সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১১

লিংকিন পার্ক - ১৮


১.
যে কোনও ধর্মই মানুষে-মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে। তবে একই ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিতে হিন্দুধর্ম অপ্রতিদ্বন্দ্বী। প্রথম আলোর সংবাদ: কেশবপুরে ‘নীচু জাত’ বলে শবদাহে বাধা, প্রতিবাদে মানববন্ধন

২. 
যখন স্থানীয় সরকার দারিদ্র্য লাঘব করতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি সফল করতে নানান পদক্ষেপ নিচ্ছে, তখন দক্ষিণ ভারতীয় রোমান ক্যাথলিক চার্চের অনুসারীদের সংখ্যা পতনমুখী হওয়ায় চার্চ বড়ো পরিবার - সুখী পরিবার স্লোগান দিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছে না শুধু, পরিবারে পঞ্চম (!!!) সন্তান জন্ম নেয়া মাত্র তার নামে দশ হাজার রুপি (দুশো ডলার) ব্যাংক ডিপোজিট দেবে বলে প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছে। 

৩.
"রিচার্ড ডকিন্স অ্যাওয়ার্ড" পেলেন ক্রিস্টোফার হিচেন্স। অনুষ্ঠানে ডকিন্স হিচেন্সকে উদ্দেশ্য করে অপূর্ব একটি বক্তব্য রাখেন।

৪.
HIV-তে আক্রান্ত তিন মহিলা চার্চে গিয়েছিলেন। সেখানে তাদেরকে বলা হলো, ওষুধ-ফষুধে নিরাময়-উপশম হবে না, একমাত্র ঈশ্বরই পারে তাঁদের রোগমুক্তি ঘটাতে। রোগ থেকে আরোগ্যলাভের উপায় হিসেবে তাঁরা পেলেন প্রার্থনা করার পরামর্শ। ফলাফল? তিনজনেই মারা গেছেন। চার্চের চুদির্ভাইদের ধরে কী করা উচিত, বলুন তো?

৫.
স্যাম হ্যারিসের সাম্প্রতিকতম বই: Lying. ঠিক ধর্মসংক্রান্ত নয় অবশ্য। উৎসাহীরা ডাউনলোড (এখানে অথবা এখানে) করে নিয়ে পড়ে দেখতে পারেন। আকারে খুবই ছোট: ৮৭ কিলোবাইট, ফরম্যাট: epub (এই ফরম্যাটের জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার নেটে অনায়াসলভ্য। গুগল আপনাদের সহায় হোন।)। 

৬.
খ্রিষ্টধর্ম সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা নিতে চান? মাত্র সোয়া দুই মিনিটের ভিডিও দেখে নিন।

৭.
ধর্মঅধ্যুষিত সমাজে ধর্মহীনেরা ধার্মিকদের চেয়ে কম সুখে থাকে। আর ধর্মহীন (অর্থাৎ ধর্মপ্রভাবহীন সমাজে) সমাজে ধার্মিক-ধর্মহীন নির্বিশেষে সবাই সুখী থাকে। এর মানে দাঁড়ায় একটাই: ধার্মিকেরা অবিশ্বাসীদের ওপর সর্বক্ষণ ছড়ি ঘোরাতে থাকে, পক্ষান্তরে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নির্ধার্মিকেরা ধর্মপ্র্রাণ মানুষদেরকে দৌড়ের ওপরে রাখে না। না, এটা মনগড়া কোনও তত্ত্ব নয়। পৃথিবীর একশো পঞ্চাশটি দেশ জুড়ে চালানো গবেষণার ফলাফল

৮.
ধর্মান্ধদের মগজশূন্যতার উপর্যুপরি আরেকখান নিদর্শন। দুর্গারে ভক্তি দ্যাখানের লেইগ্যা এই পাগলে নিজের ছেলে আর ছেলের বন্ধুরে বলি দ্যাওনের চেষ্টা করসিল।
(স-ভূমিকা লিংকম্যান: suirauqa)

৯.
একই ধর্মে এতো রূপ! ইহুদি, খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের ধর্মে ভাগ, বিভাজন অগণ্য। এইসব শাখা, প্রশাখা, উপশাখা, পাতিশাখা গড়ে ওঠার পেছনে যতো কার। দেখানো হোক না কেন, মূল কারণ দুটো বলেই আমার ধারণা: অর্থিকভাবে লাভবান হওয়া এবং প্রভাববলয় প্রসারণের ইচ্ছে। বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে আমার ধারণা কম। এই নিবন্ধে জানলাম আমেরিকায় প্রচলিত বৌদ্ধধর্মের তিনটি ভিন্ন প্রবাহের কথা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন