লিখেছেন অজাতশত্রু
ওহী নাজিলের পূর্বকথা:
ছোটবেলা থেকেই আমি সঙ্গীতের প্রতি খুব দুর্বল। তাই হারমোনিয়াম আর কীবোর্ড শিখে ফেলেছিলাম। দুই বন্ধু মিলে একটা গানের অ্যালবামের কাজ শুরু করলাম। সেই বন্ধুর কীবোর্ড থাকায় ওর বাসায় গিয়ে কাজ করতে হত। ওর বাসা রাজারবাগের কাছেই। একদিন সন্ধায় ওর বাসায় গিয়ে গানের ধুন তোলার সাথে সাথে আমার বন্ধুটার কাছে তার আরেক বন্ধু আসলো। সে আমাদেরকে বললো, আল্লাহ নাকি গান করতে মানা করেছেন। আমি প্রায় হেসেই ওর বাসা থেকে বের হলাম। রাত হয়ে গিয়েছিলো। গলির ভেতর দিয়ে হেঁটে বড় রাস্তার দিকে যাচ্ছিলাম। তখনই মনে হল, আকাশবাণী হল একটা। নাজিল হল আমার উপর একটা সূরা। কানে এসে কে যেন সূরাটা আমাকে বলল। রাজারবাগে ঘটা ঘটনার জন্য সেটা হল রাজারবাগী সূরা, সূরা মানা-এ-করবানা।
"আল্লাহ তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। তিনি তোমার প্রতিপালক। তিনি এই পৃথিবীর সকল কিছু সৃষ্টি করেছেন। গান বাজনা নিষিদ্ধ করেছেন। কারণ গান তৈরী করলে সেটা যদি ভালো হয়, মানুষ তা অবশ্যই বারবার গাইবে। বারবার আল্লাহর নাম না নিয়ে সেটা গাইলে আল্লাহর নাম নেয়া কমিয়ে দিবে। গানটা আস্তিক-নাস্তিক সবার কাছে জনপ্রিয় হলে আল্লাহর জনপ্রিয়তা কমবে। এক সময় তার নাম নেয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। হে বিশ্বাসী, আসো, মূত্র বিসর্জন দাও। মূত্রের সাথে দাও এসব গান-বাজনা বিসর্জন। দাও বিসর্জন সে সব বিষয়, যেগুলোর নাম আল্লাহর নামের চেয়ে বেশিবার নেয়া হবে। নবী ইফতির কথা অনুসারে চল। আল্লাহ অবশ্যই তোমাদের উপর ফুচকা বর্ষণ করবেন।"
প্রশ্ন:
প্রশ্ন কর্তা: আপনি ইফতি নবীর সাহাবী, আপনার উপর ওহী নাজিল হল কীভাবে?
উত্তর: আরে ভাই বলেন কী! আমরা তার সাহাবী। আমাদের উপরেও তো নাজিল হবে সূরা, তাই না। আপনি বরছেন ১৪ শত বছরের আগের কথা। তখন তো শুধু রাজকোষের টাকা রাজাই ভোগ করত। আর এখন শুধু রাজনৈতিক দলের প্রধান না, তার সাঙ্গ-পাঙ্গরাও এইসব ভোগ করে। তাহলে সাহাবীদের উপর ওহী নাজিল হবে না কেন?
প্রশ্ন কর্তা: কথা তো খারাপ না!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন