মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১১

দু'টি চৌদি এলান


১.
চৌদি আজব পরম নিষ্ঠার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে ন্যায়বিচার ও ইছলামী শাস্তির নমুনা দেখিয়ে চলেছে। এবারে তারা শিরশ্ছেদ করেছে এক মহিলার। তার অপরাধ, সে ছিলো 'ডাইনি' এবং সে জাদুবিদ্যার চর্চা করতো। চৌদিতে এ বছরে এ নিয়ে মাত্র ৭৩ জনের (মাসে ৬ জনেরও বেশি) শিরশ্ছেদ কার্যকর করা হলো। 


২. 
বিশ্লেষণসহ খবরটি পাঠিয়েছেন জোকার নালায়েক

কাফেররা পুণ্যভূমি সৌদি আরব সম্পর্কে ভুয়া খবর ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়। সুতরাং এ বিষয়ে মুসলমানদের সাবধান থাকতে হবে।

এই ভুয়া খবরটা পড়ুন - 

এবার সৌদি আরবে নিজের মেয়েকে ধর্ষণ!

খবরটোয়েন্টিফোর.কম: এবার পবিত্র নগরী সৌদি আরবের মক্কা শহরের এক সৌদি নাগরিকের বিরুদ্ধে তার কিশোরী মেয়েকে নেশাগ্রস্ত করে গত ৭ বছর ধরে ধর্ষণ করার অভিযোগ প্রমাণিত। স্থানীয় প্রভাবশালী ‘ওকাজ পত্রিকা’ গত শনিবার এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। তবে ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেনি পত্রিকাটি। সৌদি ধর্মীয় পুলিশ জানায়, মেয়ের চাচার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তারা এই অপরাধ উদঘাটন করেন। আর নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করার অপরাধে সৌদি আরবের মক্কা শহরের এক আদালত এ পাষণ্ড পিতাকে ১৩ বছরের জেল ও ২০৮০ ঘা বেত মারার রায় দিয়েছে ।"

আমি এখন বলব কেন এটা ভুয়া। শরিয়া আইন মোতাবেক ধর্ষণের চার জন পুরুষ সাক্ষী থাকতে হবে। কিন্তু এটাতে বলা হয়েছে পুলিশকে চাচা খবর দিয়েছে। চাচা সাক্ষী ছিল, এ কথা কিন্তু বলা হয় নি। যদিওবা চাচা সাক্ষী থাকে, তারপরও কথা থেকে যায়, সাক্ষী মাত্র একজন। তাছাড়া, শরিয়া আইন মোতাবেক ধর্ষণকারী নিজ মুখে ধর্ষণের কথা স্বীকার করলে সেটা ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে। এক্ষেত্রে সেই পিতা নিজের দোষ স্বীকার করেছে কি না তা স্পষ্ট নয়।

এরকম অস্পষ্ট একটা ঘটনাকে খবরে রূপ দেয়া এবং সৌদি আরবের পূণ্যবান মানুষদের নামে ভুয়া খবর রটিয়ে সারা বিশ্বের মানুষকে বিভ্রান্ত করার আমি প্রতিবাদ জানাই।

আমি মনে করি নিশ্চয়ই সেই মেয়ে পর্দা করে নি। আমি আগেই বলেছি, মাংশ উন্মুক্ত ফেলে রাখলে বিড়ালে মুখ দেবেই। সব দোষ মেয়েটার।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন