আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০১১

মহাকবিরাজ মহানবী – ০৭


লিখেছেন অবর্ণন রাইমস 

নিশ্চয়ই ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান এবং মহানবী নিশ্চয়ই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সর্ব বিষয়ে সার্বিকভাবে জ্ঞানান্বিত ব্যক্তি। আর তাই ইসলামী চিকিৎসাবিজ্ঞানও চির-আধুনিক ও সর্বজনীন। বুঝে পাই না, মুসলিমরা কেন নবী বর্ণিত নানাবিধ চিকিৎসাপদ্ধতি ব্যবহার করে সুন্নত পালনে অনীহ। 

মোমিন বান্দাদেরকে যাতে আর অনৈসলামিক চিকিৎসার পেছনে অনর্থক অর্থব্যয় করতে না হয়, সেই লক্ষ্যে শুরু করা হয়েছে এই সিরিজ। 

চিকিৎসাপদ্ধতি ৭.

বিভিন্ন ধরণের অসুখবিসুখে আমাদের পেয়ারা নবী রুকীয়া-র বিধান দিয়েছেন। 'রুকু'র সাথে গুলিয়ে ফেলবেন না যেন। রুকীয়া হল অসুস্থের সামনে নির্দিষ্ট কিছু আয়াত বলে সেই সুফল কোন না কোনভাবে রোগীর গায়ে পৌঁছে দেয়া। এই 'কোন না কোন' এর শানে নুযুল একটু পরে দেখতে পাবেন।

যাক সেসব কথা। আমরা বিল্লালের গল্পে আসি। বিল্লালকে মনে আছে? সেই পরহেজগার মানুষ, তাবলিগ করে, মানুষের সাথে মিষ্টি করে কথা বলে, ছহীহ এসলামি তরিকায় জীবনযাপন করে। যে বিল্লালকে পছন্দ না করে উপায় নেই।

বিল্লাল কদিন আগে গিয়েছিলো সুনামগঞ্জের এক গ্রামে। তার বোনের শ্বশুরবাড়িতে। আদরের ছোট ভাই। আপু আর দুলাভাই খাতিরের চূড়ান্ত করলেন। পুকুরের তাজা মাছ, বাজার থেকে ফ্রেশ জবাই করা গরুর সিনা, গাছের ডাব, নতুন বিয়োনো গাভীর দুধ, কী নেই? খাতিরে যত্নে বিল্লাল আরামেই আছে।

শহরের ছেলে হাজার হোক। মুনিষের জাল ফেলে ধরা মাছ খেয়ে আর কীইবা মজা পাওয়া যাবে? বিল্লাল সেদিন নিজেই ছিপ নিয়ে পুকুরে গেলো। স্বহস্তে মাছ শিকার হবে। মৎস মারিব, খাইব সুখে। বিল্লালের সঙ্গ নিলো পুরনো ভৃত্য, শানেওয়াজ।

ঘাটে পৌঁছে জুত করে বসল বিল্লাল। ভৃত্যও বোকা হাসি মুখে নিয়ে বসল সাথে। অনেকক্ষণ চলে গেলো, কিন্তু মাছ বাধলো না একটাও। শানেওয়াজ বলল:

- সাব, এই ঘাটলায় মাছ পাইবায় না।

- কেন? পুকুর তো নাকি মাছে ভর্তি।

- তা ঠিক। কিন্তু এইখানে মানুষ বেশি চলে। মাছ থাকে না। মাছ পাইবায় উল্টা দিকে, পানা আর ঝোপ বেশি যেইদিকটায়।

- আচ্ছা ঐদিকেই চলেন।

দুজনে মিলে ঘাটের উল্টোদিকটায় এসে পৌঁছায়। সাথে সাথেই শানেওয়াজের গলা ফাটানো চিৎকার। বাপ রে মা রে! বিল্লাল কয়েকটা সেকেন্ড হতবুদ্ধি হয়ে গেলো। শানেওয়াজ চিৎকার করে চলেছে- সাপে কেটেছে তাকে। সেই হেঁড়ে আর্তনাদ শুনে বাড়ি থেকে লোক ছুটে আসতে শুরু করল। কয়েকজন এসে ঘিরে ধরল তাদের। তাদের হৈচৈয়ে রীতিমত নরক গুলজার। কেউ বলে ওঝা লাগবে, কেউ বলে পায়ে কেটেছে- কাটার ওপরে গামছা দিয়ে বেঁধে দাও। এইসব হৈহল্লার মাঝে, বিল্লালের মাথার কোণে স্মৃতির বাতি ঝলসে উঠলো। সাপে কাটার চিকিৎসা তো সে জানে।

- সবাই চুপ! হুঙ্কার ছাড়ে বিল্লাল। জনতা থমকে যায়।

- সাপে কাটার নিদান জানি আমি। আপনারা হৈ চৈ করবেন না। যা করার করছি। ধৈর্য ধরেন।

জনতা ধৈর্য ধরে। বিল্লাল বিড়বিড় করে কি যেন পড়ে, তারপর থুতু ছুঁড়তে শুরু করে শানেওয়াজের গায়। কাতর আর আতঙ্কিত শানেওয়াজ হঠাৎ থুতু আক্রমণ অনুভব করে কিছুক্ষণের জন্য স্তব্দ হয়ে যায়। জনতাও তথৈবচ। এই অবস্থায় বিল্লাল মানুষটার গায়ে থুতু দিচ্ছে!!

এর মধ্যে দুলাভাই ভিড় ঠেলে সামনে এসে পৌঁচেছেন। শ্যালকের কান্ড দেখে তিনিও বেকুব। তাড়াতাড়ি বেকুবি শেষ করে তিনি গামছা দিয়ে বাঁধলেন শানেওয়াজের পা। তারপর নিজেই ঠোঁট দিয়ে চুষে বিষ বের করার চেষ্টা করলেন।

এর পরে চারজন লোক দিয়ে ভ্যানে তুলে শানেওয়াজকে পাঠিয়ে দিলেন ডাক্তারখানায়। বিল্লাল বিরক্ত মুখে দেখলো পুরোটা।

ভ্যান চলে যাবার পর সবার দৃষ্টি ফিরে এলো বিল্লালের ওপর। দুলাভাই ক্ষিপ্ত মুখে শুধালেন:

- মাথা কি নষ্ট হয়ে গেছে?

- মানে?

- থুতু দিচ্ছিলে কেন শানেওয়াজের গায়ে? সাপে কেটেছে লোকটাকে, আর তুমি ফাজলেমি করো?

- দুলাভাই, যা জানেন না তা নিয়া কথা বলবেন না। এইটা থুতু না। এইটারে বলে রুকীয়া। ছহীহ এসলামি চিকিৎসাবিধান। সুরা পড়ে রোগীর গায়ে হালকা থুতুবৃষ্টি করতে হয়। আল্লার কুদরতে রোগী ভালো হয়ে যায়।

- তোমারে পাগলের ডাক্তার দেখাতে হবে।

- মানে! পেয়ারা নবী এই রুকীয়া করতেন চোদ্দশ বছর আগে। আম্নে নবীজিত্তে বেশি বুজেন?


(সূত্র: বুখারি ৭.৭১.৬৩২, ৬৩৭, ৬৪১, ৬৪২)

অনুপ্রেরণা: আনাস।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন