মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১১

সৌদি বিগ্যানীদের যৌনগ্যান


একটি প্যারোডি সংবাদ-এর ছায়া অবলম্বনে রচনা করেছেন আরিফুর রহমান

মেয়েদের দেহে দৃশ্যমান তথাকথিত ‘যোনি’ একটি গাঁজাখুরি গপ্পো ছাড়া আর কিছুই নয়, যেসব মেয়ে এর উল্টোটা দাবি করছে, তাদের গোল্লায় যেতে বলেছেন সৌদিয়ারবের একপাল বিগ্যানী।

উক্ত বিগ্যানীপাল, যারা জ্যোতিষবিদ্যা, পানি-টুকরাবাজী, কবিরাজী ধরনের বিবিধ গ্যানে বিদগ্ধ, পকপক করছিলেন তাদেরই বিগ্যানভরা এক কিতাবের প্রকাশ অনুষ্ঠানে। ‘ধেরেঘেরে ঠাক, দু'ঠ্যাং ফাক: খবরদার মেয়ে তুমি শুধুই আমার’ নামের কিতাবটিতে প্রমাণ করে দেয়া হয়েছে যোনি আসলে নিতম্বেরই লেজমাত্র। 

“সবাই জানে মেয়েদের ওখানে কোনো ছ্যাৎব্যৎ নেই”, বললেন প্রধান বিগ্যানপতি রাজকুমার আব্দুল-বিন-আব্দুল-বিন-আব্দুল। “মেয়েদের শরীরে সুখকর অঙ্গ! মানে অবাস্তব ও বাতেনী যোনি নিয়ে এই যে গুনগুন চলছে, তা আমাদের বোধ ও জীবনপদ্ধতির ওপর পশ্চিমের আরেকটি হামলা”। 

গুরুতর বিগ্যানী আব্দুল শূদ হুঙ্কার দিলেন, “জিজ্ঞাশ করুন, যে কোনো সৌদি পুরুষ কি তার নারীগুলিতে কখনো একতিল খুশির ঝিলিকও দেখতে পেয়েছে অতি-দরকারী অথচ নোংরা সেই লিঙ্গমর্দন সেবাটি গ্রহণের সময়? দেখবেন বুকে হাত দিয়ে সে বলবে, না, না, নারীর কোনো নুনুভূতি নেই, ছিলোও না কোনোদিন।”

“আমরা যদিও ধরে নিয়েছিলাম মেয়েদের গণ-মনোবৈক্যলই হলো যৌনতায় তাদের নিরানন্দের পেছনের কারণ”, আবার ঘোৎ ঘোৎ করলেন জ্যোতিষী তালেবর অধ্যাপক ফয়ছল আব্দুল শূদ, “এবার কিন্তু আমরা প্রমাণ করেই দিলাম, মেয়েরা শুধু নাকেছুল আকেলই না, শরীরও তাদের অসাড়।”

অবশ্য বিগ্যানীপাল ম্যা ম্যা সহকারে স্বীকার গেলো, কিতাব নিয়ে গবেষণার সময় কোনো নারীর সাথে প্রশ্নোত্তরে যাবার কষ্ট তারা করতে যায় নি, কারণ বিগ্যানী খোঁয়াড়ে সবার চোখমুখ কুঁচকে যায় এসব বেহুদা হরকতের আলাপে।

ভগাংকুর চেনেন কি না জানতে চাইলে মাথা উপর নিচ করেন তারা। 

“এটা আসলে হিন্দুয়ানী শব্দ, মুসলিমপূর্ব মালাউন অঞ্চলগুলিতে মাদী বাচ্চার এই নাম রাখা হতো” আধাপক শূদ নাক কুঁচকে যোগ করেন, “মনে হলেই কেমন একটা গোবর গোবর গন্ধ পাই।”

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন