আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ২ নভেম্বর, ২০১১

খোমাখাতার কাবজাব - ০৪


লিখেছেন আসিফ মহিউদ্দীন

১০.
জনৈক মোটামাথা ইসলামপন্থী দাবী করিলেন, নাস্তিকরা দলে-দলে বাপদাদার এত বছরের ধর্ম ত্যাগ করিয়া নাস্তিক হইতেছে, এর কারণ হইতেছে "ছোটবেলা কোন এক অশিক্ষিত মোল্লা/ইমাম কর্তৃক বলাত্‍কারের শিকার হওয়া, সেই থেকে প্রচলিত ধর্মের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি হওয়া। আসলে উহা সহি ধর্ম নহে।"
উপরোক্ত সুত্র মানিয়া লইয়া জিজ্ঞাসা, মুহম্মদ এবং ঈশা কেন বাপদাদার এত বছরের ধর্ম ত্যাগ করিয়া নয়া ধর্ম প্রবর্তন করিলেন? তবে কি উনারাও তত্‍কালীন মোল্লা/পুরোহিতদের দ্বারা বলাত্‍কারের শিকার হইয়া প্রচলিত ধর্মের প্রতি আস্থা হারাইয়া কল্পিত আল্লেশ্বর পয়দা করিয়াছিলেন?

প্রচলিত ধর্মে অনাস্থা এবং ভুলত্রুটির সমালোচনা করা আমাদের দয়াল নবীর সুন্নত। মূলত নাস্তিকরাই দয়াল নবীর পথে আছে, আর ধর্মান্ধরা আছে জাহেলী যুগের ঐ সকল পুরোহিতদের পক্ষে যারা দয়াল নবীকে কষ্ট দিয়েছিলেন মূর্তি পুজার বিরোধিতার জন্য, প্রচলিত ধর্মে অবিশ্বাসের জন্য। নবীগন তো আসলে নাস্তিকদেরই স্বজাতিভুক্ত। পার্থক্য এটাই, নবীগন মূর্খদের সম্মুখে মূলা ঝুলাইয়া কাজ করাইয়াছেন, আর নাস্তিকগন মূলামূলির ভেতরে নাই। 

অতএব "হে বাঙলার নাস্তিককুল, দয়াল নবীর সুন্নত শক্ত করিয়া আকড়াইয়া ধর, সকল ধর্মের কঠোর সমালোচনা কর। নিশ্চয়ই দয়াল নবী তোমাদের পক্ষে আছেন"।

১১.
শুরু থেকেই ধর্মান্ধ শিবির থেকে শুরু করে মেরুদণ্ডহীন মডারেট শ্রেণী আমাকে "খারাপ/মৌলবাদী নাস্তিক" হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। কারণ আমি স্পষ্ট করে কথা বলি।
হ্যা, আমি একজন খারাপ নাস্তিক, আমাকে দজ্জাল বললেও ভুল হবে না। কিন্তু কিছু আলোচনা প্রাসঙ্গিকভাবেই চলে আসে।
জামাতেছলামীর কাছে সেই "প্রকৃত/ভাল আওয়ামী লীগার", যে যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের সাথে কোলাকুলি করে, তাদের বুকে জড়িয়ে ধরে চুম্মা দেয়। জামাতেছলামী খুব লম্বা করে তাকে "ভাল আওয়ামী লীগার" সার্টিফিকেট দেয়। কারণ এই বিশেষ শ্রেনীর দালাল আওয়ামী লীগারের কোনো চরিত্র নেই, কোনো নীতি আদর্শ নেই। তারা ধর্মভিত্তিক রাজনীতিমনস্কদের ভোটের আশায় বিবেক বিক্রি করে, আদর্শ বিক্রি করে। জনপ্রিয়তা রাজনীতিতে খুবই গুরুত্বপুর্ণ, হিজাব দিয়ে-মক্কায় মাথা ঠুকলে এদেশের অশিক্ষিত লোকের ভোট পাওয়া যায়, তা আপনি যত বড় দুর্নীতিবাজই হন না কেন।
একইভাবে ধর্মজীবীরা তাদেরকেই "ভাল" এবং "প্রকৃত" নাস্তিক সার্টিফিকেট দিয়ে পিঠ চাপড়ে দেয়, যারা তাদের বাপদাদার ধর্মব্যবসার পেটে লাত্থি মারে না, বরঞ্চ ধর্ম লালন পালন করে প্রয়োজনে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে। আর ধর্মজীবী ধর্মব্যবসায়ীদের চোখে তারাই খারাপ/মৌলবাদী নাস্তিক, যারা তাদের ধর্মের নষ্টামী মেরুদণ্ড সোজা করে নির্ভয়ে উচ্চারণ করে। যেমনটা করতেন আহমদ শরীফ।

আমি আহমদ শরীফের নখেরও যোগ্য নই, তবে মেরুদণ্ডটা সোজা করে কথা বলতে শিখেছি।
আমার রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ নেই, জনপ্রিয়তার জন্য নিজের নীতি বিসর্জনও দিতে পারবো না। তাতে আপনাদের চোখে "খারাপ নাস্তিক" হিসেবে গণ্য হলে সেটাকেই আমি আমার বিজয় হিসেবে ধরে নিই। আপনার "ভাল"/"প্রকৃত" নাস্তিকের সার্টিফিকেট আপনি আপনার কাছেই রাখুন।

- আপনার ব্যাড়াছ্যাড়া হাস্যকর ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগার আগেই এই খারাপ নাস্তিককে অনুগ্রহ করে এখনই ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে রিমুভ করুন। ধন্যবাদ।

১২. 
আজকাল সকলেই শান্তিবাদীতে পরিণত হচ্ছে। গণহত্যা, নারীধর্ষন, শিশুহত্যা সহ প্রচুর রক্তপাতের মাধ্যমে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্টায় সকলেই বদ্ধপরিকর। 

মানবতা এবং শান্তির ধর্মের নাম করে খৃষ্টান এবং মুসলিমগন তাণ্ডব চালিয়েছে, চালাচ্ছে - তলোয়ার, একে ৪৭ আর চাপাতি মেরে, 'পিস মিসাইল' মেরে মুচকি হাসছে।
গণতন্ত্র এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশ্চাত্য বোমা মেরে জনপদ উধাও করে দিচ্ছে।
৭১-এ শান্তিশৃংখলা কায়েম রাখতে গণহত্যা আর ধর্ষণ করেছে পাক বাহিনী এবং রাজাকাররা।
সরকার শান্তি শৃংখলার উন্নতি করতে পুলিশ দিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালাচ্ছে।

এরা সকলেই ভয়ংকরভাবে শান্তির পুজারী। প্রয়োজনে সব মানুষ হত্যা করে হলেও এরা বিশ্বশান্তি কায়েম করবেই ইনশাল্লাহ।
কিন্তু ভেবে দেখেছেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ এবং রক্তপাত হচ্ছে, "ফাকিং আ ভার্জিন টু সেইভ হার ভার্জিনিটি"?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন