বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১১

সূরা আত্ তাকাবি-না


লিখেছেন অজাতশত্রু

সূরাটা দিয়েছেন: এফসাইলন আইআর 

অবশেষে বেহেশতে আমার নিজের নামে একটা ফ্ল্যাট নিশ্চিত হলো।
শুনেছিলাম নবী হতে পারলেই নাকি বেহেশতে অটোমেটিক্যালি ফ্ল্যাট বরাদ্দ হয়ে যায়, তাও আবার নাকি ভ্যাট ট্যাক্স ফ্রী। তা যাই হোক শেষপর্যন্ত মহান আল্লা আমাকেও নিরাশ করলেন না। নয়া জামানার নবী হিসেবে আমারেও সিলেক্ট করেছেন.. তিনি অবশেষে আমার উপ্রেও একটা ছুরা ক্র্যাশ করলেন।

শানে নুজুল: আমি আমার টাউনের এক ইলেক্ট্রনিক্সের দোকান হতে একটা কার্ড রীডার কিনে বাসার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। হঠাত্‍ আমার চোখে পড়লো এক অসম্ভবরকম সুন্দরী মেয়ে। আমি তার দিকে একবার তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিলাম। মনে মনে ভাবছিলাম মানুষ এত সুন্দর হয় কীভাবে? প্রায় সন্ধ্যে হয়ে এসেছিল, তখনই হঠাত্‍ আমার কাছে মনে হলো, যেন সময় স্থির হয়ে গেছে। আর কানে একজনের গায়েবী আওয়াজ শুনতে পেলাম। তখনই বুঝলাম এটা সূরা। এবং তা আমার উপরে নাজীল হচ্ছে। যেহেতু এটা রেলওয়েস্টেশন মার্কেটে নাজীল হয়েছিল তাই এটা একটা 'স্টেশন মার্কেটী' সূরা.. 

......সূরা আত্ তাকাবি-না......

হে মমিন, তুমি কি জানো না এই সমগ্র সৃষ্টির একজনই সৃষ্টিকর্তা আছেন ?

অতএব প্রসংশা করো কেবল তারই, যিনি তোমাদিগকে করুণা করে চোখ দিয়েছেন যেটা দিয়ে তোমরা এত সুন্দর দুনিয়া দেখতে পারো।

আর তোমরা দুনিয়াসক্তদের জানিয়ে দাও, ইহকালে কোন রমণীর* সৌন্দর্যে উন্মত্ত না হতে।

তাদেরকে নিষেধ করো ঐসব পাপীদের দিকে না তাকাতে, তাদেরকে সাবধান করো তোমাদের পূর্ববর্তীদের শোনানো গল্পে দোযখের শাস্তির বর্ণনা হতে। 

তোমরা অবশ্যই অবগত আছো যে, বেহেশতে তোমাদের জন্য কী (আর কারা) অপেক্ষা করছে।

মহান আল্লা অবশ্যই পরম করুনাময়।

[*শর্ত: তোমরা কেবল সেইসব রমণীদের দিকেই তাকাতে পার যাদের সমগ্র দেহ "বোরখা" দ্বারা আবৃত থাকে।]

ধর্মজাত মানসিক বৈকল্য


Paranoia-র অর্থ অনারোগ্য ও বিশেষ ধরনের মানসিক বৈকল্য। তবে ধর্মীয় Paranoia তার চেয়েও বেশি কিছু। এ বিষয়ে রিচার্ড ডকিন্সের সাড়ে পাঁচ মিনিটের বক্তৃতা। 


লিংকিন পার্ক - ২৭


১.
আমাদের এই গ্রহে প্রাণের উদ্ভব হয়েছিল কীভাবে, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন ডেভিড অ্যাটেনবরো। অ্যাকশন মুভি দেখার মতো উত্তেজনা নিয়ে আমি দেখেছি এই ডকুমেন্টারি। দুই পর্বে নির্মিত দু'ঘণ্টার মাস্টারপিস। 

মমিন ভাইয়েরা, এই ছবি দেখিয়া নিজের সময় ও ঈমান নষ্ট করিবেন না। মিলিয়ন-বিলিয়ন বছর আগে কী ঘটিয়াছিল, তাহা জানিবার প্রয়োজন কী! আপনাদের জন্য রহিয়াছে সহজ ও সরল সমাধান: ৫-১০ হাজার বছর আগে আল্যাফাক কহিয়াছিলেন, 'কুন', অমনি সব হইয়া গেল। 

২.
সন্ত্রাসীদের আঁতুরঘর হিসেবে চিহ্নিত করে ৯০০টি মসজিদ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কোনও ইহুদি-নাছারা-কাফেরদের দেশে? না। ইসলামী রাষ্ট্র আলজেরিয়ায়। 

৩.
মমিনদের উদ্ভট নৃত্য। ভিডিওর নাম: টেকনো মোল্লা। মজাদার, যদিও মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝিনি।
(লিংক: রকিব পারভেজ)

৪. 
আব্রাহামীয় তিন ধর্মের ঈশ্বর বিষয়ে বিবিসি-র তিন ঘণ্টার ডকুমেন্টারি। যদি দেখতে উৎসাহী হন কেউ!

৫.
বিবর্তন বিষয়ে ছহীহ দৃষ্টিভঙ্গি
(লিংক: আসিফ মহিউদ্দীন)

৬.
চার্চের চুদির্ভাইদের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা নেয়া বন্ধ করে ব্রিটেনে অন্তত ছয়জন HIV-আক্রান্ত রোগী মৃত্যুবরণ করেছে। তাদেরকে বলা হয়েছিল, শুধু ঈশ্বরই পারে তাদের সুস্থ করে তুলতে এবং ঈশ্বরকে ভজাতে চুদির্ভাইয়েরা প্রার্থনা করবে। স্কাই নিউজের রিপোর্ট ও ভিডিও। 

৭.
আসুন ধর্মকে জানি: ইসলাম ধর্মে ওরাল সেক্স বা মুখমেহন!

পুনশ্চ. মূল পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এখানে দেখুন গুগলের webcache থেকে। 


সৌদি নারীদের জন্য উপদেশমালা


চৌদি আজবের নারীরা ইসলামের কল্যাণে সর্বোচ্চ সম্মানপ্রাপ্ত, তা তো আমরা সকলেই জানি। সেই সম্মান রক্ষার্থে তাদের কী কর্তব্য, How not to get punished for being a woman নামের 'শিক্ষামূলক' ভিডিওতে দেখুন। ব্যঙ্গের মাধ্যমে সত্যপ্রকাশ।


ভিডিও ট্র্যান্সক্রিপ্ট: 

(Note: the woman and man featured in the video are the same two people throughout, although the settings change often.  All of the spoken lines are spoken by the man; the woman is silent throughout the clip.)

[Middle Eastern man wears gray suit and stands against a desert background; he speaks English with a strong Arab accent]: As a woman living in Saudi Arabia, do you often worry that you will be a victim of state brutality?

[Cut to woman in a short-sleeved red floral dress. Woman nods.]

[Same man, standing against blue sky and clouds background]: Well, worry no more. This educational video will help.

[Woman against blue background. Woman smiles. Flowers pop up around her on the screen.]

[“How not to get punished for being a woman” appears onscreen around man, who says the same thing]

[Man standing in front of ducks on a pond background]:The first thing to understand is as a woman you are the property of a man.  Either your father, brother, or husband.  This man is your guardian. [Woman nods.] It’s his job to look after you.

[Man now standing alongside a picture of a monkey in the background]: And it’s your job to do exactly what he says. Follow these simple tips and you will be fine.

[Woman smiles and gives a thumbs up with both hands. Smiley faces pop up around her on the screen]

[“STUDY AND WORK” appears on the screen]. Man says same thing with pyramids in the background.

[Woman in front of a chalkboard in the background. She raises her hands as though she is pleading]

Man’s voice: Ask your guardian if you can go to school. Fingers crossed [woman crosses fingers on both hands] he’ll say yes.

[Man with the picture of a cow on the beach in the background]: You’ll learn how to perform your primary role in life.

[Woman holding a four-tier cake on a tray, slight smile on her face] Which is to be an ideal housewife

[Woman holding a baby, slight smile on her face; strollers pop up around her on the screen] and a good mother.

[Man with cow in background]:You can also train to be

[Woman with graduation cap and a forced smile] a teacher

[Graduation cap disappears and a nurse’s cap appears in its place]:or a nurse.

[Man in front of a jumping dolphin in the background]: But remember: ask permission from your guardian unless you want to be punished.

[Cut to red background, man wears white tank top, screams “Argh,” flails arms, flexes arms, raises fists, and licks his teeth.]

[Cut to woman who opens her mouth in fear]

[“MOVEMENT” appears on screen against a pyramid background and man on screen, cut to man standing with a green snake in the background]: A woman’s place is in a home.

[Woman nods. Homes pop up around her on a screen.]

[Cut to man against snake background]: A man’s place is everywhere else. [Globes pop up alongside man and disappear.]

Here are some simple dos and don’ts to help you remember.

[Cut to woman walking from kitchen to bedroom]:Walking from the kitchen  to the bedroom: Yes.

[Woman against a green background, planes fly across the screen]: Boarding a plane on your own?

[Man with snake background]: no.

Walking from the bedroom to the bathroom: yes. [Woman walks from a picture of a bedroom to the bathroom]

Riding a car: no. [Woman drives a red monster truck from right to left side of the screen.]

Walking from the bathroom to the bedroom: yes. [Woman walks from a picture of a bathroom to the bedroom].

Taking public transport: no. [Woman sits on top of a British-style double decker red bus.]
Remember: ask permission first. [Picture of a tiger’s face in the background.] Unless you want to be punished.

[Man in white tank top roars (sound effects sound like a lion). Cut to woman who opens her mouth wide in fear, raises her shoulders]

HEALTH

[Man stands in front of a background of the pyramids]. Health.

[Woman stands in front of a blue background, her arms are removed, and blood spurts from her shoulders. She looks at each shoulder spurting blood].

[Man stands in front of a desert background] Man: Medical emergency? Your instinct might be to call your doctor or rush to the hospital.

Stop. Your doctor cannot treat you without your guardian’s say so.

Remember: Ask permission unless you want to be bunished.

[Man stands in front of red background in his tank top, laughs maniacally and flexes both arms].

[Woman brings both fists to her mouth in fear].

OTHER STUFF [appears on screen]

[Man standing in front of a background of a salad on a plate]. There is a lot of other things you shouldn’t do.
[Woman riding on top of train]. Don’t catch a train with men.

[Woman wearing a hat and wearing a briefcase with a city in the background]. Don’t go to offices with men.

[Woman sitting at a table in a café]. Don’t go to restaurants with men.

[Woman relaxing on the beach]. Don’t go to beaches with men.

[Woman on a roller coaster]. Don’t go to amusement parks

[Woman skating at an ice rink] or ice skating rinks with men.

[Woman hitting a tennis ball with a racquet.] Don’t play sport.

[Woman raising her hand in a courtroom]. Don’t attempt to speak in court.

[Man in suit with salad background]. So here’s a quick recap. You must get permission if you ever want to study, work, travel, see the doctor, or use the law.

[Man in front of white ducks on a pond in background]. Remember. Remember. Remember. Ask permission. Unless you want to be punished.

[Man in front of red background in white tank top. Roars, flails arms about, and raises right fist in triumph/anger.]

[Cut to cue cards]: “In 2011, women in Saudi Arabia were promised the right to vote in the next municipal election.  Despite this, women’s basic human rights continue to be violated by the guardian system, which authorizes male control over women.”

[Cut to yellow screen with Amnesty international symbol of a candle with barbed wire and TV and link to watch more.]

মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১১

মুহম্মদের কাক চালাকি - ১


লিখেছেন নাসির আবদুল্লাহ

যয়নাব পালিত পুত্র যায়িদের বিবাহিতা স্ত্রী। যাকে মুহম্মদ পরে বিয়ে করে (পরকীয়ার ব্যাপারটা এড়িয়ে গেলাম) ১৪টা বিয়ে করলেও মুহম্মদ শুধুমাত্র যয়নবের সাথে বিয়ে উপলক্ষ ছাড়া তার কোনো বিয়েতেই সামাজিক ভোজ-অনুষ্ঠানের অয়োজন করেন নি। কিন্তু যয়নবের সাথে বিয়ে উপলক্ষে বেশ কিছু ছাগল জবাই করে ৩/৪ দিন ব্যাপি বহুলোক সমাগমে বিবাহের সামাজিক অনুষ্ঠান পালন করা হয়। কারণ কী?

কোনো কালেই পুরুষ মানুষ বয়ঃজেষ্ঠা নারীদেরকে বিয়ে করে গর্ববোধ করেনি; বিশেষ করে সেই নারী যদি হয় দুইবার বিধবা এবং ৪/৫ জন সন্তানের জননী। পুরুষকে দোষ দিয়ে লাভ নাই, এটা পুরুষের জন্মগত প্রবৃত্তি।

খাদিজাকে বিয়ে করেও মুহম্মদের মনে একই প্রবৃত্তি কাজ করেছে, ধন-দৌলত কিংবা আশ্রয় এতিম মুহম্মদের কাছে পুরুষত্বের চেয়ে বেশী বড় হয়ে দেখা দেওয়ায় সে খাদিজাকে বিয়ে করে আবার এই অসম বিয়ে নিয়ে সে লজ্জাগ্রস্ত থাকার জন্য ব্যাপারটা গোপনে সেরে ফেলে।

খাদিজার মৃত্যুর পর সাওদা নামের একজন ৫৫ বছরের বৃদ্ধাকে মহম্মদ বিয়ে করে, খাদিজার শিশু-সন্তানদের লালন পালনের উদ্দেশ্যেই এই বিয়ে ছিল তাই এই বিয়েও অনাড়ম্বরে সারে সে।

আয়শা, আবু বক্করের মেয়ে জুবায়ের ইবন মুতিম এর বাগদত্তা। মুহম্মদের সাথে বন্ধুত্ব থাকার কারনে আবুবক্করের পারিবারিক সদস্যরা মুহম্মদের সান্নিধ্যে আসে, আয়শা তার ব্যতিক্রম নয়। (পুরুষের জন্মগত প্রবৃত্তিগুলোর অন্যতম আরেকটি হচ্ছে কুমারী কামনা, মুহম্মদ নিশ্চয়ই তার ব্যতিক্রম ছিল না) ৫২ বছরের বৃদ্ধ মুহম্মদের কুমারী সান্নিধ্যের অভিজ্ঞতা ছিল না। অন্যের বাগদত্তা আয়শাকে দেখে তার কাম জাগ্রত হয়। আয়শাকে স্বপ্নে দেখছি, আল্লাহ বলেছেন নানা অযুহাতে আবু বক্করকে মহম্মদ রাজী করায় তার সাথে আয়শার বিয়ে দিতে। কুমারী প্রাপ্তিতে মুহম্মদ আহ্লাদিত থাকলেও ৫৪ বছরের বুড়োর সাথে ৬ বছরের শিশুর বিয়ে! লোকলজ্জার ব্যাপারটা তো একদম উড়িয়ে দেয়া যায় না, তাই আবার সামাজিকতা ছাড়াই গোপনে হয়ে গেল বিয়ে।

হাফসা বিনত ওমর আর জয়নব বিনতে খুজাইমা বদরের যুদ্ধে দুই শহীদের স্ত্রী, এদেরকে মহম্মদ বিয়ে করে অন্য মুসলমানদেরকে উৎসাহিত করার জন্য যেন তারা বদরের যুদ্ধে শহীদদের স্ত্রীদেরকে বিয়ে করে। যাহোক দৃষ্টান্ত স্থাপন এবং হারেম বৃদ্ধিকরণ একই সাথে দুই কাজ। আত্নীয়-স্বজনহারানো শোকাতপ্ত অবস্থায় বিয়ের সামাজিক আনন্দযজ্ঞের প্রশ্নই ওঠে না। তাই আবারো নিরামিষ বিয়ে।

উম্মে সালামা, ওহদের যুদ্ধে শহীদ আবু সালামার স্ত্রীকে মুহম্মদ বিয়ে করে কারণ উম্মে সালামা মুহম্মদ ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এবারো শহীদের বিধবা, তাই সামাজিকতা ছাড়াই বিয়ে।

(মুহম্মদের এই তিন বিয়ে নিয়ে মুসলমানেরা গলা ফাটায়, এগুলোই হচ্ছে তাদের কাছে অসহায় বিধবা বিয়ের উদাহরণ। তবে ওমরের মেয়ে যে কতটুকু অসহায় ছিল, তা ভেবে দেখার বিষয়)

রায়হানা, বনি কুরাইজ বংশের যুদ্ধবন্দিনী। প্রথমে একজন সাহাবীর দখলে থাকার পর মুহম্মদের কানে তার রূপের প্রসংসা আসলে মুহম্মদ তাকে নিজের তাবুতে নিয়ে আসে। কিছুদিন দাসি স্টাট্যাসে থাকার পর মুহম্মদ তাকে বিয়ে করে। মতান্তরে মুহম্মদ তাকে নিয়ে করেনি। এইখানে সামাজিক অনুষ্ঠানের চান্স কই?

যয়নাব বিনতে জাহশ, একাধারে মুহম্মদের ফুপাতো বোন এবং তার পালিত পুত্র যায়িদের স্ত্রী। মুহম্মদ এবং যয়নাব একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হলে যায়িদ যয়নবকে তালাক দেয় এবং মুহম্মদ তাকে বিয়ে করে। মুহম্মদের এই বিয়েকে কেন্দ্র করে সমাজে নানা ধরনের কানাঘুষা শুরু হয় মুহম্মদের চরিত্র নিয়ে। এই বিয়ে কেন্দ্র করে কোরানের আয়াতও নাযিল হয় যেন মুসলমান পুরুষরা যুগ যুগ ধরে তাদের পালিত পুত্রের তালাক প্রাপ্তা বউদের বিয়ে করতে পারে (সর্ব কালের ধর্ম কিনা!) এবার মুহম্মদ অনেক ছাগল জবাই করে তিন দিন ব্যাপী বিবাহের সামাজিক অনুষ্ঠান পালন করে। যারা কানাঘুষা করছিল, তারা ভরপেট খেয়ে ঢেঁকুর তুলে আলহামদুল্লিল্লাহ বলে সব কানাঘুষা ভুলে গেল। জিনিয়াস মুহম্মদ, কী বলেন?

যুয়াইরিয়া বিন্তে আল-হারিত, বনু মুস্তালিক গোত্র প্রধানের কন্যা যুদ্ধে বন্দিনী, সে মুহম্মদের কাছে মুক্তি ভিক্ষা করলে মুহম্মদ তা নাকচ করে দেয়, তার গোত্রের পক্ষ থেকে মুক্তিপনের প্রস্তাব আসলেও মুহম্মদ তা নাকচ করে দেয়। পরে মুহম্মদ তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে রাজী হয়ে যায়। মুহম্মদ যুয়াইরাকে বিয়ের পর তার সাহাবীরা খুশি হয়ে মুস্তালিক গোত্রের ১০০ বন্দিকে মুক্তি দিয়ে দেয়। এটাই মহানবির আদর্শ, একজন নারীকে (শয়তানের দাস) বিয়ে করে এক্কেবারে একশসসস বন্দিকে মুক্তি করার পথ সুগম করে দিয়েছিলেন।

 (চলবে)

পর্নালৌকিক


মাতা মেরির মূর্তির চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছে - এমন 'অলৌকিক' ঘটনার দাবি শোনা যায় প্রায়ই...


ঐশী মানেই ভুয়া


বাইবেলে অনেক ভবিষ্যদ্বাণী করা আছে। সঙ্গত কারণেই একটাও ফলেনি। অতি প্রিয় ইউটিউবার CultOfDusty এ প্রসঙ্গে পরম পোন্দনী ভিডিও বানিয়েছেন। দশটা মিনিট দেখতে দেখতে চলে যায়। অবশ্যদ্রষ্টব্য। 


ইসলামে শবকাম হালাল?


ইসলামে কি শবকাম (necrophilia) অনুমোদিত? মরক্কোর ইসলামবিদ Sheikh Abdelbari Zamzami-র মতে, মুসলিম পুরুষ তার সদ্যমৃত স্ত্রীর সঙ্গে যৌনসঙ্গম (ভিডিও এখানে) করতে পারে। রীতিমতোই শকিং, তাই নয় কি? 

কে এই Sheikh Abdelbari Zamzami? যা বুঝলাম, যেন-তেন ইসলামবিদ তিনি নন; এখানে বলা হয়েছে: he is formally a “الخبير في فقه النوازل“ which means an Expert in Exceptional Matters, issues that have not been delineated in the Quran, the Hadith, or anywhere in Sharia law. 

তো যা-ই হোক না কেন, ব্যাপারটি সন্দেহাতীতভাবে বিতর্কিত। তাহলে এই মওকায় আরও একটি বিতর্কিত স্লাইড শো দেখে নেয়া যাক। এতে শুধুমাত্র হাদিস ও অন্যান্য ইসলামী তথ্যসূত্র ব্যবহার করে বলা হচ্ছে, ইসলামের নবী এক মৃত নারীর সঙ্গে কবরে রাত কাটিয়েছিলেন। 



যিশু - শ্রেষ্ঠতম বন্ধু


এক অস্ট্রেলিয়ান তার শ্রেষ্ঠ বন্ধু যিশুর সঙ্গে সকলের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। লোকটা এতো ফাজিল!  



বাংলায় বান্দা-শরিফ (বান্দা-আয়াত সমগ্র)


খোমাখাতায় একদল কাফের কোরানের মতো পবিত্র কিতাবের ভাষারীতি অনুসরণ করে রচনা করতে শুরু করেছে বান্দা-শরীফ নামের একটি গ্রন্থ (ইয়া মাবুদ, তুমি ইহাদের তরে জাহান্নাম অপেক্ষা বাহাত্তর গুণ ভয়ঙ্কর দোজখ নির্মাণ করো!)। 

এই সিরিজটি সেই ফেসবুক গ্রুপের মডারেটরের অনুমতিক্রমে প্রকাশ করা হচ্ছে, যিনি ধর্মকারীর পাঠকদেরকে আহ্বান জানিয়েছেন বান্দা-শরীফ রচনায় অবদান রাখতে। 


সুরার নাম: সুরা আল-মুরগী 
(কোরানে সুরা গরু থাকতে পারলে সুরা মুরগী কি দোষ করেছে?) 
নাজিল হয়েছে হযরত Jupiter Joyprakash (রাঃ) এর উপর 

১. হে বুদ্ধিমান মুরগীগণ, তোমাদের প্রভুর নামে শ্রবণ করো। তিনি তোমাদের কল্যাণের নিমিত্ত এই সর্বোত্তম জীবন বিধান প্রদান করিতেছেন। তোমরা তোমাদের প্রভু ও তাঁহার বার্তাবাহক উভয়কে সম্মান প্রদর্শন করিয়া মনোযোগ সহকারে উহা পালন করিবে।

২. তোমরা কেবল তোমাদের মালিকের কাছে কৃতজ্ঞ থাক যিনি তোমাদের নির্জীব আণ্ডা হইতে ‘ইনকিউবেটর’ যন্ত্রের দ্বারা নির্মাণ করিয়াছেন। তোমাদের এই জীবন তাঁহার জন্য ত্যাগ করিতে সর্বদা প্রস্তুত থাকিও। ইহাতে কোনো প্রকার সন্দেহ রাখিও না।

৩. তোমরা তোমাদের প্রভুর শরণাগত হইয়া নিজেদের সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত রূপে প্রমাণ করিও। যাহারা তাহাদের প্রভুকে অস্বীকার করিয়া স্বাধীনতার নামে জংলীপনা করিয়া থাকে, তাহাদের সঙ্গ তোমরা বর্জন করিবে। ইহাতেই তোমাদের মঙ্গল।

৪. আর তোমরা দেখ, এই বিশাল খামার ও তাহার অন্তর্গত সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর বস্তু তোমাদের প্রভু সৃষ্টি করিয়া তোমাদের সেবায় নিযুক্ত করিয়াছেন। উর্দি ও লাঠিধারী যে সকল দূতেরা রাত্রিকালে রশ্মিযুক্ত হইয়া ঘুরিয়া বেড়ায় তাহারাও তোমাদের সেবাতেই নিযুক্ত। তাহাদের সঙ্গী দন্তকেলায়িত কুক্কুরগণও তোমাদের জন্যই। তোমরা তাহাদের জন্য নও।

৫. তোমাদের প্রভু জন্ম হইতে মৃত্যু পর্যন্ত তোমাদের খাদ্য-পানীয় যোগাইবার ভার লইয়াছেন। তিনিই গ্রীষ্মে শীতল বায়ু ও শীতে অগ্নির ব্যবস্থা করিয়া তোমাদের জীবন রক্ষা করেন। তোমরা তাঁহাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন কর।

৬. তোমাদের ভোজন করিবার জন্য তোমাদের প্রভু যে সকল বস্তুকে পবিত্র করিয়াছেন, তাহা ভিন্ন অন্য কিছু ভোজন করিবে না। তোমরা যাহা ভোজন করিয়া থাক, সেই সকল বস্তুও কোনো অপরিচিত ব্যক্তির নিকট গ্রহণ করিবে না। মনে রাখিও, প্রভু তোমাদের জন্য যাহা পবিত্র করিয়া প্রেরণ করিয়াছেন তাহা ভিন্ন সব কিছুই ক্ষতিকর।

৭. তোমাদের প্রভু জানাইতেছেন যে তোমরা সূর্যোদয়কালে সমবেতভাবে সূর্যের দিকে গলা তুলিয়া প্রভুর নামকীর্তন করিবে। যে কেহ এটি করিতে পারিবে না, প্রভুর দূতেরা তাহাকে মারিয়া পুঁতিয়া ফেলিবে। মুরগী জাতির সামগ্রিক কল্যাণের জন্য তিনি এমন করিয়া থাকেন। এজন্য তোমরা তাঁহাকে নিন্দা করিও না। মূর্খেরা তাঁহার উদ্দেশ্য না বুঝিয়া তাঁহাকে দোষী করে।

৮. তোমরা মোরগেরা শুন। মুরগিরা তোমাদের আণ্ডাক্ষেত্র। সেই আণ্ডাক্ষেত্রে তোমরা যত পার আন্ডা উৎপাদন কর। তবে ইহা করিতে গিয়া নিজের ওজন কমাইলে শাস্তি পাইবে। মুরগিদের সম্মান করিবে, কিন্তু তাহারা তোমাদের কথার বিন্দুমাত্র অবাধ্য হইলে গদাম দিয়া ঠাণ্ডা করিবে। অবাধ্য মুরগিদের গদাম দিতে কোনো দোষ নাই, শুধু তাহারা যেন অপমানিত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখিও।


৯. মনে রাখিও, প্রভু তোমাদের নিজ উদ্দেশ্য সফল করিবার জন্যই রাখিয়াছেন। তিনি তোমাদের লইয়া যাহা করেন, তাহা মঙ্গলের জন্যই। তোমরা তোমাদের আণ্ডা-বাচ্চা ইত্যাদি অপেক্ষাও প্রভুর প্রতি বেশি বিশ্বস্ত থাকিবে। কারণ তাহাদের রক্ষা ও পালনও তিনিই করেন।

১০. আর তোমরা এই সকল নিয়মের কারণ খুঁজিতে চেষ্টা করিবে না। তাহাতে তোমাদের ওজন কমিয়া যাইবে ও মাংসের স্বাদ হারাইয়া যাইবে। তোমরা খামারের বাহিরে বিচরণকারী পোকাখেকো মুর্গীদের সমতুল্য হইবে, যাহারা প্রভুর খামারের যোগ্য নয়।

১১. তোমরা শ্রবণ কর সেই শাস্তির কথা, যাহা তোমাদের প্রভুর আদেশ অমান্যকারীদের জন্য বরাদ্দ হইয়াছে। কিন্তু তোমাদের মধ্যে যাহারা সকল নিয়ম মান্য করিয়া মোটা তাজা হইয়া থাকিবে, তাহারা জীবনের অন্তে পাঁচতারা হোটেলের স্বর্গীয় পরিবেশে দামী মশলায় রন্ধিত হইবে ও বিলাইতি মাল সহযোগে মহামান্য ব্যক্তিদের সহিত এক টেবিলে বসিয়া হুর পরী দর্শন করিবে।

১২. তোমরা যদি এমন কোনো কাজ কর যাহা নিয়ম ভঙ্গ করে বা খামারে অশান্তি ও যুদ্ধ সৃষ্টি করিয়া মুরগীদিগের ক্ষতি করে তবে প্রভুর দূতেরা তাহাদের অকালে তুলিয়া আনিয়া প্রভুর রান্নাঘরের জ্বলন্ত অগ্নিতে ভাজিয়া খাইয়া ফেলিবে। তোমরা নিশ্চিত জানিবে, প্রভু ও তাঁহার দূতেরা যত মুরগী এইভাবে ভক্ষন করেন তাহারা সকলেই খামারদ্রোহী। তোমরা না জানিলেও প্রভুর কাছে কিছুই অজ্ঞাত নহে।

১৩. তোমাদের মধ্যে যে কেহ খামার ত্যাগ করিয়া পালায়, তাহারা নিশ্চিতরূপে অপরাধী। তাহাদের জীবন্ত ভাজিলেও দোষ হয় না। কিন্তু তোমাদের প্রভু কেবল দয়া করিয়াই তাহাদের এমন শাস্তি দেন না। তবে তোমরা নিশ্চিত জানিও তাহারা শয়তানের কথায় বিভ্রান্ত। তাহাদের অনুসরণ করিয়া নিজেদের বিনাশ করিও না। তাহাদের নির্বুদ্ধিতার জন্য তাহাদের করুণা কর।

১৪. এ ছাড়াও এমন যে কোনো কাজ, যাহা খামার সৃষ্টির উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে তাহা করা অন্যায় বলিয়া জানিবে। এবং নিজেরা এমন কোন নিয়ম করিবে না যাহা প্রভুর দ্বারা প্রদত্ত নিয়মের বিরুদ্ধে যায়। মনে রাখিও, খামারের শান্তি ও পবিত্রতা রক্ষা করিতে না পারিলে তোমরা বিনাশ প্রাপ্ত হইবে। প্রভু অপেক্ষা তোমরা অধিক জান না।

১৫. যদি তোমরা সকলেই প্রভুর আদেশ অবহেলা করিয়া তাঁহাকে অস্বীকার কর, তবে প্রভু বাধ্য হইয়া তোমাদের সকলকে সহ এই খামার ধ্বংস করিবেন ও নতুন খামারের সৃষ্টি করিবেন। প্রভুর কাছে এমন শত শত খামার সৃষ্টি করা নিতান্তই সহজ। কাজেই তোমরা তাঁহাকে অস্বীকার করার আগে সেই ভয়ানক দিনের কথা চিন্তা করিও।

===============================

এই পরিপূর্ণ জীবন বিধান কেবল মুরগীদের জন্য দেওয়া হইয়াছে। অন্য কোনো জীব ইহা নিজ বুদ্ধিতে অনুসরণ করিবার চেষ্টা করিলে তাহার ফলাফলের জন্য তিনি স্বয়ং দায়ী থাকিবেন।

সুনামি, অক্ষতঈমানী মসজিদ ও তার উত্থিত মিনার


সম্প্রতি খোমাখাতায় একখানা ভাইরাল ছবির বন্দনায় মমিন ভাই ও বোনেরা ঐশী রাগমোচন (orgasm) লাভ করছে। তাদের দাবি, জাপানের ভয়ংকর সুনামির সময় সব কিছু ধুলিস্মাৎ হয়ে গেলেও আল্যাফাকের অসীম করুণায় একটি মসজিদ নাকি তার উত্থিত মিনারসহ অটুট। ছবিটি এখানে গিয়ে দেখ আসুন। লিংক পাঠিয়েছেন ধর্মকারীর পাঠক তুষার। 

আসলে পরীক্ষা না করেই বিশ্বাস করার সুবিনীত প্রবণতা মমিনরা দমন করতে পারে না। একটু গুগলিয়ে ছবিটি ভুয়া বলেই ধারণা হলো আমার। আর এই সাইটে তো রীতিমতো গবেষণা করা হয়েছে ছবিটি নিয়ে। 

এখন ধরে নেয়া যাক, মসজিদের সেই ছবিটিতে কোনও ভেজাল নেই এবং আল্যাফাক সুনামি পাঠিয়ে সব ধ্বংস করে ফেললেও মসজিদটা অক্ষুণ্ণ রেখে তার অসীম ক্ষমতা এবং ইসলামের প্রতি তার স্পষ্ট পক্ষপাত প্রদর্শন করেছে। তাহলে প্রশ্ন জাগে, অতীতে ভূমিকম্প, সাইক্লোন, টর্নেডোসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় অজস্র মসজিদ ধ্বংস হয়েছে কেন? একটি মসজিদ রক্ষার কারণে তাকে পরম করুণাময় বলা হলে অজস্র মসজিদ ধ্বংস করার কারণে তাকে সন্ত্রাসী বলা যাবে না কেন?



খোমাখাতার মমিন ভাইদেরকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভেঙে পড়া অজস্র মসজিদের ছবিসহ রচিত একটি লেখার লিংক (পাঠিয়েছেন প্রিয়াম শংকর ঘোষ) দিন। লেখাটা তারা না পড়ুক, অন্তত ছবিগুলো দেখে তারা তাদের আল্যার সন্ত্রাসী রূপটা অন্তত দেখুক।  

এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে নেহাতই তুচ্ছ আমরা - ১৬


অসাধারণ কিছু ভিডিও বানিয়ে খ্যাত TheThinkingAtheist-এর সাম্প্রতিকম মাস্টারপিস - কার্ল সেগানের কথনের ভিডিও-সঙ্গৎ। 


রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১১

আরও তিনটি বিলবোর্ড





সূত্র

প্রায় প্রাসঙ্গিক:
একটি ঘটনা পড়ে পরম বিনোদিত হলাম। একজন তার টি-শার্টে বাইবেলের বাণী প্রিন্ট করিয়ে নিতে এক খ্রিষ্টান দোকানে গিয়েছিল। কিন্তু দোকানের কর্মচারিণী তা প্রিন্ট করতে অস্বীকৃতি জানায়। অবাক কাণ্ড না? অন্তর্বাস হলে নাহয় বুঝতাম। কিন্তু টি-শার্ট বাইবেলের বাণী প্রচার করবে, তাতে আপত্তির কী থাকতে পারে! 

বাণীটি পড়লে বুঝবেন: I do not permit a woman to teach or to have authority over a man; she must be silent. (Timothy 2:12) 

তাই ভাবছিলাম, সুরা-আয়াত উল্লেখসহ বাংলায় কোরানের কিছু 'মহান' বাণী প্রিন্ট করানো টি-শার্ট পরে ঘুরে বেড়ালে মমিনরা কি কল্লা নামিয়ে দেবে? কোরানের বাণী প্রচার করা সত্ত্বেও? 

আহা, কোরানের এ জাতীয় বাণীসম্বলিত বিলবোর্ডে বাংলাদেশ যদি ভরিয়ে দেয়া যেতো! বড়ো বড়ো অক্ষরের বিজ্ঞাপনে ছয়লাপ করে দেয়া যেতো পত্র-পত্রিকা-টিভি! হায়, স্বপ্ন... স্বপ্ন...

মিতকথন


১. 
নাস্তিক বা মানবতাবাদীরা আস্তিকদের উদ্দেশ্যে কিছু বললেই তাদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে!

তাদের যে 'অনুভূতি' বলে কোনো ব্যাপার বা বস্তু মস্তিষ্কে আছে, আমার এটা বিশ্বাস হয় না। তরবারি দিয়ে মানুষের মাথা কাটা দেখে যারা উল্লাস করতে পারে, তাদের 'অনুভূতি' যে কতোটা কোমল-তরল-স্নিগ্ধ ইত্যাদি ইত্যাদি তা সবারই জানা!

এদের 'ধর্মানুভূতিতে' আঘাত লাগে না; লাগে 'ধর্মতরবারিতে'; আমরা তার প্রতিক্রিয়া দেখতে পাই।

- মাজহারুল ইসলাম

২. 
ওইদিন প্রস্রাব করতেছিলাম। নুনুর অগ্রভাগ মনে হয় পশ্চিম দিকে ছিল। সাথের তাবলিগি বন্ধু হায় হায় কইরা বইলা উঠলো, করস কী? আমি তার লগে সামান্য আধ্যাত্মিকতা মারায়াইয়া কইলাম, তাইলে এমন এক দিকে নুনুটা ঘুরাইয়া দে, যেদিকে আল্লাহ নাই। ব্যাটা কিছুক্ষন চিন্তা কইরা কইল, তুই হালা আমার আগেই বেশ্তে যাবি। 

- হৃদয় রাজ খান

সৃষ্টিতত্ত্ববাদ: ভিত্তিহীন, ভুয়া, ভুঁইফোড়


খুবই সহজ-সরল ভাষা ও যুক্তি ব্যবহার করে (ভিডিওর মাঝখানে দারুণ মজাদার একটি মুহূর্ত আছে) ধুয়ে ফেলা হয়েছে সৃষ্টিত্ত্ববাদকে। মাত্র চার মিনিটের ভিডিও।


হা হা হা


পূর্ণাকারে দেখতে ছবির ওপরে ক্লিক করুন

লিংকিন পার্ক - ২৬


১. 
ধর্ম কেন নৈতিকতার উৎস হতে পারে না, তা দু'মিনিটের ভিডিও দেখে অত্যন্ত সহজভাবে বুঝে নিন। 

২.
ছহিহ ইছলামী চিকিৎছা তরিকা! দৈহিক ও অ-দৈহিক যাবতীয় রোগ-বালাই আসান সম্ভব কোরানপাঠের মাধ্যমে। অ-মুসলিমদের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতি সমান কার্যকরী। দুনিয়ার ডাক্তারদের উপার্জনের দিন শেষ। বন্ধ করে দিতে হবে ওষুধ প্রস্তুতকারী সমস্ত কারখানা। 

৩.
খ্রিষ্টানেরা আমেরিকায় অন্যায্য যে সুযোগ-সুবিধেগুলো পায়, তার একটা ফিরিস্তি।  

৪.
হতাশ হয়ে পড়ি, যখন দেখি, মুসলিমারা ইসলামে তাদের নিম্নশ্রেণীর প্রাণীর স্ট্যাটাস নিয়েই সন্তুষ্ট। মিশরের সংসদ নির্বাচনে এক মহিলা প্রার্থী বলেছে, মেয়েরা পুরুষদের চেয়ে পিছিয়ে আছে বুদ্ধিমত্তায় ও ধর্মপালনে। তাই মেয়েদের যোগ্যতা নেই রাষ্ট্রপরিচালনার। সে শরিয়া আইন প্রবর্তনের পক্ষে, ছেলে-মেয়ের মেলামেশার বিপক্ষে... 

৫.
ইহুদি ইতরামি। নারীরা, তোমরা বসবে বাসের পেছনে। সামনের আসনগুলো পুরুষদের জন্য সংরক্ষিত। 

৬. 
ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ অসম্ভব। কারণ: 1. Humans will never have the cognitive capacity to directly understand anything with infinite powers or qualities. 2. Humans will never have intellectual reasons to indirectly demonstrate the existence of anything with infinite powers or qualities. 3. There are only two kinds of proofs for God: direct understanding or indirect demonstration.
অনুসিদ্ধান্ত: Humans will never have any proofs for God.

৭.
ন্যুড-বিচের কথা তো আমরা সবাই জানি, কিন্তু ন্যুড চার্চ? বিশ্বাস হচ্ছে না? লিংকে একটি ভিডিওও এমবেড করা আছে। 

নাস্তিকেরা রাগী কেন


পৃথিবীর ইতিহাসে ধর্মগুলোর ঘটানো অগণ্য গণহত্যা, নির্যাতন, অত্যাচার, সন্ত্রাস আস্তিকদের চোখে পড়ে না। তবে নাস্তিকেরা নিজেদের অধিকার দাবি করে বা ধর্মগুলোর সমালোচনা করে গলা উঁচিয়ে কথা বললেই তাদের জুটে যায় 'রাগী' খেতাব। বিতর্কের সময় গালিগালাজে অধিকাংশ আস্তিকের সাবলীল দক্ষতার প্রসঙ্গ নয় না-ই তুলি। 

হ্যাঁ, অনেক নাস্তিকই রাগী। তবে তাদের ক্রোধ হানিকর নয়। অন্তত আস্তিকদের ঘটানো অপকর্মের তুলনায় সেটা তো ধর্তব্যের ভেতরেই পড়ে না। 

নাস্তিকেরা রাগী কেন, এ বিষয়ে অতীব অ-সা-ধা-র-ণ ও সরস বক্তব্য রেখেছেন খ্যাতনামা নাস্তিক ব্লগার গ্রেটা ক্রিস্টিনা। আমাদের ক্ষোভের এতো যুক্তিযুক্ত কারণ আছে যে, একটি পূর্ণ বিশ্বকোষ লিখে ফেলা সম্ভব বলে বলেছেন তিনি। আটচল্লিশ মিনিটের অবশ্যদ্রষ্টব্য ভিডিও। মুগ্ধ হয়ে শোনার মতো।

আদমচরিত ০৪৮


লিখেছেন মুখফোড়

গিবরিল আসিয়া হাঁপাইতে হাঁপাইতে কহিল, "শিগগীর আইস, সর্বনাশ ঘটিতেছে!"

আদম খড়শয্যায় অর্ধশায়িত হইয়া সাভিনিবেশে একটি পাতলা পুস্তক পাঠ করিতেছিল, মনোসংযোগে বিঘ্ন ঘটায় সে চটিয়া কহিল, "সর্বনাশের জন্য কিছু বাকি আছে নাকি? আমার যা কিছু ছিল বুঢ়বাক ঈশ্বরের চক্রান্তে মাটি হইয়াছে। মহাপ্লাবনে স্বর্গ ডুবিলেও আমার কিছু আসে যায় না হে গিবরিল!"

গিবরিল কহিল, "তোমার বাড়ির পিছনের বাঁশবাগানটি শয়তান ইজারা লইয়াছে!"

আদম সাবধানে পাতলা পুস্তকটি বালিশের নিচে চালান করিয়া দিয়া কহিল, "বিদ্যালাভের সময় সর্বদাই বিপত্তি ঘটে রে গিবরিল। চল দেখিয়া আসি।"

কয়েক শত গজ পা চালাইয়া নিকটস্থ বাঁশঝাড়ের সমীপে আসিয়া দুইজনে দেখিল, শয়তান আরও কতিপয় স্বর্গদূত সঙ্গে লইয়া ফিতা লইয়া বংশদণ্ডের আকার প্রকার মাপজোক করিতেছে।

আদম হাঁকিয়া কহিল, "সুপ্রভাত বন্ধু! হঠাৎ বাঁশঝাড়ে? বলি মতলবখানা কী?"

শয়তান ডাক শুনিয়া পিছু ফিরিয়া আদমকে দেখিয়া মধুর হাস্যে কহিল, "সুপ্রভাত আদম! ভাবিলাম, অনেক তো হইল, এইবার কৃষিকাজে মন দেই।"

গিবরিল ফুঁসিয়া কহিল, "বাঁশ কবে কৃষিখাতের অন্তর্ভুক্ত হইল?"

শয়তান স্মিত মুখে কহিল, "মেসোপটেমিয়ায় কিছু জমি কিনিয়াছি হে বার্তাবাহক শ্যালকপুত্র। শুনিয়াছি আগামীর জগত কনস্ট্রাকশনের জগত। চারিদিকে সেতু বাঁধ দালান রাজপথ নির্মাণ হইবে। তখন বাঁশের চাহিদা বিপুল বাড়িবে। তাই আগেভাগে ব্যবসার পথ সুগম করিতেছি।"

আদম গিবরিলকে কহিল, "চল গিবরিল, শুনিলেই ত। চিন্তার কিছু নাই।"

শয়তান পকেট হইতে একটি চশমা আর একটি ভার্নিয়ার ক্যালিপার্স বাহির করিয়া কহিল, "তিষ্ঠ আদম। আসিয়াই যখন পড়িয়াছ, তখন তোমার গুহ্যদ্বারের ব্যাসখানা মাপিয়া লই।"

আদম কহিল, "আমার গুহ্যদ্বারের ব্যাস মাপিয়া তুমি কী করিবে?"

শয়তান সহাস্যে কহিল, "কৃষিকাজে প্রচুর তথ্য লাগে আদম। কয় মিলিমিটার বৃষ্টিপাত ঘটিবে, কয় কিলোমিটার বেগে হাওয়া চালাইবে, কত ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকিবে, আদমের গুহ্যদ্বারের ব্যাস কত ... এ সবই গুরুত্বপূর্ণ কৃষিতথ্য।"

আদম স্কন্ধ ঝাঁকাইয়া কহিল, "বেশ, তোমার উপকারে লাগিলে মাপিয়া লও।" এই বলিয়া সে আপেলপত্রে কৌপীনখানি নামাইয়া সম্যক আয়োজন করিয়া দাঁড়াইল।

শয়তান নিপুণ হস্তে আদমের গুহ্যদ্বারে ক্যালিপার্স প্রবিষ্ট করিয়া মাপজোক লইয়া খাগের কলম দিয়া প্যাপিরাসের চোথায় সকলই টুকিয়া রাখিল।

আদম কহিল, "তোমার কৃষিকাজে আমার কোন ক্ষতি হইবে না তো হে শয়তান?"

শয়তান মধুরঞ্জিত কণ্ঠে কহিল, "তোমার ক্ষতি হয়, এমন কোন কাজ শয়তান করিবে না হে আদম। লিচ্চিন্তে থাক।"

গিবরিল ফিরিবার পথে আদমকে কহিল, "লক্ষণ ভাল ঠেকিতেছে না হে আদম। তুমি সাবধানে থাকিও।"

আদম চটিয়া কহিল, "তুমি একটি নৈরাশ্যবাদী মূর্খ হে গিবরিল! শয়তান নিজেই কহিতেছে সে আমার কোন ক্ষতি করিবে না, আর তুমি তখন হইতে বকবক করিয়াই চলিতেছ! তোমার জ্বালায় শান্তিতে একটি বেলা নিরিবিলি গুপ্তকোষ পাঠ করিতে পারি না। যাও তুমি তোমার আপন কাজে!"

গিবরিল হতাশ হইয়া উড়িয়া গেল।

পরদিন গিবরিল আসিয়া সক্কাল সক্কাল পুনরায় আদমের দুয়ারে টোকা দিল। আদম দুই মিনিট পর হাঁপাইতে হাঁপাইতে আসিয়া কহিল, "কী বারতা কহ।"

গিবরিল কহিল, "সর্বনাশ ঘটিতে চলিতেছে আদম! শিগগীর আইস!"

আদম কহিল, "আবার কী সর্বনাশ? মহাপ্লাবন ঘটিবে নাকি? নোয়ার নাওখানায় আলকাতরা মাখাইতে বল তোমার ঈশ্বর কর্তাকে।"

গিবরিল কহিল, "শয়তান তোমার বাঁশঝাড়ের বাঁশ কাটিতে শুরু করিয়াছে!"

আদম বিরক্ত হইয়া কহিল, "চল দেখিয়া আসি।"

কয়েক শত গজ পা চালাইয়া দুইজনে বাঁশঝাড়ের সমীপে আসিয়া দেখিল, শয়তান ও তাহার সাঙ্গোপাঙ্গোবৃন্দ মহোৎসাহে বংশ কর্তন করিতেছে। চারিদিকে স্তুপাকৃতি বংশকাণ্ড।

আদম হাঁকিয়া কহিল, "সুপ্রভাত শয়তান! তোমার কৃষিকাজ দেখি ব্যাপক জোরেসোরে আগাইতেছে! ঘটনা কী?"

শয়তান মুখ তুলিয়া দংষ্ট্রাকরাল এক হাসি উপহার দিয়া কহিল, "তা আগাইতেছে বটে! সামনে বাণিজ্যের মৌসুম। সময় থাকিতে বাঁশ কাঠ কাটিয়া গুছাইয়া রাখিতেছি। ঠিকাদারেরা দুইদিন পর চিলুবিলু করিয়া মক্ষিকার ন্যায় ছাঁকিয়া ধরিবে, দেখিও।"

গিবরিল ফুঁসিয়া কহিল, "ঠিকাদারেরা কবে হইতে চোখা বাঁশ ফরমায়েশ করিতেছে?"

শয়তান একটি দাও দিয়া বাঁশ ছাঁটিয়া অগ্রভাগ সূক্ষ্ম করিতেছিল, গিবরিলের প্রশ্ন শুনিয়া সে মিষ্টি হাসিয়া কহিল, "পেলব বাঁশ নির্মাণের কাজে কমই আসে ওহে হরকরার ছাও! আগেভাগে এক মাথা চোখা করিয়া মূল্য সংযোজন করিয়া রাখিতেছি।"

আদম গিবরিলের পানে ফিরিয়া কহিল, "দেখিলে তো? চিন্তার কিছু নাই। কৃষিকাজ আর ব্যবসা চলিতেছে। চল আমরা যাই।"

শয়তান গলা খাঁকরাইয়া কহিল, "ওহে আদম, আসিয়াই যখন পড়িয়াছ, তখন তোমার গুহ্যদ্বারের ব্যাসখানি পুনরায় মাপাইয়া লইতে দিবে নাকি?"

আদম বিস্মিত হইয়া কহিল, "গতকল্যই না এক দফা মাপিলে?"

শয়তান সুমিষ্ট হাসিয়া কহিল, "কৃষিকাজে তথ্য হালনাগাদ রাখিতে হয় হে আদম। তাছাড়া গতকল্য তোমার গুহ্যদ্বারের ব্যাস আর আজিকে তোমার গুহ্যদ্বারের ব্যাসে যে আকাশ পাতাল ফারাক দেখা দিবে না, তাহা কে বলিতে পারে?"

আদম কহিল, "তা বেশ তো, তোমার উপকারে লাগিলে মাপিয়া লও।" এই বলিয়া সে কৌপীন উঁচু করিয়া সম্যক আয়োজন করিয়া দাঁড়াইল। শয়তান নিপুণ হস্তে ক্যালিপার্স প্রবিষ্ট করিয়া মাপজোক লইল। তাহার পর সেই ক্যালিপার্স দ্বারা হস্তধৃত বংশদণ্ডের সূক্ষ্ম প্রান্তটির অগ্রভাগে কী যেন মাপিতে লাগিল।

আদম কহিল, "তোমার কৃষিকাজে আমার কোন ক্ষতি হইবে না তো হে শয়তান?"

শয়তান নিক্কণমধুর কণ্ঠে কহিল, "তোমার অনিষ্ট হয়, এমন কোন কাজ শয়তান করিবে না হে আদম। লিচ্চিন্তে থাক।"

গিবরিল ফিরিবার পথে আদমকে কহিল, "লক্ষণ ভাল ঠেকিতেছে না আদম। সাবধানে থাকিও!"

আদম ক্ষেপিয়া কহিল, "তুমি সবকিছুতেই কেবল দুর্লক্ষণ দেখ হে গিবরিল! শয়তান নিজে কহিল সে আমার কোন অনিষ্ট করিবে না, আর তুমি সেই তখন হইতে ঘ্যানাইতেছ! যাও তুমি তোমার আপন কাজে, আমি বাড়ি গিয়া একটু শান্তিসহকারে বড়দের ব্যায়াম করি!"

গিবরিল ব্যাজার হইয়া উড়িয়া গেল।

পরদিন প্রত্যুষে আদমের কুটিরের দুয়ারে ঘা পড়িল। আদম দরজা খুলিয়া দেখিল, শয়তান দণ্ডায়মান। হাতে একটি সুতীক্ষ্ণ বংশদণ্ড। অদূরে দণ্ডায়মান গিবরিল।

আদম কহিল, "কী ঘটনা শয়তান? বায়সও নিদ্রিত এখন, আর তুমি এইবেলা আমার বাড়িতে? বাঁধ ভাঙিয়া কোথাও মহাপ্লাবন ঘটিল নাকি? নোয়ার নাওখানার নোঙর উত্তোলন করিয়াছে নাকি কেউ?"

শয়তান মধুর হাসিয়া কহিল, "কিছু তথ্য দরকার আদম। তুমি কি অনুগ্রহ করিয়া তোমার কৌপীন নামাইয়া তোমার গুহ্যদ্বারটি প্রস্ফূটিত করিয়া ঘুরিয়া দাঁড়াইবে কিয়ৎক্ষণের জন্য? আমি কিছু তথ্য লইয়াই প্রস্থান করিব, বেশি সময় লাগিবে না।"

আদম কহিল, "তোমার এই কৃষিকাজে আমার কোন ক্ষতি হইবে না তো হে শয়তান?"

শয়তান বীণাবিনিন্দিত মধুর কণ্ঠে কহিল, "তোমার ব্যথা লাগে, এমন কোন কাজ শয়তান করিবে না হে আদম। লিচ্চিন্তে থাক।"

আদম কহিল, "তা বেশ তো, তোমার উপকারে যদি লাগে, আপত্তি কী?" এই বলিয়া সে কৌপীন খুলিয়া ঘুরিয়া সম্যক আয়োজন করিয়া দাঁড়াইল।

গিবরিল নক্ষত্রবেগে উড়িতে উড়িতে ঈশ্বরের দরবারে গিয়া সিংহদ্বারে ঘা মারিতে মারিতে আর্তনাদ করিয়া কহিল, "জাঁহাপন, দরওয়াজা খুলুন! শয়তান আদমকে ধরিয়া পোন্দাইতেছে, আদমের কোনো হুঁশই নাই!"

ঈশ্বর এক পেয়ালা চা হাতে প্রসন্ন বদনে দরজা খুলিয়া কহিলেন, "কী ব্যাপার গিবরিল, তুমি এই ফজরের ওয়াক্তে সক্রিয় যে?"

গিবরিল সাশ্রুনয়নে কহিল, "শয়তান আদমকে পোন্দাইতেছে খোদাবন্দ! অথচ আদম ইহা অনুধাবনও করিতে পারিতেছে না! সে আপনা হইতেই কৌপীন খুলিয়া ঘুরিয়া দাঁড়াইতেছে প্রত্যহ!"

ঈশ্বর সুমধুর হাসিয়া কহিলেন, "আমি কী করিব বল? ইহা তাহাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়!"

নারীপ্রহার বজায় রাখার সপক্ষে মমিন-মিছিল


নিশ্চয়ই ইসলাম নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মানিত স্থান।

মালদ্বীপে নারীদেরকে বেত্রাঘাত করে শাস্তি দেয়ার প্রথা রহিত করার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের মুখপত্র সেখানকার মুসলিমদের শত্রু বনে গেছেন। মমিনরা মিছিল করে প্রতিবাদ করছে। নারীপ্রহারের বিনোদনী দৃশ্য দেখা থেকে বঞ্চিত তারা হতে চায় না। 

প্রসঙ্গত বলে রাখা প্রয়োজন, মালদ্বীপের রাষ্ট্রীয় ধর্ম ইসলাম এবং অন্য যে কোনও ধর্মের চর্চা সেখানে নিষিদ্ধ। 

শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১১

ইসলামী ইতরামি: বারোখানা


১.
'আমার পুত্র আগে ছিলো সাধারণ আমেরিকানের মতো। কিন্তু যখনই সে ইসলাম গ্রহণ করলো, সে বদলে গেল', বলেছেন সন্ত্রাসী সন্দেহে গ্রেপ্তারকৃত ধর্মান্তরিত মুসলিমের মা।

২. 
একটি পুরনো ভিডিও - তবে ইসলামী ইতরামির উৎকৃষ্ট একটি উদাহরণ। দেখুন ও নয়ন-মন সার্থক করুন।

৩.
একুশ বছর ধরে সেটি ছিলো আহমেদিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের মসজিদ, হঠাৎ করে অনুমতি সংক্রান্ত নীতিভঙ্গের অভিযোগে তা বন্ধ করে দেয়া হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো ইসলামী রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায়।

৪.
ইসলামী সন্ত্রাসীদের জন্য অর্থসংগ্রহ প্রবাসী সাচ্চা মুসলিমদেরই কাজ।

৫. 
কনসার্ট শুরু অপেক্ষায় জনতা। সেই সময় তেড়েফুঁড়ে স্টেজে উঠে এলো অনাহুত এক মোল্লা। 'সঙ্গীত শয়তানের সৃষ্টি, অতএব তা পাপময় এবং সে কারণে ইসলামে হারাম' - এই ঘোষণা দিয়ে সে গেঁড়ে বসলো স্টেজে। ফল হলো এই যে, পণ্ড হয়ে গেল সেই কনসার্ট।

৬. 
নারী ধর্ষিতা হয়েছে? ইসলামী বিচার: হয় তাকে বারো বছর জেল খাটতে হবে, নয় বিয়ে করতে হবে ধর্ষককে।
(লিংক: হাঁটুপানির জলদস্যু)

৭. 
ইলেকট্রিক কেবল চুরি করার দায়ে এক তরুণের হাত কেটে ফেলা হয়েছিল, পরে প্রচুর রক্তক্ষরণের ফলে সে মারা যায়। কিছুই করার নেই। নিখুঁত ইসলামী বিচার। চোরের হাত কেটে দেয়ার বিধান কোরানেই আছে।

৮. 
মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলে অন্য ধর্মাবলম্বীরা সেখানে সুখে থাকবে, সেটা সম্ভব নয়। টাইম পত্রিকার রিপোর্ট।

৯. 
চেচেন কবিকে হত্যা করেছে স্থানীয় বিচ্ছিনতাবাদীরা। তাঁর কবিতা তাদেরকে ক্ষুব্ধ করেছিল।

১০. 
বয়ফ্রেন্ড থাকার অপরাধে নিজের তিন কন্যাকে হত্যাকারী পিতা বলেছে, তারা যদি আরও একশোবার পুনরুজ্জীবিত হয়ে ওঠে, সে তাদের একশোবারই খুন করবে। কারণ তারা ইসলামের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।

১১. 
জার্মান বয়ফ্রেন্ড ছিলো বলে নিজের বোনকে হত্যা করে তৃপ্তিলাভ করেছে আরেক মুসলিম। আমি একবিন্দু বাড়িয়ে বলিনি। সে তৃপ্তিলাভের কথাই বলেছে। ভিডিওতে দেখুন।

১২. 
পাকিস্তানী তালিবান ও আল কায়েদার যৌথ কৃতিত্বে গত সাড়ে চার বছরে নিহত হয়েছে কম পক্ষে পঁয়ত্রিশ হাজার ব্যক্তি। 

হত্যাই যখন মোনাজাতের সমান


ইহুদিহত্যা মোনাজাতের সমান। ইহুদিদের হত্যা করার মাধ্যমে আল্লাহর নিকটতর হওয়া যায়।

স-সাবটাইটেল ভিডিও। সঙ্গে ট্র্যান্সক্রিপ্টও দেয়া হলো।


Praise be to you, our Lord. You have made our killing of the Jews an act of worship, through which we come closer to you. 

[…] 

Allah's prayers upon you, our beloved Prophet [Muhammad]. You have made your teachings into constitutions for us – the light with which we dissipate the darkness of the occupation, and the fire with which we harvest the skulls of the Jews. 

[…] 

Yes, our beloved brothers, even though the entire world moves closer to Allah through fasting, through hunger, and through tears, we are a people that moves closer to Allah through blood, through body parts, and through martyrs. 

[…] 

Oh sons of Palestine, oh sons of the Gaza Strip, oh mujahideen – wage Jihad, wreak destruction, blow up and harvest the heads of the Zionists. Words are useless by now. The lie of peace is gone. Only weapons are of any use – the path of [recently killed] Yousuf and Ali, the path of martyrdom and Jihad. Only our wounds talk on our behalf. We speak nothing but the language of struggle, of Jihad, or rockets, of bombs, of cannons and of martyrdom-seekers. This is the language in which we talk and negotiate with the Zionist enemy. 

[…] 

We say to the Zionists: Like a bad seed, we shall uproot you from our land, so that it can blossom in the light of the everlasting sun of our Jihad, and of our invincible religion. Jerusalem is not yours – get out of it! Haifa is not yours – get out of it! Tel Aviv is not yours – get out of it! Oh Zionists, get out before we expel you. these are the words of the mujahideen. 

অবর্ণিত পংক্তিমালা - ০৪


লিখেছেন অবর্ণন রাইমস

১০. 
একদা মফিজ কহিয়াছিল, সূর্য পৃথিবীর চারিপাশে ঘুরে। আমরা গম্ভীরমুখে তাহাকে কহিলাম, না বৎস, সূর্যের চারিপাশে পৃথিবী ঘুরে। মফিজ আমাদিগের কতকের গলা কাটিল, কতককে আগুনে পোড়াইল, কতককে ফাটকে পুরিল। তবে শেষরক্ষা হইল না। মফিজ স্বীকার করিল যে, সূর্যের চারিপাশে পৃথিবী ঘুরে। তবে একইসাথে যোগ করিল, সে বিশ্বাস করে পৃথিবীর চারিপাশে সূর্য ঘুরে। বিশ্বাসের উপর তো কোনো কথা নাই, তাই না?

কয়দিন আগে মফিজ বলিয়াছে, বিবর্তনবাদ ...ঠিকাসে, তবে সে বিশ্বাস করে আদম-হাওয়া হইতে মানুষ আসিয়াছে। বিশ্বাসের উপর তো কোন কথা নাই, তাই না? 

মফিজ কহিল, চৌদিআষভ দেশে গমন করিলে ঐদেশের আইন মানিয়া মুণ্ডুচ্ছেদ প্রথা মানিয়া লইতে হইবে। এর বিপক্ষে কোনো আন্দোলন করা চলিবে না। তবে তার বিশ্বাসমতে, ফ্রান্সে গেলে সেই দেশের আইনের বিপক্ষে আন্দোলন করিয়া শরিয়া আইন কামনা করা যায়েয আছে।

মফিজের "বিশ্বাস" বড়ই আজব এক বস্তু।

১১. 
মানুষের স্বাভাবিক ধর্ম মানবতা। সেই স্বাভাবিক ধর্মের কোনো বই নেই, মোল্লা-পুরুত-যাজক নেই, কোনো অযাচিত চোখ রাঙানি নেই। মানবতা শেখায় মানুষের মতো আচরণ। যে অস্বাভাবিক ধর্ম মানুষকে অন্য মানুষের হাত কেটে ফেলতে বলে, সে দেখে না ক্ষুধার জ্বালায় সেই মানুষটি চুরি করতে গিয়েছিলো কি না। যে ধর্ম সংশোধনের বদলে প্রতিশোধ নিতে শেখায়, মানবিকতার বদলে হিংস্রতা শেখায়, সে পিশাচের ধর্ম হতেও পারে, মানুষের ধর্ম কখনোই নয়।

১২. 
আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন আসে। একশটা লোকের মাথায় প্রশ্ন আসে। সত্তুরজন ধর্মে বিশ্বাস হারানোর ভয়ে প্রশ্নটাকে মনের গহীনে ডুবিয়ে দেয়। আরো ত্রিশজন প্রশ্নটা পাশের মানুষের কাছে জানায়। পাশের জনের চোখ রাঙানি খেয়ে বিশজনের প্রশ্নই চাপা পড়ে যায়। বাকি দশটা মানুষ নিজেই উত্তর খুঁজতে থাকে। এবং আশার কথা, উত্তর তারা খুঁজে পায়। মানুষের বিজ্ঞান, সাহিত্য, দর্শন আর সঙ্গীত, প্রতিদিন আরো বেশি মানুষের মনে প্রশ্নের বুদবুদগুলোর জন্ম দিচ্ছে। কাল্পনিক ঈশ্বরের রূপকথার দিন আর খুব বেশি সময়ের নয়।

পৃথিবীর ১.১ বিলিয়ন মানুষ আজ ধর্মের নিগড় থেকে বেরিয়ে এসেছে। মানুষ আরো প্রশ্ন করতে শিখুক, চাওয়া এই একটাই।

বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১১

সে কথা রাখেনি


আজম খানের খুব জনপ্রিয় একটা গান ছিলো: আসি-আসি বলে তুমি আর এলে না...
কিশোর কুমারেরও একটা দারুণ গান ছিলো: সে তো এলো না...
আশা ভোঁশলেরও দুর্দান্ত একটা গান ছিলো: কথা দিয়ে এলে না...

যিশু আবার ফিরে আসবে বলেছিল। তার মৃত্যুর পরে হাজার দুই বছর কাটলো, সে কথা রাখেনি। যদিও সে 'এই এলো' বা 'আসছে' শোনা গেছে অগণ্যবার। কিন্তু কতো ধর্মবাজের কতো ভবিষ্যদ্বাণী ডাস্টবিনে নিক্ষিপ্ত হয়েছে, যিশু আর ফিরে আসেনি।

সে কেন ফিরছে না, সে বিষয়ে একটি খুব মজাদার গান শুনলাম। গানটির সুর নেয়া হয়েছে বিটলসের ড্রামবাদক রিংগো স্টারের গাওয়া It don't come easy থেকে। এ প্রসঙ্গে স্মর্তব্য, এই গানটি তিনি ১৯৭১ সালে কনসার্ট ফর বাংলাদেশ-এ গেয়েছিলেন। নিচের ভিডিও দেখার আগে এই গানটি শুনে নেয়াই উচিত হবে। গানটির শুরুতে এবং বিশেষ করে শেষে দর্শকদের হর্ষধ্বনি লক্ষ্য করার মতো।


বাল্যকালীন মগজ ধোলাই


পাঠিয়েছেন থাবা বাবা

মগজ যখন অপরিপক্ক, তখনই সেটির ওপরে ধোলাইকর্ম চালানোর শ্রেষ্ঠ সময়।


তবে মগজধোলাইয়ের সুদূরপ্রসারী প্রতিক্রিয়া একেবারেই বিরল নয়। একটি উদাহরণ। পুরাই অ্যাডাল্ট ছবি। তাই লিংকে ক্লিক করার আগে ইমোটা খিয়াল কৈরা!

জায়িদ কথন - ০১


পড়তে হবে পুঁথিপাঠের সুরে। পুঁথিপাঠের সুর সম্পর্কে ধারণা নেই? এখান থেকে শুনে নিন। 

লিখেছেন নাসির আবদুল্লাহ 

আআআআআ, আই আই, আই আই, আই আই-
উরপে-নিচে-আগে-পিছে যত মানুষ জন
মম্মদ মিয়ার ইস্কি-ফিলিং শুনেন দিয়া মন;
কন্যায় জয়নব বিবি

কন্যায় জয়নব বিবি, বদের ঢিবি ফিক্কির ফিক্কির হাসে
তাইনা দেখে মম্মদ মিয়ার লুঙ্গি জলে ভাসে
বলেন চুভান লাল্লা

বলেন চুভান লাল্লা তেনার লিল্লা বুজা বড়ই দায়
সরল পথের কথা কইয়া, ব্যাকা পথে যায়
নাসের মরে লাজে

নাসের মরে লাজে চোখের মাঝে, মম্মদেরো লিলা
জয়নবেরো দৃষ্টিবানে ঈমান ওইলো ঢিলা,
বলেন ছি ছি

বলেন ছি ছি, বলে কি, তাও কি ওইতে পারে?
আল্লার রসুল মম্মদ মিয়া কেমনে তাহা করে?
যতই ছি ছি

যতই ছি ছি আমার কি? হাচা কতা কই
জয়নবেরো শইলের লাগি মম্মদ লিখছে বই,
শুনেন মোনো দিয়া।

শুনেন মোনো দিয়া, জায়িদ মিয়া- সুবোধ বালক ছিল
পিতা মাতা হারায় জায়িদ বড়ই অসায় হইল
ব্যথায় ভরে হিয়া

ব্যথায় ভরে হিয়া মম্মদ মিয়া বাঞ্ঝা (বন্ধ্যা) আছিল,
তারি লাগি ওরসে তাহার পুত্র-কন্যা না আসিল
বলেন নাউযুপিল্লাহ!

বঅঅঅলেন নাউযুপিল্লাহ, কাফের হইলা নাসের মিয়াগন,
খাদিজারো বুদ্দি-কলে, জায়িদের হইলো আগমন
মম্মদ মুচকি হাসে

মম্মদ মুচকি হেসে ভালবেসে জায়িদেরে পুত্র ডাকিল,
এতিম বালক বাপ ডাকিয়া নিজের পরানো জুড়াইল
বলেন আলামুলিল্লাহ...

ধর্মহীন ধরাধাম - শ্রেয়তর ধরাধাম


ধর্ম না থাকলে এ বিশ্ব শ্রেয়তর হতো - এই বিষয়ক বিতর্কের সপক্ষে ব্রিটিশ দার্শনিক A.C. Grayling-এর আড়াই মিনিটের বক্তৃতা। স্রেফ অনবদ্য। বিশেষ করে 'মডারেট ধার্মিক" প্রসেঙ্গ তাঁর বক্তব্য বড়োই কৌতূহলোদ্দীপক। 

ইউটিউবে এই ভিডিওর নিচে একজন মন্তব্য করেছে: He's a polite Hitchens


বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১১

নারী কাব্য

লিখেছেন থাবা বাবা

নারী শষ্য নারী কর্ষ 
নেই তো নারীর বিষাদ-হর্ষ,
পুরুষ হবে অগ্রগণ্য
নারী তারই ভোগ্যপণ্য!!

নারী মাতা, নারী ত্রাতা, 
হেঁসেল ঠেলে খাদ্যদাতা।
খেয়ে পুরুষ পেটটি ভরে
খোদার কাছে শোকর করে!!

বন্দী থাকো ঘরে নারী 
হেঁসেল তোমার মিতা,
আদর্শ হও তাদের মতো
দ্রৌপদী ও সীতা!!

নারী হলো নরকেরই দুয়ার, 
নারী হলো সকল পাপের খনি;
কিন্তু পুরুষ মক্কাতে যায় হজে,
গিয়ে সেথায় চাটে লাতের যোনী!!

থাকবে নারী ঘরের ভেতর বন্দী 
নিষিদ্ধ সব সঙ্গ পুরুষ জীবের,
কিন্তু তাতে নেই তো কোনো মানা
যত্ন করে পূজোয় লিঙ্গ শিবের!! 

দু'টি বিবর্তন-সঙ্গীত


প্রথম ভিডিও ডারউইনকে নিয়ে। দ্বিতীয়টি বিবর্তন বিষয়ে। দুটোতেই চমৎকার অ্যানিমেশন।



বাঙালি মুসলিমমানস

লিখেছেন অমিয় উজ্জ্বল

আসলে বাঙালি মুসলমানের মন বড় অদ্ভুত। সে একই সাথে অনেক কিছু চায়। 
  • সে লিবারেলিজম চায়, আবার ইসলামও চায়। 
  • সে ইংরেজি চায়, আবার মাদ্রাসাও চায়। 
  • নারী চায়, হেজাবও চায়। 
  • সুদ চায়, আবার ইসলামিক ব্যাংকিং চায়।
  • ঘুষ চায়, হজ্ব চায়। 
  • গীতবিতান, আমপারা, কোরান শরীফ, হারমোনিয়াম সবই তার ড্রইংরুমে চায়। 
  • তরুণী-মুখো পাখাওয়ালা বোরাক, কাবাঘর, তীরবিদ্ধ দুলদুল, শাহরুখ, মাধুরী, সালমান শাহ সব ছবিরই তার কাছে সমান কদর। 
  • মক্কা চায়, মুম্বাইও চায়। 
  • পিস টিভি চায়, স্টার প্লাস চায়, এইচবিও-ও চায়। 
  • লাদেনকে বাহবা দেয়, গাদ্দাফিকে বাঘের বাচ্চা বলে, তবে পাত্র খোঁজে আমেরিকান গ্রীনকার্ডধারী। 
  • “দেশি মডেল” “হটি জোকস” পেইজে লাইক দেয় আবার “ইসলামিক লাইফ” পেইজেও লাইক দেয়। 
  • ১৮ প্লাস পোস্ট এবং নবীজির স্মৃতি বিজড়িত স্থান সমূহের ছবি সম্বলিত পোস্ট দুটোতেই সমান হুমড়ি খায়। 
সূত্র: আসিফ মহিউদ্দীনের এই পোস্টের চার নম্বর মন্তব্য
~~~~~~~~~~~~~~~~~

ধর্মকারীর পাঠকেরা, আসুন, আমরা এই ফিরিস্তিতে আরও কিছু যোগ করার উদ্যোগ নিই। আমি একটা দিলাম: 
  • মদ্যপানের মওকা সে ছাড়ে না, আবার জমজমের পানিও তার চাই। 

মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০১১

ইসলাম - অবলা নারীর রক্ষক


ইসলাম নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান। নারীর প্রতি ইসলামের বিশেষ দায়িত্ব। তাকে পদে পদে নজরে রাখা, তার সমস্ত আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা পুরুষের কর্তব্য। কারণ নারীরা হচ্ছে ভেড়ার পাল এবং পুরুষেরা মেষপালক। ঠিক এই ভাষাই ব্যবহার করেছে নারীজাতির মঙ্গলকামী মোল্লা। 

পুরুষ-ডাক্তারের কাছে যাবার অধিকার তার নেই, ট্যাক্সিতে চড়া নিষিদ্ধ যদি পুরুষ-ড্রাইভার তাতে একা, যেসব পুরুষের সঙ্গে নারীর বিয়ে হবার তত্ত্বগত সম্ভাবনা রয়েছে, তাদের কারুর সঙ্গে একা তাকে থাকতে দেয়া যাবে না, ক্ষুধার্ত হলেও পিৎসা বা ওই জাতীয় কোনও খাদ্য অর্ডার দেয়া তার জন্যে হারাম যদি সে বাসায় একা থাকে, সন্তানের পুরুষ-শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করার অধিবার তার নেই, পুরুষ-কর্মচারীর সঙ্গে হাসি-ঠাট্টার প্রশ্নই আসে না, পুরুষ-নারীর অর্ধউলঙ্গ ছবি সম্বলিত পত্রিকা নারীকে পড়তে দেয়া যাবে না...

এভাবে কি নারীর ওপরে জোর-জবরদস্তি করা হচ্ছে? হরণ করা হচ্ছে তাদের স্বাধীনতা? মোটেও তা নয়, এভাবে নারীজাতিকে পুরুষ রক্ষা করছে কুকর্ম থেকে, বিপজ্জনক পরিপার্শ্ব থেকে...

বলেন, সোবহানাল্লাহ।


পোঁদ-উন-নবী


আরও স্পষ্ট করে দেখতে ছবির ওপরে ক্লিক করুন

পূর্বে প্রকাশিত প্রাসঙ্গিক পোস্ট। অবশ্যদ্রষ্টব্য।

লিংকিন পার্ক - ২৫


১.
ঈশ্বর-বন্দনার অভিনব একটি পন্থা। ছবি দেখুন।
(লিংক: থাবা বাবা)

২.
ভারতীয় নাগা বাবাদের ভিডিও। একটা দেখে শখ না মিটলে সাইডবারে আরও পাওয়া যাবে। 
(লিংক: ভৌমিকদা) 

৩. 

৪.
(লিংক: রাসেল)

৫.
বুখারি শরীফের হাদিসে উল্লেখ আছে: নবীজিকে আল্যাফাক দিয়েছিলেন তিরিশজন পুরুষের যৌনক্ষমতা। প্রাসঙ্গিক ইলাস্ট্রেশন। 
(লিংক: উজ্জ্বল)

৬.
খুব চমৎকার একটা ভিডিও। নাম - দ্য জার্নি অভ লাইফ। 
(লিংক: লাইট ম্যান) 

৭. 
তৈলসমৃদ্ধ ও সে কারণেই ধনী আরব জাহানের তো মূর্তিমান স্বর্গ হবার কথা। তবু কেন যে সে অঞ্চলের ৭০ শতাংশ তরুণ ও যুবক ইহুদি-নাসারা-কাফেরদের দেশে অভিবাসনে যেতে উন্মুখ! 

আমার উপরেও!


লিখেছেন অজাতশত্রু

ওহী নাজিলের পূর্বকথা:

ছোটবেলা থেকেই আমি সঙ্গীতের প্রতি খুব দুর্বল। তাই হারমোনিয়াম আর কীবোর্ড শিখে ফেলেছিলাম। দুই বন্ধু মিলে একটা গানের অ্যালবামের কাজ শুরু করলাম। সেই বন্ধুর কীবোর্ড থাকায় ওর বাসায় গিয়ে কাজ করতে হত। ওর বাসা রাজারবাগের কাছেই। একদিন সন্ধায় ওর বাসায় গিয়ে গানের ধুন তোলার সাথে সাথে আমার বন্ধুটার কাছে তার আরেক বন্ধু আসলো। সে আমাদেরকে বললো, আল্লাহ নাকি গান করতে মানা করেছেন। আমি প্রায় হেসেই ওর বাসা থেকে বের হলাম। রাত হয়ে গিয়েছিলো। গলির ভেতর দিয়ে হেঁটে বড় রাস্তার দিকে যাচ্ছিলাম। তখনই মনে হল, আকাশবাণী হল একটা। নাজিল হল আমার উপর একটা সূরা। কানে এসে কে যেন সূরাটা আমাকে বলল। রাজারবাগে ঘটা ঘটনার জন্য সেটা হল রাজারবাগী সূরা, সূরা মানা-এ-করবানা। 
"আল্লাহ তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। তিনি তোমার প্রতিপালক। তিনি এই পৃথিবীর সকল কিছু সৃষ্টি করেছেন। গান বাজনা নিষিদ্ধ করেছেন। কারণ গান তৈরী করলে সেটা যদি ভালো হয়, মানুষ তা অবশ্যই বারবার গাইবে। বারবার আল্লাহর নাম না নিয়ে সেটা গাইলে আল্লাহর নাম নেয়া কমিয়ে দিবে। গানটা আস্তিক-নাস্তিক সবার কাছে জনপ্রিয় হলে আল্লাহর জনপ্রিয়তা কমবে। এক সময় তার নাম নেয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। হে বিশ্বাসী, আসো, মূত্র বিসর্জন দাও। মূত্রের সাথে দাও এসব গান-বাজনা বিসর্জন। দাও বিসর্জন সে সব বিষয়, যেগুলোর নাম আল্লাহর নামের চেয়ে বেশিবার নেয়া হবে। নবী ইফতির কথা অনুসারে চল। আল্লাহ অবশ্যই তোমাদের উপর ফুচকা বর্ষণ করবেন।"
প্রশ্ন:
প্রশ্ন কর্তা: আপনি ইফতি নবীর সাহাবী, আপনার উপর ওহী নাজিল হল কীভাবে?

উত্তর: আরে ভাই বলেন কী! আমরা তার সাহাবী। আমাদের উপরেও তো নাজিল হবে সূরা, তাই না। আপনি বরছেন ১৪ শত বছরের আগের কথা। তখন তো শুধু রাজকোষের টাকা রাজাই ভোগ করত। আর এখন শুধু রাজনৈতিক দলের প্রধান না, তার সাঙ্গ-পাঙ্গরাও এইসব ভোগ করে। তাহলে সাহাবীদের উপর ওহী নাজিল হবে না কেন?

প্রশ্ন কর্তা: কথা তো খারাপ না!

পুরাই বেপর্দা


পাঠিয়েছেন শয়তানের চ্যালা

আপাদমস্তক ঢাকা কিন্তু পা এর এক অংশ দেখা গেলে মুমিন বান্দাদের মনে যে ধারণা আসতে পারে...