আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১১

আমাদের আত্মীয়েরা – ৩৪


বানরেরা মানবজাতির নিকটতম আত্মীয় - এই ধ্রুব সত্যটি অস্বীকার করতে পারে শুধু ধর্মবিশ্বাসপীড়িতরাই, যাদের অবস্থা এই তিন বাঁদরের মতো: 


বিবর্তনবাদ অধ্যয়ন না করেও স্রেফ নিজের আচরণ লক্ষ্য করে এবং নিজের ও অপরের চেহারার দিকে ভালো করে তাকিয়ে এই সত্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব। তবে সিলমোহর সাঁটানো মগজওয়ালারা আদম-হাওয়ার কু-রূপকথাতেই আস্থা রাখতেই উদগ্রীব। এতে করে কোনও জীবের সঙ্গে আত্মীয়তার মতো 'কলঙ্ক' এড়ানো তো যায়ই এবং সর্বোপরি যথেষ্ট ছওয়াব রোজগার করে বেহেশত গমনের পথ মসৃণতরও হয়। 

নিচে উল্লেখিত ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করে, বানরদের আচরণ শুধু মানবীয় নয়, মানবিকও বটে। 


আবু জাফর সালেহ, জেলা প্রতিনিধি 
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মানুষ, মানুষকে ভালোবাসে। আবার কখনও মানুষই মানুষকে পরিহার করে। তবে এক জাতের জীব-জন্তু অন্য এক জাতের জীব-জন্তুকে কতটা ভালবাসতে পারে তারই উদাহরণ বরগুনা শহরের উপকন্ঠেi ক্রোক এলাকার এ দৃশ্য। একটি বানর আদর স্নেহ দিয়ে লালন করছে একটি কুকুর ছানাকে। 

বানর এবং কুকুর ছানার মালিক জাকির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, তিনি পেশায় একজন ট্রাকচালক। তার বাড়ি পশ্চিম বরগুনায়। তিনি দু’মাস আগে বরগুনা সদর উপজেলার নলী গ্রামের একটি বাড়ি থেকে এ বানরটিকে পোষার জন্য নিয়ে আসেন। বানরটিকে বাড়িতে নিয়ে আসার দু’দিন পরেই তার বাড়ির পাশে একটি কুকুর ছানাকে পড়ে থাকতে দেখেন। কুকুর ছানাটিকে জাকির তার বাড়ির ভেতরে নিয়ে আসলে বানরটি কুকুর ছানাটিকে কোলে তুলে নেয়। সেই থেকে গত দু’মাস ধরে বানরটি আদর-ভালবাসা দিয়ে কুকুর ছানাটিকে লালন-পালন করে আসছে।

আমরা শ্রেণিকরণের সুবিধার্থে কিংবা অধঃস্থন প্রাণী হিসেবে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে এদের বলি ‘ইতর প্রাণি!’ কিন্তু এ ধরনের দৃশ্য আমাদের ভাবনার জগতকে একটু তো নাড়িয়ে দেয়ই!

অথবা থাবা বাবা'র পাঠানো নিচের ছবিটাই দেখুন না! 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন