আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১১

সত্যিকারের ইসলাম


লিখেছেন পাভেল মাহমুদ 

সতর্কীকরণ: কারো কোনো ধরনের অনুভূতিতে আঘাত লাগার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা থাকলে এই লেখা না পড়াই ভালো। ইসলাম-মুহাম্মদ যেহেতু কারো ব্যক্তিগত বিষয় নয় তাদের নিয়ে যেকোনো ধরনের মন্তব্যের অধিকার আমি আমার ব্যক্তি-স্বাধীনতা বলেই মনে করি।

আমি প্রায়ই শুনি সৌদি আরব এবং আফগানিস্তানে ইসলামের যে কট্টর রূপ দেখা যায় সেটা আসলে সত্যিকারের ইসলাম না। ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলামের নিয়ম কানুন সঠিকভাবে সবাই মেনে চললে পৃথিবী অনেক শান্তিময় হয়ে যেত। এই দাবিগুলো যারা করে তারা গাধা গরু টাইপের পাবলিক হলে আমি খুব সহজেই বিষয়টা অবহেলা করতে পারতাম। কিন্তু আমার অনেক বন্ধু যাদের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই তারাও খুব জোরের সাথে প্রায়ই 'সত্যিকারের ইসলামের' কথা বলে। আমি ইসলামিক সমাজে বড় হয়ে, ইসলাম নিয়ে কম-বেশি পড়াশুনা করে এখনো এই ইউটোপিয়ান ইসলামের কোনো খোঁজ পেলাম না।

তর্কের খাতিরে যদি আমি ধরেও নেই 'সঠিক' ইসলামের অস্তিত্ব আছে তাহলে প্রশ্ন আসে কেউ কেন সেটা খুঁজে পায় না। কয়েকশ কোটি লোক ইসলাম চর্চা করে, আরো কয়েকশ কোটি লোক হাজার বছরে ইসলামের চর্চা করে গেছে, অথচ প্রতিটি মুসলিম ব্যর্থ হয়েছে সেই সোনার হরিণের খোঁজ পেতে। যাদের জন্য সৃষ্টি এই ধর্ম তারাই যদি না বোঝে, তাহলে কী অর্থ হতে পারে এই অদ্ভুত জিনিসের। কেউ যখন ধার্মিক হয়, সে নিয়মিত নামাজ পড়ে, রোজা রাখে, হজ্জ করতে যায়। ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি কাজকে একজন ধার্মিক সঠিকভাবে পালন করতে চেষ্টা করে। কয়েকটি মুখস্ত সুরা তোতা পাখির মতো আউড়ে যাওয়া আর বার বার 'আল্লাহ মহান আল্লাহ মহান' এই বাক্য উচ্চারণ করার মুল্যটা ঠিক কী, তা আমার বোধগম্য নয়। একজন সৃষ্টিকর্তা তার কয়েক বিলিয়ন সৃষ্টির মুখে সে কত মহান এই কথা শোনার জন্যে বসে আছে, ব্যাপারটা চিন্তা করতেই আমার হাসি পায়। রোজা, হজ্জ, যাকাত, ইত্যাদি আপাত দৃষ্টিতে উদার এবং ভালো কিছু মনে হলেও এইসব আচার-বিচারও মোটামুটি অর্থহীন। যদি ইসলাম এই পাঁচটি ভিত্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকত তাহলে আমার বলার কিছু থাকত না। পৃথিবীর ৭ বিলিয়ন লোক এইসব অর্থহীন কাজ করলেও আমার বেশি কিছু যায় আসে না।

সমস্যাটা হয় তখন যখন দেখি ইসলামের নামে কার্টুনিস্টের ফাঁসির দাবি ওঠে, পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলা হয় মেয়েদের। শান্তির ধর্ম আসলেই কি এইসব সমর্থন করে? নাকি আমার বন্ধুদের কথাই সত্যি, 'এইসব ইসলামে নাই, এরা জঙ্গি, এদের জন্যই আজকে ইসলামকে সবাই খারাপ ভাবে'? 'সত্যিকারের ইসলাম' খুঁজে বের করা, এবং সেটাকে জীবন দর্শন বানিয়ে অন্যদের সামনে উপস্থাপন করার দায়িত্বটা, যে সত্যিকারের ইসলামের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে তার উপরেই পড়ে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই কাজটি আমার মডারেট বন্ধুরা কেউ করে না। তারা জঙ্গিদের গালি গালাজ করে, জামাত শিবির কে তুলাধুনা করে, সৌদি-আফগানদের বর্বর বলে, এমনকি তারা মেয়েদের পোশাক-আশাক, নারীস্বাধীনতা নিয়েও অনেক উদার মানসিকতার পরিচয় দেয়। তারা শুধু খেপে ওঠে যদি তাদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত করা হয়। হাস্যকর হলেও সত্যি যে, তাদের অনুভুতিতে আঘাত করা খুব সহজ একটি কাজ। ইসলামের কারণে উদ্ভুত কোনো জঘন্য ঘটনায় ইসলামের ভূমিকার কথা তুললেই তারা খেপে যায়। যারা সেই জঘন্য ঘটনাটি ঘটাচ্ছে, তারাও দাবি করছে, এটা ইসলামিক কাজ আবার আমার বিজ্ঞ বন্ধুরাও দাবি করছে, এটা ইসলামিক না। উদাহরণস্বরূপ একাত্তরে পাক হানাদারদের বাঙালি নারীদের গনিমতের মাল হিসাবে বিবেচনা করার কথা বলা যায়। সবাই এটাকে একটা ঘৃণ্য পাশবিক কাজ মনে করে, কিন্তু আপনি বলতে পারবেন না যে, তারা ইসলামের নবী যা করেছে, সেটাই অনুসরণ করে যুদ্ধবন্দী মেয়েদের ভোগ করতে লিপ্ত হয়েছে। তাই আমি বাধ্য হই বার বার ফিরে যেতে একই প্রশ্নে, 'তুমি মনে করো ইসলাম এটা হতে পারে না, আরেক জন হাদিস-কোরান এনে হাজির করে ইসলাম এটাই, তাহলে ইসলাম আসলে কী'? এই প্রশ্নের উত্তর যেহেতু কেউই তার স্বল্প-জ্ঞানের অজুহাতে সঠিকভাবে দিতে পারে না, আমি তাই ঠিক করেছি 'সত্যিকারের ইসলাম' সম্পর্কে আমি যা জানি সেটাই খুব সংক্ষেপে লিখে রাখব কোনো রেফারেন্স ছাড়াই।

আমি কোনো রেফারেন্স দিব না কয়েকটি কারণে। এক, খুব কম বিষয় আছে, যেটা নিয়ে দ্বন্দ্বপূর্ণ একগাদা হাদিস পাওয়া যাবে না। কেউ দাবি করবে এই হাদিস সহি, কেউ দাবি করবে না এইটা না ঐটা সহি। মজার বিষয় হচ্ছে সব হাদিসই খুব অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সংরক্ষিত হয়েছে, কোনোটাই আসলে বিশ্বাসযোগ্য না। দুই, কোরানের ব্যাখা নিয়েও মুসলিমদের মধ্যে অনেক মতভেদ, বিশেষ করে বিতর্কিত দুর্বল সুরা এবং আয়াত নিয়ে। তিন, আমি কোনো যুক্তি প্রমাণ দিতে চাই না। কারণ যুক্তি-তর্ক-বিজ্ঞান নিয়ে বিশ্বাসী মুসলিমদের সাথে কথা বলা খুব তাড়াতাড়ি হাস্যকর হয়ে যায়। যেখানে পুরো সিস্টেমটি দাড়িয়ে আছে লজিকাল ফ্যালাসির ওপরে, সেখানে তার অনুগামীদের কাছে যুক্তি এবং বিজ্ঞান একটু বেশি এলিয়েন টপিক হয়ে যায়। শেষ কারণটি হচ্ছে, আমি রেফারেন্স খোঁজার সামান্য কষ্টটুকুও করতে চাই না, কারণ আমি যা বলব, তা হাজারবার বলা হয়েছে আগেই, কাজেই আপনি নিজেই খুব সহজে রেফারেন্স খুঁজে পাবেন। কারো আমার কথা ভালো না লাগলে হেসে উড়িয়ে দিতে পারে, ইচ্ছা করলে খোলা মনে ইসলাম সম্পর্কে জানার চেষ্টা করতে পারে, অথবা এইসব সম্পূর্ণ অবহেলা করতে পারে। আমি খুশি হব শুধুমাত্র কেউ আমাকে মুরতাদ ঘোষণা নিয়ে কল্লা ফেলে দিতে না চাইলেই।
  • আমি মনে করি, হজরত মুহাম্মদ একজন খুবই বুদ্ধিমান মানুষ ছিল। সে ইতিহাসের আরো অনেক ধর্মপ্রবক্তার মতই একদিন গুহা থেকে বের হয়ে ঘোষণা দিল, তার ওপরে ঈশ্বরের বাণী নাজিল হয়েছে। এই বিষয়টা আজকের সমাজে মানুষকে হজম করানো অনেক কঠিন হলেও হাজার বছর আগে ব্যাপারটা এমন ছিল না। তার সফলতা ছিল এই যে, সে শুরুতেই কিছু লোককে এটা বিশ্বাস করাতে পেরেছিল। এই বিষয়ে মার্ক টোয়েনের একটা উক্তি আছে, "Religion was born when the first con man met the first stupid person"। আই থিংক ইট সেজ ইট অল দেয়ার ইজ টু সে। 
  • আরবের লোকেরা খ্রিষ্টান ধর্ম, ইহুদি ধর্মের সাথে পরিচিত ছিল। মুহাম্মদ যখন যেমন প্রয়োজন, আব্রাহামিক ধর্মগুলোর অল্প স্বল্প অদল-বদল করে একটি নতুন ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছিল তার জীবদ্দশায়। বাকি ইতিহাস তারই চেলাদের লেখা ইতিহাস, যার বেশির ভাগ মুহাম্মদের এবং কাল্পনিক ঈশ্বরের স্তুতিগাথা দিয়ে ভরা। 
  • খুব সংক্ষেপে বললে 'সত্যিকারের' মুহাম্মদ একজন ভোগবাদী নারীলিপ্সু যুদ্ধবাজ নেতা ছিল। তার যখন যেমন প্রয়োজন হয়েছে সে তখন তেমন ধরনের ওহি নাজিল করেছে তার কাল্পনিক জিব্রাইলের মাধ্যমে। আয়েশার সতিত্ব থেকে শুরু করে, তার মৃত্যুর পরে তার বিধবা স্ত্রীদের আজীবন বিধবা থাকার ব্যবস্থা পর্যন্ত সে করে গেছে ওহীর মাধ্যমে। যে কোনো বুদ্ধিমান কুটিল লোকের মত সেও কিছু কিছু ভালো কাজ করেছে সময়ে সময়ে, অনেকটা আমাদের দেশের পলিটিশিয়ানদের মত। সে মধ্যযুগের বেশ কিছু বর্বতার -- যেমন নারীশিশুদের জীবন্ত মেরে ফেলা -- অবসান ঘটিয়েছিল, কিন্তু মধ্যযুগের দাসপ্রথা, গনিমতের মাল, বহু বিবাহ, বাল্য বিবাহ, অজস্র উপপত্নী এইসব সে এবং তার সাহাবীরা বর্বরের মতো উপভোগ করেছে। 
  • মৃত্যুর সময় সে রেখে গেছে একটা ধর্ম, যেটা সেই সময়কার খ্রিস্টান এবং ইহুদি ধর্মের চাইতে তুলনামূলক ভাবে ভালো ছিল। কিন্তু সব আব্রাহামিক ধর্মের মতই ইসলামও আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে চরম অসামঞ্জস্যপুর্ণ। আমরা বাঙালিরা কিছু না জেনেই বিবর্তনকে উড়িয়ে দেই ১৪০০ বছর আগের এক ব্যক্তির কথায়, যার নিজের অথবা তার কাল্পনিক ঈশ্বরের কোনো ধারণাই ছিলনা আধুনিক বিজ্ঞান একদিন কোথায় পৌঁছাবে। তাই আমি বরং সমাজ জীবনে ইসলাম কতটা সফল সেই বিষয়েই বেশি আগ্রহী। 
  • দুর্ভাগ্যজনকভাবে, মানুষের তৈরী যে কোনো স্ট্যাটিক সিস্টেম এক সময় অকেজো হয়ে যেতে বাধ্য এবং ইসলামও এর কোনো ব্যতিক্রম নয়, এটি এখন সম্পূর্ণ অচল একটি জীবন ব্যবস্থা। আধুনিক সমাজ নারীদের সমান অধিকারে বিশ্বাস করে, ইসলামে আধুনিক নারীর অবস্থান চরম অসম্মানজনক। ছোটবেলায় কতটা ব্রেইন-ওয়াশ হলে মেয়েরা এইসব মেনে নিতে পারে ভেবে আমার অবাক লাগে (সুরা নিসা সব বাঙালি মেয়ের একবার বাংলা ভাষায় পড়া উচিত)। অর্থনৈতিক দিক দিয়েও ইসলাম সম্পূর্ণ ভাবে ব্যর্থ একটি সিস্টেম। আধুনিক সমাজ সুদভিত্তিক, ইসলাম 'সুদ' কী, সেটাই বোঝে না ঠিক মতো, অথচ সুদকে হারাম করে বসে আছে। যাকাত-ফেতরার অর্থনৈতিক অবদানও হাস্যকর, যদিও মুসলিমরা এইসব বিষয়ে অত্যন্ত short-sighted। সাধারণ দৈনন্দিন কাজকর্মেও ইসলাম সব অদ্ভুত নিয়ম করে বসে আছে। আধুনিক মানুষ গান শুনতে পছন্দ করে, খেলাধুলা পছন্দ করে, ইসলামে মোটামুটি সব ধরনের গানবাজনা এবং অনেক ধরনের খেলাধূলা হারাম। অমুসলিমদের অধিকার ইসলামে সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেনের মতো, সমকামিতার শাস্তি ইসলামে মৃত্যুদণ্ড, যদিও আল্লাহই ঠিক করে দেয়, কে অমুসলিম ঘরে জন্ম নেবে, কে সমকামী হবে। সবচাইতে জঘন্য ব্যাপার হচ্ছে, সমাজে, রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করার ব্যাপারে অনেক জোর দেয়া হয়েছে যা জঙ্গিদের সব সময় মদদ দেয় বিধ্বংসী কাজকর্মে। ধর্ম আর রাষ্ট্র যে একসাথে চলতে পারে না, রাষ্ট্রকে ধর্মের বিষয়ে নিরপেক্ষ হতে হবে সেটা ইসলাম অনুমোদন করে না, সেকুলার শব্দটি শুনলেই বাঙালি মুসলিম চেতে ওঠে। আর কোরানের ইহুদিবিদ্বেষের কথা নাইবা বললাম; এখনো অনেক মুসলিম হিটলারকে শ্রদ্ধা করে শুধুমাত্র ইহুদিনিধনের জন্য। অবশ্য বাঙালি মুসলিমের ছাগলের মত ভ্যা ভ্যা করে একটা আয়াতেরও অর্থ না বুঝে কোরান পড়ার যে অভ্যাস, তাতে করে তাদের এইসব না জানারই কথা। তারা যদি বাংলায় কোরান পড়ত, এমনকি তাফসির সহ, এটা খুব পরিষ্কার হয়ে যেত যে কোরান সম্পূর্ণ জীবনবিধান তো নয়ই, বরং স্বল্প বুদ্ধিমান অল্পশিক্ষিত যে কারো পক্ষেও এই ধরনের একটা গাঁজাখুরি জিনিস লেখা সম্ভব। তবে কোরানের চাইতেও মজার ছড়িয়ে থাকা হাজার হাজার হাদিস, আপনি বেশিরভাগ বিষয়ে একাধিক দ্বন্ধপুর্ণ হাদিস পাবেন যার একটা যা বলে আরেকটা সম্পূর্ণ বিপরীত কথা বলে। এখনো মুসলিমরা দলে দলে ভাগ হয়ে এইসব হাদিস নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি কাটাকাটি করছে। যাইহোক, এই প্রতিটি ইস্যুতে একেকটি রচনা লেখা সম্ভব। খুব সহজ সরল ভাষায় এই হচ্ছে 'সত্যিকারের ইসলাম'। কেউ যদি এই সত্যিকারের ইসলামের কাছে গিয়ে থাকে, তাহলে সবার ঘৃণ্য আফগান-সৌদিরাই সেটা করেছে, আমাদের রোমান্টিক বাঙালি মুসলিমরা নয়। বাঙালি মুসলিম বরঞ্চ ইউটোপিয়ান ইসলামের স্বপ্নে বিভোর থাকাটাই শ্রেয় মনে করে।
বালিতে মুখ গুঁজে থাকা আমার বন্ধুরা কোনোদিন 'সত্যিকারের ইসলাম' খুঁজে বের করবে না এই ভয়ে যে, কোন দানব বেরিয়ে আসে শেষে, after all, ignorance is bliss। আমি ওদের ওপরে খুব একটা ক্ষোভ বোধ করি না। আমি খেপে উঠি যখন দেখি কোথাও কোনো বৃদ্ধ তার চতুর্থ স্ত্রী হিসাবে কোনো বাচ্চা মেয়েকে বিয়ে করেছে, কোথাও পাথর ছুঁড়ে মারা হয়েছে কোনো অসহায় মেয়েকে, অথবা কার্টুনিস্ট, লেখকদের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হচ্ছে, কিংবা প্রহসনের শরিয়া আইনে প্রকাশ্যে জবাই করা হচ্ছে দরিদ্র শ্রমিকদের, অথচ ক্ষমাশীল আল্লাহর সুচিন্তিত বিধান ব্লাড-মানির বিনিময়ে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে দিনে-দুপুরে খুন করা আসামী। সেই সব সময়ে যারা বলতে আসে এইসবের সাথে 'সত্যিকারের ইসলামের' কোনো সম্পর্ক নাই, তাদের মুর্খতা দেখে আমার ভীষণ খারাপ লাগে। তাদের অজ্ঞতা এবং প্যাসিভ সাপোর্টের জন্যই ১৪০০ বছর টিকে আছে এই দানব। তারা জানে না, পাথরে থেথলে যাওয়া মেয়ের রক্তের দাগ কিছুটা হলেও লেগে থাকে তাদের হাতে, জবাই হওয়ার আগে দরিদ্র শ্রমিকেরা থুতু ছিটিয়ে যায় তাদেরই বিবেকের দিকে। মাঝে মধ্যে তাই, খুব অনাগ্রহের সাথে হলেও, আমার চিত্কার চেচামেচি করে সবার ঘুম ভাঙ্গাতে ইচ্ছা করে, বলতে ইচ্ছা হয়, "Sorry my friend, your wonderful religion is nothing short of an extraordinary piece of shit. You may choose to live a life of denial, but I will always curse when it stinks."

নোট: সবচাইতে দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, অনেকেই এই লেখা পড়ে, আমার আপত্তি ক্ষোভ রাগ সবকিছু অবহেলা করে, আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে আনন্দ পাবে। আমার যথেষ্ট সময়-সুযোগ থাকলে আমি তাদের জন্য একটা প্রাইমারি স্কুল খুলতাম। 

* আগে ফেসবুকে প্রকাশিত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন