সুরা জামায়াত-শিবির-রাজাকার
নাজিল হয়েছে চট্টগ্রাম শহরে, হজরত হিল্লোল (আঃ) এর উপর
_ধন্য সেই জামায়াত-শিবির-রাজাকার-আলবদর বাহিনী, যারা আজও স্বহস্তে হননের লাখো প্রমাণ থাকার পরও বিচারের আওতায় আসে নি।
_ধন্য সেই আলবদরের বুদ্ধিজীবী হননের ঋত্বিক, হোতা ও অধ্বর্য্যূরা, যারা এখনো বাঙালিদের প্রগাঢ় বুদ্ধিবৃত্তিক অন্ধকারে রেখে দিতে পেরেছে।
_ধন্য সেই রাজনীতি, যা সেই চিহ্নিত ঘাতকদের আলিশান পুনর্বাসনে ও রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলে শ্রদ্ধা ও প্রীতিপূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করে।
_ধন্য সেই বিভ্রান্তির কারিগরেরা, যারা জাতির মস্তিষ্কস্বরূপ প্রগতিশীলদের কর্দমাক্ত, অসম্মানিত, নৃশংস মৃত্যু প্রদান করে বাঙালিকে আজো চিরদ্বিবিভাজিত করে রেখে দিতে পেরেছে।
_ধন্য সেই নরঘাতকেরা, যারা কারাভ্যন্তরে থাকার পরও এখনো ভেতরে-বাইরে অযুত কণ্ঠের ও অতুল অর্থের সমর্থন পায়।
_ধন্য সেই ধর্মচেতনা, যা শুধু ধর্মভিত্তিক বলেই এমনকি গণহন্তারকদেরও গলদেশে আশ্লিষ্ট করে।
_ধন্য সেই মুক্তিযোদ্ধারা, যাঁরা রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের আশায় এসব প্রকাশ্য আততায়ীদের বিচারের বিরোধিতা করেন।
_ধিক্কার সেই রাজনীতিকে, যারা এই নরঘাতকদের বিচার করতে চায়।
_ধ্বংস হোক সেই চেতনা, যা এসব উন্মুক্ত গণখুনিদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে মৃত্যু কামনা করে বিচারের নামে প্রহসন করে।
_নিশ্চিহ্ন হোক সেই জাগরণমুখর জনতা, যারা বিরোধিতা করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির চিরতরে।
_নিশ্চয় জয়ী হবে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি। পাপিষ্ঠ অবিশ্বাসীরা যদি রাজনীতির অধিকার পায়, তবে কেন নয় ধার্মিকেরাও? মৃত্যুর পরবর্তী জীবনই, অতএব, ঘোষণা করবে কে যথার্থ ছিলো। তোমরা কি ভয় করো না সেই মহামহিম সদাপ্রভুর রোষলোচন?
_যিনি গণহত্যাকারীদের সুশীতল ছায়া দেন, আর মুক্তিযোদ্ধাদের করেন নিপীড়িত ও ভিখারি এবং কাউকে কাউকে তাদের সহমর্মী? নিশ্চয় এতে বুদ্ধিমানদের জন্যে রয়েছে উৎকৃষ্ট উদাহরণ ও নিদর্শন।
(সূত্র: বাংলায় বান্দা-শরিফ)
সুরা আল-বদর
নাজিল হয়েছে ১৬ই ডিসেম্বর , ২০১১, হজরত নাসির আবদুল্লাহ (দঃ)-এর উপর
তোমার আর কতদিন রাজাকার-রাজাকার করে কান্না করবে? তোমরা কি তবে মুহম্মদের পথ অনুসরণ করতে চাও? যা মুহম্মদ করেছিল বনু-কুরাইজদের সাথে, হত্যা করা হয়েছিল সকল পুরুষদের আর তাদের নারী এবং শিশুদের নিক্ষেপ করা হয়েছিল দাসত্বে?
না কক্ষনোই নয় এটা পরেমেশ্বরের কাছে অত্যন্ত গর্হিত কাজ। বরং কালক্ষেপন না করে তোমরা রাজাকারদের তালিকাটা তৈরী করে ফেল তারপর তাদের সকলকে ব্যথাবিহীন ভাবে ভ্যাসেকটমি করে দাও, যাতে করে রাজাকার প্রজাতির আর বংশ বৃদ্ধি না হয়।
সমাজে তাদের মুখোশ খুলে দাও, তাদের প্রত্যেকের নাকের ডগায় কিংবা মধ্য কপালে অমোচনীয় সিল মেরে দাও, যাতে তারা দাড়ি দিয়ে তা ঢেকে ফেলতে না পারে। এভাবেই তোমরা তোমাদের শিশুদের শিক্ষা দিতে পারো দেশদ্রোহিতার পরিণাম।
জাতি হিসাবে তোমরা পরমেশ্বরের কাছে নপুংশক হিসাবে পরিচিত হয়ে গেছ, কারণ সুদীর্ঘ অর্ধ শতাব্দীতে তোমরা সামান্য এই কাজটি করতে পারনি। তবে পরমেশ্বর কেন তোমাদেরকে বিনামুল্যে চন্দ্রের আলোকে আলোকিত করবেন?
খুঁটিবিহীন আকাশের কসম আর কসম সেই পঙ্কিল জলাশয়ের, যেখানে সূর্য অস্ত যায়, রাজাকাররা হচ্ছে দেশের শত্রু, প্রগতির অন্তরায়। তারা তোমাদের শিশুদেরকে বোমা নিক্ষেপ শিক্ষা দিয়ে পেট্রো ডলার ইনকাম করে। তোমরা যদি না-ই দেখবে তাহলে পরমেশ্বর কেন তোমাদিগকে চক্ষু দিয়েছেন?
তোমরা কি তবে পরমেশ্বর ছাড়া অন্য কাউকে ভয় কর? তোমরাও কি ভিখারী যে, ভিক্ষা বন্ধ হয়ে যাবার আশংকায় রাজাকারদের বিচার কর না? আমি যা জানি, তোমরা তা জান না। রাজাকারদের কাছে নত হলে আবার তোমাদের নারীরা ধর্ষিত হবে, আর তাদের হাতে খুন হবে অন্তত তিন কোটি মানুষ। আবাবিলের বদলে ঝাঁকে ঝাঁকে নিক্ষিপ্ত হবে ক্লস্টার বোমা। তোমাদের সকল শিশু পঙ্গু হয়ে যাবে।
তবে কি তোমরা নিজেদেরকে ভালোবাস না? পরমেশ্বর তোমাদের সাথে আছেন, আর কালক্ষেপণ নয়, রাজাকেরদের ভ্যাসেকটমি করে কপালে বা নাকের ডগায় সিল মারা শুরু কর এবার। এটা ঊর্ধ্ব এবং নিম্ন গগণের মালিকের পক্ষ থেকে তোমাদের উপর নির্দেশ, আর তিনি নিজে রাজাকার মারতে না পারলেও সুনামি পাঠাতে বিন্দুমাত্র বিচলিত হন না।
উৎসর্গঃ Saad Bin Shahid
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন