আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১১

কোরবানির প্রকৃত কাহিনী


লিখেছেন নাসির আবদুল্লাহ

পিতা ইব্রাহিম আর পুত্র ইসহাক বাড়ি থেকে বের হয়েছে ধর্ম প্রচার (ভিক্ষা) করতে, পথিমধ্যে তাদের কিছু আলাপ:
- হু হু হু হু হ হ হ হ
- কী অইছে, বাপজান ইসাক? ঘ্যানর ঘ্যানর কর ক্যান? 
- আব্বা, আআআ আবু ঘায়েলের বাইত্তে আইজক্যা গোশত রান্না করছে হুহুহুহু, আগো পোলাপাইন সব গোশত দিয়া খোবুজ খাইতেছে হুহুহুহুহু, আমি আগো কাছে একটু গোশত চাইছিলাম দেইখ্যা অগো এক পোলায় আমারে ঢিলা মারছে... হুহুহুহু।
- (ইব্রাহিমের কইলজ্যার মইদ্দে মোচড় দিয়া উঠল) বাপধন আমার, তুমি চিন্তা কইর না, আমি ত আল্লার নবী (কাম কাজ করি না, ধান্দা পানি কইরা সংসার চালাই, তাই গরীবী কাটে না আমার। ধান্দা না কইরা উপায় বা কী? বয়স হইয়া গেছে ৯৯) আল্লাহ তুমার গোস্ত খাওনের একটা বেবস্তা কইরা দিব। 
- হু হু হু হু আমি গোস্ত দিয়া খোবুজ খামু উউ উউউ উউ।

এমন সময় ইব্রাহিম দূরে তাকাইয়া একটা ছাগল দেখতে পাইল, মনে মনে ভাবল, আল্লাহ দয়া কইরা ছাগলটা তার পোলার লাইগ্যা পাঠাইছে, আবার মনের মধ্যে সংশয় দেখা দিল তার, কার না কার ছাগল পরে যদি প্যাদানি খাইতে হয় তাইলে তো মহাসমস্যা। এদিকে আদরের পুত্রের কান্নায় নিজের কলিজাও ফাইটা যাইতেছে। ইব্রাহিম আকামটা কইরা ফালানোর সিদ্ধান্ত নিয়া ফালাইল... তয় আকামের সাক্ষী রাখতে নাই।

- বাপজান ইসাক! আমার কাছে আইস ত বাপজান, আল্লায় তুমার ওপর খুব খুশি হইছে আর কইছে এই কালো কাপড়ের পট্টি দিয়া যদি তুমার চক্ষু বাইন্দা বসাইয়া রাখি এইহানে কিছুক্ষণ, তাইলে আল্লায় একটা ছাগল দিব কইছে। কী, বাপজান, তুমি রাজি আছ নি?
- হু হু হু হু হু গোস্ত খাওনের লাইগ্যা আমি সব কিছু করতে রাজি হু হু হু।

এইবার ইব্রাহিম কালো কাপড়ের পট্টি দিয়া ইসহাকের চোখ বাইন্ধা তারে বসাইয়া রাইখা কাঁঠাল পাতা দেখাইয়া ছাগলটারে ভুলায়ে-ভালায়ে ধরে জবাই করে ফেলল (খঞ্জর অদের সাথেই থাকত সব সময়)
- এই দেখ, বাপজান, আমার আল্লায় ছাগল এক্কেরে জবাই কইরা পাঠাইয়া দিছে, আল্লাহ তার প্রতিজ্ঞা রক্ষায় দেরি করে না। বলো আলহামদুলিল্লাহ।

জবাই করা ছাগল দেখে আর তার মাংস খাওয়ার আশায় শিশু ইসহাক আমোদিত হয়ে উঠল। আবার এত সহজে ছাগল পাওয়া যায় দেখে সে বাপের কাছে আবদার করে বসল: 
- আব্বা, আমিও নবী হমু, আমারে তুমি নবী বানাইয়া দাও ওওওওওও ।

ছাগল কান্ধে নিয়া বাপ-বেটা বাড়ি ফিরতেছে... ইসহাকের আনন্দের সীমা নাই... ইব্রাহিমের বুক দুরু দুরু কাপতেছে, মনে মনে আকাশ পাতাল ভাবতেছে, পাড়া-পড়শীর কাছে কী জবাব দেওয়া যায়... যত মুশকিল, তত আসান, বুদ্ধি খেলে গেল মাথায় (ওহি নাযেল হল): পাড়া পড়শীর জন্য তিন ভাগের এক ভাগ (পাড়া পড়শী ঠাণ্ডা), মিসকিন-মুসাফিরের জন্য তিন ভাগের একভাগ (যারা কৌতূহলী হয়ে পুত্র জবাই করার ঘটনা জানতে আসবে দূর-দুরান্ত থেকে তাদের জন্য... তারা সব ঘটনা শুনার পর এক টুকরা আধ টুকরা করে মাংস টেস্ট করাইয়া দিলে, তারাও ঠাণ্ডা)... তিন ভাগের একভাগ নিজের জন্য (ভাগ তো ইব্রাহিম নিজেও করছে... তিন ভাগ কথার কথা! আল্লাহ তো ছাগল পাঠাইছে নবী আর নবীর বংশধরদের জন্য, পুরাটা সাবাড় কইরা দিলে দোষ কী? এটা নবীদের বিশেষ অধিকার, সকলের জন্য না)। 

* তোমাদের ডিএনএ-র কসম, যাকে আল্লাহতালা অত্যন্ত সুবিন্যস্ত করেছেন, উপরের ঘটনা আমার কাছে ওহির মাধ্যমে নাযিল হইছে এবং তা ১০০% ভাগ সত্য। 
** চক্ষু-কর্ণ থাকিতেও যাহারা অন্ধ আর বধির, তুমি তাদেরকে বল আর নাই বা বল, তারা তোমাকে বিশ্বাস করবে না; আল্লাহ যখন ইচ্ছা যাকে ইচ্ছা ওহি পাঠান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন