লিখেছেন অবর্ণন রাইমস
নিশ্চয়ই ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান এবং মহানবী নিশ্চয়ই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সর্ব বিষয়ে সার্বিকভাবে জ্ঞানান্বিত ব্যক্তি। আর তাই ইসলামী চিকিৎসাবিজ্ঞানও চির-আধুনিক ও সর্বজনীন। বুঝে পাই না, মুসলিমরা কেন নবী বর্ণিত নানাবিধ চিকিৎসাপদ্ধতি ব্যবহার করে সুন্নত পালনে অনীহ।
মোমিন বান্দাদেরকে যাতে আর অনৈসলামিক চিকিৎসার পেছনে অনর্থক অর্থব্যয় করতে না হয়, সেই লক্ষ্যে শুরু করা হয়েছে এই সিরিজ।
চিকিৎসাপদ্ধতি ৮.
মহানবী ফরমাইয়াছেন, ক্যামা (মরু ছত্রাক) ভেজানো পানি অসুস্থ চোখে দিলে চোখ সুস্থ হয়ে উঠবে।
বাহ! চোখের কোন অসুখ হলেই নবীর বিধান সর্বদা দণ্ডায়মান। পানিতে ক্যামা ভেজান, তারপর চোখে দিন, সব ফকফকা। চোখের রোগ আর সমস্যা কত রকম হয়, এটা কি নিরক্ষর নবীজি জানতেন? কোরিওরেটিনাল ইনফ্ল্যামেশন নাকি রেটিন্যাল ভাসকুলার অক্লুশন, রেটিনাল ডিটাচমেন্ট নাকি সিলিয়ারি বডিতে কোন ঝামেলা, এপিফোরা বা কনজাঙ্কটিভিটি কিংবা সাব কনজাঙ্কটিভাল হেমারেজ, সোলার রেটিনোপ্যাথি বা স্ক্লেরোসিস, যা-ই হোক আপনার, মহাকবিরাজ নবীর একটাই বিধান। ক্যামা ভেজাও, চোখে দাও।
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। মুমিন ভাইয়েরা আমার, চোখে কোনো রোগ হলে এহুদি-নাছারাদের ডাক্তারি বিদ্যায় যাবেন না। নবীর তরিকা অনুসরণ করুন। চোখে ঢেলে দিন ক্যামা ভেজানো পানি। স্ক্লেরোসিস থেকে শুরু করে ম্যাকুলার এডেমা পর্যন্ত স-অ-অ-ব সেরে যাবে। বলুন সুবহানাল্যা।
(সূত্র: বুখারি ৬.৬০.৫, ৭.৭১.৬০৯)
অনুপ্রেরণা: আনাস।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন