আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১১

চিন্তাভীতুরা


লিখেছেন ভণ্ড ভণ্ড 

নিপাট ভদ্রলোক। কোনো একটা আড্ডায় যোগ দিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই মোটামুটি একটা স্ট্যান্ড নিলেন। তর্কে জেতা জেতা ভাব, এমন সময় কেউ একজন বললো, "ভাই, আপনি যা বললেন, তা তো পুরোটাই ধর্মের বিরুদ্ধে।"

শুনে লোকটি বললো, "তাহলে তো আমি ভুল বলেছি এতক্ষন!! আমার জ্ঞান তো সীমিত।" 

মনে মনে বলে, ভুল হয়ে গেছে "সৃষ্টিকর্তা", আর কোনোদিন এমন ভুল করবো না। এবারের মত মাফ করে দাও।

এখন প্রশ্ন: লোকটা বায়োলজিক্যালি Homo Sapiens, কিন্তু নিজস্ব মগজ ব্যবহারের বিচারে সে কতোটা মানুষ পদবাচ্য? তার চিন্তা ঠিক না বেঠিক ছিল, সেটা কথা নয়, কথা হল ঐ রেফারেন্সের পর সে দ্বিতীয়বার আর ভেবে দেখেনি। তার আর কলাগাছ খাওয়া হাতির মধ্যে বুদ্ধির দিক দিয়ে কোনো পার্থক্য কি আছে?

তার বিশ্বাস অনুযায়ী, সবই তো সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় হয়। তার মানে, তার ঐ চিন্তাটাও সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায়ই এসেছিল। কেন এসেছিল, সেটা না ভাবা কি সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছাকে অবজ্ঞা করা নয়? 

সৃষ্টিকর্তা এস.এস.সি পাশ করাও যদি হতো, তাহলেও সে বেশি ভালবাসতো  তার প্রতি অন্ধবিশ্বাসকারীকে নয়, বাসতো সন্দেহ করে করে বিশ্বাস স্থাপনকারীকে। যদিও তার প্রেরিত ধর্মগ্রন্থগুলো পড়লে তা মনে হয় না। আগে বিশ্বাস কর, তারপর অন্য কথা! হয় সৃষ্টিকর্তার প্রেরিত গ্রন্থগুলো বিকৃত হয়েছে অথবা তিনি প্রাইমারী স্কুলিং শেষ করতে পারেননি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন