লিখেছেন নাসির আবদুল্লাহ
যয়নাব পালিত পুত্র যায়িদের বিবাহিতা স্ত্রী। যাকে মুহম্মদ পরে বিয়ে করে (পরকীয়ার ব্যাপারটা এড়িয়ে গেলাম) ১৪টা বিয়ে করলেও মুহম্মদ শুধুমাত্র যয়নবের সাথে বিয়ে উপলক্ষ ছাড়া তার কোনো বিয়েতেই সামাজিক ভোজ-অনুষ্ঠানের অয়োজন করেন নি। কিন্তু যয়নবের সাথে বিয়ে উপলক্ষে বেশ কিছু ছাগল জবাই করে ৩/৪ দিন ব্যাপি বহুলোক সমাগমে বিবাহের সামাজিক অনুষ্ঠান পালন করা হয়। কারণ কী?
কোনো কালেই পুরুষ মানুষ বয়ঃজেষ্ঠা নারীদেরকে বিয়ে করে গর্ববোধ করেনি; বিশেষ করে সেই নারী যদি হয় দুইবার বিধবা এবং ৪/৫ জন সন্তানের জননী। পুরুষকে দোষ দিয়ে লাভ নাই, এটা পুরুষের জন্মগত প্রবৃত্তি।
খাদিজাকে বিয়ে করেও মুহম্মদের মনে একই প্রবৃত্তি কাজ করেছে, ধন-দৌলত কিংবা আশ্রয় এতিম মুহম্মদের কাছে পুরুষত্বের চেয়ে বেশী বড় হয়ে দেখা দেওয়ায় সে খাদিজাকে বিয়ে করে আবার এই অসম বিয়ে নিয়ে সে লজ্জাগ্রস্ত থাকার জন্য ব্যাপারটা গোপনে সেরে ফেলে।
খাদিজার মৃত্যুর পর সাওদা নামের একজন ৫৫ বছরের বৃদ্ধাকে মহম্মদ বিয়ে করে, খাদিজার শিশু-সন্তানদের লালন পালনের উদ্দেশ্যেই এই বিয়ে ছিল তাই এই বিয়েও অনাড়ম্বরে সারে সে।
আয়শা, আবু বক্করের মেয়ে জুবায়ের ইবন মুতিম এর বাগদত্তা। মুহম্মদের সাথে বন্ধুত্ব থাকার কারনে আবুবক্করের পারিবারিক সদস্যরা মুহম্মদের সান্নিধ্যে আসে, আয়শা তার ব্যতিক্রম নয়। (পুরুষের জন্মগত প্রবৃত্তিগুলোর অন্যতম আরেকটি হচ্ছে কুমারী কামনা, মুহম্মদ নিশ্চয়ই তার ব্যতিক্রম ছিল না) ৫২ বছরের বৃদ্ধ মুহম্মদের কুমারী সান্নিধ্যের অভিজ্ঞতা ছিল না। অন্যের বাগদত্তা আয়শাকে দেখে তার কাম জাগ্রত হয়। আয়শাকে স্বপ্নে দেখছি, আল্লাহ বলেছেন নানা অযুহাতে আবু বক্করকে মহম্মদ রাজী করায় তার সাথে আয়শার বিয়ে দিতে। কুমারী প্রাপ্তিতে মুহম্মদ আহ্লাদিত থাকলেও ৫৪ বছরের বুড়োর সাথে ৬ বছরের শিশুর বিয়ে! লোকলজ্জার ব্যাপারটা তো একদম উড়িয়ে দেয়া যায় না, তাই আবার সামাজিকতা ছাড়াই গোপনে হয়ে গেল বিয়ে।
হাফসা বিনত ওমর আর জয়নব বিনতে খুজাইমা বদরের যুদ্ধে দুই শহীদের স্ত্রী, এদেরকে মহম্মদ বিয়ে করে অন্য মুসলমানদেরকে উৎসাহিত করার জন্য যেন তারা বদরের যুদ্ধে শহীদদের স্ত্রীদেরকে বিয়ে করে। যাহোক দৃষ্টান্ত স্থাপন এবং হারেম বৃদ্ধিকরণ একই সাথে দুই কাজ। আত্নীয়-স্বজনহারানো শোকাতপ্ত অবস্থায় বিয়ের সামাজিক আনন্দযজ্ঞের প্রশ্নই ওঠে না। তাই আবারো নিরামিষ বিয়ে।
উম্মে সালামা, ওহদের যুদ্ধে শহীদ আবু সালামার স্ত্রীকে মুহম্মদ বিয়ে করে কারণ উম্মে সালামা মুহম্মদ ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এবারো শহীদের বিধবা, তাই সামাজিকতা ছাড়াই বিয়ে।
(মুহম্মদের এই তিন বিয়ে নিয়ে মুসলমানেরা গলা ফাটায়, এগুলোই হচ্ছে তাদের কাছে অসহায় বিধবা বিয়ের উদাহরণ। তবে ওমরের মেয়ে যে কতটুকু অসহায় ছিল, তা ভেবে দেখার বিষয়)
রায়হানা, বনি কুরাইজ বংশের যুদ্ধবন্দিনী। প্রথমে একজন সাহাবীর দখলে থাকার পর মুহম্মদের কানে তার রূপের প্রসংসা আসলে মুহম্মদ তাকে নিজের তাবুতে নিয়ে আসে। কিছুদিন দাসি স্টাট্যাসে থাকার পর মুহম্মদ তাকে বিয়ে করে। মতান্তরে মুহম্মদ তাকে নিয়ে করেনি। এইখানে সামাজিক অনুষ্ঠানের চান্স কই?
যয়নাব বিনতে জাহশ, একাধারে মুহম্মদের ফুপাতো বোন এবং তার পালিত পুত্র যায়িদের স্ত্রী। মুহম্মদ এবং যয়নাব একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হলে যায়িদ যয়নবকে তালাক দেয় এবং মুহম্মদ তাকে বিয়ে করে। মুহম্মদের এই বিয়েকে কেন্দ্র করে সমাজে নানা ধরনের কানাঘুষা শুরু হয় মুহম্মদের চরিত্র নিয়ে। এই বিয়ে কেন্দ্র করে কোরানের আয়াতও নাযিল হয় যেন মুসলমান পুরুষরা যুগ যুগ ধরে তাদের পালিত পুত্রের তালাক প্রাপ্তা বউদের বিয়ে করতে পারে (সর্ব কালের ধর্ম কিনা!) এবার মুহম্মদ অনেক ছাগল জবাই করে তিন দিন ব্যাপী বিবাহের সামাজিক অনুষ্ঠান পালন করে। যারা কানাঘুষা করছিল, তারা ভরপেট খেয়ে ঢেঁকুর তুলে আলহামদুল্লিল্লাহ বলে সব কানাঘুষা ভুলে গেল। জিনিয়াস মুহম্মদ, কী বলেন?
যুয়াইরিয়া বিন্তে আল-হারিত, বনু মুস্তালিক গোত্র প্রধানের কন্যা যুদ্ধে বন্দিনী, সে মুহম্মদের কাছে মুক্তি ভিক্ষা করলে মুহম্মদ তা নাকচ করে দেয়, তার গোত্রের পক্ষ থেকে মুক্তিপনের প্রস্তাব আসলেও মুহম্মদ তা নাকচ করে দেয়। পরে মুহম্মদ তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে রাজী হয়ে যায়। মুহম্মদ যুয়াইরাকে বিয়ের পর তার সাহাবীরা খুশি হয়ে মুস্তালিক গোত্রের ১০০ বন্দিকে মুক্তি দিয়ে দেয়। এটাই মহানবির আদর্শ, একজন নারীকে (শয়তানের দাস) বিয়ে করে এক্কেবারে একশসসস বন্দিকে মুক্তি করার পথ সুগম করে দিয়েছিলেন।
(চলবে)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন