্রামের মর্তোজ আলী ছেলে। 

আশুলিয়া থানা হাজতে থাকা ওই যুবক পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, আল্লাহের নির্দেশেই তিনি তার মাকে হত্যা করেছেন। তবে পুলিশ বলেছে, আলাউদ্দিন বিকারগ্রস্ত। মানসিক ভারসাম্যহীনতা থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা পুলিশের।

এলাকাবাসী জানায়, তাবলীগ জামাতে চিল্লা শেষ করে গত সোমবার বাড়ি ফেরেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে বেড়ানোর কথা বলে তার মা জয়তুন্নেছাকে (৫০) জোর করেই বংশী নদীতে নিয়ে যান। 

আলাউদ্দিনের বড় ভাই জসিম উদ্দিন জানান, সম্প্রতি তার ছোট ভাইয়ের আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করছিলেন তারা। 

তিনি জানান, ‘মাকে নদীতে ডুবিয়ে বাড়িতে এসে বলে, আল্লার আদেশ পালন করে আসলাম।`

কী আদেশ জানতে চাইলে তিনি মাকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেছেন বলে জানান। এরপর সবাই নদীর পারে ছুটে যায়। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় জয়তুন্নেছার মৃতদেহ।

ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এ সময় আলাউদ্দিনকে বেঁধে খবর দেয় আশুলিয়া থানায়।

থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার আটক আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে জানায়।

আবুল বাশার জানান, অনেকে তাকে মৃগীরোগী ও মানসিক প্রতিবন্ধী বলে দাবী করলেও এ হত্যাকাণ্ডের পর তার আচরণ স্বাভাবিক লক্ষ্য করা গেছে। ওই এলাকার বাসিন্দা আইয়ুব আলী জানান, আলাউদ্দিন সুস্থ্ ও স্বাভাবিক ছিলো। তবে চিল্লা থেকে ফেরার পর তার আচরণ ছিল অস্বাভাবিক বলে তিনি জানান।

থানা হাজাতে আলাউদ্দিন জানায়, তার উপর জিনের আছর করায় তিনি তার মাকে নদীতে চুবিয়ে হত্যা করেছেন।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন