আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১১

ধার্মিকের জ্ঞান-বুদ্ধির লেভেল (উপযুক্ত ধর্মীয় দলিল সহকারে)


লিখেছেন জুপিটার জয়প্রকাশ 

হিন্দু উপনিষদ: তৈত্তিরীয় উপনিষদ নামে একটি উপনিষদ আছে যেটি তিত্তির পাখীরা খেয়ে ফেলেছিল। পরে তার কাছ থেকে সেটি উদ্ধার করা হয়।

যাজ্ঞবল্ক্য ঋষি তাঁর গুরু বৈশম্পায়ন এর কাছে যজুর্বেদ শিক্ষা নিচ্ছিলেন। একদিন গুরুর সাথে তাঁর ঝগড়া হয়ে গেল। শিষ্য গুরুর কাছে পাওয়া সমস্ত শিক্ষা বমি করে বের করে দিয়ে চলে গেলেন। জ্ঞান এইভাবে ছড়িয়ে পড়ে থাকতে দেখে তিত্তির পাখির রূপ ধরে অন্য ঋষিরা সেগুলি খুঁটে খুঁটে খেয়ে ফেলল। পরে সেই খুঁটে খাওয়া জ্ঞান একত্র করে একটি গ্রন্থ হয়, যার নাম তৈত্তিরীয় উপনিষদ।

বাইবেল: ইজেকিয়েল একটি বই খেয়ে ফেললেন।
তিনি আমাকে কহিলেন, হে মনুষ্যসন্তান; আমি তোমাকে এই পুস্তক দিলাম। ইহা ভক্ষন কর। আর তখন আমি তাহা ভোজন করিলাম। (৩ পরিচ্ছেদ থেকে শুরু।)

ইসলাম: মুহম্মদ এর জ্ঞানবুদ্ধি কলসিতে করে এনে বুকের মধ্যে ভরে দেওয়া হয়েছিল।
বুখারী থেকে
আল্লার রাসুল কহিলেন, একদিন যখন আমি মক্কায় ছিলাম আমার ঘরের ছাদ খুলে জিব্রাইল নেমে এলেন। তিনি আমার বুক খুলে ভিতরটি জমজমের পানির দ্বারা ধুয়ে দিলেন। তারপর জ্ঞান ও ঈমান ভর্তি সোনার এক পাত্র নিয়ে সেগুলি আমার বুকের মধ্যে ঢেলে দিয়ে বুক বন্ধ করে দিলেন। এরপর তিনি আমার হাত ধরে ঊঠিয়ে আমাকে প্রথম স্বর্গে নিয়ে গেলেন।


Volume 1, Book 8, Number 345:

Narrated Abu Dhar:
Allah's Apostle said, "While I was at Mecca the roof of my house was opened and Gabriel descended, opened my chest, and washed it with Zam-zam water. Then he brought a golden tray full of wisdom and faith and having poured its contents into my chest, he closed it. Then he took my hand and ascended with me to the nearest heaven,

এর থেকে বোঝা যায় যে ধার্মিকদের জ্ঞানবুদ্ধি একটা সলিড জিনিস। যা খেয়ে ফেললে পেটে যায় বা বুক চিরে ভরে দেওয়া হয়। কলসিতে করে বয়ে আনা যায়, বমি করে বের করে দেওয়া যায়। মোদ্দা কথা ধার্মিকের বুদ্ধি মগজে থাকে না, তার চাইতে নিচের লেভেলেই থাকে, বুকে বা পেটে। যেহেতু এগুলো বস্তু, তাই নিজের ওজনেই এরা হাঁটুর দিকে নেমে যায়। কারো কারো মাথায় থাকলেও একই ভাবে নেমে যায়। এই জ্ঞানবুদ্ধি মগজের দিকে আনতে গেলে একমাত্র পথ হল মাথা নিচু করা।

যে ধার্মিক যত বেশি মাথা নিচু করে প্রার্থনা করে তাদের জ্ঞানবুদ্ধি তত মাথার দিকে যায়। তাই মাথা নামিয়ে প্রার্থনা না করলে সেই ধার্মিক কখনো বুদ্ধিমান হতেই পারে না। যে ধার্মিক যত মাথা নোয়ায় তার জ্ঞানবুদ্ধির লেভেল তত ওপরে। (অবশ্য সেই ওপরটা নিচু করে রাখা লাগে।)




জ্ঞানবুদ্ধি মাথায় পৌঁছানোর ধর্মীয় প্রক্রিয়া

নাস্তিকদের জ্ঞানবুদ্ধি এরকম সলিড বস্তু নয়। তাই এগুলো মাথা থেকে নেমে যায় না। মাথায় ফেরত আনার জন্য মাথা নামিয়েও থাকা লাগে না। কিন্তু ধার্মিকেরা মনে করে তাদের জ্ঞানবুদ্ধির মতন সকলেরই জ্ঞানবুদ্ধি নিচের দিকে নেমে যায়। তাই মাথা নামায় না বলেই তারা ধরে নেয় নাস্তিকেরা বেকুব।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন