বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১১

তিন ফোড়ন - ০২


লিখেছেন আরিফুর রহমান

৪. 
মাথার ভেতরে চিন্তায় আমাদের পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। জীবন ধারনের জন্য প্রকৃতিতে এক প্রাণী অপর প্রাণীকে সংহার করবে, খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করবে, এতে কোনো উল্লাস নেই। মানুষ মাংসভুক প্রাণী, সে গরু/ছাগল সংহার করুক, কার কী আপত্তি?

তবে উৎসব করে প্রাণীহত্যা কি পেটের দায়ে করে মুসলমানে? রাস্তার উপরে কোমলমতি শিশু/কিশোরের চোখের সামনে রক্ত ছড়ানোর ভেতরে কী 'মোবারক' থাকতে পারে, আমার বোধগম্য নয়। 

রক্ত দেখে মুসলমান যাতে শিহরিত না হয়, তারই কি প্রস্তুতি চলে উৎসবের আড়ালে? এ কি কোনো সভ্যতা, নাকি বর্বরতা?

৫. 
আপনার ধর্ম নিজের কাছেই রাখুন না কেন? পরকালে কার কাছে যাবেন, তার সাথে আপনার নিজস্ব যোগাযোগ, কী পাবেন বা পাবেন না ইত্যাকার ভীতি অথবা লোভ!... সামলে রাখুন।

সমস্যা হলো 'আপনার' ধর্ম যখন তার বেড়া ডিঙিয়ে মানুষের পরিমণ্ডলে ঢুকে পড়ে। শুধু ঢুকে বসে থাকলে তো কথা ছিলো না, ছড়ি উঁচিয়ে নানারকম শলা দেওয়াও শুরু করে।

তখন আমাদেরই দায়িত্ব - বুঝিয়ে সুঝিয়ে অথবা পিটিয়ে ওটাকে বেড়ার ওপাশে পাঠিয়ে দেয়া।

সেটাই হবে। হতে থাকবে।

মানুষের ব্যপারে ধর্মের কোনো বক্তব্য পাত্তা পাবে না, মানুষের ব্যপারে সামগ্রিক মানবতাই সিদ্ধান্ত নিয়ে আসছে, সামনেও তাই হবে।

নিভে যাবার আগে ধর্মের এই গন্ধযুক্ত পোড়া দশা তাই নিরতিশয় বিরক্তির উদ্রেক ঘটায়। সকলের মাঝেই।

৬. 
আমাদের চিন্তা করা উচিত, মাদ্রাসা নামক সৌদি ধর্মগাধা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে যে ধোলাইকৃত মগজ বের হয়ে আসলো, তাকে আমরা আদৌ দেশের পয়সা খরচ করে ‌‌'পড়াবো' কি না। কারন এই সৌদি ধর্মগাধা কোনোদিনও দেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস করবে না, হয় সে ইস্লামিস্ট/হিজু খেলাফতে বিশ্বাস রাখবে, অথবা পাকি ভাবধারার শিক্ষক/পিতা/মাতার খপ্পরে পড়ে পাকিস্তান পেয়ারাবন্দ হওয়াও বিচিত্র নয়। 

এদের বেড়ে ওঠার প্রতিটা মুহূর্ত এদের যেভাবে মুখস্থ করানো হয়, এক অনৈস্লামিক দেশে তারা বাস করে, তাই এই দেশকে ছলে বলে কৌশলে সৌদি কিছু একটায় রূপান্তর ঘটাতে হবে..

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন