এই পোস্টে উল্লেখিত ঘটনাগুলো পড়ে যদি কোনও মমিন বান্দার মনে হয়, এসব প্রকৃত ইসলাম নয়, প্রকৃত মুসলিম এসব করতে পারে না, তাহলে তাকে এই লেখাটি পড়ে নীরব থাকতে পরামর্শ দেবো।
১.
মুচলিম পুরুষ হয়ে জন্মানোর মজাই আলাদা। আখেরাতে ৭২ হুর তো হিসেবেই পাওনা, উপর্যুপরি ইহকালে দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাইলে প্রথম স্ত্রীর অনুমতির তোয়াক্কা করতে হবে না, ১০ মিনিট থেকে শুরু করে ৯৯ বছর পর্যন্ত স্থায়ী অস্থায়ী বিয়ে করা যাবে যতোবার শরীর ও মন চায়... হ্যাঁ, শরিয়া আইনের এই অংশগুলোকে রাষ্ট্রীয় আইনে পরিণত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ইরানে।
(লিংক: দাঁড়িপাল্লা)
২.
ডারউইনের তত্ত্ব কোরানের বাণীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের মুসলিম ছাত্ররা ক্লাস বর্জন করেছে। গর্দভের দল জানে না, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান বিবর্তনবাদ ছাড়া অচল। আরেকটা ব্যাপার বুঝি না, এরা কেন ডাক্তারি পড়তে যায়? কোরান-হাদিসেই তো সমস্ত রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি বর্ণিত আছে ("মহাকবিরাজ মহানবী" সিরিজ দ্রষ্টব্য)! আরও একটি প্রশ্ন এলো মাথায়, কোরানে তো বলা আছে, পৃথিবী গোলাকৃতি নয়, সমতল, এবং সূর্য তার চারপাশে ঘুরছে। তো এই গবেটগুলো স্কুলে ভূগোল ক্লাস ছেড়েও কি বেরিয়ে গিয়েছিল?
(লিংক: আসিফ মহিউদ্দীন)
৩.
ইছলামী বিজ্ঞানের আরও একটি অভূতপূর্ব অর্জন! চৌদি আজবে নারীদেরকে গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়া হলে সেই দেশে কুমারী মেয়ের অস্তিত্ব থাকবে না, এবং নারী-পুরুষ উভয়েই সমকামিতা ও পর্নোগ্রাফির দিকে ঝুঁকে পড়বে। শুরু হবে পতিতাবৃত্তি, বেড়ে যাবে বিবাহবিচ্ছেদের হার...
৪.
"তালিবান" অর্থ ছাত্র, কিন্তু এই নামের ইসলামী সংগঠন স্পষ্টতই শিক্ষার বিরুদ্ধে। বিশেষ করে নারীশিক্ষা তাদের দু'চোখের বিষ। নারীজাতিকে ধর্মীয় নূরানী অন্ধকারে রাখার চেষ্টায় তারা অক্লান্ত।
৫.
সোমালিয়া থেকে শরণার্থী হয়ে আমেরিকায় বসবাস করলেই সোমালীয় ইসলামী জঙ্গি সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করে তা পাঠানো যাবে না, এমন কথা তো কোরান-হাদিসের কোথাও লেখা নেই। বরং ঈমানের পথে যুদ্ধ করতে যারা নিরলস, তাদেরকে সহযোগিতা করার পুরস্কার নিশ্চয়ই আল্লাহপাক দেবেন। তিনি পরম করুণাময়। তাই এক মুসলিমা পালন করেছে তার দ্বীনি দায়িত্ব।
৬.
সোমালিয়ার এই জঙ্গি সংগঠন প্রবাসী মুসলিমদের পাঠানো অর্থ সাদরে গ্রহণ করে, তবে স্থানীয় দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষদের জন্য পাঠানো বিদেশী সাহায্য প্রত্যাখ্যান করে বন্ধ করে দেয় সাহায্য সংস্থাগুলো।
৭.
মুসলিমদের সহজাত ইহুদিবিদ্বেষের উৎস অবশ্যই কোরান ও হাদিস তথা নবীজির শিক্ষা। তবে মুসলিমদের হীনমন্যতাও কি একটি কারণ নয়? সারা বিশ্বে ১.৫৭ বিলিয়ন (বিশ্বের জনসংখ্যার ২৩%) মুসলিম, আর ইহুদিদের সংখ্যা দেড় কোটিরও কম। বাংলাদেশের জনসংখ্যাও এর চেয়ে কমপক্ষে দশগুণ বেশি! এই পুঁচকে সম্প্রদায়ের ঈর্ষণীয় সাফল্যের প্রেক্ষাপটে ইসলামী অন্ধকারময় অনগ্রসরতাও কি মুসলিমদের মনে জন্ম দিতে পারে না হীনমনত্যতার? যদিও এই ইহুদিদেরকে আল্লাহপাক বানর ও শুয়োরে পরিণত করেছেন (ইছলামী মতে), তবু তাদেরকে ঠেকানো যাচ্ছে না!
৮.
সহজাত ইহুদিবিদ্বেষের কথা বলছিলাম না? এই দেখুন, পাঁচ মুসলিম বালিকা মিলে তেরো বছরের এক ইহুদি বালিকাকে পিটিয়েছে আর বলেছে "নোংরা ইহুদি", "নিজের দেশে ফিরে যাও"।
৯.
ফ্রান্সে মুসলমানরা না থাকলে সেখানকার জেলখানাগুলো খাঁ-খাঁ করতো! বর্তমানে ফরাসী জনসংখ্যার ৫ থেকে ১০ শতাংশ মুসলিম, তবে কয়েদিদের শতকরা ৭০ ভাগই শান্তির ধর্মের অনুসারীরা। দারিদ্র্য, বৈষম্য ইত্যাকার যুক্তি দিয়ে এই বিপুল সংখ্যার ন্যায্যতা আনার চেষ্টা করা হলেও মুসলিমদের অপরাধ-প্রবণতার কথা অজানা নয় কারুর।
১০.
নেশাদ্রব্যের ব্র্যান্ড বদল করা আর ধর্মান্তরিত হবার মধ্যে কোনও ইতরবিশেষ নেই বলেই মনে হয়। তবু সেটা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত অভিরুচির ব্যাপার বলেই মানি। তো ইছলাম ছেড়ে খ্রিষ্টান হবার কারণে নাইজেরিয়ায় প্রাক্তন এক ইসলামী সন্ত্রাসীর দুই পুত্রকে হত্যা করেছে স্থানীয় ইসলামী সংগঠন বোকো হারাম (বোকো হারাম অর্থ - পশ্চিমা শিক্ষা হারাম)।
১১.
ধর্মান্তরিত হবার/করার আরেকটি কাহিনী। ভিন্ন ধর্মবিশ্বাসী কাউকে ছলে-বলে-কৌশল-ধূর্ততায় ইছলামের পথে নিয়ে আসাটা বিরাট ছওয়াবের কাজ, কিন্তু তাই বলে ভিন্ন ধর্মের কেউ মুসলিমদেরকে তাদের ধর্মে দীক্ষিত করবে, সেটা কেন ইছলামীরা মানবে! সাতজন মুসলিমকে খ্রিষ্টান বানানোর 'অপরাধে' এখ ধর্মযাজককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরেক খবরে বলা হচ্ছে, ধর্মান্তরিতদের ওপরে কোনও জোর-জবরদস্তি চালানো হয়নি।
১২.
পলিটিক্যাল ইসলামের বিরোধিতা করায় এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা হয়েছিল। এক সময় তাকে কুপিয়ে আহত করা হলে চারদিন পরে তাঁর মৃত্য হয়। ঘটনা আজারবাইজানে।
১৩.
বারবাডোজের বাল-ফালাহ আল-ফালাহ মুসলিম বালিকা বিদ্যালয়ের চোদ্দ বছরের ছাত্রীর বক্তব্য: "হিজাব ফরজ, ধর্ষণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে নারীর সৌন্দর্য লুকিয়ে রাখা উচিত", "শিরশ্ছেদ, হাত কেটে ফেলা, নির্দয়ভাবে প্রহার - এসবই ইসলামী রীতি, এবং এসবে খারাপ কিছুই নেই"।
১৪.
নবীজি ৫১ বছর বয়সে ৬ বছর বয়সী শিশু-বালিকাকে বিয়ে করতে পারলে তার ৪৭ বছর বয়সী উম্মত ৮ বছরের বালিকাকে বিয়ে করলে সেটা নিশ্চয়ই ইসলামসম্মত হবে। চৌদি আদালতও তেমন রায়ই দিয়েছে।
অফ-টপিক:
এই ঘটনা ঠিক ইসলাম-সম্পর্কিত নয় বটে, তবে তা বিনোদনী বলেই শেয়ার করছি। পুরুষদের পত্রিকা FHM-এর ভারতীয় সংস্করণের প্রচ্ছদে ফাকিস্তানী চিত্রনায়িকা ভীনা মালিকের নগ্ন ছবি ছাপা হয়েছে। ভীনা দাবি করেছেন, তিনি নগ্ন অবস্থায় ছবি তোলাননি এবং ছবিটি ফটোশপিত। কিন্তু পত্রিকার সম্পাদক বলছেন, তাঁর কাছে ভিডিও ফুটেজসহ সমস্ত প্রমাণ আছে। লাগ ভেলকি!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন